তাহলে তো সকলকে জামায়াত-শিবিরেই যোগ দেওয়া উচিত!

লিখেছেন লিখেছেন মোঃ আবু তাহের ১১ জুলাই, ২০১৬, ০৯:০৭:১৯ রাত

পত্রিকা (বাংলাদেশ প্রতিদিন-১০/০৭/১৬) মারফত জানতে পারলাম, জঙ্গীরা নাকি ভয়ঙ্কর ড্রাগে আসক্ত! তারা গুলশানের মতো নৃশংস কাজের জন্য নাকি ক্যাপ্টাগন ও অ্যাম্ফিটামিন ট্যাবলেট প্রয়োগ/ব্যবহার করে থাকে! এই সব ট্যাবলেট এতই নেশাজাত যে, যে ব্যক্তি তা সেবন করবে তার কোন হিতাহিত জ্ঞান থাকে না আর যে সময়ে ওই ব্যক্তির এমন অবস্থা তৈরী হয় তখনই তারা এই সব নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে থাকে। আমরা দেখেছি যে, যারা নেশাখোর তারা সঠিক সময়ে নেশাজাত দ্রব্য না পেলে নিজের শরীর নিজেরাই ব্লেড দিয়ে কুচি কুচি করে কাটে।

এবার উপরের কথায় ফিরে যাই।

বাংলাদেশের সকল মানুষই জানে যে, জামায়াত-শিবিরের কোন নেতা-কর্মী কখনই মাদকতা/নেশায় আশক্ত নয়। বরং কেউ যদি কখনো নেশাখোর থেকেও থাকে তাহলে জামায়াত-শিবিরে যোগ দেওয়ার পর তারা তাও ছেড়ে দেন। তার মানে কি, তার মানে হলো জামায়াত-শিবিরের কোন নেতা-কর্মীরই জঙ্গী হওয়ার কোন সুযোগ নাই।

জামায়াত-শিবির সব সময় ভেবে চিন্তে কাজ করার চেষ্টা করে, ওই জঙ্গীদের মতো মাতাল হয়ে কাজ করে না। তাছাড়া ওই জঙ্গীরা নামকাওয়াস্তে দুই একটা কুরআনের আয়াতের অংশকে পুজি করে অস্ত্র নিয়ে লাফিয়ে পড়ে, কিন্তু জামায়াত-শিবিরের লোকেরা সেই কাজ কখনই করে না বা করার কোন সুযোগই নাই। জামায়াত-শিবিরের জনশক্তিদেরকে নিয়মিত কুরআন, হাদীস, ইসলামী সাহিত্য সহ তুলনামূলোক অনেক সাহিত্য পড়তে হয় আর এসব পড়ে নেশাখোর হওয়ার সুযোগ কোথায়!

তারপরে থাকে মাদরাসার বিষয়টা। আজকে আমরা যত প্রকার নেশাযাত দ্রব্যের নাম শুনি আর সেগুলো যারা ব্যবহার করে তাদের মধ্যে তো কোন মাদ্রাসার ছাত্রকে কেউ এখন পর্যন্ত খুজে পায় নাই বরং তারা সবসময় নেশার বিরুদ্ধে। যারা এই সব দ্রব্য ব্যবহার করে তারা সকলেই কোন না কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ধনীর ঘরের দুলাল।

তাহলে বোঝা যাচ্ছে, যারা ইসলাম নিয়ে চলে, ইসলামের কথা বলে তারা কখনই নেশাখোর হতে পারে না এবং তাদের পক্ষে জঙ্গী হওয়ারও কোন সুযোগ নাই। এই কারনেই হয়তো আমরা দেখি যারা ইসলামের নামে সন্ত্রাস বা জঙ্গীবাদ চালায় তারা ইসলামের ধারে কাছেও নাই বরং তারা সঠিক ইসলামী দলগুলো প্রচন্ড বিরোধী।

উপরিউক্ত বিষয়গুলো পর্যালোচনা করলে এটাই প্রতিয়মান হয় যে, উল্লেখ করার মতো সকল রাজনৈতিক দলের মধ্যে নেশাখোর থাকলেও জামায়াত-শিবিরে কোন নেশাখোর নাই তাই জঙ্গীবাদ বিরোধী অভিযানে অংশ নিতে হলে সবাইকে জামায়াত-শিবিরের ছায়াতলে আসা খুবই জরুরী।

বিষয়: বিবিধ

১২২৯ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

374408
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ০৯:৪৬
কুয়েত থেকে লিখেছেন : সকলকে জামায়াত-শিবিরেই যোগ দেওয়া উচিত! ভালো লাগলো অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৫ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:২৯
312022
মোঃ আবু তাহের লিখেছেন : মন্তব্যের জন্য আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
১৬ আগস্ট ২০১৬ সকাল ০৮:৩৩
312032
কুয়েত থেকে লিখেছেন : مرحبا بكم بارك الله فيك وجزاك الله خيرا وشكرا لك Good Luck Good Luck
374420
১১ জুলাই ২০১৬ রাত ১১:২৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : অ্যাম্ফিটামিন হচ্ছে ইয়াবার মুল উপাদান। কারা ইয়াবা আমদানি আর সেবন করে সেটা সবাই জানে!!
১৫ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:২৯
312023
মোঃ আবু তাহের লিখেছেন : সহমত
374435
১২ জুলাই ২০১৬ রাত ০৩:৫৩
শেখের পোলা লিখেছেন : সহমত।
১৫ আগস্ট ২০১৬ রাত ০৮:৩০
312024
মোঃ আবু তাহের লিখেছেন : শেখের পোলা "সহমত" পোষন করলে আমি ধন্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File