শিক্ষা শিক্ষক ও আন্দোলন
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ আবু তাহের ১২ ডিসেম্বর, ২০১৫, ০৭:৫১:৪৭ সন্ধ্যা
আমি যখন প্রাইমারি স্কুলে পড়তাম তখন শিক্ষক কম থাকার কারণে হেড স্যারকেই বেশি ক্লাস নিতে হতো। তখন দেখতাম, হেড স্যার সেকি যত্নের সাথে ক্লাস নিতেন! বিকাল তিনটা কি চারটার কোন হিসাব নেই। সহজ বিষয় হলো ওয়ান-থ্রির ক্লাস শেষ করার পর ফোর-ফাইভকে নিয়ে বসতেন। এরপর সন্ধা হলেও সকলের সব সাবজেক্ট পড়িয়ে তবেই ছুটি দিতেন। একজনের একটা পড়া একবার না হলে বার বার পড়াতেন। কাছে নিয়ে এসে আদর করে বুঝাতেন। না বুঝলে হালকা মারতেন। মারার পড়ে আবার বুঝাতেন আর বলতেন, আজকে যে মার দিলাম এমন এক সময় আসবে যখন পাঁচশত টাকা দিলেও এই মার আর পাবে না! সেদিন কথাটির অর্থ না বুঝলেও আজ ঠিকই বুঝছি। স্যার যদি শুধু চাকুরীর খাতিরে আমাদেরকে পড়াতেন তাহলে নিশ্চই চারটার মধ্যেই আমাদেরকে শিক্ষক কমের অজুহাতে ছুটি দিয়ে দিতেন কিন্তু তিনি তা করেন নি। তিনি চেয়েছেন আমরা যেন মানুষ হই। কিন্তু এই আমাদেরকে মানুষ করতে গিয়ে স্যারকে যে কি অমানুষিক পরিশ্রম করতে হতো এখন তা ভাবতেও বিস্ময় লাগে! এত কষ্টের পরেও কিন্তু স্যার বেতন পেতেন সম্ভবত তিন হাজার টাকা (১৯৯২ সালের কথা)।
দুই ধরনের মানুষ অন্যের বড় হওয়াকে নাকি গর্বের সাথে দেখেন। এক. পিতা-মাতা আর দ্বিতীয় হলেন শিক্ষক। শিক্ষক তাঁর ছাত্রকে বড় হতে দেখলে অনেক বেশি গর্ব করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেই ছাত্ররাই আবার যখন অনেক বড় হন তখন ওই শিক্ষকদেরকে ভুলে যান। আজকে যদি আমরা একজন সচিব বা মন্ত্রীর কথা চিন্তা করি তাহলে নিশ্চই তারা যেই স্কুলে পড়েছিলেন তাদের শিক্ষক আইএ পাস ছিলেন, তাদের বেতন এখন অনেক টাকা হলেও শিক্ষকের বেতন কিন্তু তেমন একটা বাড়ে নাই। এখনও আমাদের শিক্ষকদের “নুন আনতে পান্তা ফুরায়” অবস্থা।
কিছু দিন আগে এই মুহম্মদ জাফর ইকবাল তাঁর একটি লেখায় বলেছেন “দেশের মানুষ কি জানে এ দেশে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা হচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী? নতুন বেতন কাঠামোতে তারা কোথায় গিয়ে ঠেকেছেন। খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। আমি এরকম একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে চিনি, যিনি তার স্কুলে পৌঁছে প্রথমেই একটা ঝাড়ু এবং এক বালতি পানি নিয়ে স্কুলের টয়লেটে ঢুকে সেটা পরিষ্কার করতেন। আমি যতদূর জানি ইদানীং স্কুলে স্কুলে একজন করে কর্মচারী দেওয়া হয়েছে, আগে স্কুল চালাতেন শুধু শিক্ষকরা, টয়লেট পরিষ্কার থেকে স্কুলের ঘণ্টা বাজানো সবকিছুই করতে হতো শিক্ষকদের, স্কুলে শিক্ষকদের সংখ্যা কম, ক্লাসঘরও কম। দুই ব্যাচে পড়াতে হয় তাই সেই কাকভোর থেকে একেবারে বেলা পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাদের কোন অবসর নেই। তারা যদি ক্লাসে পড়াতে পারেন তাহলে তারা নিজেদের রীতিমতো সৌভাগ্যবান মনে করেন, কারণ বেশির ভাগ সময়েই তারা ক্লাসে পড়ানোর সুযোগ পান না! এ দেশের যত ‘ফালতু’ কাজ সবকিছুই এ শিক্ষকদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়। গ্রামের স্যানিটারি ল্যাট্রিন গোনা থেকে ভোটার তালিকা তৈরি করা এমন কোনো কাজ নেই যা তাদের করতে হয় না। এ দেশে সম্ভবত প্রায় ৮০ হাজার প্রাইমারি স্কুল আছে- এ স্কুলের শিক্ষকদের থেকে অসহায় কোনো গোষ্ঠী এ দেশে আছে বলে আমার জানা নেই।”
যেই শিক্ষক তাঁর ছাত্রদেরকে ভাল করে গড়ে তোলার জন্য সব থেকে বেশি পরিশ্রম করেছেন সেই শিক্ষকদেরকেই সবসময়ে অবহেলার পাত্র হিসেবে থাকতে হয়েছে-হচ্ছে। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির জন্য তাঁদেরকে আন্দোলন করতে দেয়া যাবে না, আন্দোলন করতে গেলে তাঁদের উপর মরিচের পানি ছিটাতে হবে! এরকম আরো কত কি! সম্ভবত শিক্ষকেরা উপায়ান্তর না পেয়ে একান্ত নিজ গরজেই এই শিক্ষকতার পেশোয় টিকে আছেন নয়তো বেতনের কথা চিন্তা করলে অনেক আগেই তাঁরা এই মহান পেশা ছেড়ে দিয়ে চলে যেতেন। তাঁদেরকে নিয়ে এই চিন্তাটা মনে হয় তেমন কেউই করেন না যে তাঁরা যদি চলার মতো বেতন-ভাতা না পান তাহলে নিশ্চিন্তে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে পড়াবেন কিভাবে।
এসব কিছুর পিছনে আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের কোন সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নাই। আমরা কতদূর আগাতে চাই আর কিভাবে আগাতে চাই এই দুইয়েরই আমাদের প্রচন্ড অভাব। চীনে একটা প্রসিদ্ধ প্রবাদ প্রচলিত আছে। প্রবাদটি হলো- “তুমি যদি শত বছরের পরিকল্পনা কর তাহলে গাছ লাগাও, আর যদি হাজার বছরের পরিকল্পনা করে থাক তাহলে মানুষ তৈরি কর।” দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, আমাদের শত সহস্র বছর তো দূরের কথা একদিনেরও ভাল পরিকল্পনা আছে কি না সন্দেহ।
বর্তমানে শিক্ষকরা অনেক বেশি নির্যাতিত, নিপিড়িত। তাঁদের কোন সম্মান বলতে কিছু নাই। যেই শিক্ষকরা সবচেয়ে বেশি সম্মানের সেই শিক্ষকরাই এখন সবচেয়ে বেশি অপমানিত। কয়েকদিন আগে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপর ছাত্রলীগের হামলা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কোনো কারণ ছাড়াই শিক্ষকদের উপর হামলা কোন চরিত্রের ছাত্রদের দ্বারা হতে পারে সেটা আর খুলে বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না। তবে এক্ষেত্রে দুই ধরনের কথাই ঠিক যে, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় না আমরা চরিত্র শিখি আর না আমাদের চরিত্র বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। ভদ্র শব্দটা এখন ডিকশনারির ভিতরেই পাওয়া যায়। এর কারণ হিসেবে অনেকেই ধর্ম শিক্ষা মুখ্য না হওয়া এবং লেজুরবৃত্তিক রাজনীতিকেই দায়ী করেছেন। বাংলাদেশে জ্ঞানী লোকদের মাঝে একটা কথা প্রচলিত আছে- “এ দেশের শিক্ষাকে রাজনীতি মুক্ত করা না গেলেও রাজনীতিকে শিক্ষা মুক্ত করা গিয়েছে!”
ইংরেজিতে একটা কথা প্রচলিত আছে- Wealth is lost nothing is lost. Health is lost something is lost But Character is lost everything is lost. কিন্তু বর্তমানে অনেকেই এই কথাটা মানতে নারাজ। তারা মনে করেন চরিত্র থাক আর যাক সেটা কোন ব্যাপারই না আমার দরকার শুধু টাকা আর টাকা। ছাত্র অবস্থাতেই যাদের ‘যেভাবেই হোক’ কোটিপতি হওয়ার খায়েশ জাগে তাদের দ্বারা যে উত্তম চরিত্র গঠন করা সহজ নয় তা সহজেই বোঝা যায়। আর এই সব কারণেই ইংরেজি ওই কথাটাকে অনেকেই ব্যঙ্গ করে বলে থাকেন- Character is lost nothing is lost. Health is lost something is lost But Wealth is lost Everything is lost.
আমরা বাদশা আলমগীরের কথা সবাই জানি। ছোট বেলায় সেই সম্পর্কে লিখিত একটি কবিতা পড়ানো হতো সম্ভবত এখনও হয়। সেখানে আমরা পড়েছি, বাদশা আলমগীর তাঁর ছেলেকে শিক্ষকের নিকট পড়াতে দিয়ে যখন একদিন গোপনে গিয়ে দেখলেন যে তাঁর ছেলে শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে তখন শিক্ষককে ডেকে নিয়ে গিয়ে আফসোস করে বললেন যে, অনেক আশা নিয়ে আমার ছেলেকে আপনার কাছে দিয়েছিলাম আদব শেখানোর জন্য অথচ আপনি তাবে বেয়াদবি শেখাচ্ছেন। শিক্ষক যখন ভয়ে ভয়ে কি বেয়াদবি শিখাচ্ছি তা জানতে চাইলেন তখন বাদশা বললেন যে, দেখলাম আমার ছেলে আপনার পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে আর আপনি হাত দিয়ে আপনার পরিষ্কার করছেন অথচ সে তার হাত দিয়ে আপনার পা পরিষ্কার করে দিচ্ছে না!
এই সব ঘটনা আমরা সবাই পড়ি শুধু পরীক্ষায় পাস করে সার্টিফিকেট অর্জন করার জন্য কিন্তু শিক্ষা নেওয়ার মানুষ অনেক কম।
আমাদের উচিত ছিল যারা মানুষ গড়ার কারিগর সেই শিক্ষকদের বেতন ভাতা সবচেয়ে বেশি করার কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাদের বেতন সবচেয়ে কম। যারা সরকারি টাকায় খায়, সরকারি জায়গায় থাকে, সরকারি গাড়িতে চড়ে বেড়ায় তারাই আবার নিজেদের বেতন লক্ষ টাকা বানিয়ে নেয়, আর যাদের বেতনের টাকা দিয়ে সংসারই চালানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় সেই শিক্ষকদের কথা তারা এতটুকুও বোধ হয় ভাবেন না।
জনাব মুহম্মদ জাফর ইকবাল কিছুদিন আগে বলেছিলেন- “আমি জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাকা-পয়সা খুব বেশি নেই, (আমার মনে আছে একজন লেকচারারের বেতন কত সেটি উল্লেখ করে একবার খবরের কাগজে একটা লেখা ছাপানোর পর আমার একজন তরুণ সহকর্মীর বিয়ে ভিঙে গিয়েছিল!) সত্য মিথ্যা জানি না, শুনেছি আমরা মাসে যত টাকা বেতন পাই একজন সচিব নাকি তার গাড়ির তেলের জন্য তার থেকে বেশি টাকা পান! বেতনের বাইরে একজন শিক্ষক কী পরিমান সুযোগ-সুবিধা পান সেই কথাটি লিখলে আমার আরও তরুণ সহকর্মীর বিয়ে ভেঙে যেতে পারে।”
শিক্ষা ব্যবস্থায় বর্তমানে ‘পাস’ করাটাকেই মুখ্য হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। সে কতটুকু শিখলো বা কি শিখলো এসব এখন মুখ্য বিষয় নয়। সবকিছু নিয়ে আন্দোলন হলেও ‘প্রকৃত শিক্ষা’ বাস্তবায়নের জন্য কোন আন্দোলন নেই। হবেই বা কি করে, দেশ আর দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে কারো কোনো চিন্তা নেই। আগেই বলেছি, শত বা হাজার নয় একদিনের পরিকল্পনাও আমাদের নেই। তাহলে আগামীতে এই দেশের কি হবে! দেশ কি মেধা বা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যাবে না? এই সব নিয়ে আমাদের গুরুজনেরা ভাবছেন কিন্তু ভাবলে কি হবে তাঁদের হাতে তো কোন ক্ষমতা নাই, করারও কিছু নেই।
বাংলাদেশের একজন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ জনাব আবু হেনা তাই দুঃখ করে তাঁর একটি লেখায় বলেছেন- “আজ শিক্ষাঙ্গনে শুধুই হতাশা-ব্যর্থতা আর বিশাল অনিশ্চয়তা। শিক্ষক-শিক্ষিকা ছাত্রদের হাতে প্রহৃত হচ্ছেন। শিক্ষক বড় না আমরা বড় এ নিয়ে চলছে অবিরাম সংগ্রাম, আন্দোলন, সংঘাত। ১৯৪৯ সালে সারা পাকিস্তানের সর্বোচ্চ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন শফিউল আজম। ১৯৭১ সালেও তিনি যুগ্ম সচিব পদমর্যাদায় পূর্ব পাকিস্তানের চিফ সেক্রেটারি ছিলেন। কারণ সারা পাকিস্তানে তখন মাত্র ২০ জন সচিব, ৫৯ জন যুগ্ম সচিব এবং ২০৩ জন উপসচিবের পদ ছিল।
আজ বাংলাদেশে হাজার হাজার সিনিয়র সচিব, সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব আর উপসচিব। তাতেও কুলাচ্ছে না। প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা না দিলে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট জালকারী সিনিয়র সচিবদের পূর্ণ মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। আজ বাজেটের সিংহভাগ এই শ্বেতহস্তির ভরণপোষণে ব্যয় হচ্ছে। আর এই অর্থ যোগান দিচ্ছে পরোক্ষ করের মাধ্যমে সাধারণ কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর আর রাস্তার ভিখারী।...
আজ শিক্ষাঙ্গনে সেই পবিত্রতা নেই। আজ বিচারপতি হামুদুর রহমান, মাহমুদ হোসেন, মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী, মোজাফফর আহমেদ, ওসমান গণির মতো উপাচার্য নেই। ড. এম এন হুদা, ড. আব্দুল হালিম, ড. টারনার, ড. দানী, ড. সাজ্জাদ হোসেনের মতো শিক্ষক নেই। শিক্ষক, ছাত্র-কর্মচারীরা মাসের পর মাস কর্মবিরতি করে এদের অবরুদ্ধ করে রাখলেও এরা পদত্যাগ করেন না। অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে গোলাগুলি করে দিনদুপুরে হল দখল এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এইচএসসি পরীক্ষায় ৭৫ হাজার পরীক্ষার্থী জিপিএ ৫ পাওয়ার পর মাত্র দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি অনার্স ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছে। শতকরা ৯৮ থেকে ১০০ নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা হাজার হাজার। এর কারণ এরা হুমায়ুন কবীরের মতো মেধা সম্পন্ন নয়। এর কারণ পরীক্ষার প্রশ্ন-পত্র ফাঁস হয়েছে। যারা লেখাপড়া করে পরিশ্রম করে পরীক্ষা দিয়েছে তারা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী দুর্বৃত্তের পেশিশক্তির সামনে অসহায়। এরা আজ শিক্ষাঙ্গনকে কলুষিতই করছে না, পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব সেক্টরকেই মেধাশুন্য করছে।... কবে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আজও বংশানুক্রমে তাদের নাতি-পুতিরা শতকরা ৩০ ভাগ পদ দখল করে চলেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এর কোনো নজির নেই।...আজ আর আশা নেই, ভরসা নেই। আমরা সমুদ্রের অতলে গভীর হতাশায় নিমজ্জিত। এই মুহূর্তে কে দেবে আমাদের আশা, ভরসা, কে দেখাবে টানেলের শেষপ্রান্তে আলোক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূর্যরশ্মিটি? কে বাঁচাবে মুমূর্ষু জাতিকে?”
এরপরেও আমাদের বিশ্বাস, অন্ধকার যত গভীরই হোক না কেন, যে যাই বলুন না কেন, এই জাতিকে বাঁচানোর জন্য তরুণ এবং যুবকেরাই এগিয়ে আসবে ইনশাল্লাহ।
বিষয়: বিবিধ
১৪১৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আল্লাহ এ জাতির সহায় হোন। আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টটির জন্য।
মন্তব্য করতে লগইন করুন