জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আযহার নামাজ আদায়
লিখেছেন লিখেছেন মোঃ আবু তাহের ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৫০:২২ দুপুর
এবারই প্রথম জাতীয় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রিপরিষদের মাননীয় মন্ত্রীরা সহ অনেক ভিআইপি ব্যক্তিরা এখানে নামাজ আদায় করেন বিধায় এখানে অন্ততঃ তিন স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। অনেকবার সার্চ করার পরেই সামনের দিকে বসার সুযোগ মিলে। কিন্তু গতকালকের ঈদের নামাজে দেখলাম ঈদগাহে লোকের উপস্থিতি অনেক কম। সামনের দিকটা অনেকটা ফাঁকাই ছিল। এটা অনেক বেশি বাধ্যবাধকতার কারনে নাকি অন্য কোন কারনে মুসুল্লিরা সেখানে যেতে চায়নি বা যেতে পারেনি সেটা যাই হোক ইসলামের দৃষ্টিতে সামনের কাতার গুলো পুরো করা জরুরী। আশা করি আগামীতে বিষয়গুলো সেখানকার কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন।
যথাসময়ে নামাজ শুরু হয়ে গেল। ঈমাম সাহেব প্রথম রাকায়াতে সূরা আল ফুরকানের শেষের রুকু থেকে তেলাওয়াত করলেন। আমার কাছে আয়াতগুলো সেই স্থানের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে হয়েছিল। আয়াতগুলো আমি এখানে শেয়ার করছি-
تَبٰرَكَ الَّذِىۡ جَعَلَ فِىۡ السَّمَآءِ بُرُوۡجًا وَّجَعَلَ فِيۡهَا سِرٰجًا وَّقَمَرًا مُّنِيۡرًا
৬১.) অসীম বরকত সম্পন্ন তিনি যিনি আকাশে বুরুজ নির্মাণ করেছেন এবং তার মধ্যে একটি প্রদীপ ও একটি আলোকময় চাঁদ উজ্জ্বল করেছেন।
وَهُوَ الَّذِىۡ جَعَلَ الَّيۡلَ وَالنَّهَارَ خِلۡفَةً لِّمَنۡ اَرَادَ اَنۡ يَّذَّكَّرَ اَوۡ اَرَادَ شُكُوۡرًا
৬২.) তিনিই রাত ও দিনকে পরস্পরের স্থলাভিষিক্ত করেছেন এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য যে শিক্ষা গ্রহণ করতে অথবা কৃতজ্ঞ হতে চায়।
وَعِبَادُ الرَّحۡمٰنِ الَّذِيۡنَ يَمۡشُوۡنَ عَلَى الۡاَرۡضِ هَوۡنًا وَّاِذَا خَاطَبَهُمُ الۡجٰهِلُوۡنَ قَالُوۡا سَلٰمًا
৬৩.) রহমানের (আসল) বান্দা তারাই যারা পৃথিবীর বুকে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং মূর্খরা তাদের সাথে কথা বলতে থাকলে বলে দেয়,
وَالَّذِيۡنَ يَبِيۡتُوۡنَ لِرَبِّهِمۡ سُجَّدًا وَّقِيَامًا
৬৪.) তোমাদের সালাম। তারা নিজেদের রবের সামনে সিজদায় অবনত হয়ে ও দাঁড়িয়ে রাত কাটিয়ে দেয়।
﴿ وَالَّذِيۡنَ يَقُوۡلُوۡنَ رَبَّنَا اصۡرِفۡ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَۖ اِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًاۖ
৬৫.) তারা দোয়া করতে থাকেঃ “হে আমাদের রব! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাও, তার আযাব তো সর্বনাশা।
ঈমাম সাহেব দ্বিতীয় রাকায়াতে সূরা ইনফিতারের শেষের আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেন, আর সেই আয়াতগুলোও আমাদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়। এখানে আমি সেই আয়াতগুলোও শেয়ার করছি-
اِنَّ الۡاَبۡرَارَ لَفِىۡ نَعِيۡمٍۙ
১৩.) নিঃসন্দেহে নেক লোকেরা পরমানন্দে থাকবে
وَّاِنَّ الۡفُجَّارَ لَفِىۡ جَحِيۡمٍ ۖۚ
১৪.) আর পাপীরা অবশ্যি যাবে জাহান্নামে।
يَّصۡلَوۡنَهَا يَوۡمَ الدِّيۡنِ
১৫.) কর্মফলের দিন তারা তার মধ্যে প্রবেশ করবে
وَمَا هُمۡ عَنۡهَا بِغَآٮِٕبِيۡنَؕ
১৬.) এবং সেখান থেকে কোনক্রমেই সরে পড়তে পারবে না।
وَمَاۤ اَدۡرٰٮكَ مَا يَوۡمُ الدِّيۡنِۙ
১৭.) আর তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
ثُمَّ مَاۤ اَدۡرٰٮكَ مَا يَوۡمُ الدِّيۡنِؕ
১৮.) হ্যাঁ, তোমরা কি জানো, ঐ কর্মফল দিনটি কি?
يَوۡمَ لَا تَمۡلِكُ نَفۡسٌ لِّنَفۡسٍ شَيۡـًٔاؕ وَّالۡاَمۡرُ يَوۡمَٮِٕذٍ لِّلَّهِ
১৯.) এটি সেই দিন যখন কারোর জন্য কোন কিছু করার সাধ্য কারোর থাকবে না। ফায়সালা সেদিন একমাত্র আল্লাহর ইখতিয়ারে থাকবে।
আমি আশা করি মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়েরা এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিয়জিত ব্যক্তিবর্গ কুরআন শরীফের এই আয়াতগুলো বুঝেছেন এবং সেই অনুযায়ী আগামীতে কাজ করবেন।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাঁর দেওয়া পবিত্র কুরআন সঠিকভাবে বুঝে সেই অনুযায়ী আমল করার তাওফীক দান করেন এই দোয়াই করছি।
বিষয়: বিবিধ
৯৮৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গঠনমূলোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন