আযান নিয়ে কিছু কথা---

লিখেছেন লিখেছেন নকীব কম্পিউটার ১৬ মার্চ, ২০১৩, ০২:১৬:২০ দুপুর

আযানের সময় মহিলাদের মাথায় ঘোমটা দেওয়া আমাদের দেশের অনেক মা বোনদের দেখা যায়, আযানের ধ্বনি শোনা মাত্র তারা মাথায় ঘোমটা দেন। আর নামাজের ওয়াক্ত চলে গেলেও নামাজ পড়েন না। এমন মহিলা বহু।

আযান শেষ হলেই আবার গীবত- গল্পে লেগে যান।

কখনও ভেবে দেখেছেন এমনটা কেন করা হয়? এটা কি ইসলামের সঠিক রীতি কি না? এইখানে দুইটি বিষয় লক্ষণীয়-

১)মাথায় ঘোমটা কখন দেওয়া উচিত? নারীদের মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি ছাড়া শরীরের সমস্ত কিছুই তাদের লজ্জাস্থান। যা গায়ের মাহরাম বা পরপুরুষের সামনে সর্বাবস্থায় ঢেকে রাখতেই হবে। কাজেই আযান শুনে নয় বরং মাহরাম ছাড়া অন্য যে কোনো পুরুষের সামনে মাথাসহ সমস্ত শরীর ভালভাবে ঢেকে রাখা ফরজ। আযানের সাথে সাথে মাথা ঢেকে ফেলার কোন সম্পর্ক নেই।

=============================

২)আযান শুনলে কি করা উচিত? আযানের ধ্বনি শুনে নারী পুরুষ সকলের করণীয় হল- আযানে যা বলা হতে থাকে তার জবাব দেওয়া এবং আযান শেষে এই দোয়া পাঠ করা- আল্লাহুম্মা রাব্বা হা-যিহিদ দা’অতিত তা-ম্মাহ, অস্ সলাতিল ক্বা-ইমাহ, আ-তি মুহাম্মাদানিল অসীলাতা ওয়াল ফাদ্বিলাহ, অবাআছহু মাক্বা-মাম মাহমুদানিল্লাযী অআত্তাহ, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মীআদ। অর্থ- হে আল্লাহ এই পরিপূর্ণ আহ্বান ও প্রতিষ্ঠা লাভকারী নামাযের প্রভূ। মুহাম্মাদ সা: কে তুমি অসীলা ( জান্নাতের এক উচ্চ স্থান) ও মর্যাদা দান কর এবং তাঁকে সেই প্রশংসিত স্থানে পৌঁছাও, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাঁকে দিয়েছ, নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করো না অঙ্গীকার। ( সহীহ- মুসলিম-৩৮৬, তিরমিযী-২১০, নাসায়ী-৬৭৯, আবু দাউদ-৫২৫, ইবনু মাজাহ-৭২১, আহমাদ-১৫৬৮)

=============================

আযানের হাক্বীকত যারে বুঝে না তারাও মাঝে মাঝে ওয়াজ নসীহত করতে দেখা যায়। কেউ একজন ওয়াজ বা গজল শুনছে এমতাবস্থায় এসে ওয়াজ করে- শুনেন না আযান হয়েছে। অথচ- আযান হওয়াতে কোন দোকানপাট বন্ধ হয় নাই, কোন যানবাহন চলাচল বন্ধ হয় নাই, কোন মানুষের যাত্রায় বিরতি হয় নাই। চায়ের দোকানের টেলিভিশন বন্ধ হয় নাই, গান বাজনার দোকানের জাহান্নামের আওয়াজ বন্ধ হয় নাই। তাহলে আযানের প্রতিক্রিয়া কি? আযানের হাকীকত তো মিয়া তোমার মধ্যে নাই। কাকে তুমি ওয়াজ করতে এসেছ? হয়তো তুমি যাকে বলছ- সে তো আযান শুনে মসজিদে যাবে এবং নামাজ আদায় করবে। আর তুমি তো কখনো মসজিদে যাওনা। মসজিদে গেলে অবশ্যই নামাজ পড়তে। আর নামাজ মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। তুমি তোমার মুখে দাড়ি রাখ না। তুমি তো ছব্বিশ ঘন্টা খারাপ কাজে লিপ্ত। নবীর সুন্নতের গলায় কাঁচি লাগাচ্ছ। ঘুমিয়ে থেকেও গোনাহের ভাগীদার হচ্ছ। তোমার গায়ে সুন্নতী লেবাস নাই। বিজাতীয় পোশাক পরে আছ। প্রস্রাব কর দাঁড়িয়ে। প্রস্রাব করে পানি ব্যবহার কর না। সর্বদা নাপাক অবস্থায় দুনিয়ার জমিনে ঘুরছ। তুমি যে আরেকজনকে উপদেশ দিচ্ছ তার আগে নিজের সাড়ে তিনহাত দেহের মধ্যে ইসলাম কায়েম কর।

বিষয়: বিবিধ

১৪২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File