চলে গেলেন বসুন্ধরা ইসলামিক সেন্টারের মুফতী আবদুর রহমান
লিখেছেন লিখেছেন নকীব কম্পিউটার ১১ নভেম্বর, ২০১৫, ১০:৩৪:৩১ সকাল
প্রচুর সংখ্যক লোক সমাগম হয়েছে মুসলিম বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ আলেম ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমানের জানাযায়। বুধবার (১১ নভেম্বর) সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ এসে জড়ো হতে থাকে বসুন্ধরা কেন্দ্রীয় মসজিদ এলাকায়।
বুধবার (১১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বসুন্ধরা কেন্দ্রীয় মসজিদে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানাজা নামাজ পরিচালনা করবেন মুফতি আসাদ রাহমানি। তিনি মুফতি আবদুর রহমানের বড় ছেলে।
জানাযা শেষে মুফতি আবদুর রহমানকে বসুন্ধরা নতুন কবরস্থানে দাফন করা হবে।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বসুন্ধরা ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) মুফতি আবদুর রহমান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৯১ বছর।
মুফতি আবদুর রহমান ১৯২৫ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ইমামনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম চাঁন মিয়া।
তিনি নাজিরহাট ও হাটহাজারি মাদ্রাসায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক লেখাপড়া সমাপ্ত করেন। উচ্চমাধ্যামিক শিক্ষা সমাপ্তির পর তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে গমন করেন। ১৯৫০ সালে সেখানে কওমি মাদরাসা পাঠ্যক্রমের সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিস কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগের তিনি প্রথম ডিগ্রি লাভকারী মুফতি।
মৃত্যুর আগে তিনি দেশের প্রায় ১৮টি উত্তরাঞ্চলীয় জেলার সহস্রাধিক দ্বীনি প্রতিষ্ঠান নিয়ে গঠিত তানযীমুল মাদারিস আদ্বীনিয়্যা বাংলাদেশ (উত্তরবঙ্গ) এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তিনি একাধারে জামিয়ার প্রধান মুফতি, সহকারী মহাপরিচালক ও শিক্ষা বিভাগীয় পরিচালকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি দাওরায়ে হাদিসে সর্বোচ্চ কিতাব বোখারি শরিফের ১ম খণ্ডের পাঠদান করেন।
আল জামিয়া পটিয়ার সহকারী পরিচালক থাকাকালে তিনি দেশব্যাপি একশ’ সদস্য বিশিষ্ট ইফতা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ সময় তিনি ইসলামি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকিং-এর ক্ষেত্রেও অনন্য অবদান রাখেন। তিনি সুদভিত্তিক অর্থনীতির বিরুদ্ধে অতুলনীয় ভূমিকা রাখেন।
ফকিহুল মিল্লাত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ নামে তাঁর একটি সেবামূলক সংস্থা রয়েছে। এ সংস্থার মাধ্যমে তিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অসংখ্য মসজিদ, মাদরাসা, মক্তব, হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করেন।
বিষয়: বিবিধ
১৫৮১ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মহান আল্লাহ তালায়া তার ভাল আমলগুলোকে কবুল করে তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিক।
মহান আল্লাহ তালায়া তার ভাল আমলগুলোকে কবুল করে তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিক।
ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহি রা-যিউ-ন।
মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর ভাল আমলগুলোকে কবুল করুন এবং তাঁকে ক্ষমা করে জান্নাতের মেহমান করে নিন!। আমীন
আল্লাহ তাকে জান্নাতে উঁচু মাক্বাম দান করুন। আমীন।
মহান আল্লাহ তালায়া তার ভাল আমলগুলোকে কবুল করে তাকে জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিকা
- তিনি বড় আলেমে দ্বীন ছিলেন, দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ার ব্যাপারে তিনি খুবই আন্তরিক ছিলেন।
- তিনি আলাদা একটি কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড গঠন করে নিজের মত করে শিক্ষা বিস্তার করেছেন।
- সরকার ও ধনী লোকদের সাথে এডজাষ্ট করে চলাটাকে নিন্দুকেরা ভাল চোখে দেখতেন না তাই তিনি অনেকের কাছে অপছন্দনীয়ও ছিলেন।
- হেফাজতে ইসলামী গঠন প্রশ্নে তিনি চরম বিরোধী ছিলেন আবার সরকারের অন্যায় সমালোচনা করার ব্যাপারে তিনি শতভাগ হুশিয়ার থাকতেন।
- মানুষ ভাল ও মন্দের মাধ্যমে সৃষ্টি! একজন মানুষ সবার কাছে সমান গ্রহনযোগ্য হতে পারেন না, এমন কি নবী-রাসুলদের মত ব্যক্তিরাও সবার কাছে গ্রহনীয় ছিলনা। তাই প্রত্যেকের আমল আল্লাহর দরবারেই যথাযোগ্য বিচেবচনার জন্য দাখিল হয়।
- আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে দাখিল করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন