দাওয়াতের ফলাফল: নানা যখন বাবা ॥ দুটি সুন্দর ঘটনা।
লিখেছেন লিখেছেন নকীব কম্পিউটার ২৩ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৪:২১:১৯ বিকাল
মাওলানা খাইরুল ইসলাম নেত্রকোণা সদরের একটি মাদরাসা থেকে দাওরা হাদীস পাশ করেছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার গাজীপুরে একটি মাদরাসায় ইফতা পড়ছেন। তারা তিন ভাই দুই বোন। সে সবার বড়। তার একটি বোনকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়টি অপেক্ষায় আছে। তার দ্বিতীয় ভাইটি স্কুলে কিছু পড়াশুনা করেছে। নামাজ রোযার ধার ধারেনা। কখন সূর্য ওঠে কখন ডুবে এসবের খবর সে রাখে না। রাতে বাসা থেকে বের হয়। কয়টায় বাসায় ফিরে এর কোন ইয়ত্তা নেই। কারো আদেশ নিষেধের পরোয়া সে করে না। বড় ভাই খুব পরহেজগার কিন্তু দ্বিতীয়টি নামাজ তরককারী গোনাহগার। দাড়ি ওঠেছে ঠিকই কিন্তু প্রতিদিনই ক্লীন সেভ করে।
খাইরুলের যে বোনটিকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে তার নাম মিতু। বয়স বর্তমানে সর্বোচ্চ ২০ বছর। বর্তমানে সে ৫ সন্তানের জননী। দুটি মারা গেছে। দুটি ছেলে ও একটি মেয়ে আছে। মেয়েটির বয়স ৬ মাস পেরোয়নি। মিতু তার বাবার বাসায় থাকে। কারণ তার স্বামী তাবলীগের কাজে ব্যস্ত থাকে। ভাড়া বাসায় একা রেখে চলে যান তিনি দিল্লী। সারা বছরই তিনি দাওয়াতের কাজের জন্য ব্যস্ত থাকেন। তাকে যদি স্ত্রী বলে আমাকে সময় দিন। তিনি ওয়াজ করেন- সাহাবীরা দ্বীনের জন্য কত কষ্ট করেছেন। তুমি একটু কষ্ট করতে পার না?
যেদিন তার মেয়ে সন্তান হলো সেদিন তার স্বামী দেশে নাই। মনে হয় এইবার বিশ্ব ইজতেমার পর বাড়ী ফিরবেন। খুব কম সময়ই তিনি পরিবারকে দেন। তিনি খুব আল্লাহ ওয়ালা। আর এটা দেখেই মুগ্ধ হয়েছিল খাইরুল। কারণ সেও তাবলীগ পছন্দ করে।
মিতুর চেয়ে তার স্বামীর বয়স দ্বিগুণ। বিয়ের দিনই অনেকে পিছন থেকে মন্তব্য করেছিল। মনে হয় বাপ মেয়ে যাচ্ছে। এই কষ্টটা আজও মিতু কে আঘাত করে। ভুলতে পারে না প্রথম দিনে শুনা এই কথাটি।
গত কুরবানী ঈদের সময় আমরা সবাই গিয়েছিলাম মিতুর বাবার বাসায়। আমার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাব দিতে গিয়েছিলাম মিতুর ছোট বোনের জন্য। আমার শ্বাশুরী খাইরুলের বাবার কাছে কথাটি কানে কানে বলেছিলেন। তিনি তখন জানিয়ে দেন খাইরুলের মায়ের সাথে আলোচনা করে পরে জানাব। তিনি আবার বউ ভক্ত। এখনও সরকারী চাকুরী করতেছেন।
সর্বশেষ তারা আমাদের মোবাইলে জানিয়ে দেন, তারা রাজী না।
জানিনা কেন তারা রাজী হলেন না। বড় ভাই তো ভালই বেতন পান। তিনি ঢাকায় থাকেন। বউ পালার মতো যোগ্যতা তার আছে। তাছাড়া তিনি তো যৌতুক বিহীন বিয়ে করবেন। যাই হোক, গত ৫ জানুয়ারী তিনি বিয়ে করেছেন।
আমরা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যেদিন গিয়েছিলাম। সেদিন আমাদের সবার দৃষ্টি কাড়ে একটি বিষয়। তা হল- মিতুর সবার ছোট একটি ভাই আছে বয়স হয়তো ৩ বছর হবে। তার নাম রেখেছে মুহাম্মাদ। এই মুহাম্মদের চেয়ে ২-৩ বছরের পার্থক্য হবে মিতুর দুই ছেলের। জাবের ও জুবায়ের। মুহাম্মাদ যখন তার বাবাকে বাবা বলে ডাকে। তখন জুবায়েরও তার নানাকে বাবা বলে ডাকে। কেননা জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত তার বাবাকে ১ সপ্তাহের জন্যও তো পায়নি। যদি তিনি বাড়ীতে আসেন। দাওয়াতের কাজ করে যখন ঘরে ফিরেন। তখন তো জুবায়ের ও জাবের ঘুমে থাকে।
সবাই এক বাক্যে বলতে বাধ্য হয়েছে- মিতু তার বাবার বাসায় থাকার কারণেই আজ জুবায়ের তার নানাকে বাবা ডাকতে শিখেছে। সে জানেনা তার বাবা কি রকম? তার বাবা যদি তাবলীগে সময় একটু কমিয়ে সন্তানের প্রতি নজর দিতেন? তাহলে এমনটি ঘটত না। আজ তাদের মাদরাসায় যাওয়ার বয়স হয়েছে। কিন্তু কে ভর্তি করাবে? আজ জুবায়ের ও যাবেরের বয়সী সন্তানেরা মক্তবে যাচ্ছে বাবার হাত ধরে। সেখানে তারা!
মিতুর একান্ত কিছু আলাপ- যা আমার বিবি সাহেবার সাথে করে:-
বোনরে মনে অনেক ব্যথা জমা আছে বলার মত মানুষ পাই না। অন্তরের কিছু কষ্ট আছে রাখার মতো স্থান পাই না। স্বামীর মহব্বত আর ভালোবাসা কি জিনিস আমি আমার জীবনে হয়তো পাব না। এই বয়সেই কয়টি সন্তানের মা হলাম। একটু চিন্তা করেছো? কোন রকম ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না- স্বামীর আদেশ। তিনি তো আর কষ্ট করে পালেন না। আমি জানি কষ্ট কেমন। থাকি বাবার বাসায়। কোথা থেকে কিছুদিন পর পর এসে দিয়ে যান একটা কষ্টের পাহাড়। দীর্ঘ দশ মাস বোঝা বয়েও গ্লানির শেষ হয় না। কি আর বলব!
মিতুর মায়ের কথা- এবার আসলে বলব- সাহাবীরা তো ফ্যানের নীচে ঘুমাতেন না। তুমি ফ্যানের নীচে থাকতে পারবে না। তাক্বওয়া শুধু স্ত্রীর বেলায়। নিজের বেলায় না। কি সর্বনাশটাই না করল- আমার খাইরুল।
প্রিয় পাঠক/ পাঠিকাগণ:- আপনাদের সুচিন্তিত মতামত চাই। এধরণের তাবলীগ কি আমাদের প্রিয় নবী করেছেন কি না? নিজের সন্তানের খবর নাই। আত্মীয় স্বজনের খবর নাই, স্ত্রীর হক্ব- অধিকারের কোন খবর নাই।
তিনি একছাল লাগোনোর জন্য দেশের বাইরে!
এ জন্য কি আল্রাহ তায়ালার কাছে কোন জবাবদিহি করতে হবে না?
ঢাকার বাংলাবাজাররস্থ ইসলামী টাওয়ারে অবস্থিত মাহমুদিয়া লাইব্রেরী থেকে প্রকাশিত মুফতী জালাল উদ্দিন সাহেব লিখিত একটি বই “হারানো মুক্তা”। এই বইটিতে দুইটি ঘটনা পড়েছি মাত্র কয়েকদিন আগে।
ঘটনা ১: হযরত উমর রা: একদা রাত্রে বের হয়েছেন প্রজাদের সুখ দু:খের খবর নিতে। এক ঘরে শুনতে পেলেন এক মহিলা গুণগুণ করে গান গাচ্ছেন। উমর রা: এই মহিলার ঘরে প্রবেশ করলেন। তিনি গান গাওয়ার কারণ জানতে চাইলেন। মহিলা উমর রা: এর প্রশ্নের জাওয়াব দেওয়ার আগে তিনটি কথা বলেন। ১। আপনি অনুমতি ব্যতীত ঘরে প্রবেশ করেছেন। ২। মূল ফটক দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন নি। ৩। শরীয়তে ১৪ জন পুরুষের সামনে যাওয়ার অনুমতি আমার আছে। আপনি এই চৌদ্দ জনের একজন নন। আপনি আগে আমার প্রশ্ন গুলির জাওয়াব দিন। উমর রা: তাঁর আবেগপূর্ণ প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেন না। আল্রাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে বললেন আমার ভুল হয়েছে বোন মাফ কর। মহিলা বুঝতে পারলেন উমরের বিষয়টি। সে বলল- আমার স্বামী আজ ৬ মাস যাবত বাড়ীতে নাই। তিনি যুদ্ধের ময়দানে। তার বিরহে আমি কয়েকটি কবিতার লাইন গানের সুরে পড়তেছিলাম। এটাই আমার অপরাধ। কবিতার লাইনগুলোর সারাংশ:- হে আমার অন্তর আমি অন্যদের মত নই, যদি আমি অন্যদের মত হতাম তাহলে আজ আমার চৌকির মর্মর আওয়াজ শুনা যেত। কিন্তু আমি অন্যদের থেকে আলাদা। এই কথাগুলি শুনার পর উমর রা:। বাড়ীতে আসলেন। অত:পর স্বীয় কন্যা হযরত হাফছা রা: কে জিজ্ঞাসা করলেন। একজন বিবাহিত যুবতী নারী স্বামীর বিরহ জ্বালা সর্বোচ্চ কতদিন সহ্য করতে পারে? হাফসা রা: পিতার কাছ থেকে এরূপ প্রশ্ন শুনে লজ্জায় মাথা নোয়াইয়া শুধু চারটি আঙুল উপরের দিকে তুলে দেখালেন। যার মানে হচ্ছে সর্বোচ্চ চার মাস। এর বেশি নয়। এর পর উমর রা: ঘোষণা দিলেন, যে সমস্ত সাহাবী যুদ্ধের ময়দানে চার মাসের বেশি সময় ধরে আছে। তারা যেন শিঘ্রই বাড়ী ফিরে আসে।
ঘটনা ২: হযরত উমর রা: আনহুর দরবারে একদা এক মহিলা আসলেন । তিনি তার স্বামীর তাকওয়া ও ইবাদত বন্দেগীর খুব প্রশংসা করলেন। উমর রা: তাকে কিছু উপদেশ দিয়ে বিদায় দিলেন। এমতাবস্থায় এক সাহাবী বললেন হযরত এই মহিলা স্বামীর প্রশংসার সাথে মৃদু অভিযোগ এনেছেন। যা আপনি বুঝতে পারেন নি। উমর রা: পুনরায় এই মহিলা ডেকে আনলেন এবং ওই সাহাবীকে বললেন, যেহেতু তুমি এই অভিযোগটি বুঝতে পেরেছো তাহলে তুমিই এর সমাধান দিবে।
অর্থাৎ মহিলার স্বামী ইবাদতে এত মশগুল যে স্ত্রীর হক্বের ব্যাপারে গাফিল। এই অভিযোগটিই তিনি মূলত করতে চেয়েছেন। সাহাবী তখন বললেন, ইসলামে একজন পুরুষকে এক সাথে চার জন স্ত্রী রাখার অনুমতি দিয়েছে। সকল স্ত্রীর সাথে ইনসাফের সংসার করতে ইসলাম বলেছে। সকলের সমান প্রাপ্য সব কিছুতে। এমনকি রাত্রি যাপনেও। সেহেতু একজন স্ত্রী চারদিন অন্তর অন্তর তার স্বামীর সাথে একটি রাত্রি থাকার অধিকার রয়েছে।
যেহেতু ওই লোকের স্ত্রী একজন তাহলে, ওই মহিলা তিন রাত পর পর একটি রাত স্বামীর কাছে পাওনা। স্বামী যত ইবাদাত বন্দেগীই করুক না কেন। তিন রাত অতিবাহিত হওয়ার পর চতুর্থ রাতটি স্ত্রীর সন্তুষ্টির জন্য কাটাতে হবে। এটি তার পাওনা। অভিযোগ কারী মহিলার স্বামীকে ডেকে এনে উক্ত বিষয়টি বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় করা হয়।
বি: দ্র: আমাদের প্রিয় প্রবাসী ভাইয়েরা যারা বিদেশে আছেন। তারা একটু ভাববেন। স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে তার সন্তুষ্টিতেই বিদেশে থাকবেন। এখানে যেহেতু স্ত্রীর হক্বের ব্যাপারে আলোচনা করা হলো। পিতা মাতার হক সম্বন্ধে আলোচনা থেকে বিরত থাকলাম। ধন্যবাদ সকল পাঠক,পাঠিকাগণকে।
বিষয়: বিবিধ
১৯৯৯ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আর হাঁ, কোন ভাই বলতে পারবেন কি? রসুল সঃ ২৩ বছরের নবুওত জীবনে কোন দিন কোন চিল্লায় গেছেন বা সাহাবীদের দল পাঠিয়েছেন?
তাবলীগে শিরকীর মাত্রা কতটুকু ভয়াবহ সেটা একটু ব্যাখ্যা করছি।
(১) প্রথমে কুরআন হাদীস হতে কিছু প্রাসঙ্গিক রেফারেন্স দিচ্ছিঃ
কুরআনের স্পষ্ট ঘোষণা হলোঃ
وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ ۖ وَإِن يَمْسَسْكَ بِخَيْرٍ فَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ [٦:١٧]
-কোনো দুঃখ বা বিপদ যদি তোমাকে গ্রাস করে থাকে তা(আল্লাহর মর্জিতেই হয়েছে বলে মনে করতে হবে এবং তা)দূর করার কেউ নেই একমাত্র আল্লাহ ছাড়া। এমনিভাবে তুমি যদি কল্যাণ লাভ করে থাকো তবে তিনিই তো সর্বশক্তিমান। (আল আনআমঃ ১৫)
অপর আয়াতে বলা হয়েছেঃ
وَإِن يَمْسَسْكَ اللَّهُ بِضُرٍّ فَلَا كَاشِفَ لَهُ إِلَّا هُوَ ۖ وَإِن يُرِدْكَ بِخَيْرٍ فَلَا رَادَّ لِفَضْلِهِ ۚ يُصِيبُ بِهِ مَن يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ ۚ وَهُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ [١٠:١٠٧]
-আল্লাহ যদি তোমাকে কোনো ক্ষতি বা বিপদ দেন, তবে তা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ-ই দূর করতে পারবেনা। আর তিনিই যদি তোমার প্রতি কোনো কল্যাণ দান করতে ইচ্ছে করেন, তাহলে তাঁর এই কল্যাণ দানকে প্রত্যাহার করতে পারে এমন কেউ নেই। তবে তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে চান কল্যাণ দেন, তিনিই ক্ষমা দানকারী, করুণাময়। (ইউনূসঃ107)
কুরআনের আরো বাণীঃ
-নিশ্চয়ই তুমি হে নবী!মরে যাওয়া লোকদের কোনো কথা শোনাতে পারবেনা।
-গায়েব জগতের চাবিসমূহ আল্লাহরই হাতে নিবদ্ধ, তা তিনি ছাড়া আর কেউ জানেননা।
দো‘আ কার কাছে করতে হবে সে কথা অধিক স্পষ্ট করে তোলবার জন্য নবী করীম(স) ঘোষণা করেছেনঃ তোমাদের প্রত্যেকেই যেন নিজের যাবতীয় প্রয়োজন কেবল আল্লাহর নিকট চায়। এমনকি কারো জুতার ফিতাও যদি ছিঁড়ে যায়, তবুও তাঁর নিকটই চাইবে। তিনি যদি না-ই দেন, তবে তা কেউ-ই দিতে পারবেনা।
(২)এবার দেখুন ফাজায়েলে হজ্জ এর শিরকী বয়ানঃ
(কুরআন ও হাদীসের বক্তব্যের সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক)
এক. শায়েখ ইব্রাহীম এবনে শায়বান (রাহ.) বলেন, আমি হজ্বের পর মদীনা পাকে পৌছিয়া কবর শরীফে হাজীর হইয়া হুজুরে পাক (সাঃ) এর ক্ষেদমতে ছালাম আরজ করিলাম। উত্তরে হুজরা শরীফ হইতে অ-আলা্ই-কাচ্ছালামু শুনিতে পাই।
(ফাজায়েলে হজ্ব, পৃষ্ঠা-১৩৭, প্রকাশ কাল- সংশোধিত সংস্করণ-১লা এপ্রিল ২০০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, ৫০-বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০)
দু্) শায়েখ আবুল খায়ের (রহ.) বলেন, একবার মদিনা মোনাওয়ারায় হাজির হইয়া পাঁচদিন পর্যন্ত আমাকে উপবাস থাকিতে হয়। খাওয়ার জন্য কিছুই না পাইয়া অবশেষে হুজুর (সাঃ) এর এবং শায়খাইনের কবরের মধ্যে সালাম পাড়িয়া আরজ করিলাম, ইয়া রাছুলাল্লাহ (সাঃ)! আমি আজ রাত্রে হুজুর (সাঃ) এর মেহমান হইব। এই কথা আরজ করিয়া মিম্বর শরীফের নিকট গিয়া আমি শুইয়া পড়িলাম। স্বপ্নে দেখি, হুজুরে পাক (সাঃ) তাশরীফ আনিয়াছেন, ডানে হযরত আবু বকর, বাম দিকে হযরত ওমর এবং সামনে হযরত আলী (রাঃ)। হযরত আলী (রাঃ) আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, এই দেখ, হুজুর (সাঃ) তাশরীফ আনিয়াছেন। আমি উঠিবা মাত্রই হুজুর (সাঃ) আমাকে একটা রুটি দিলেন, আমি উহার অর্ধেক খাইয়া ফেলি। তারপর যখন আমার চোখ খুলিল তখন আমার হাতে বাকী অর্ধেক ছিল!!!
(ফাজায়েলে হজ্ব, পৃষ্ঠা-১৩৮, প্রকাশ কাল- সংশোধিত সংস্করণ-১লা এপ্রিল ২০০৯, তাবলীগী কুতুবখানা, ৫০-বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০)
উদার মনে একটু ভাবুন ভ্রাতা। আপনি যদি কুরআন হাদীস দিয়ে আমাকে বুঝাতে পারেন যে ফাজায়েলে হজ্জ এর বক্তব্য শিরকী নয় তাহলে আমি পরদিন হতে চিল্লায় যাব। প্রমিজ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন