আপনি তাঁর হয়ে যান, সে আপনাকে সম্মান দেবে উভয় জগতে

লিখেছেন লিখেছেন নকীব কম্পিউটার ৩১ জুলাই, ২০১৩, ১০:০৯:১৪ সকাল

ইসলাম এমন একটি বিষয়

যে তার আঁচলে আসবে, সে সম্মানিত হবে।

ইসলাম গ্রহণ করলে সম্মানিত হবে উভয় জাহানে।

প্রত্যাখ্যান করলে অপদস্ত হবে উভয় জগতে।

ইসলামের প্রত্যেকটি বিষয়ই মানুষের কল্যাণের জন্য।

যারা ইসলামের বিরোধিতা করবে, ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার চিন্তা ভাবনা- কাজ করবে, তারা লাঞ্চিত হবে। প্রত্যক্ষ প্রমান জগতে বিদ্যমান।

আপনার সাড়ে তিন হাত দেহের মধ্যে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করুন, দেখবেন আপনি সম্মানিত হয়েছেন। আর সেটা ইসলামের কারণেই হবে।

আপনি যদি নারী হন:

===========

আপনি চলার পথে আপাদমস্তক ইসলামী পরিপূর্ণ পোশাকে ঢেকে চলুন, দেখবেন পৃথিবীর মানুষ আপনাকে সম্মানসূচক ব্যবহার করছে। এটা ইসলামের কারণেই।

আপনি নিজ ঘরে কিংবা আপনার কর্মক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ইসলামকে অনুসরণ করুন, দেখবেন আপনি সম্মানিত হচ্ছেন। তা ইসলামের কারণেই।

আপনি নিচু স্বরে কথা বলুন। আপনার নিজস্ব ঢঙে কথা বলুন। যা সৃষ্টিকর্তা কর্তৃক প্রদত্ত। আপনার সহকর্মীর সাথে এমনভাবে চলুন যতটুকু ইসলাম সমর্থন করে। দেখবেন আপনি কখনো অসম্মানিত হবেন না। সীমা অতিক্রম করবেন, তো আপনি অবশ্যই অপমানিত হবেন।

আপনি যদি পুরুষ হন:

===========

আপনার আপাদমস্তক শরীরে ইসলামকে পরিপূর্ণ প্রবেশ করান, আপনি সম্মানিত হবেন।

আপনি দাড়ি রাখুন, এটা ইসলামের একটি অংশ। দেখবেন লোকে আপনাকে সালাম দিচ্ছে। নামাযের জামাতে আপনাকে পাঠাবে। যেহেতু আপনার মধ্যে ইসলাম আছে।

আপনি দাড়ি সেভ করলে, অপরিচিত লোকে বুঝবেনা আপনি হিন্দু নাকি বৌদ্ধ? সালাম দিতে দ্বিধা বোধ করবে।

আপনার মাথায় ইসলামী টুপি পড়েছেন, আপনি সম্মানিত হবেন। যদিও আপনার মুখ ক্লিন সেভ।

আপনি ইসলামী জামা পরিধান করুন, লোকে আপনাকে সম্মান করবে।

লোকে সম্মান করে একারণেই, যেহেতু ইসলাম আছে এতে। আর সম্মানটা ইসলামের কারণেই আপনি পাচ্ছেন।

আর ইসলাম আগেই বলে এসেছে, আপনাকে ইসলামে পরিপূর্ণরূপে প্রবেশ করতে হবে, এতে অটল থাকতে হবে।

যুগে যুগে ইসলামের পক্ষে যারা রয়েছে, তারা সম্মানিত হয়েছে।

যারা বিরোধিতা করেছে বা প্রত্যাখ্যান করেছে তারা অপমানিত হয়েছে।

তা ইসলামের কারণেই।

সুতরাং আপনি ইসলাম গ্রহণ করুন পরিপূর্ণরূপে, আল্লাহ আপনাকে উভয় জাহানে কল্যাণ দান করবেন।

কয়েকটি উদাহরণ:-

১। কাঠের তৈরী বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল। এতে বিনা দ্বিধায় যে কেউ পা রাখে, কিন্তু কাঠের তৈরী রেহাল ( যাতে কুরআন শরীফ রেখে পড়া হয়) সম্মানিত। যেহেতু এটি ইসলামী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।

২। সুতার তৈরী যে কোন জামা, যা দিয়ে পা মোছা যায়, নষ্ট হয়ে গেলে ন্যাকড়া’র কাজ করে লোকে, কিন্তু একটি টুপি বা কুরআন শরীফের গিলাফ দিয়ে কেউ ময়লা পরিষ্কার করে না। চিন্তা করে এটা তো মাথায় থাকে বা সম্মানিত বস্তুর সাথে ছিল এতদিন।

৩। চটের বস্তা, এটাকে কেউ পবিত্র রাখার চিন্তা করে না। ধান, চাল বা বিভিন্ন দ্রব্য এতে ভরে রাখে, কিন্তু মসজিদের চটকে সবাই পবিত্র করে রাখে। কারণ এতে নামায পড়া হয়। যা ইসলামের অংশ।

৪। আপনার ঘরের যে কোন জিনিসের গিলাফ ততটা সম্মানিত নয়, যতটা কুরআন শরীফের গিলাফকে সম্মান বা হেফাজত করা হয়।

৫। বর্তমান সমাজে বা যুগে ‍যুগে অভিভাবকরা ছেলের বউ হিসেবে কারো কন্যাকে ঘরে আনতে চাইলে- আগে খুঁজে সে, বিনয়ী, ধার্মিক কি না?

অন্য দিকে বেপর্দাহীন, মাকের্টওয়ালী, ক্লাবওয়ালী মেয়েকে কেউ ঘরের বউ হিসেবে আনতে চায় না।

অপরদিকে যে ছেলেটি রাতে ক্লাবে সময় কাটায়, গাঞ্জা খায়, মদ পান করে, ইসলামী জীবন যাপনে অভ্যস্ত নয়, তাকে কেউ ভাল ঘরের জামাতা বানাতে চায় না। তাদের জন্য থাকে- (খারাপের জন্য খারাপ, বেপর্দেগীর জন্য বেপর্দাওয়ালী)।

অনেক উদাহরণ মাথায় আসছে, কিন্তু পাঠকের ধৈর্য্যের কথা চিন্তা করে আজকের মতো এখানেই সমাপ্ত করলাম।

আল্লাহ আমাদের পরিপূর্ণরূপে ইসলামে প্রবেশ করার মতো তাওফীক্ব দান করুন। আমীন।

বিষয়: বিবিধ

১২৩০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File