হেফাজতের ১৩ দফা হেফাজতই মানে না: চরমোনাই পীর (এ কথায় হয়ত কারো কারো মারাত্মক চুলকানি শুরু হবে)
লিখেছেন লিখেছেন নকীব কম্পিউটার ২৮ জুলাই, ২০১৩, ০৫:০৯:৫৩ বিকাল
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করীম চরমোনাই পীর দাবি করেছেন, হেফাজতের ১৩ দফা হেফাজতই মানে না। তারা বেপর্দা হয়ে ইফতার করে।
শনিবার ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর ‘ঐতিহাসিক বদর দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে তিনি এমন দাবি করেন।
রেজাউল করীম বলেন, রাজনৈতিকভাবে যারা দেউলিয়া, যাদের রাজনৈতিক ভিত নেই এবং যাদের সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই তারাই কেবল জোট মহাজোটের রাজনীতির চর্চা করে।
...
ইসলামী দলগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, শরীয়তের গুরুত্বপূর্ণ বিধান পর্দাকে জলাঞ্জলী দিয়ে বেপর্দা হয়ে একসাথে ইফতার করে। ইসলাম কারো কাছে মাথা নত করে না, তাগুত ও ইসলামবিরোধী শক্তির সঙ্গে আপোস করে কখনো ইসলাম হয় না।
চরমোনাই পীর বলেন, ৪২ বছর ধরে ইসলামী দলগুলো, ওলামায়ে কেরাম ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রয়োজনে রক্ত ও জীবন দিচ্ছে। কিন্তু ফল যাচ্ছে ঘুরে ফিরে ইসলামবিরোধী শক্তি ও পরীক্ষিত দুর্নীতিবাজদের হাতে।
তিনি দাবি করে বলেন, হেফাজতের ১৩ দফা হেফাজতই মানে না। তারা বেপর্দা হয়ে ইফতার করে। অথচ তাদের প্রথম দফাই হলো নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করা। কিন্তু তারা নিজেরাই তা মানছে না।
রেজাউল করীম বলেন, হেফাজতের ১৩ দফা বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউ মানে না। ইসলামী আন্দোলন ১৩ দফা বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। ১৩ দফার বাস্তবায়ন চাইলে সহীহ ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কুরআনের কথা বললে আমাদেরকে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ আখ্যা দেয়া হয়। আসল মৌলবাদ বা জঙ্গীবাদ হলো আমেরিকা, ইংল্যান্ড ও ভারত। আমরা কুরআনের কথা বলি এবং বলবো; এতে আমাদের রক্ত ও জীবন দিতে হলেও আমরা রাজি।’
চরমোনাই পীর বলেন, ‘৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে সরকার আল্লাহর ওপর আস্থা তুলে দেয় তা নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। বদরের চেতনা মুসলমানের মধ্যে নেই বিধায় ইসলামবিরোধী শক্তিগুলো মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, আজ ইসলাম ও মানবতা আক্রান্ত। কুরআন বিরোধী নারীনীতি, শিক্ষানীতি অনুমোদন হয়। ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ বোরকা নিষিদ্ধ হয়। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে এর চেয়ে নির্মম পরিহাস কি হতে পারে।
মহানগর সভাপতি অধ্যাপক হাফেজ মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, সহকারী মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান প্রমুখ।
বিষয়: বিবিধ
১৩০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন