মৃত্যু উপত্যাকা ফিরে এলাম আল্লাহর অসীম রহমতে!
লিখেছেন লিখেছেন নকীব কম্পিউটার ০৮ মে, ২০১৩, ০১:৪০:৫৭ দুপুর
কি লিখব! ভাবতে পারছিনা এই মুহুর্তে। মৃত্যু উপত্যাকা থেকে আল্লাহ যাদের বাঁচিয়েছেন একমাত্র তার অসীম দয়ায়। আর যাদের প্রাণ গেল তাদের জন্য সমবেদনা জানানোর ভাষা আমার নেই। তারা ঘুমের মধ্যে মরেছে। জাতি জানতে পারে নাই কিভাবে প্রাণগুলি গেল। তখন কোন মিডিয়া সজাগ বা উপস্থিত ছিলনা। আহ! কি ধ্বংসযজ্ঞ! ২ ঘন্টা ব্যাপী? মনে হচ্ছিল- ইরাক বা আফগানিস্তানে যুদ্ধের ময়দানে আছি। খালি হাতে। নেই কোন যুদ্ধাস্ত্র। কিছুটা গৃণা জন্মেছে হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের উপর। তারা কেন প্রতিরক্ষামূলক কোন ব্যবস্থা না নিয়ে রাতে এতগুলি মানুষকে থাকতে বাধ্য করেছিল? তারা মানুষের বাড়ীতে দাওয়াত খেতে পারে, মরলে দোয়া দুরুদ পড়তে পারে। মসজিদে বসে বড় বড় বয়ান করতে পারে। তাদের চাপার জোড় বেশি। কিন্তু তাদের অদূরদর্শীতার কারণে আজ এতগুলো প্রাণ অকালে ঝড়ল। মিয়া তোমরা প্রাইভেটকার কিনতে পার, কিন্তু কেন একটি অস্ত্র লাইসেন্স নিতে পার না? তা দিয়ে মানুষ মারতে হবে না, অন্তত ভয় তো দেখানো যাবে। দেখাওতো তোমরা যারা লক্ষ লক্ষ হুজুর রয়েছো তাদের কয়জনের কয়টা অষ্ত্র রয়েছে বৈধ কিংবা অবৈধ? তাহলে কিভাবে তোমরা বাঘ মারতে যাও লাঠি নিয়ে। কুমিরের সাথে খালি হাতে পানিতে নামো লড়াই করতে? ছি: ছি:।
তোমাদের সমরাস্ত্রের অধিকারী হওয়ার উচিত ছিল। দেখতো ইতিহাস। রাসুলের যুগে- সাহাবীদের কোন সম্পদ ছিল না। ছিল শুধু একটি তরবারী, একটি ঢাল কিংবা একটি ঘোড়া। তোমরা নিজের জীবন বাঁচনোর জন্য একটি খন্জরও সাথে রাখতে জাননা।
তোমাদের কোন মূল্য নেই সমাজে। তা দেখিয়েছে ৫ তারিখের রাত্রে, ষাঁড়াসি অভিযান চালিয়ে কুকুরের চেয়েও নিকৃষ্টভাবে তোমাদের ভাইদের ঘুমের মধ্যে মেরেছে, ঈমানদার মুসলমানরা জানতেও পারেনি সে মরতে যাচ্ছে।
আওয়ামী জালিমরা আলেমদের মেরে শহীদ করে দিয়ে
কী জঘন্য কথাই না আবার বলছে ওই হারামী আশরাফ, আরেকবার তাদেরকে ঘর থেকেই বের হতে দেবে না।
আগের দিন আঠার দলীয় বা বিএনপির সমাবেশে তো এমনটি হয়নি! তাদের সাথে তত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে সমঝোতা চলছে। আর কওমীর উলামায়ে কেরামদেরকে কত নিকৃষ্টভাবে মেরেছে! আহ!
কি মূল্য আছে হুজুরদের? কষ্টে, ঘৃণায় অন্তরটা ফেটে যাচেছ কি লিখব? লিখার তো শেষ নাই।
বিষয়: বিবিধ
১৯৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন