জাতির শেকড় সন্ধানী উপন্যাসিক শফীউদ্দীন সরদার ও আমার কিছু স্মৃতি
লিখেছেন লিখেছেন আবু আশফাক ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৮:১৪:৫৮ রাত
শফীউদ্দীন সরদার : বার্ধ্যক্যে উপনীত হলেও কলম আগের মতোই বেগবান
আধুনকি বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক উপন্যাসের ময়দানে প্রায় একক সৈনিক, কর্মবীর তিনি। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত হয়ে উঠার সকল গুণ থাকলেও শুধুমাত্র ইসলামী ভাবধারার লেখনির কারণে তিনি আমাদের তথাকথিত সাহিত্যিকদের কাছে অপাক্তেয় । মিডিয়া অনেক লেখককে জনপ্রিয় করে তোলে, কিন্তু স্ব-কীর্তিতে জনপ্রিয় হওয়া সাহিত্যিকের অভাব যে খালি চোখেও দেখা যায় তা বলাই বাহুল্য। যারা কোনো মিডিয়া বা পৃষ্ঠপোষকতার কল্যাণে বড় লেখক না হয়ে স্ব-কীর্তি আর খুরধার লেখনি দিয়ে নিজেকে সাহিত্যের বিদগ্ধ একদল পাঠকের মনিকোঠায় স্থান করে নিয়েছেন- এমনই একজন ঐতিহাসিক উপন্যাসিক শফীউদ্দীন সরদার।
যারা তার উপন্যাস পড়েছেন তাদের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার মতো কিছু নেই। কারণ তার লেখনির প্রতিটা ছত্রে ছত্রেই পরিচয় ভাস্বর হয়ে আছে।
শফীউদ্দীন সরদারের লেখাঘরের সামনে সন্ধ্যায়
বাংলা সাহিত্যে ঐতিহাসিক উপন্যাসের মধ্যে যারা মীর মশাররফ হোসেনের ‘বিষাদ সিন্ধু’ হুমায়ূন আহমেদের ‘মাতাল হাওয়া’ , ‘বাদশাহ নামদার’ ও এখনো প্রকাশের অপোয় ‘দেয়াল’ কিংবা ছোটদের জন্য ‘সূর্যের দিন’ আনিসুল হকের ‘মা’ ও ‘যারা ভোর এনেছিল’ হরিপদ দত্তের ‘মোহাজের’ পড়েছেন, তারা শফীউদ্দীন সরদারের উপন্যাস পড়লেই বুঝতে পারবেন তার স্বকীয়তা।
শফীউদ্দীন সরদারের জন্ম ১৯৩৫ সালে নাটোর জেলার হাবিলা নামক গ্রামে। বর্তমান বাসাও নাটোর শহরের শুকুলপট্টিতে। তিনি একাধারে শিক্ষক, গবেষক, অবসর প্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট। সর্বোপরি তিনি এখন আমাদের কাছে একজন সফল ঐতিহাসিক ঔপন্যাসিক। ইংরেজী সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এই লেখক পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন নব্বই দশকের শেষের দিকে। দৈনিক ইনকিলাবে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত ‘বখতিয়ারের তলোয়ার’ নামক উপন্যাসের মাধ্যমে। যেটি বই আকারে প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে মদীনা পাবলিকেশন্স হতে। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরপরই পাঠক, সমালোচক ও সুধীজনের কাছে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। বইয়ের বর্ণনার ভাষাশৈলী, ঘটনার ধারাবাহিকতা, সংঘটিত সময়ের জীবন-যাত্রার যথার্থ উপস্থাপন, পাত্র-পাত্রীর সংলাপে পরিমিতবোধ ইতিহাসের যথার্থ উপাদান প্রভৃতি মিলিয়ে পাঠকের বিশ্বাস হয় এজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখকের আগমনের। আর লেখকও পাঠকের বিশ্বাসের প্রতি আস্থা রেখে উপহার দিতে থাকেন একের পর এক সুখপাঠ্য ঐতিহাসিক উপন্যাসের। এরপর এই একই পত্রিকায় লেখকের আরো দুইটি উপন্যাস ধরাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। যথারীতি আগেরটির মতই জনপ্রিয়তা পায়। উপন্যাস দুটি হল, বার পাইকার দূর্গ ও যায় বেলা অবেলায়। এছাড়াও লেখকের ‘সূর্যাস্ত’ উপন্যাসটিও অধুনা লুপ্তপ্রায় সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানে প্রকাশিত হওয়ায় দেশের মাদ্রাসা শিতি পাঠকের কাছে দ্রুতই তার পরিচিতি বাড়তে থাকে। এরই ফলে এই পত্রিকার প্রতিটি ঈদ সংখ্যায় লেখকের উপন্যাস কমন আইটেম হয়ে যায়। অনেকগুলো উপন্যাস আমরা এই সাপ্তাহিকটির কল্যাণে পাঠ করতে পারি।
লেখকের কলম থেকে আজ পর্যন্ত আমরা পেয়েছি প্রায় অর্ধশত বই। এর মধ্যে ছাব্বিশটিই ঐতিহাসিক উপন্যাস। এই ছাব্বিশটি উপন্যাসের ইতিহাসের বিস্তৃতি হল ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির আগমন পরবর্তী সময় থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা উত্তর সময় পর্যন্ত। আর এই একটি জায়গায় লেখকের অনন্যতা। কারণ বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় আর আগে কারও নামের পাশে এতগুলো ঐতিহাসিক উপন্যাস লেখার কৃতিত্ব নেই। নেই প্রায় আট’শ বছর বিস্তৃত সময়কে কেন্দ্র করে এত দীর্ঘ কোন সিরিজ লেখার কষ্টসাধ্য সাধনার কৃতিত্বও। আর এই বিশাল কর্মটি করতে লেখকের সাহিত্য সাধনার সময়টাও একটা বড় বিষ্ময়। মাত্র বিশ বছর সাহিত্য সাধনায় তিনি এই বিশাল কর্মযজ্ঞটি সম্পাদন করেন। কতটুকো ডেডিকেটেড থাকলে এ বিশাল সাহিত্য সম্ভার নির্মাণ করা সম্ভব এটা একজন সাহিত্যকর্মী মাত্রই উপলব্ধি করতে পারবেন।
শফীউদ্দীন সরদারের শয়নকক্ষে আমরা তিন পিতা-পুত্র
শফীউদ্দীন সরদারের ছাব্বিশটি উপন্যাসের বিষয় আর সময়কাল নিয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে ওঠবে। লেখক ঐতিহাসিক উপন্যাসের এই দীর্ঘ সিরিজটি শুরু করেছেন ‘বখতিয়ারের তলোয়ার’ নামক উপন্যাসের মাধ্যমে যা আগেই বলা হয়েছে। আর এটি শেষ করেছনে দখল নামক বইটির মাধ্যমে। প্রকাশনার আগ-পিছ হলেও ইতিহাসের পরম্পরায় এটিই এই সিরিজের শেষ উপন্যাস এখন পর্যন্ত। এটা লেখকেরও ভাষ্যও।
লেখকের ঐতিহাসিক উপন্যাসের নাম ও বিষয় নিম্নরূপ :
০১. বখতিয়রের তলোয়ার : ১২০৪ সালে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বখতিয়ার খিলজীর বঙ্গবিজয়।
০২. গৌড় থেকে সোনার গাঁ : বাংলায় স্বধীন সালতানাতের প্রতিষ্ঠা।
০৩. যায় বেলা অবেলায় : গিয়াস উদ্দীন আযম শাহ্র রাজত্বকাল।
০৪. বিদ্রোহী জাতক : রাজা গণেশের রাজত্বকাল।
০৫. বার পাইকার দূর্গ : সুলতান বারবাক শাহ্ ও দরবেশ ইসমাঈল গাজীর সময়কাল।
০৬. রাজ বিহঙ্গ : সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ্ এর রাজত্বকাল।
০৭. শেষ প্রহরী : দাউদ খান কররানী ও কালাপাহাড় এর সময়কাল। (এই বইটি কলকাতা থেকেও প্রকাশিত।)
০৮. প্রেম ও পূর্ণিমা : সুবাদার শায়েস্তা খানের সময়কাল।
০৯. বিপন্ন প্রহর : নবাব মুশিদ কুলি খান ও সরফরাজ খান এর রাজত্বকাল।
১০. সূর্যাস্ত : পলাশীতে স্বাধীন বাংলার স্বাধীনতার সূর্যাস্ত।
১১. পথ হারা পাখি : ফকির মজনু শাহ্।
১২. বৈরী বসতি : সৈয়দ আহমদ বেরেলভী, তিতুমীর প্রমুখ।
১৩. বখতিয়ারের তিন ইয়ার : বখতিয়ার খিলজীর সাথে আসা তিনজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুর জীবন।
১৪. দাবানল : সিপাহী বিদ্রোহের শুরু ও শেষ।
১৫. রোহিনী নদীর তীরে : সতীদাহ প্রথার উচ্ছেদে আকবরের বাধা দান বিষয়ক।
১৬. ঈমানদার : দাক্ষিণাত্যের একজন প্রভাবশালী মুসলমান।
১৭. ঠিকানা : ১৯৪৭ এর দেশবিভাগ।
১৮. ঝড়মুখী ঘর : দেশ বিভাগ পরবর্তী সময় থেকে ভাষা আন্দোলন ও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।
১৯. অবৈধ অরণ্য : স্বাধীনতা যুদ্ধোত্তর সময়।
২০. দখল : ১৯৭১ পরবর্তী সময় থেকে আশির দশক শুরু পর্যন্ত।
২১. দীপান্তরের বৃত্তান্ত : আন্দামানের বন্দীদের নিয়ে।
২২. অন্তরে প্রান্তরে :
২৩. রাজনন্দিনী : সামাজিক ঐতিহাসিক।
২৪. রুপনগরের বন্দী :
২৫. লা ওয়ারিশ : লেখকের আত্মজৈবনিক।
২৬. বার ভূঁইয়ার উপাখ্যান : বাংলার বার ভূঁইয়া।
এছাড়াও লেখকের অপূর্ব অপেরা, চলনবিলের পদাবলী ইত্যাদি নামে কয়েকটি সামাজিক উপন্যাস রয়েছে।
বিষয়: বিবিধ
৬১৭৭ বার পঠিত, ৭৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কে কি দিল না দিল সেটা কথা নয়। তবে তিনি আমার মতো লাখো হৃদয়ে সযত্নে লালিত হবেন আপন মহমায়।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ..এ মহান লেখক সম্পর্কে জানানোর জন্য। আমি ভেবেছিলাম তিনি ঢাকা থাকেন। তার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আগ্রহী।
তিনি চাকরি থেকে রিটায়ার্ডের পর থেকে নাটোরের নিজ বাড়িতেই থাকেন। বাড়ীর পেছনে বিশাল দিঘীর পাড়ে তার লেখা ঘর। যেখানে বসেই অবিরাম লিখে চলেন এ কলম সৈনিক।
Thank you.
বাবুরা ভালো আছেতো?
শফিউদ্দইন সরদারকে দেখেও পুলকিত হলাম।
আমি তো লেখক নই, তাই তার সম্পর্কে সুপাঠ্য লেখাও সম্ভব নয়। তার বই পড়লেই বোঝা যায় আসলে তিনি কত বড় মাপের একজন সাহিত্যিক।
বইগুলো আমার দরকার.কোন প্রকাশনী থেকে পাওয়া যাবে ঠিকানাসহ চাই.তাছাড়া আপনার পোস্টটি স্টিকি করার আবেদন করছি.
মারিয়া
পরীবানু
মরুর মুসাফির
পরীবানু ,সততার আলো
অশ্বথমা
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
পরমা ,নীলমণীলতা
বিলকিস লায়লা
দস্তার
রুপবান
মুক্তিযুদ্ধ ৭১
দ্রাবীড় বাঙাল
লেয়লা ইসলাম
বিলকিস
বাংলা ৭১
ভিক্টোরিয়া
হেলেনা
পল্লব প্রভাতে
খালেদ
রুশো তামজিদ
বারাংগনা
মধুবালা
সখি
ফয়সাল১
মাঝি-মাল্লা, ,
লায়লার
লায়লা০০৭
রাতুল দাস
চকো চকো
সায়েদ-রিয়াদ
বিভ্রান্ত নাবিক
ফাজিল
অপ্রতিরোধ্য স্বাধীন সমালোচক
মুক্তিযুদ্ধ ৭২
দ্রাবীড় বাঙাল
পিচ্চি পোলা
কাওসাইন হক
চাষা
jahed_ullah
নীরু
সাদা মন
সাদা মন
চোথাবাজ
আমি বিপ্লবী
সততার আলো সকাল সন্ধ্যা
এই নেরিকুত্তার এত নিক ।
কোনো একদিন আমি যখন ধান কাটছিলাম!!
লেখকের সাথে ইশা নামাযের সময় দেখা করতে যাওয়ায় ভালোভাবে ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। যখন দেখা করতে যাই, তখন তিনি শয়নকক্ষে মশারীর ভেতর নামায আদায় করছিলেন।
আপনার দুআর সাথে আমাদেরও কামনা- আ্ল্লাহ তাঁকে সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু দান করুন।
তবে তার ভক্ত পাঠকদের উচিত তাকে নিয়ে আরো বেশি বেশি আলোচনা করা, তার অবদান তুলে ধরে নিজেদের দায়িত্ব পালন করা।
কোনো বই বা পত্র-পত্রিকায় কখনই শফীউদ্দীন সরদারের তাসবীর দেখতে না পাওয়ায় ইচ্ছা ছিল অনেক অনেক ছবি তুলে একটি ছবি পোস্ট দিব। কিন্তু লেখকের সাথে ইশা নামাযের সময় দেখা করতে যাওয়ায় ভালোভাবে ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। যখন দেখা করতে যাই, তখন তিনি শয়নকক্ষে মশারীর ভেতর নামায আদায় করছিলেন। বয়সের কারণে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তাকে আর তকলিফ দিতে চাইনি।
লেখকের সাথে ইশা নামাযের সময় দেখা করতে যাওয়ায় ভালোভাবে ছবি তোলা সম্ভব হয়নি। যখন দেখা করতে যাই, তখন তিনি শয়নকক্ষে মশারীর ভেতর নামায আদায় করছিলেন।
আপনার দুআর সাথে আমাদেরও কামনা- আ্ল্লাহ তাঁকে সুস্থ্যতা ও দীর্ঘায়ু দান করুন।
বখতিয়ারের তলোয়ার’ নামক উপন্যাসটি লেখার পর ঢাকার রাজপথে সতের ঘোড়ার মিছিলও হয়েছে বাংলা বিজয় উপলক্ষে। এতেই বুঝা যায় লেখক কতবড় প্রভাবশালি
আপনি ঠিক বলেছেন "বইয়ের বর্ণনার ভাষাশৈলী, ঘটনার ধারাবাহিকতা, সংঘটিত সময়ের জীবন-যাত্রার যথার্থ উপস্থাপন, পাত্র-পাত্রীর সংলাপে পরিমিতবোধ ইতিহাসের যথার্থ উপাদান প্রভৃতি মিলিয়ে পাঠকের বিশ্বাস হয় এজন প্রতিশ্রুতিশীল লেখকের আগমনের। "
যাজাকাল্লা খায়ের
দিগন্ত টেলিভিশনের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের সাথে সাক্ষাতকার অনুষ্ঠানে তিনি একবার উপষ্থিত হয়েছিলেন। আর কোন টিভি প্রোগ্রাম এ সম্ভবত জাননি। আর চট্টগ্রামে চাঁদের হাট সংস্থা এবং এডভোকেট জিয়া হাবিব আহসান এর উদ্যোগে একবার তাকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তার সঙ্গে আমার তখন কথা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে মরহুম অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম তার ভাষা প্রয়োগ এর দক্ষতার খুবই প্রশংসা করেছিলেন।
এবং সুন্দর ও তথ্যবহুল লেখার
মাধ্যমে জানতে পারলাম আজ!
ভালো লাগ্লো খুব!@লেখকের দীর্ঘায়ু কামনা করি...
সফিউদ্দীন সরদারের অনেক গুলো দোষ ছিল, যেমন:
- তিনি ইতিহাসে ইসলামের ঘটনাগুলো প্রাঞ্জল ভাষায় তুলে আনতেন।
- তিনি ইতিহাতের ভুল গুলো তুলে আনতেন যাতে করে বর্তমান মুসলমানেরা সেই ভুল না করেন।
- তাঁর লিখনীতে ইসলামকে ভাল বাসার কথা প্রকাশ হত।
- তার লিখনীতে অতীতে মুসলমানদের বীরত্ব কাহিনী ফুটে উঠত।
এই দোষ গুলো যদি হুমায়ুন আহমদেরও থাকত তাহলে তিনিও বহুদূরে ছিটকে পড়ে যেতেন।
তার কিছু গুণের কমতি ছিল: যেমন,
- তিনি ঐতিহাসিক উপন্যাসে নায়ক নায়িকাদের ইতারামী পূর্ন ঘটনার রগরগে বর্ণনা দিতে পারদর্শী নন, যেভাবে ভারতের সুখওয়ান্ত সিং পেরেছেন।
- তিনি ভাষাপ্রেমিক, আবেগী, সত্য অনুসন্ধানী একটি জাতি পান নি, যেটা পাকিস্তানের নসীম হিজাজী পেয়েছিলেন।
- তিনি বাংলাদেশের শত শত লিঙ্গ সাহিত্যিক দের মত, নারী ও নারীর বাহারী সৌন্দর্যের রগরগে বর্ণনা দিয়ে ছেলেমেয়েদের প্রবৃত্তিকে উসকে দিয়ে যথাযত চাঙ্গা করতে পারেন নি। যেভাবে মিলন, সব্যসাচী আর হুমায়ুন আজাদের মত লিঙ্গ সাহিত্যিকেকরা করতে পেরেছিলেন।
যাক, মানুষ তার কর্মে বেঁচে থাকে। বিদ্যাসাগরও বেঁচে নেই হয়ত সফিউদ্দীনের মত মানুষও বেঁচে থাকবেন না। একদিন তাদের উঠবেই, জাতির প্রয়োজনে। অনেক ধন্যবাদ
জাতিকে জাগ্রত করতে চাওয়া, তাদেরকে তাদের শেকড়েরর দিকে নিয়ে যা্ওয়ার চেষ্টা করা, তাদের স্বরূপ উদ্ঘাটন করে সেভাবে কর্মপন্থা নির্ধারণে সহায়তা করা, মুসলিম নামের ব্রাহ্মন্যবাদীদের মুখোশ উন্মোচন করার মতো অপরাধ তিনি করেছেন। এজন্য তিনি আজ অপাক্তেয় আমাদের তথাকথিত প্রভাবশালীদের কাছে।
লেখককে ধন্যবাদ, আমার অন্যতম প্রিয় একজন লেখক সম্পরকে অনেক কিছু জানতে সাহায্য করলেন।
জাযাকাল্লাহ
ফেসবুকে আমি
এখন যে নিক ছবি দেখছেন সেখানে ডাইনের টা তথা ছোটটা আব্দুল্লাহ আশফাক মামনুন। আর বামের টা তথা বড়টার নাম আব্দুল্লাহ আদনান লাবীব।
মন্তব্য করতে লগইন করুন