পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবৃতির পরও ইনকিলাব বন্ধ করার প্রয়াস কি ঘটনার সত্যতা প্রমান করে না?
লিখেছেন লিখেছেন আবু আশফাক ১৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ১০:৩৫:৩৪ সকাল
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় সেনা ডেকে এনে নিজের নিরস্ত্র প্রতিবাদী নাগরিকদের হত্যা করানোর বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন মিডিয়াগুলোতে প্রমানসহ প্রকাশিত হয়ে পড়লে, শেখ হাসিনার সরকার দিশেহারা হয়ে এমন কিছু ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে আপনা আপনি সংবাদটির সত্যতা প্রমানিত হয়েছে।
অসংলগ্ন তথ্য দিয়ে সরকারের প্রেসনোট প্রদান আর দৈনিক ইনকিলাবে ডাকাতের মতো হানা দিয়ে সাংবাদিক ধরে নিয়ে যাওয়ায় এ সত্য এখন জনমনে বদ্ধমূল হয়েছে। অথচ অনলাইন মিডিয়ার সংবাদের বিপরীতে ইনকিলাব প্রকারান্তরে সরকার তথা পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের বক্তব্যই তুলে ধরে সংবাদটি করেছিল।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এমন একটি প্রেসনোট দিয়েছে যেখানে কোন পংতিতেও একথা অস্বীকার করা হয়নি যে ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি বা কোন ধরনের গণহত্যায় অংশগ্রহন করেনি।
পাঠকদের জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের প্রেসনোটটি হুবহু দেয়া হলোঃ
ঢাকা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৪ (বাসস) : বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণ অসত্য এবং বানোয়াট উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে “বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিনীর উপস্থিতি” সংক্রান্ত তথ্য প্রচার করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অসত্য এবং বানোয়াট। এতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং দিল্লীস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মধ্যকার কিছু কাল্পনিক যোগাযোগ উদ্ধৃত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সংবাদ বিজ্ঞতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়, এসব তথ্যের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অথবা অন্য কোন মন্ত্রণালয়ের অথবা বিদেশস্থ বাংলাদেশের কোন দূতাবাসের কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই।
প্রশ্ন জেগেছে সরকার যদি সত্যিই জানে যে ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি বা গণহত্যায় অংশগ্রহন করেনি তা হলে ইনকিলাবের উপর হামলা করে তারা কি প্রমান করতে চেয়েছে? তাছাড়া প্রেসনোট দিয়ে জাতিকে জানানোর পরে সরকার নিজেই নিজেকে পরিস্কার করার পরেও কেন এই হামলা? তার পরেও সরকার এটা এখনো পরিস্কার করতে ব্যর্থ যে ভারতীয় সেনারা বাংলাদেশে গণহত্যা করেনি। বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ভারতীয় সেনা নেই, র্যাব বা ডিবি বা এনএসআই এ ভারতীয় গোয়েন্দা নেই।
তাছাড়া এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয় কোন বক্তব্য দেয় নি। সেনাবাহিনী,র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই,ডিবি বা পুলিশের কোন বক্তব্য জনগণ এখনো জানে না। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো যে ভারতকে নিয়ে এতো সংশয় সেই ভারত সরকার বা ভারতীয় হাই কমিশন থেকে কোন প্রতিবাদ বা বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় চিঠি বা ফ্যাক্স চালাচালির বিষয়ে বলেছে মাত্র।
তবে আশার বিষয় এসকল ভারতীয় সেনা বা গোয়েন্দারা নিজেরাই এখন অরক্ষিত এবং নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। যে কোন সময় ঐ সকল বাহিনী ও ইউনিট থেকেই এদের গুম করে দেয়া শুরু হয়ে যেতে পারে।
সূত্র : শেখ নিউজ ডটকম
বিষয়: বিবিধ
২৪৩৪ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমান
সাতক্ষীরা অভিযানে ভারতীয় বাহিনীর সাথে অপারেশন সমন্বয় করেন, বিজিবি’র রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমান (বিএ-২৭৩৭)।
নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব) তারেক সিদ্দিকী’র সাথে সম্পৃক্ত এই ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের মাত্র দেড় বছরে ২ টি পদোন্নতি পাওয়া এই অফিসার বিডিআর ম্যাসাকারের পরেই বিডিআরে বদলী হন। ১৭ জুলাই ১৯৬৪ সালে জন্ম নেয়া ১১ বিএমএ লং কোর্সের ইঞ্জিনিয়ারিং এ ফেল করা এই অফিসারের উপর দায়িত্ব ছিল ভারতীয় সেনাদের বাংলাদেশে অপারেশনের পরে নিরাপদে বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে দেয়া।
ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমানই আবার তার রিজিয়নে নির্বাচন বিষয়কে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চক্রান্ত বাস্তবায়নের অন্যতম নায়ক হিসেবে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার নামে আওয়ামী কর্মীদের সাথে প্রশাসনের সমন্বয় করেন। চাদপুরের এক আওয়ামী নেতার ভাতিজা ব্রিগে. জেনারেল শামসুর রহমান যিনি সব সময়ই খারাপ কেরিয়ার থাকায় পদোন্নতি বঞ্চিত ছিলেন। এখন তিনি ভারতীয় ও শেখ হাসিনা উভয় সরকারের নেক নজরে রয়েছেন।
এদিকে সেনাবাহিনীতে একজন মেজর জেনারেলকে পদোন্নতি দিয়ে বাধ্যতামুলক অবসরে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। মে জেনারেল হাফিজকে লে জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে বাড়ী পাঠানো হয়। এখন ভারতীয়দের গুড বুকে থাকা সাভার এরিয়া কমান্ডার মে জেনারেল সোহরাওয়ারদি এবং ডিজিএফআই মহাপরিচালক মে জেনারেল আকবরকে অবসরে পাঠানোর চিন্তা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে। জনগণের প্রতি সহানুভূতি মুলক আলোচনার জন্য তাদের বিরুদ্ধে সহসাই সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিকতর বিশ্বস্তদের পদোন্নতির দেয়া হবে।
সূত্র : শেখ নিউজ ডটকম
হে আল্লাহ, হে পরওয়ারদেগার আমাদের চোখ খুলে দাও। আমাদের প্রতিবাদ করার সাহস দা।
তিনি লিখেছিলেন-
First They Came
প্রথমে ওরা ইহুদীদের ধরতে এলো,
আমি কোনো কথা বলিনি;
কারণ আমি ইহুদী ছিলাম না।
এরপর তারা এলো কমিউনিস্টদের ধরতে,
তখনও আমি কথা বলিনি;
কারণ আমি কমিউনিস্ট ছিলাম না।
অতপর তারা শ্রমিক ইউনিয়নের লোকদের ধরতে এলো,
তবুও আমি কিছু বলিনি;
কারণ আমি শ্রমিক ইউনিয়নের কেউ ছিলাম না।
এরপর যখন তারা আমাকে ধরতে এলো,
তখন আমার পক্ষে কথা বলার জন্য কেউ আর অবশিষ্ট ছিল না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন