সর্বজন শ্রদ্ধেয় রফিক উল হক : ভয়কে জয় করুন - স্টালিন সরকার

লিখেছেন লিখেছেন আবু আশফাক ৩০ অক্টোবর, ২০১৩, ০৪:১৮:০৪ বিকাল



দেশের রাজনীতিতে তুফান চলছে। এ তুফানে মানুষ ক্ষতবিক্ষত। ক্ষমতাসীনরা নিজেদের সুবিধামত সংবিধান সংশোধন করে সংবিধানের প্রেমজ্বরে আক্রান্ত। সংবিধানের বাইরে তারা একচুলও নড়বেন না। অথচ দেশের শতকরা ৯০ ভাগ মানুষ মনে করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। বিরোধী দলও সেটাকেই ধরে নিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে পথে। এ অবস্থায় দেশের সুশীল সমাজ, বিশিষ্টজন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যজনক হলো পেশাজীবী, সুশীল সমাজসহ সর্বত্র বিভাজন। দলবাজ সুশীলের পাশাপাশি ‘বর্ণচোরা সুশীল’ আর ‘বোরকাপড়া সুশীলে’ দেশ ভরে গেছে। টেলিভিশনের টকশোগুলো দেখলেই মানুষ সেটা বুঝতে পারে। এরপরও দলমতের ঊর্ধ্বে রয়েছেন দেশে এমন বিজ্ঞজন আছেন। যারা কাউকে খুশি করার জন্য নয়; অকপটে সত্য কথা বলে থাকেন। বঞ্চিত অবহেলিত মানুষের অন্তরের কথা প্রকাশ করেন। সময়ের প্রয়োজনে সত্য কথা বলে ক্ষমতাসীনদের রোষানলে পড়েছেন কেউ কেউ। কিন্তু মানুষ তাদের বিশ্বাস করে। তাদের বিপদে মানুষ পাশে দাঁড়ায়। এমনই একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার রফিক উল হক। ইদানিং তিনি যেন ‘অন্যরকম’ হয়ে গেছেন। তিনি কী ক্ষমতাসীনদের ভয়েই এসব বলছেন? নাকি এর পিছনে অন্যকোনো রহস্য রয়েছে?

.......... দলবাজদের নিয়ে মানুষের কোনো প্রশ্ন নেই। হালুয়া-রুটির কারণে তারা বিবেক বন্ধক রেখেছেন। কিন্তু ব্যারিস্টার রফিক উল হক, ড. আকবর আলী খান, ড. শাহদীন মালিক, ড. তুহিন মালিক, নূরুল কবির, ড. পিয়াস করিম, আসাফ উদ দৌলা, আশরাফ কায়সার, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, এম হাফিজ উদ্দিন, ড. দিলারা চৌধুরী, ড. আসিফ নজরুল, মাহমুদুর রহমান মান্না, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদসহ অনেকের ‘স্পষ্ট বক্তব্য’কে মানুষ দল নিরপেক্ষ মনে করেন। বিশেষ করে ব্যারিস্টার রফিক উল হকের বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা সর্বমহলে। সংকট সমাধানে ফর্মুলা দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছেন। এ সময় দেশের মানুষ রফিক উল হকের পক্ষে ছিলেন। কিন্তু তিনি হঠাৎ সুর পাল্টালেন কেন সেটাই মানুষের প্রশ্ন। গতকালও দুই নেত্রীর ফোনালাপের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ব্যারিস্টার রফিক উল হক পরিস্থিতি বিবেচনা না করেই বললেন, বেগম খালেদা জিয়ার উচিত হরতাল প্রত্যাহার করে আলোচনায় অংশ নেয়া। আমাদের কষ্ট দেয়ার অধিকার তার নেই। কিন্তু তিনি বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন এবং পুলিশের সামনে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র এবং লাঠি মিছিল নিয়ে কিছু বলেননি। সংলাপের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের যে দায়িত্ব সে সম্পর্কে নীরব।

টকশোর কারণে যারা সংবিধান আত্মস্থ করেছেন তারা যেমন সংবিধান বিশেষজ্ঞ; তেমনি যারা বছরে দুই একবার সংবিধান ছুঁইয়ে দেখেন তারাও বিশেষজ্ঞ সেজেছেন। টকশোতে তারা সংবিধান নিয়ে কথা বলে মুখের ফেনা তুলছেন। কিন্তু ব্যারিস্টার রফিক উল হকের নখদর্পণে সংবিধানের প্রতিটি অনুচ্ছেদ। তিনি সবকিছুই জানেন সবকিছু বোঝেন। গতকালও ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘সংবিধানের ১৫তম সংশোধনী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনগড়া সিদ্ধান্তে হয়েছে।’ রফিক উল হক নিজেও সেটা জানেন। ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ’ রায় দিয়ে সাবেক প্রধান বিচারপতি সরকারকে খুশি করার পুরস্কার ‘আইন কমিশনের চেয়ারম্যান’ পদ পেয়েছেন। রায় ঘোষণার ১৬ মাস পর রায়ে কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছেন। রায়ে অবশ্য ‘ডকটিন অব নেস্যেসিটির’ কারণে দুটি টার্ম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুপারিশ ছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের প্রসঙ্গে মতামত শোনার জন্য ৭ এমিক্যাস কিউরির ৬ জনই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মত দিয়েছিলেন। সংবিধান সংশোধনের জন্য যে সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটি গঠন করা হয় তারা বিভিন্ন পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করে মতামত নেন। এ ধরনের ২৭টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিটি বৈঠকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত আসে। আওয়ামী লীগের সাজেদা চৌধুরী, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, তোফায়েল আহমদ, আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন, জাসদের হাসানুল হক ইনু সকলেরই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মত দেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিপক্ষে কঠোর অবস্থান নেয়ায় কয়েক মিনিটে সংসদে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। এসব অবস্থা দেখে ব্যারিস্টার রফিক উল হক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণ হয়ে গেছে। সেই রফিক উল হক এখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সুর মিলিয়ে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন। এম হাফিজ উদ্দিন সম্প্রতি এক টকশোতে বলেছেন, সংবিধানের কমপক্ষে ২৫/৩০ ধারা সরকার কখনো কার্যকর করেনি। অথচ এখন নিজেদের স্বার্থে সংবিধান রক্ষার দোহাই দিচ্ছেন। সাংবাদিক নূরুল কবির বলেছেন, সংবিধানে অনেক সবিরোধী আদেশ নির্দেশ রয়েছে। বর্তমানের সংবিধান মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী না হওয়ায় এই সংবিধান ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে নতুন সংবিধান রচনা করা উচিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘আমার কোনো ক্ষমতার মোহ নেই’ দাবি করলেও তিনি প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার ছাড়তে নারাজ। এ জন্য তিনি সংবিধানের বাইরে একচুলও না নড়ার কথা বলছেন। ক্ষমতাসীনদের এই বিকট সংবিধান প্রেম এবং গণতন্ত্র আর জনমতের প্রতি বীভৎস প্রতিহিংসার জুলুম-নির্যাতন নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে এবং মানুষের জীবন দুর্বিসহ করে তুলেছে। এ অবস্থায় দুই শীর্ষ নেত্রী রূপরেখা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘প্রধানমন্ত্রিত্বের চেয়ার’ ঠিক রেখে সর্বদলীয় সরকারের রূপরেখা দিয়েছেন। সংবিধান থেকে একচুলও না নড়ার অঙ্গীকার করলেও সংবিধান থেকে সরে এসেই এ রূপরেখা দিয়েছেন। আর বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া ’৯৬ ও ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের সমন্বয়ে নির্দলীয় সরকার গঠনের রূপরেখা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কে হবে এ নিয়ে প্রশ্ন তুললেও রূপরেখাকে তিনি ‘যথার্থ’ বললেন। আর বিরোধী দলের নেতার রূপরেখার কঠোর সমালোচনা করে এটাকে সংবিধান বিরোধী হিসেবে অবিহিত করলেন। তিনি কি শেখ হাসিনার মতো সংবিধান প্রেমী হয়ে উঠলেন? কেন সংবিধানের দোহাই দেয়া হচ্ছে সেটা তিনি কি জানেন না? সংবিধানের অনেক আদেশ নির্দেশ পালনে এ সরকার কখনো আন্তরিকতা দেখায়নি কেন সে নিয়ে প্রবীণ আইনজীবী কোনো প্রশ্ন তোলেননি। বিরোধীদলীয় নেতা ‘স্টাডি’ না করেই রূপরেখা দিয়েছেন। এবং বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাদের অধিকাংশের বয়স ৭২ এর বেশি বলে মন্তব্য করেছেন। ৭২ এর বেশি বয়স হলে কি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হওয়া যায় না? মরহুম প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমান কত বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন? অর্থমন্ত্রীর আবুল মাল আবদুল মুহিতের বয়স কত? সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মাধ্যমে নোবেল বিজয়ী ড. মুহম্মদ ইউনূসের বয়স নিয়ে বিতর্ক তুলে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাকে সরালেও অন্যান্যদের বেলায় কি তা করেছেন? বিরোধী দলের ৩ দিনের হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার পর ব্যারিস্টার রফিক উল হক মন্তব্য করলেন ‘বিএনপি ৩ দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করতে পারবে না। বিএনপিসহ ১৮ দল ৩ দিন হরতাল পালন করতে পারবে না এটা কেমন করে জানলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। ২১ অক্টোবর সোমবার থেকে প্রচার করা মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোন করবেন বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সেই ফোন করতে ৬ দিন লাগলো কেন? প্রধানমন্ত্রীর ফোনে কি ব্যালেন্স ছিল না? কেন ফোন করতে ৬ দিন লাগলো সর্বজন শ্রদ্ধেয় রফিক উল হক কি তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন?

দলদাস, দলকানা, মতলববাজ, বর্ণচোরা বুদ্ধিজীবী ও সুশীলদের কাছে মানুষ ভাল কিছু প্রত্যাশা করে না। মানুষ ওদের ধান্দা জানে। কিন্তু সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যারিস্টার রফিক উল হকের নিরপেক্ষ অবস্থান প্রত্যাশা করে। রাজনীতির নামে ক্ষমতায় থাকা আর ক্ষমতায় যাওয়ার নামে দেশ নিয়ে ছেলেখেলা চলছে। ত্যাগী রাজনীতিকদের অবমূল্যায়ন করা হয় আর দুর্নীতিবাজদের সালাম ঠোঁকা হয়। যে যতবড় দুর্নীতিবাজ, অস্ত্রবাজ সে ততবড় নেতা বড় দলগুলোর শীর্ষ নেতানেত্রীদের কাছে। ধ্বংসাত্মক ও নেতিবাচক রাজনীতি মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এ অবস্থায় সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য রফিক উল হকদের মতো নির্লোভ বিশিষ্টজনদের দায়-দায়িত্ব কম নয়।

শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কাজ করা ব্যারিস্টার রফিক উল হক ১/১১ পর চরম দুর্দিনে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেছেন। ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনসহ ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ‘মাইন্যাস টু’ ফর্মুলার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। নুরুল কবির, আসিফ নজরুল, আসাফ উদ দৌল্লাসহ তিনিও গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন। এসব কারণে ’৯৬ সালে শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর এইসটি’র মামলায় শেয়ারকেলেঙ্কারি নায়কদের আইনজীবী হিসেবে লড়াই করলেও মানুষ আপনাকে নিরপেক্ষ হিসেবেই জানে। অথচ ক্ষমতাসীনদের সংবিধান নিয়ে মায়াকান্নার শ্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছেন কেন? মতিঝিলে হেফাজত নিয়ে ব্যারিস্টার রফিক উল হক যে মন্তব্য করেছিলেন সেটা কি বিবেকবান মানুষের কাছে মানুষ প্রত্যাশা করেছিল? বাংলাদেশ মডারেট মুসলিম কান্ট্রি। মানুষ ধর্মভীরু কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। স¤্রাজ্যবাদী মার্কিনের আমদানী করা শব্দ ‘জঙ্গিবাদ’ এর সঙ্গে এদেশের আলেম-ওলামারা কখনো জড়িত নয় এবং ওসবকে তারা কখনো প্রশ্রয় দেয়নি। জঙ্গি হিসেবে পরিচিত সিদ্দিকুর রহমান বাংলাভাই, শায়ক আবদুর রহমান (আওয়ামী লীগ এমপি মির্জা আজমের দুলাভাই) গংরা কখনো আলেম-ওলামা ও তৌহিদী জনতার কাছে প্রশ্রয় পাননি। আমেরিকাকে খুশি করতে ‘জঙ্গিবাদ’ দেশের মানুষের কাছে পরিচিত করে তোলে আওয়ামী লীগ। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনমালে (১৯৯৯ বা ২০০০) মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন বাংলাদেশ সফরে এলে বিমানবন্দরে সরকারের পক্ষ থেকে একটি পুস্তিকা তার হাতে তুলে দেয়া হয়। সেখানে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সক্রিয় রয়েছে স্বীকার করা হয়। তারপর জঙ্গিবাদ শব্দটি এদেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পায়। সবই জানেন রফিক উল হক। কিন্তু তিনি কেন যেন নীরব থাকেন। প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছে বর্তমান সরকার ভোটের মাধ্যমে আবার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে ‘বাংলাদেশে জঙ্গির উত্থান হবে’ এমন অপপ্রচার যে চালাচ্ছে সে ব্যাপারে বিশিষ্টজনদের কি মুখ খোলা উচিত নয়। ক্ষমতার লোভে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে যারা বিদেশি প্রভুদের সহায়তা কামনা করছেন তাদের মুখোশ খুলে দেয়ার দায়িত্ব সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। দেশের মানুষ কি চায় সেটা বোঝেন প্রবীণ ব্যক্তিরা। সংবিধান রক্ষার নামে ক্ষমতায় থাকার গোঁয়ার্তুমি যারা করছে তাদের ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মানুষের পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে তাদের অবস্থান নেয়া জরুরি। তা না হলে ইতিহাসের কাছে দায়বন্ধ থাকতে হবে।

সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব (২৭ অক্টোবর ২০১৩)

বিষয়: বিবিধ

১২৭৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File