বিশ্ব ভালোবাসা দিবস : কীভাবে এলো ভালোবাসা দিবস

লিখেছেন লিখেছেন আবু আশফাক ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৩, ১০:৫২:২৭ সকাল

প্রতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে এ দিবসটির প্রবর্তন করেন বিশিষ্ট লেখক ও সম্পাদক শফিক রেহমান। অনেকেরই জানতে ইচ্ছা করে- ভালোবাসা দিবস কীভাবে এলো?



কিংবদন্তি হলো, সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন রোমে তৃতীয় শতাব্দীর সময় ধর্মযাজক হিসেবে কাজ করছিলেন। সেই সময় সম্রাট দ্বিতীয় কডিয়াস তার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তরুণদের বিয়েকে আইন বহির্ভূত বলে ঘোষণা করলেন। তিনি মনে করতেন- অবিবাহিত পুরুষরা, যাদের স্ত্রী এবং সংসার আছে তাদের চেয়ে, অধিকতর উন্নত যোদ্ধা হতে পারে। ভ্যালেন্টাইন এই আইন জারিকে অনৈতিক বলে বিবেচনা করেন। তিনি কডিয়াসের সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করেন এবং তরুণ প্রেমিকদের বিয়ে সম্পন্ন করার কাজটি গোপনে চালিয়ে যেতে থাকেন। ভ্যালেন্টাইনের কার্যকলাপ প্রকাশ পেলে কডিয়াস তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। আরেক তথ্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, রোমান বন্দিশালায় নির্যাতিত খ্রিস্টানদের মুক্তি পাওয়ার প্রচেষ্টা চালাতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। অন্য একটি লোককাহিনীর মতে, ভ্যালেন্টাইন নিজেই মূলত নিজেকে ‘ভ্যালেন্টাইন' শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। কারাগারে বন্দি থাকার সময় ভ্যালেন্টাইন এক তরুণীর প্রেমে পড়েন বলে ধারণা করা হয়- তরুণীটি ছিল কারাধ্যরে মেয়ে। সে কারাভ্যন্তরেই ভ্যালেন্টাইনের সাথে দেখা করত। মৃত্যুর আগে তিনি তরুণীটির কাছে চিঠি লেখেন, যার শেষে স্বার ছিল ‘ফ্রম ইউর ভ্যালেন্টাইন'- এটি এমন এক অভিব্যক্তি যা এখনও ব্যবহৃত হয়। কিংবদন্তির আড়ালে ভ্যালেন্টাইন অস্পষ্ট, ধোঁয়াটে- তবে তার কাহিনী বা উপকথা নিশ্চিতভাবেই তাকে প্রকাশ করে সহানুভূতিসম্পন্ন, বীরোচিত এবং সর্বোপরি রোমান্টিক ব্যক্তি হিসেবে। এটা সত্য যে, মধ্যযুগে ভ্যালেন্টাইন ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সে সর্বাধিক জনপ্রিয় সেইন্টদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। কেউ কেউ মনে করেন ভ্যালেন্টাইনস ডে উদযাপিত হয় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণে- সম্ভবত যেটা সংগঠিত হয়েছিল ২৭০ খ্রিস্টাব্দের দিকে। প্রাচীন রোমে বসন্তকালের শুরু ছিল ফেব্রুয়ারি মাস। পবিত্রতার সময় হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হতো। বাড়িঘর আনুষ্ঠানিকভাবে ধোয়ামোছা করা হতো, এরপর লবণ ও এক জাতীয় মিহি ময়দা ভেতরে ছিটিয়ে দেয়া হতো। লুপারকালিয়ার ধারণা জন্ম নেয় ফেব্রুয়ারিতে। ১৫ ফেব্রুয়ারি উর্বরতার উৎসব ছিল, যা উৎসর্গ করা হতো রোমান শস্যদেবতা ফনাস এবং রোমান জাতির প্রতিষ্ঠাতা রমোলাস ও রোমাসকে। ৪৯৮ খ্রিস্টাব্দের দিকে পোপ গেলাসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে ঘোষণা দেন। মানব-মানবীর জুটিবদ্ধ হবার রোমান ‘লটারি' সিস্টেমকে অখ্রিস্টীয় এবং আইন বহির্ভূত গণ্য করা হলো। পরে মধ্যযুগে ফ্রান্সে এবং ইংল্যান্ডে বিশ্বাস জন্মে যে, ১৪ ফেব্র“য়ারি পাখিদের প্রেম-বন্ধনের ঋতু, আর সেখান থেকেই চালু হলো ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ‘ভ্যালেন্টাইন'স ডে' বা রোমান্সের দিবস হিসেবে পালনের রীতি। কতশতকাল আগে থেকে চেনা ভ্যালেন্টাইন অস্তিত্বমান হয়ে উঠল চার্লস (ডিউক অব অরলিনস)-এর লেখা কবিতায়। কবিতাটি তার স্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছিল, ব্যাটল অব আজিনকোর্ট-এ বন্দি হয়ে যখন তিনি টাওয়ার অব লন্ডনে। এই উপহারটি লিখিত হয়েছিল ১৪১৫ সালে, এখন সেটা ব্রিটিশ লাইব্রেরি অব লন্ডনের পাণ্ডুলিপি সংগ্রহশালায় রতি আছে। কথিত আছে, কয়েক বছর পর রাজা পঞ্চম হেনরি নিযুক্ত করেন জন লিজেট নামক একজন লেখককে- ভ্যালেন্টাইন নোট কম্পোজ করার জন্য। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে গ্রেট ব্রিটেনে ভ্যালেন্টাইনম্বস ডে পালন করা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে সকল শ্রেণীর বন্ধু-বান্ধব এবং প্রেমিক-প্রেমিকাদের মধ্যে মমতার ছোট স্মৃতিচিহ্ন কিংবা হাতে লিখিত স্মারকলিপি বিনিময় সাধারণ প্রথায় দাঁড়িয়ে যায়। এই শতাব্দীর শেষের দিকে মুদ্রণ প্রযুক্তির উন্নয়নের

কারণে হস্তলিখিত পত্রের জায়গায় মুদ্রিত কার্ডের আদান-প্রদান শুরু হয়। এক পর্যায়ে ভালবাসার বাণীসহ ছাপানো কার্ড প্রদান আবেগ প্রকাশের জন্য সহজপন্থারূপে দেখা দেয়। ডাক বিভাগ অল্প খরচের মাধ্যমে ভ্যালেন্টাইনস ডের অভিনন্দন প্রকাশে জনপ্রিয়তা বাড়ানোর েেত্র অবদান রাখে। হাতে-তৈরি ভ্যালেন্টাইনস উপহার প্রদান আমেরিকানদের মধ্যে শুরু হয় সপ্তদশ শতকের শুরুতে। ১৮৪০ সালে ইস্টার এ. হল্যান্ড ভ্যালেন্টাইনস উপহার বিক্রয় শুরু করেন আমেরিকাতে। গ্রিটিংস কার্ড এসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, প্রতিবছর এক বিলিয়নের বেশি কার্ড পাঠানো হয় ভালবাসা দিবসে। ভ্যালেন্টাইনস ডে এখন ক্রিসমাসের বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্ড বিনিময়ে উৎসবে পরিণত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্যালেন্টাইনম্বস ডে উদযাপিত হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কানাডা, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং অস্ট্রেলিয়ায়। ব্যাপক হারে না হলেও আধুনিক বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ দিবসটিতে আনন্দমুখর হয়ে ওঠে।



জানা-অজানার ভালোবাসা দিবস

৪৯৮ খ্রিস্টাব্দে পোপ জেলসিয়াস ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে' বা ভালবাসা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন।

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন ভ্যালেন্টাইনস কার্ডটি সংরতি আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে। নরম্যান্ডির ডিউক চালর্স টাওয়ার অব লন্ডনে বন্দি থাকা অবস্থায় ১৪১৫ খ্রিস্টাব্দে তার স্ত্রীকে ‘ভ্যালেন্টাইন' শিরোনামে একটা কবিতা লিখে পাঠান। ধারণা করা হয় এটাই প্রথম ভ্যালেন্টাইনস কার্ড।

রোমান প্রেম উৎসবের নাম লুপাক্যালিয়া।

গ্রেট ব্রিটেনে ভ্যালেন্টাইনস ডে জনপ্রিয়তা পায় সপ্তদশ শতাব্দীতে। মেয়েরা এদিন একটা সেদ্ধ ডিম খেত আর পাঁচটা পাতা বালিশের ওপর মাথা রেখে ঘুমাত। তাদের বিশ্বাস ছিল এতে তারা মনের মতো স্বামী পাবে।

অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ভ্যালেন্টাইনস ডেম্বর উপহার বিনিময় শুরু হয়। শতাব্দীর শেষদিকে ছাপাখানার উন্নতি হলে কার্ড ব্যবহার শুরু হয়। ১৮৪০ সালে ইস্টার এ হল্যান্ড নামে এক ব্যক্তি নানা ধরনের কার্ড ও উপহার সামগ্রী উৎপাদন ও বাজারজাত করে একে জনপ্রিয় করে তোলেন।

রোমান সম্রাট দ্বিতীয় কডিয়াস সৈন্য সংগ্রহ অভিযান সফল করার উদ্দেশে যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তার এই মতের বিরোধিতা করেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। তিনি গোপনে বিরহ কাতর যুবক-যুবতীদের বিয়ে পড়াতেন। এজন্যে তাকে কারাগারে যেতে হয়। যুবক-যুবতীরা ভ্যালেন্টাইনের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে কারাগারে ফুল ও চিরকুট পাঠাত। সম্রাট শেষ পর্যন্ত ভ্যালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। যুবক-যুবতীরা ভ্যালেন্টাইনের প্রতি সম্মান জানাতে তার ফাঁসির দিনটাকে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে' হিসেবে পালন করে আসছেন ২৬৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে।

লোক কাহিনী বা মিথলোজি- যা থেকেই ভালবাসা দিবসের পত্তন হয়ে থাকুক না কেন এটা এখন বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এক দিন। একে আরও মহিমানি¦ত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন বণিক শ্রেণী। এ দিন উপলে হাজারও রকম উপহার সামগ্রী প্রস্তুত ও বিপণন এখন এক বিশাল বাণিজ্য। প্রতি বছর অন্তত ১ বিলিয়ন কার্ড আদান-প্রদান করা হয় এ দিনে। যার শতকরা ৮৫ ভাগ কিনে থাকেন মহিলারা।

উত্তর আমেরিকায় ভ্যালেন্টাইন'স ডে

ঊনবিংশ শতাব্দীতে ব্রিটিশ উপনিবেশ স্থাপনকারীরা ভ্যালেন্টাইনস ডে পোস্টকার্ড উত্তর আমেরিকায় আমদানি করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম যন্ত্রাদির সাহায্যে বিপুল পরিমাণে উৎপাদিত ভ্যালেন্টাইন উপহার হিসেবে চিত্রশোভিত ফিতা দ্রুত বিক্রয় হয় ১৮৪৭ সালের পর, ইস্টার হল্যান্ড কর্তৃক। তার পিতা বিশাল বই ও মুদি দোকান চালাত। একজন ইংরেজ ভ্যালেন্টাইনের কাছ থেকে সে এ অনুপ্রেরণা পায়। ২০০১ সাল থেকে গ্রিটিং কার্ড এসোসিয়েশন প্রতিবছর ‘ইস্টার হল্যান্ড এওয়ার্ড ফর আ গ্রিটিং কার্ড ভিশনারি' অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্র কার্ড বিনিময়ের প্রথায় যুক্ত হয় সকল প্রকার গিফট, সাধারণত পুরুষের কাছ থেকে নারীর প্রতি এ ধরনের গিফটের মধ্যে যুক্ত হয় গোলাপ এবং চকোলেট। ১৯৮০ সালে ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রি ভ্যালেন্টাইন'স ডে উপলে জুয়েলারি উপহার প্রদান শুরু করে। দিবসটি এসেছে প্ল্যাটোনিক গ্রিটিং-এর চিহ্ন হয়ে, ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন'স ডে'। কখনও কখনও বলা হয়ে থাকে, ভ্যালেন্টাইন'স ডে হচ্ছে ‘অবিবাহিতদের সতর্কতার দিন'। উত্তর আমেরিকার অনেক স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়ে থাকে প্রত্যেক যেন একটা কার্ড কিংবা ছোট উপহার আরেকজনকে দেয়। ওইসব কার্ডে মাঝে-মধ্যে উল্লেখ থাকে তারা কীভাবে পরস্পরকে মূল্যায়ন করে থাকে।

অন্য সংস্কৃতিতে ভ্যালেন্টাইনস ডে

জাপান এবং কোরিয়াতে পালিত হচ্ছে দিবসটি। নারীরা, কিছু পুরুষও প্রদান করে থাকে ক্যান্ডি, চকোলেট কিংবা ফুল- যাদেরকে তারা পছন্দ করে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে এটা নৈতিক বাধ্যবাধকতা হয়ে পড়েছে। যারা অফিসে কাজ করে তারা সহকর্মীদের মধ্যে চকোলেট বিতরণ করে, কখনও এটা ব্যক্তিগত ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই চকোলেটকে বলা হয় গিরি-চকো, জাপানের গিরি (অনুগ্রহ) এবং চকো শব্দ থেকে এটা চালু হয়েছে। দেয়া হয়ে থাকে প্রেমের ক্ষেত্রে অথবা গভীর সম্পর্কের বেলায়। বন্ধু, বিশেষ করে তরুণীরা চকোলেট বিনিময় করে থাকে, যেটাকে বলা হয়, টমো-চকো; জাপানিদের মধ্যে টমো শব্দটির মানে হচ্ছে বন্ধু। অন্য বিপণন প্রচেষ্টায় হোয়াইট ডে নামক পারস্পরিক বিনিময়ের একটি দিবস উদ্ভূত হয়েছে। ১৪ মার্চে, পুরুষরা প্রতিদান আশা করে থাকে যারা ভ্যালেন্টইনস ডেম্বতে চকোলেট উপহার দিয়েছিল। অনেক পুরুষ তাদের গার্লফ্রেন্ডদের উপহার দেয়। মূলত তারা প্রতিদান চায় সাদা চকোলেট অথবা তুলতুলে লেবেন-চুষ; যে-কারণে ‘হোয়াইট ডে'। কোরিয়াতে ১৪ এপ্রিল হচ্ছে ব্ল্যাক ডে, যে পুরুষরা ভ্যালেন্টাইনম্বস ডে উপলে কিছু গ্রহণ করে না-তারা মিলিত হয় ব্ল্যাক সস মিশিয়ে চাইনিজ নুডলস খাওয়ার জন্য। দণি কোরিয়ায় আছে পেপেরো ডে, উদযাপিত হয় ১১ নভেম্বর, ওইদিন জুটিরা পরস্পরকে রোমান্টিক উপহার প্রদান করে। চীনা সংস্কৃতিতে ভ্যালেন্টাইন'স ডে-র অনুরূপ ভিন্ন একটি দিন আছে। এটাকে বলা হয়, ‘দ্য নাইট অব সেভেনস', চান্দ্র বর্ষের ৭ম মাসের ৭ম দিন। কিছুটা ভিন্নভাবে পালিত হয় জাপানে, সৌরবর্ষের জুলাই মাসের ৭ম দিনে- এটার নাম তানাবাতা। পারস্য সংস্কৃতিতে এই জনপ্রিয় দিবসটি সতর্কভাবে উদযাপিত হয় ইহুদি ঐতিহ্যানুসারে আগস্টের পঞ্চদশ দিবসে প্রেমের উৎসব পালিত হয়। অনেক আগে মেয়েরা সাদা পোশাক পরিধান করে নৃত্য পরিবেশন করত আঙুর বাগানে, যেখানে তরুণরা তার জন্য অপো করত। ব্রাজিলে ভ্যালেন্টাইন ডে পালিত হয় না। সেখানে ১২ জুন ‘বয়ফ্রেন্ডস/গালফ্রেন্ডস ডে' উদযাপিত হয়। জুটিরা চকোলেট, কার্ড, ফুলের তোড়া বিনিময় করে থাকে। এই দিনটি বাছাই করা হয়েছে সম্ভবত সেন্ট এ্যান্টনিস ডের আগের দিবস বলে। কলম্বিয়ায় ‘লাভ এন্ড ফ্রেন্ডশিপ ডে' উদযাপিত হয় সেপ্টেম্বরের তৃতীয় শুক্রবার এবং শনিবার, বাণিজ্যিক শর্তের কারণে। এদেশে ‘সিক্রেট ফ্রেন্ড' ঐতিহ্যটি খুবই জনপ্রিয়। মেক্সিকোতে একইভাবে উদযাপিত হয়, তবে সেটা ১৪ ফেব্রুয়ারি। ফিনল্যান্ড, স্লোভেনিয়া, রুমানিয়া, নরওয়ে, ভারতবর্ষে প্রেমের দিবস হিসেবে ভ্যালেন্টাইনস ডে পালিত হয়।

বিষয়: বিবিধ

৫৮৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File