ধারাবাহিক ইসলামী সাধারণ জ্ঞান : Roseপর্ব-০৩ Rose

লিখেছেন লিখেছেন আবু আশফাক ০২ জুন, ২০১৩, ১২:২১:১১ দুপুর

ধারাবাহিক ইসলামী সাধারণ জ্ঞান : পর্ব-০২ পড়ুন এখানে



কুরআন পড়ুন, কুরআন বুঝুন


প্রশ্ন-২১. নবী (সাঃ) -এর জীবদ্দশায় কি কুরআন লিপিবদ্ধ হয়?

উত্তর :
হয়, তবে একটি খন্ডে লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

প্রশ্ন-২২. নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কি ওহী লিখে রাখতেন?

উত্তর :
না। তিনি আটচল্লিশ জন সাহাবী, যাদের মধ্যে যায়িদ ইবনে সাবিত (রাঃ) কে নবী মৌখিক নির্দেশ দিতেন, তিনি তা লিখে রাখতেন।

প্রশ্ন-২৩. নবী (সাঃ) এর জীবদ্দশায় আল-কুরআন লিপিবদ্ধ করার নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া যায় কি?

উত্তর :
হ্যাঁ, একটি তথ্য থেকে জানা যায় যে, একদল লোক যখন মদীনায় ইসলাম ধর্ম শিক্ষার জন্য আগমন করেন, তখন তাদের পাঠ করা এবং মুখস্থ করার জন্য আল-কুরআনের বিভিন্ন অধ্যায়ের লিখিত কয়েকটি কপি দেওয়া হয়।

প্রশ্ন-২৪. আল-কুরআন সাজানোর বিষয়ে নবী (সাঃ) কি কোন নির্দেশ প্রদান করেন?

উত্তর :
হ্যাঁ, সালাতে আল-কুরআন তেলাওয়াত করার সময় প্রতিটি মুসলমানই কুরআন সাজানোর বিষয়টি জানতে পারেন।

প্রশ্ন-২৫. কে মহানবী (সাঃ)-এর সাথে বছরে একবার আল-কুরআন তেলওয়াত করতেন?

উত্তর :
মহানবী (সাঃ) যে বছর ইন্তেকাল করেন, জিবরাইল (আঃ) সেই বছর নবীর সাথে দুইবার আল-কুরআন তেলাওয়াত করেন।

প্রশ্ন-২৬. মহানবী (সাঃ) যে বছর ইনতিকাল করেন সে বছর আল-কুরআন কী আকারে ছিল?

উত্তর :
আল-কুরআনের যাবতীয় ক্রম এবং বিন্যাস উভয়ই লিখিত ছিল, আলাদাভাবে লিখিত অংশ ছিল যাকে সুহুফ বলা হোত এবং তা সাহাবীরা মুখস্থ করতেন।

প্রশ্ন-২৭. সুহুফ এবং মুসাফ- এর মধ্যে পার্থক্য কি?

উত্তর :
সুহুফ (বহুবচন, এর একবচন সহীফা) অর্থ আলগা লেখার সামগ্রী যেমন, কাগজ, শুষ্ক পশুর চামড়া, প্যাপিরাস ইত্যাদি। অপরদিকে মুসাফ একবচন, এর বহুবচন মাসাহিফ। দুই কভারের মধ্যে এক খন্ডের মধ্যে নির্দিষ্ট ক্রম।

প্রশ্ন-২৮. মহানবী (সাঃ), আবু বকর (রা) এবং উমার (রাঃ) এর জীবদ্দশায় আল-কুরআন কী আকারে ছিল?

উত্তর :
সুহুফ আকারে ছিল। প্রতিটি সূরার মধ্যে আয়াতের ক্রম নির্ধারিত ছিল, কিন্ত লিখিত সূরার ক্ষেত্রে তা এলোমেলোভাবে সাজানো ছিল। অর্থাৎ তখন কুরআন একটি খণ্ডে লিপিবদ্ধ ছিল না।

প্রশ্ন-২৯. কে কুরআনের একটি খণ্ড তৈরী করার নির্দেশ দেন?

উত্তর :
উসমান (রাঃ)

প্রশ্ন- ৩০. কেন উসমান (রাঃ) আল-কুরআনের সংকলন বা মুসাফ এর কাজ শুরু করতে চাইলেন?

উত্তর :
আবু বকরের রাজত্বকালে তিনি বিভিন্ন ব্যক্তির স্মৃতিতে থাকা এবং আল-কুরআনের বিভিন্ন আয়াত সংগ্রহের জন্য যায়িদ ইবনে তাবিত (রাঃ)-কে নির্দেশ দেন। সংগৃহীত কপি নিজের কাছে রাখেন, অতঃপর তা উমার (রাঃ) এর কাছে এবং পরবর্তীতে কন্যা হাফসা (রাঃ) এর নিকট রাখেন।

১. উসমান (রাঃ)-এর রাজত্বকালে, আল-কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত নিয়ে মুসলিম সামাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিবাদ সৃষ্টি হয়।

২. উসমান (রাঃ) সুহুফ নিজের কাছে নিয়ে আসেন। পরে তা হাফসা (রাঃ) এর কাছে সংরতি থাকে এবং যায়েদ ইবনে ছাবিত (রাঃ) সহ মোট চারজন সাহাবীকে আল-কুরআনের অবিকল নকল প্রস্তুতের আদেশ দেওয়া হয়।

ধারাবাহিক ইসলামী সাধারণ জ্ঞান : পর্ব-০৪ পড়ুন এখানে

বিষয়: বিবিধ

২৮৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File