আমাদের উপলুব্ধি ও আত্মশুদ্ধি

লিখেছেন লিখেছেন রাইস উদ্দিন ০১ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:০৪:১৫ দুপুর



ওয়ানএলিভেনের পর থেকে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বেশকিছু শির্ষনেতাদের মূখে বিভিন্ন টকশোতে আত্মশুদ্ধির কথা খুব জুড়েসূরেই শোনাগিয়েছিল।ভেবেছিলাম হয়তো এই ঝরে কিছুটা হলেও রাজনৈতিক দলগুলোসহ দলের নেতাদের আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে দলগুলোর আদর্শিক ভিত্তি মযবুত এবং সুদৃঢ় হবে,আসবে রাজনীতিতে গূণগত পরিবর্তন।কিন্তু আফছোসের বিষয় হলো সে কথা গুলোও ছিলো ধুরন্ত রাজনীতির অপকৌশল যার কারনে আমরা লক্ষ্যকরলাম ওগুলি ছিল তাদের মিথ্যে আসফালন মাত্র।কাজের কাজ কিছুই হলনা এখন দেখছি,

যে লাউ ওহাই কদু।

এজন্য কবী বলেছেন" মাঝ দরিয়ায় যখন ঝর উঠে,মাঝিরা বলে হরি রক্ষাকর!ঝর ঝখন থেমে যায় হরির কথা তখন মনেও থাকেনা।

পবিত্র কোর আনেও এমন কথার উল্যেখ রয়েছে।

ওয়ানএলিভেন নামক ঝরেরকবল থেকে বেচেগিয়ে রাজনীতিবীদগণ সেই ভয়ানক ঝরের কথা বেমালুমভুলে গিয়েছে।কিন্তু ঝর আসতে কতক্ষন?বাংলাদেশের রাজনীতির গগনে এখন অশুভ কালো মেঘের ঘনঘটা।ঈশানকোন থেকে যেকোন মুহুর্ত্যে টরনেডু বয়ে যেতেপারে,ভেঙ্গে তছনচ করেদিয়ে যেতে পারে দেশের সকল সেক্টরের অর্জিত অর্জণ সুমহ।এখন সামনে যতটুকুন সময় রয়েছে এর মধ্যেই আত্মশুদ্ধির অণুশিলন শুরুকরা আশু প্রয়োজন।

মানুষের হৃদয় হচ্ছে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ন বস্তু এটি যদি কুলশিত বা অপবিত্র হয় তাহলে সে মানূষটিই অপবিত্র হয়ে যায়।হিংসা বিদ্বেষ গীবত মিথ্যাচারের মত নৈতিক ত্রুটি যদি কোন রাজনৈতিক নেতা অথবা

যে কোন মানুষের মধ্যে থাকে তাহলে তাদের দ্বারা রাষ্ট্রের কল্যাণ তো দুরের কথা তার নিজের কল্যাণকরাই অসাভাবিক ব্যাপার।এজন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো-সর্বপ্রথমএকজন নেতাকে হতে হবে স্রষ্টায় বিস্বাষী।নিজের সকল কাজ কর্মের জন্য তাঁর নিকট জবাবদীহীর অনুভূতি থাকতে হবে এটি হলো আত্ম শুদ্ধির মহাষৌধ।অথচ আজ প্রজন্ম চত্বর নামে নাস্তিকদের দাড়করা হয়েছে ইসলামী রাজনীতির প্রতিপক্ষ করে।সাজানো হয়েছে হিজরা প্রতিবন্দিদের সম্নয়ে সচেতন নাগরিক ফুরাম তারা উভয়ই একশয়তানের দুই সিং।লক্ষ্যকরলে বুঝা যায়-

আমরা আজ একটি অতলান্ত খাদের প্রfন্তদেশে এসে দাঁড়িয়েছি।বর্তমানে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দলের কার্যক্রমে মনে হচ্ছে দেশের সকল সেক্টরকে তারা ধ্বংসকরে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ণ করে দিতে চায় বরং এ অবস্থাটা একটা ভয়ানক বিপর্যযের একটা লক্ষণ মাত্র।শুধু তাই নয়।

জাতি আজ যে বিপদের সম্মুখীন তার মূল কারণ হচ্ছে এই যে, তারা ক্ষমতা মোহে দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও সত্যিকার অগ্রগতির জন্য যে দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ প্রয়োজন, তা হারিয়ে ফেলেছে।এমনকি দেশের জনগনের কাছে তাদের দেউলিয়াপনা সুস্পষ্ট হয়ে পড়েছে এবং তারা আজ অনুভব করছে যে, দেশ ও জাতিকে সঠিক পথে পরিচালানার উপযোগী ভাল কোন মূল্যবোধ তাদের কাছে নেই।তারা জানে যে, তাদের নিজেদের বিবেককে পরিতুষ্ট করা ও জনগনের স্বার্থরক্ষা দেশের সার্ভভূমত্ত স্বকীয়দা টিকিয়ে রাখার মত কোন মূলধনই এই দলটির নেই যদিও তারা সরকার পরিচালনা করছে।

আজ সরকারীদল বলুন বিরোধীদল বলুন কোন দলের মধ্যেই এধরনের নৈতিকতা সম্পন্ন নেতা চোখে পড়েনা।যাদের মধ্যে এই গুন রয়েছে তাদেরকে একটা ইসলাম বিরোধী শক্তি বিভিন্ন অপবাদের চাদর দিয়ে এমন ভাবে আবৃতকরে রেখেছে, যে তাদের নাম শুনলে মানুষ নাক ছিটকায়।কারন মিথ্যাচার এমন একটি অস্র যেটি সর্বমহল থেকে ব্যবহার শুরু হলে তাকে নিবোর্ধ লোকেরা সত্যবলে বিস্বাশকরতে শুরু করে,তবে সময়ের ব্যাপার সত্য একদিন দিবালোকের মত পরিস্কার হয়েযায় এটাই চিরসত্য।

আজ সব যায়গায় মিথ্যার বেসাতি চলছে।ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য মিথ্যাচার কেন লাশের রাজনীতি করতেও দিধানেই নৈতিকতার এত পদস্খলন ঘটেছে যাহা সকল কালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।বাংলাদেশে একটা গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে পরিকল্পিত ভাবে।

সম্প্রতি সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে পুলিশ লীগ একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে। প্রকাশ্য এসব হত্যার কোনো বিচার না হওয়ায় আস্কারা পেয়ে সারা দেশে জামায়াত শিবির এবং বি এন পি সহ গ্ররাম বাংলার সাধারন মানুষের ওপর পুলিশ ও ছাত্রলীগ যৌথ ভাবে হামলা চালিয়ে হত্যাকরে চলছে । কোনো অবস্থাতেই সরকার এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। সারা দেশে আজ আতংক বিভিন্ন শহর উপশহর গুলোতে নিশংস ক্ষুনের দৃশ্য আর নিহতেদের অসহায় পরিবারের শোকের মাতম দেখে পাষন্ডের চোখেও জল আসে দূঃখের বিষয় আমাদের নেতা নেতৃদের চোখে জল আসেনা।রাজনিতীতে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে অবশ্য চোখে ভেজলিন লাগিয়ে মিথ্যে মায়াকন্নার অভিনয় আমরা অনেকবার দেখেছি।

আমাদের দেশের নেতা-নেত্রীদের যে চরিত্র তাতে মনে হয় রাষ্ট্রীয়ভাবে শান্তি প্রতিষ্ঠা সুদূরপরাহত।

কেউবা রাজনীতিতে এসেছেন পিতার হত্যার বদলা নিতে আর কেউবা ক্ষমতায় গিয়ে অথবা রাজনৈতিক প্রভাব-প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে বিত্ত-বৈভব বানানোর জন্যে। তাই রাজনীতিতে আজ প্রতিযোগিতার পরিবর্তে বৈরিতাই যেন অপরিহার্য দিক।বক্তৃতা বিবৃতিসবই যেন শুভঙ্করের ফাঁকি এর অবসান কাম্য।এর অবসান নাহলে দেশে একটা গৃহযু্দ্ধ শুরু হয়ে যাবে আমি আগেই বলেছি এটি হয়ত পরিকল্পিত ভাবেই করা হচ্ছে যাতে ভারত নিশ্চিৎ (বাজি ধরে বলতে পারি) তারা হানাদার বাহিনী পাঠিয়ে দেবে।বলবে আমাদের কমিটমেন্ট(যা আমরা সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় পড়েছি) মত আমরা শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে এসেছি।

ভারতকে করিডোর প্রদান, তিতাসের উপর বাঁধের সারি তৈরী ইত্যাদী তারই পূর্বলক্ষণ ভারতের বাংলাদেশকে গিলে খাওয়ার মোক্ষম সুযোগটাই যেন এসেগেল।

-তার পরও কি দেশের জনগনের বোধদোয় হবেনা?

-হবেনা আত্মশুদ্ধি?

চোখ বন্ধ রাখলেই প্রলয় থেমে থাকবেনা।দেশে একটা প্রলয় আসবেই।সে প্রলয়

হতেপারে বাংলাদেশের মানুষের আত্মসুদ্ধির উপকরন অথবা নিয়ে যেতে পারে অধপতনের প্রান্ত সীমায়্।দেশের সার্বিক উন্নতি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে যদি দেশের জনগণসহ রাজনৈতিক নেতৃবর্গ আত্মশুদ্ধিকরন প্রকল্পের মাধ্যমে অন্তরকে নিঃক্লোশ করতে পারেন।অন্তরের সঠিকতা ছাড়া ইহকালিন ও পরকালিন কল্যান আশাকরা অর্থহীণ।

নেতৃবৃন্দের জন্য কয়েকটি টিপস্ দিয়ে দিচ্ছি-কিভাবে অনুশিলন করবেন:

সর্বপ্রথম কাজ হলো পাঁচ ওয়াক্ত নামায পাবন্দির সহিত আদায় করা।

১. দেহের রোগের মুক্তির জন্য যেমন ডাক্তারের কাছে যেতে হয়, ঠিক তেমনিভাবে রুহের বা আত্মার রোগের উপশমের জন্য কোরান হাদীস সহইসলামী পুস্তকাদী বেশিকরে পড়া।

২. বেশি পরিমাণে আল্লাহর স্মরন করার দ্বারাও আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা যায়।

"আলা বি যিকরুল্লাহি তাতমা ইন্নুল কুলুব" অর্থাৎ আল্লাহর জিকিরের (স্মরণে) মধ্যেই প্রকৃত শান্তি নিহিত।

৩. বেশি বেশি কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করা।

৪. মৃত্যুর কথা বেশি বেশি স্মরণ করা। রাসূল স. বলেছেন, যে দৈনিক বিশবার মউতের কথা স্মরণ করবে তাকে শহীদী দরজা দেয়া হবে।

৫. গীবত করা থেকে বিরত থাকা ৬. অহংকার না করা ৭. হিংসা না করা ৮. নজরকে হেফাজত করা (বেগানা নারী দেখা, খারাপা জিনিস দেখা ইত্যাদি) ৯. কম কথা বলা ইত্যাদি।

আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে আত্মা পরিশুদ্ধ করে কবরে যাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন

বিষয়: রাজনীতি

১২২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File