মিসেস জুলিয়া ও তার ইসলাম সম্পর্কে চিন্তা ধারা!
লিখেছেন লিখেছেন রাইস উদ্দিন ১৪ মার্চ, ২০১৩, ০৫:৫৩:১৫ বিকাল
জামায়াতী ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম এক শয়তানের দুই শিং।এই শিরুনামে ১৩/০৩/১৩ইং বিডি টুডে ব্লগে এক ব্লগার বন্ধু লিখেছিলেন যার নিক নাম জুলিয়া।আমি লেখাটি গুরুত্বের সাথে পড়লাম।বন্ধুটি মহিলা কিনা জানিনা।তবে তার সাথে আমার স্ত্রীর চিন্তাধারার সাথে খানিকটা মিল খুঁজে পেয়েছি।
আমি অনুতপ্ত হই বেদনাহত হই।
কষ্ট পাই এই ভেবে!
যাকে দুনিয়াতে সবচেয়ে অধিক ভাল বাসি
যে সুখ দূ:খের পরম সাথী হয়ে জীবনের সাথে জুড়ে গেছে!
সেই মানুষটি কিনা একটি ভ্রান্ত আদর্শের অনুসারি।
আমি যে আদর্শের জন্য জীবন পন লড়ে যাই!
সে সেই আদর্শের নামে মাত্র অনুসারি মূলত কার্যক্ষেত্রে চরম শত্রু।
এবার জুলিয়া বেগমের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো তাহলে আমার ভালবাসার মানুষটি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা সম্মানিত পাঠকদের দৃষ্টি গোচর হবে।
তিনি প্রথমই জামায়াত সম্পর্কে যে উদ্ধত পূর্ণ শিরুনাম লিখেছেন তাহা চরম অন্যায়।তিনি এও লিখেছেন গান্জা খাওয়া মুসলমানও নাকি জামায়াতের চাইতে উত্তম ! কারন তারা ইসলামের অপব্যাক্ষা করেনা।
অধার্মিক লোক যখন ধর্ম রক্ষায় নামে তখন ধার্মিকরা ধর্ম হেফাজতে নামলে শয়তানের শিং হিসেবে চিত্রিত হওয়া অসাভাবিক কিছু নয়। ইসলাম কেন সবকিছুর রক্ষক নি:সন্দেহে আল্লাহ।যখন মুসলিম নামধারী লোক ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধোচারন করে তখন ইসলাম নিরাপদ থাকেনা আর এজন্যই ইসলাম ও ঈমান হেফাজতের কথা আসে।আল্লাহর রাসুল স: বলেছেন”এমন এক সময় আসবে ঈমান নিয়ে চলা আর হাতের মধ্যে জলন্ত অগ্নি রাখার মতই।ইসলাম আল্লাহরপক্ষ থেকে এক শ্বাসত পরিপূর্ণ জিবন বিধান।ইসলামে প্রবেশকরার অর্থই হলো আল্লাহর পরিপূর্ণ আনুগত্যকারী হওয়া।জীবনের সকল দিক ও বিভাগে ইসলামের অনুসরনকরা।জুলিয়া বেগমকে স্মরন রাখতে হবে রুমিয় নির্বচন করতেও ইসলামী বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে।শুধু মসজিদে আল্লাহ ও তার রাসুলকে অনুসরন রাজনীতীতে তাবলীগের মত আওয়ামীলীগ, বি এন পি অথবা অন্যসব দলের আদর্শে বিশ্বাসী হলে তুমাকে মুনাফিক হিসেবে ধরে নেয়া অন্যায় হবেনা।তিনি বলেন’ইসলাম রক্ষাকরার কাওকে ঠিকা দেয়া হয়নাই।চিন্তাকরুন!শাহবাগি নাস্তিকরা রাসুল স:তার স্ত্রীদের গালি দিবে আর মুসলমান নিরব থাকবে এটা তোমাদের মত মুনাফকিদের দ্বারাই সম্ভব।মুসলীম তারাই যারা সবধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরব থাকে।
তিনি আরও লিখেছেন’সাঈদী সাহেব নাকি চট্টগ্রাম গিয়ে কাদের সাথে বাক বাকুম করে।সাড়া বিশ্বের মুসলিম যাকে ভাল বাসে তার সম্পর্কে শুধু সাহবাগীদের মত ভন্ডরা তার ফাশির দাবিতে প্রজন্মচত্বরে গভির রাতে বাকবাককুমকরতেপারে।
এখনো সময় আছে তাওবা পড়ে ইসলামের সঠিক ধারনা উপলুব্ধিকরার চেষ্টাকর।জামায়াতই ইসলামীর মত একটি সঠিক ইসলামী দলের ছাঁয়ায় আশ্র্য় নিয়ে পরিপূর্ণ ইসলামের আনুগত্যকারী হয়েযাও! কারন ইচ্ছায় অনইচ্ছায় সৃষ্টির জগতের সবকিছুই আল্লাহর আনুগত্য করে যাচ্ছে। আল্লাহর পথে যারা চেষ্টাসাধনা করে তাদেরকেই আল্লাহ জাহান্নামের কঠিন আজাব থেকে নাজাত দবেন বলে ওয়াদা করেছেন।
বিষয়: বিবিধ
১৪৩৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন