বর্ষবরণ মানেই হলো ষোলআনা বাঙ্গালীয়ানা ও রবীন্দ্র প্রীতি
লিখেছেন লিখেছেন রাইস উদ্দিন ১৪ এপ্রিল, ২০১৩, ০১:১৭:৩৮ দুপুর
রবী ঠাকুরের পীরিতে পরিয়া
কাদিঁছে বাংলাদেশ
রাসুল ছাড়িয়া বামনের পিছে
ছুটিছে ছাড়িয়া কেশ।
বড়ই আক্ষেপ হয় যখন বাংলাদেশের কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি রবীন্দ্রপ্রেমে অন্ধ হয়ে বলে "রবীন্দ্র সঙ্গীত যখন শুনি আমার কাছে ইবাদতের মত মনে হয়। স্বচেতন পাঠক বৃন্দ !বিবেচনা করুন কুরআন তেলাওয়াত করা ইবাদত এটিই একজন মুসলমানের আকিদা। উপরের মন্তব্যটি যখন কোন মুসলমানব্যক্তি করবে সে কি মুসলমান কিনা তা এক মুহুর্তের জন্য ভাববার প্রয়োজন আছে বলেআমি মনে করিনা। এমন মন্তব্য তারাই করতে পারে যাদের শরীরে হিন্দু ও মুসলিম উভয়ধারার রক্তপ্রবাহিত হচ্ছে। মুসলমানের আদর্শ রয়েছে একমাত্র রাসুলের মধ্যে যার নির্দেশিকারয়েছ আলকুরআনে। একজন জন্মান্তরবাদ মুশরিক কখনো মুসলমানের আদর্শ হতে পারেনা। তারসাহিত্যে কারও জন্য বিনোদনের বিষয় থাকতে পারে তাতে কিছু ভাল জিনিসও থাকা সাভাবিক।ভাল জিনিসকে ভাল বলা সকল মানুষের নৈতিক কর্তব্য,তাই বলে এত মাতামাতি? যা কিনা ইসলামের গন্ডিচ্যুত হওয়ার উপক্রম।এ লেখা পড়ে অনেকে আমাকে মৌলবাদী অথাবা সাম্প্রদায়িকবলবেন।রবীন্দ্রনাথ এর বিরুদ্ধে লিখলে সাম্প্রদায়িকতা হয় কিন্তু রবীন্দ্রনাথ যখনহুযূর পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিরুদ্ধে বলে,বিষেদগার করে,অপবাদদেয় তখন সাম্প্রদায়িকতা হয় না!
যেমন-সে বলেছে,“”ভালো মানুষী ধর্ম নয়; তাতে দুষ্ট মানুষকে বাড়িয়ে তোলে। তোমাদের ‘মুহম্মদ’সে কথা বুঝতেন,তাই তিনি ভালো মানুষ সেজে ধর্মপ্রচার করেননি।””গোরা উপন্যাসে এ জঘন্য লিখা এসেছে।
(নাঊযুবিল্লাহ! )
তার বক্তব্যে হুযূরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে স্পষ্ট অপবাদ, তোহমত, বিদ্বেষ এবং ষড়যন্ত্র ফুটে উঠেছে। সে কৌশলে মুসলমানদের মধ্যে তার কথিত সাহিত্যের মাধ্যমে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। সাধারন মানুষ যাদের ঈমানী চেতনা নেই তারা তো সহজেই বিভ্রান্ত হতে পারে।
কালেমা শরীফে হুযূরপাক সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক থাকা সম্পর্কে তার দুষ্ট,সাম্প্রদায়িক,ইসলাম অবমাননা,হুযূরপাক সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বেয়াদবী মূলক কটাক্ষ উক্তি করেছে তার ‘বীর গুরু’ প্রবন্ধে । সে বলেছে, “”দেব-দৈত্য সকলেই নিজের উপাসনা প্রচলিত করিতে চায়; গোরখনাথ রামানন্দ প্রভৃতি ধর্ম মতের প্রবর্তকেরা নিজেনিজেই এক-একটা পন্থা বাহির করিয়া গিয়াছেন। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করিবার সময়েমুহম্মদ নিজের নাম উচ্চারণ করিতে আদেশ করিয়া গিয়াছেন।””
নাঊযুবিল্লাহ!
সে এখানে অন্যান্য বানোয়াট ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মকে মিলিয়ে হুযূরপাক সল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শানে বেয়াদবি করেছে।
তাহলে সাম্প্রদায়িককে?
অথচ এ উপন্যাস গুলো যুগ যুগ ধরে আমাদের ৯৭% মুসলমানের দেশে প্রকাশিত হয়ে আসছে। কেউ কোন বাধাঁ দেয়নি। অতএব বুঝা যায় এর মধ্যে একটা গভির সরযন্ত্র রয়েছ।
আমি যে জিনিষটি পাঠকদের বিবেকেনাড়া দিতে চাই,নিচের রম্যটি পাঠ করলেই আশাকরি বুঝতে অসুবিধে হবেনা।
ষোলআনা বাঙ্গালীয়ানা বলে একটা কথা আছে!যার সপ্নাদ্রষ্টা ছিলেন রবি ঠাকুর। তাইষোলআনা বাঙ্গালীয়ানার চর্চাকরতে আমাদের পূর্ববাংলার লায়লা খাতুনেরা পর্শ্চিম বঙ্গের রঙ্গুদা-দের সাথে রাধা কৃষ্ণের মত প্রেম প্রেম খেলতে কুঞ্জবনে মিলিত হতেও দিধা করেন না। আগে জানতেন লায়লা মজনুর প্রেমের কাহিনী এখন শুনুন লায়লা রঙ্গুর প্রেম কাহিনী।
কি অবাক হলেনা না তো? কুঞ্জবনে লায়লা ও রঙ্গু অবকাশযাপনে মিলিত হয়েছে ঠি যেন রাধীকা ও কৃষ্ণের যুগল মিলণ।
-লায়লা !সে দিন রবীন্দ্র জয়ন্তী অনুষ্ঠানে তোমার কন্ঠে রবীন্দ্র সঙ্গীতশোনে রীতি মত আমি তোমার ভক্ত বনে গেছি,সহাস্যে রঙ্গু বললো।
-সেকি গো ? আর আমি যে তোমার প্রেমে পড়ে গেছি,যখন তোমার মূখে কবি গরুর কবিতা আবৃত্তি প্রথম শুনেছিলাম। লায়লারা মুখে একথা শুনে রঙ্গু বলল'
- তাহলে গাও না ঐ গানটা –আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান।
- ভালবেসে বিষ পান করলেও তা সুধায় পরিনত হয়।
- আচ্ছা তুমি মুসলীম ঘরের মেয়ে হয়ে একজন হিন্দু কায়স্তকে ভাল বাসতে পারবে?
-আমি হিন্দুমুসলীম বুঝিনা বাপু!আমি মানব ধর্মে বিশ্বাসী। বাঙ্গালি একজন সৎ ও সু-পুরুষকে ভালবাসি দ্যাটস অল।আল্লাহ বল আর ইশ্বর বা ভগবানই বল, তিনি সবাইকে অন্যবস্রের ব্যবস্থা করেন। হিন্দু মসলিম বলে তার কাছে কোন পার্থক্য নাই।ষোলআনাবাঙ্গলী হতে শেখ মশাই । মহাজাতীয়তার প্রতীক হিসেবে ভারতীয় উপমহাদেশে আমরা দুজন এক নতুন ইতিহাস হয়ে থাকতে চাই।
-যতার্থই বলেছা!চল না বিয়েটা সেরে ফেলি!তবে ভয় হয় রঙ্গুদা।
-কেন ভয় কিষের?
-ভয় হয় এজন্য যে,একজন উপন্যাসিক লিখেছেন"বড়প্রেম শুধু কাছেই টানেনা দুরেও ঠেলে দেয়।দ্যাখ নাই আমাদের শুমি বুবুর প্রেমের অবস্থা।তোমার মত এক রঙ্গুদাকে ভালবেস বিয়ে করে কি দশাইই না হল ব্যাচীর!বাশর রাতের মধুচন্দ্রিমার সবকিছুই ভিডিওবন্দি করে বিশ্ব সমাজে প্রকাশ করে দিয়েছেন ।বুবু আমার লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে গেলেন।বুবু আমার সকল পর্দা থেকে বেপর্দা হয়েই রইলেন।তবে কয়েক দিন পুর্বে টিভিতেদেখা গিয়েছিল একজন মানবধিকার কর্মী হিসেবে। একজন মানুষের সম্ভ্রমহানী মানবাধীকার লঙ্ঘন 'তাই তিনি তারসম্ভ্রম হারিয়ে এখন মানবাধীকার কর্মী হয়েছেন।
– সবাইকে এক পাল্লায়মাপাউচিত নয় বুঝেছ?আমাদের বাঙ্গালীদের গৌরব আরএকজন অভীনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারের কথা ভাব ! তিনি রামেন্দ্রদার সাথে তো দিন গুলি ভালয় ভালয় কাটিয়ে দিলেন ।মেয়ে ত্রপা মজুমদার ষোলআনা খাটিঁ বাঙ্গালী,মা মুসলিম বাবাধন হিন্দু আর সে মানবধর্মে বিশ্বাসী।আমরাও দুজন মিলে খাটি বাঙ্গালীর কারখানা বানাবো,কি বল?
_তোমার কারখানায় যাতে আগুন সে ব্যাবস্থাই করবো শালা।নবীনের চোখে মুখে আগুনের স্ফলিঙ্গ।
–আরে দুস্ত?
-চুপ শালা।আর একটি কথাও নয়,ভাগ এখান থেকে- নইলে চিতায় পাঠাবো শালা।আমার সহজ সরল বোনটিকে পটানো হচ্ছে না?
-ভাইয়্যা তুই পাগল হয়েছিস?আমি রঙ্গুদাকে ভাল বাসি।
-আচ্ছা মনে রঙ ধরেছে?যখন মুখকালা হবে তখন বুঝবে,তবে আমি তা হতে দিবনা কক্ষনো।
-দাদা!ভালবাসার কোন মুল্যই নেই আপনার কাছে?হিন্দু মুসলিম কি কারো গায়ে লিখা থাকে? আমরা দুজন নিখীল ভারতের আসমুদ্র হিমাচল সংস্কৃতিকে ভালবাসি রবীন্দ্র নাথের মানব ধর্মকে ভালবাসি।আরে দাদা আপনার দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনিও বলেছেন রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত রচনা করে আমাদেরঋনী করেছেন।বঙ্গবন্ধূ নিজেও তাকে ভাল বাসতেন বলেই রবীন্দ্রনাথের সোনার বাংলা গড়তে জীবন পর্যন্ত দিলেন।
-তুমি কথা না বললেই আমি খুশি হব।আমি রবীন্দ্রনাথের চাতুরীসম্পর্কে খুব ভাল ভাবেই জানি।তার বাংদেশী বিদ্দেষের ইতিহাস অনেক আগেই পড়েছি।রবী ঠাকুরের আমার সোনার বাংলা..... গানটি শুনে এবং গেয়ে,সবাই ধারনা করেন তিনি বুঝি বর্তমান বাংলার মানুষের প্রতি খুবই অনুরক্ত ছিলেন। ব্যাপারটি মোটেও সত্য নয়, কিঞ্চিত পরিমানও নয়। পাকিস্থানের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল ১৯৩৭ সালে, বাংলাদেশের স্বপ্ন ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাত্রেও দেখা হয়নি। তাহলে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯০৮ সালে বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন কিনা প্রশ্নটিই অবান্তর। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে, তিনি কোন বাংলার জন্য কেঁদেছিলেন? যিনি পাকিস্থান জন্মেরও ৭ বছর আগে ১৯৪১ সালের ৭ই আগষ্ট মৃত্যু বরণ করেন। যখন বাংলাদেশ নামক কোন বস্তুর স্বপ্ন দেখা অবান্তর ছিল।তিনি আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকে কত বছর পিছিয়েছেন তা কি তুমরা জান ? রবীন্দ্রদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করে তদস্থলে চাষাদের ছেলেদের জন্য একটি কৃষি ইনষ্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উপর জোর দিয়েছেন এই বলে যে, বিশ্ববিদ্যায় প্রতিষ্ঠিত হলে কৃষকের ছেলেরা আর কৃষি কাজ করনে না। কি চমৎকার যুক্তি এর পরও কি করে আমরা ভাবতে পারি তিনি অআমাদের মুসলমান বাঙ্গালীদের হিতাকাঙ্খী? আমাদের মাননিয় প্রধান মন্ত্রী তিনি সিঁদুর ও তিলকধুলক দিয়েও বঝাতে চান তিনি ষোলআনী বাঙ্গালী।আসরা বাংলাদেশী আমাদের অলাদা সংস্কৃতি ঐতিহ্য আছে,অমারানিজস্ব স্বকীয়তা নিয়ে বেচে থাকতে চাই ।গফ্ফার চৌধরীদের মত ভারতের দালালী করতেচাইনা। ইংরেজর দালালী করলে তাকে মীরজাফর বলে পাকিস্তানের দালালী করলে আলবদর বলেভারতের দালালদের কি বলা উচিত?মিঃচৌধরীর জন্য দুঃখ হয়- নিখীল ভারতের আসমুদ্র হিমাচল সংস্কৃতিকে এখনো মানে প্রানে ভাল বাসেন তিনি , যা রবি দা ও প্রথম প্রথম ভাল বাসতেন এমন কি বঙ্গ মাতার বন্ধনা হিসেবে "আমার সোনার বাংলা........." লিখে বঙ্গ ভঙ্গকে রদ করাতে সক্ষম হয়েও পরবর্তীতে সংকীর্ণ স্বার্থে তা ভুলে গিয়ে বঙ্গ মাতার অংগ ছেদ করতে দ্বিধা করনেনি বরং তা মেনে নিয়ে ভারতের পক্ষ নিয়েই সন্তষ্টু হন; কিন্তু মিঃগফ্ফার তাও ভুলতে পারেননি।
ছোট বেলায় যে দুটি শব্দের মাঝে পার্থক্য করতে পারতামনা তা হলো "মূর্খ পন্ডিত" ও "পন্ডিত মূর্খ"। দাদাকে মর্ম জিজ্ঞাস করাতে দাদা হেসে বললেন যে মূর্খ লোক পন্ডিতের মত জ্ঞান রাখেন ও কথা বলেন তিনি হলেন মূর্খ পন্ডিত অর্থাত মূর্খ হয়েও পন্ডিত আর যেই পন্ডিত লোক মূর্খের মত কথা বলেন ও আচরন করেন তিনি হলেন পন্ডিত মূর্খ অর্থাত পন্ডিত হয়েও মূর্খ।
মিঃচৌধরীকেআমি পন্ডিত মূর্খ হিসেবেই জানি। তিনি সত্যের সাথে মিথ্যাকে এবং মিথ্যার সাথে সত্যতে মিশ্রণে পারঙ্গম।
তিনিপাঠান ও মোঘলদেরকে অস্ত্র হাতে রণতূর্য বাজিয়ে বিজেতা বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েন নি। মিথ্যায় এক্ষেত্রেও তিনি পারঙ্গমতার পরিচয় দিয়েছেন। হিন্দুদের জাত প্রথা, নিম্ন বর্ণের হিন্দুদের উপর ঠাকুরদের অত্যাচার ইত্যাদি কারণে পাঠান ও মোঘলদেরকে নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা সাদরে গ্রাহন করে।পূর্ব বঙ্গ বিদ্ধেষী এসব বুদ্ধিজীবির আচরণের কারনে,দেশটি ধর্মীয় ভিত্তিতে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। মুসলমানেরা কখনও আন্দোলন করেনি নিজেরাই ধর্মীয় ভিত্তিতে ভাগ হয়ে যেতে। দ্বিজাতি তত্বের মাধ্যমে দেশ ভাগ হতে, সমুদয় মাল মসল্লা, উপকরণ যুগিয়েছিল এসব কট্টর, গোঁড়া আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত. ইসলাম বিদ্ধেষী ব্যক্তিবর্গ। আমাদের আফসোস! বর্তমানে আমাদের মধ্য থেকেই, মীর জাফর, ঘষেটি বেগমদের জম্ম হচ্ছে, তাদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য। ধিক্ তাদের অজ্ঞতার প্রতি। তাই বলছি বেন ভুল পথ থেকে ফিরে আয়।নইলে ছাবিনা ইয়াসমিন ও শুমি কায়সারের মত এই রঙ্গিলা রঙ্গুদের ক্ষপ্পরে পড়ে রঙ হারাইয়া কাদঁবে আর লোকে হাসবে।ষোলআনা বাঙ্গালীর পরিবর্তে চব্বিশানা কাঙ্গালি হইয়া পথে পথে ঘুরবে।
বিষয়: বিবিধ
১৬৮৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন