সাহিত্য ও সংস্কৃতির প্রভাবে ব্যক্তি হয় প্রভাবান্বিতঃ

লিখেছেন লিখেছেন রাইস উদ্দিন ১৭ জানুয়ারি, ২০১৩, ০৪:৩৮:২৪ বিকাল

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতটা অন্যান্য জগত থেকে একটু ভিন্ন।বাস্তব এবং কল্পণা এই দুইয়ের সংমিশ্রনে তৈরি হয় এই জগতটি।এই জগতে প্রবেশ করতে হলে মুক্ত চিন্তা এবং সকল সংকির্ণতার উর্দ্ধে আরোহণ করতে হবে, তাহলেই লুফে নেওয়া যাবে তা থেকে স্বাধ ও গন্ধ অবলোকন করা যাবে বিচিত্র রং ও বৈচিত্র।

যে হৃদয় চীর যৌবনা চীর সবুজ, যে মনের জমিতে পরিচ্ছন্ন নির্মল নতুন সৃষ্টির উল্লাসের প্লাবনে পলিমাটি জমে প্রতিনিয়ত, কেবল সে হৃদয়মনেই সাহিত্যের চাষ হয়।যে মনে হতাশা ক্লান্তি বাসা বেধেঁছে সে মন সাহিত্য সায়স্কৃতিক আন্দোলনে দক্ষতার ছাপ রাখতে পারেনা।এ আন্দোলনে চাই সতত উদ্দিপ্ত মন! চাই এমন এক অভিনব মন যে মন কঠিন পাথর শিলা কেটে সূমিষ্ট পানিয় ধারা প্রবাহিত করার সাহস ও হিম্মত রাখে।

এ জগতটাকে যারা নান্দনিক ভাবে সাজাতে প্রয়াস চালায় তারা হয় সকলের ভালবাসার পাত্র।এসকল ব্যক্তিবর্গ পূজনিয় ও বরনিয় হয়ে বেচে থাকে অনন্তকাল মানুষের হৃদয়ে।শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমাদের জীবন,কেননা এ জগতের প্রত্যেকটি শাখা প্রশাখার উপায় উপকরন জীবন থেকেই নেওয়া।

অতি সহজ ভাবে বললে মানুষের জীবন জীব ও পকৃতির গতিধারার বহিঃপ্রকাশই শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতির রূপ।মানুষের জীবনে কখনো নেমে সূখের বন্যা আবার কখনো আসে দূঃখের প্লাবন তেমনি পকৃতিও মানুষকে কাদায় আবার আনন্দো খূশিতে উদ্বেলিত করে।বাগানে সদ্যফোটা হরেক রকম ফুল তার সৌন্দর্য্য ও সৌরভ বিলিয়ে মানূষকে আকৃষ্ট করে এটি পকৃতির অংশ।আবার অনাবৃষ্টি অতি বৃষ্টি প্লাবন ঝরতুফান ইত্যাদী মানুষের জীবনে দুর্বি্বসহ যন্ত্রনা এমনকি প্রান নাসের কারণহয়ে যায়।

সাহিত্য জীবনবাদী জীবন যাত্রায় যেমন বির্বতণ ঘটে সাহিত্যেও তেমনি।সাহিত্য মানূষের অবয়বে সূরভি ছড়ায় বয়ে আনে অনাবিল আনন্দোধারা।আবার বিরহ বেদনার গল্প উপন্যাস নাটক গান ও কবিতা ছড়া মানূষকে কাদায়ও বটে।মোট কথা শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি মানুষের মনে বিড়াট প্রভাব ফেলে অনয়নকরে যুগান্কারী পরিবর্তণ।একটি জাতির চালচলন দৈনিন্দন ক্রিয়াকর্ম আদর্শ ঐতিহ্য প্রকাশ করার মাধ্যম হচ্ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন।এজন্য সুস্থ সাংস্কৃতি যেমন জাতিকে সুন্দরকরে গড়ে উঠায় সহায়ক ভুমিকা রাখে ব্যক্তিকে করে পরিশালিত তেমনি অপসাংস্‌কৃতি প্রভাব মানুষকে ভুলপথে পরিচালিত হতে সাহায্য করে ব্যক্তি হয় তার প্রভাবে প্রভান্নিত।আমি সাংস্কৃতি জগতের অতি ক্ষুদ্র ও নগন্য একজন ব্যক্তি।ইসলামী সাংস্কৃতি এনেদিয়েছে আমার জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তণ।আমার জিবন হয়েছে ইসলামের পরশে ধন্য।অন্ধকার থেকে আলোর দীশা পেয়েছি।

সত্যি বলতে কি!সাংস্কৃতি জগতা আমার কাছে সবচাইতে প্রিয় একটি জগত।আশির দশকের কথা বলছি।

সে সময় আমাদের এলাকায় খুব নাটক থিয়েটার হত।আমি খুব ওগুলো দেখতাম।ওপার বাংলার এপার বাংলার প্রখ্যাত লিখকদের লেখা নাটক গুলো খুব ভাল লাগতো।ঐতিহাসিক এবং রুপকথার অনেক যাত্রাপালা দেখে সেগুলো দিনের বেলায় নকল করতাম।বাশের চটি দিয়ে তলোওয়ার বানিয়ে তলোওয়ার বাজি খেলতাম সমবয়সী ছেলেদের নিয়ে,ওরা কেউই আমার সাথে পেরেউঠতো না কখনো।আমি মাঝে মধ্যে কাল্পনিক জগতে চলে যেতাম।ডালিমকুমার সাইফুরমুল্লুক বনেযেতাম রাজকন্যাদের নিয়ে ঘুরে বেড়াতাম পক্খিরাজে চড়ে।

সাংস্কৃতিক জগতে আমার পা রাখার সুযোগ হয়-১৯৭৯ সনে।তখন প্রচন্ড শীতপরেছে,রাতে হ্যাজাক লাইট জালিয়ে রিহারস্যাল হচ্ছে। রিহারস্যাল আমরা খুব মজাকরে দেখতাম।নাটকের নাম ছিল শশিবাবুর সংসার।আব্বা মামা উভয়েই নাটকে অভিনয় করছেন।আবা্বা কঠিন শব্দগুলি উচ্চরণ করতে পারছেননা।যেমন প্রতিশ্রুতি শব্দটি কতশতবার যে চেষ্টা করলেন তার ইয়াত্তানেই।পুরো এক সপ্তাহ চললো অভ্যাশ তার পর শুরু হলো অন্যটি।ওপার বাংলার প্রখ্যাত নাট্যকার রঞ্জনদেবনাথ রচিত 'এই পৃথিবী টাকার গোলাম' নাটকটি যখন রিহারস্যাল শুরুহলো সেটিতে একটি ছোট্ট ছেলের চরিত্রে কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলোনা।সবাই অনেক খুজাখুজির পর আমাকে নির্বাচন করলে আব্বা রাজি হচ্ছিলেন না কোনমতেই।মামা এসে বললেন' নো প্রবলেম্স!মামা ভাগনে যেখানে আপদ নাই সেখানে।আমার চরিত্রটি ছিল একটি গরীব পরিবারের অসহায অনাত ছেলের।খুবই দূঃখকষ্টের সংসারছিল।সেই চরিত্র করে বকশিশও পেয়েছিলাম একটি গান গেয়ে।গানের কয়েকটি কলি এখনো মনে আছে"

আলো দেখাও দেখাও আলো নিষ্ঠুর ভগবান

দূঃখের সাগর পাড়করে দাও নিষ্ঠুর ভগবান।

১৯৮২ সাল পর্যন্ত গ্রা্ম্যপরিবেশে বিভিন্ন নাটক থিয়েটারে অভিনয় করেছিলাম,বিশেষকরে হিন্দুদের ধর্মীয় উত্সব গুলোতে,যেমন দূর্গা পূজা কালি পূজাতে।একটি মজার ঘটনা শেয়ার করতে চাই,সবে মাত্রনিউ টেনে উঠেছি,সামনে হিন্দুদের কালিপুজা।কালিপুজায় প্রতিবছরই নাটক হয়।নিতেন বাবু খুব ধুমধামকরে এই উত্সব পালন করে থাকেন,বন্ধুদের আবদার রাখতে গিয়ে নাটকে অভিনয় করতে হচ্ছে।আমরা মানিক গঞ্জের মহাদেব পুর থেকে অভিনেত্রীদের হায়ায় করে নিয়ে আসতাম।বুঝতেই তো পারছেন?আনন্দো উদ্দিপনার সাথে দিন গুলি কেটে যেতো।একদিন নাটক শেষে বাদ ফজর বাড়ি এসে ঘুমিয়ে পরেছি,ঐদিন হাটবার।নতুন হাট বসেছে মাত্র কয়েকমাস ধরে।হাটে আব্বা একটি কোনরকম করে ঘর তুলে সেখানে খাবার হটেল দিয়েছে।মিষ্টিসহ ভাত রুটি পরাটা সবই বিক্রি হয়।হাটের দিন ধুমবেচাকেনা চলছে।কয়েকজন কর্মচারী সবই কমবয়েষর ছেলে।আব্বা ক্যাশে বসেন ভির বেশিহলে তিনি ক্যাশ থেকে নেমে সার্ভ করে থাকেন।কাষ্টমারের ভিষন চাপ আব্বাও নিজে সার্ভ করছেন।ভাগ্য খারাপ তাই ভিরের মধ্যে সুযোগ পেয়ে চোরে ক্যাশবাক্সটা নিয়েই চম্পট।প্রায় আট নয় হাজার টাকা ক্যাশে ছিল।সে সময় আট নয় হাজার টাকা কম নয়!আব্বার প্রায় মাথাখারাপ হওয়ার উপক্রম।তখন তার আমার প্রতি খেয়াল পরেছে।ছোট ভাইকে জিঙ্গেস করায় সে বললো'ভাইয়্যা ঘুমাইতেছে!সারা রাত জাইগা নাটক কইরা আইছে,তাই দোকানে আসে নাই।আর কোথায় যাই বলুন?আব্বা এমনিতেই প্রচন্ড রাগি মানুষ, দে্ৗড়ে বাড়ি গিয়ে ভিষন ভাবে আমাকে উত্তম মাধ্যম দিলেন।ঘুমিয়েছিলাম বলেই তখন দৌড়ে ভাগতে পারিনী।

লেখা পড়া ভাল হচ্ছিলো না,তাই জোড়করেই আমাকে একটি ক্লিনিং কুম্পানিতে বিদেশ পাঠিয়ে দিলেন ৫ই মে ১৯৯০ইং সনে।কুম্পানির নাম আল-মাওয়ারিদ।সেখানে এসে কতই না বিপদ!মিনাতে ডিউটি দিলেন সামনে হাজ্জ।একটা কালো কিচ ধরিয়ে দিয়ে ইশারায় বুঝিয়ে দিলেন গরু ছাগলের হাড্ডিগুড্ডিসহ ময়লা আবর্জনা তুলতে।আমি কিচটি হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছি দুই চোখের পানি অঝরে ঝরছে।আমার অবস্থা দেখে এক সুদানি লোক এগিয়ে এসে হাত ধরে তার সাথে নিয়ে গেলেন।তিনি ওয়েল্ডার ছিলেন তার হেল্পার হিসেবে হ্জ্জ পর্যন্ত কাজ করলাম।সে অনেক কথা,বাতরুম সাফকরা থেকে অফিসবয় তারপর সুপারভাইজরের দায়িত্বও পালন করেছি।

মক্কানগরীর দক্ষিণ কোনে আল-মাওয়ারিদ ক্যাম্পটি শহর থেকে খুব বেশি দুরে নয়।এক সুন্দর মনোরুম পরিবেশ হাজার হাজার বাংলাদেশি সেখানে অবস্থান করছে।মনে হয় বাংলাদেশের একটি কলনি। খেলার মাঠসহ চিত্ববিনোদনের সবকিছুই রয়েছে।রাতে ক্যাম্পের ভিতরে দোকান বসে সেখানে সবকিছুই পাওয়া যায়।প্রায় রাতেই মুর্শিদী বাওলাগানের আসরও বসে।আমার রুমমেট আবার মেহেদীহাসানের খুব ভক্তছিলেন তার গাওয়া গজলই তিনি বেশি গাইতেন।আমি তাকে মজাককরে বলতাম ভাই আপনার কন্ঠ সত্যি মেহদীহাসানের মতই মাশাল্লাহ।তিনি আমার প্রতি অত্যান্ত খুশিছিলেন।তিনি আমাকে ছাড়া কিছুই খেতেন না।অনেক অনুরুধের পর এক রাতে আমি পাগল বাচ্চুর গাওয়া কয়েকটি বিচ্ছেদ গান গাইলাম।এর পর থেকে গানের আসরের নিয়মিত শিল্পি হয়েগেলাম।মক্কা নগরীর এক নিভৃত স্থানে এভাবেই সময় পারহতে লাগলো এক দিন ডিউটি অবস্থায় এক লোকের সাথে পরিচয় হলো বাড়ি রাজশাহী নাম আসলাম শরীফ।খুবই মায়াবী সূদর্শণ যুবক!মূখে কালো কুচকুচে দাড়ি হাস্যজ্বল চেহেরা প্রথম দেখায়ই বন্ধূত্বপূর্ণসম্পর্ক হয়েগেল।তিনি একদিন রাতে বাদ এশা আমাকে এক অনুষ্ঠানে নিয়ে গেলন।অনুষ্ঠানটি ছিল একটি বিতর্ক অনুষ্ঠান।স্কুলজীবনে অনেক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশনিয়েছি।

যেমনঃ বিজ্ঞান আর্শিবাদ না অভিশাপ?দেশের উন্নয়নে বেশি ভুমিকা রাখে গ্রাম না শহর ইত্যাদী। এখানে যে বিতর্কটি চলছিলো তা রিতিমত অবাক করার মত।বিষয়টি ছিলো-জামায়তে ইসলামীর তিন দফা দাওয়াতের প্রথম দফা দাওয়াতই ইসলামের পূর্ণাঙ্গ দাওয়াত!এর পক্ষে বিপক্ষ তুমুল যুক্তিতর্ক যা ছিল কুরান হাদিসের রেফারেন্সে সমৃদ্ধ।আমি তনময় হয়ে অবলোকন করছিলাম,হারিয়ে গিয়েছিলাম অন্যএক জগতে যা ছিল আমার জন্য বিস্ময়কর এবং অভিনব।এখান থেকেই আমি প্রথম উপলুব্ধিকরলাম তাবলিগ জামায়াত যে দাওয়াত মানুষের দারে দারে পৌছে দিচ্ছে তা জামায়াতে ইষলামীর তিনদফা দাওয়াতের প্রথম দফা দাওয়াত।আমি নিজেও কয়েকবার ছিল্লায় গিয়েছি তাই বিষয়টি অনুধাপন আমার জন্য সহজ হয়েছিলো।আমি ঐ প্রসংগে যাচ্ছিনা!এর পর এদের এক ঈদপূণমির্লণীতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশনিলাম।সেখানে একটি একাংকিকায় অভিনয়করে দর্শকশ্রুতাদের দৃষ্টিকেড়েছিলাম।এরপর সেখানকার সাংস্কৃতিমনা যেকজন ভাই আমাকে উত্সাহ যোগিয়েছিলেন তাদের কয়েকজনকে আমি কখনো ভুলতেপারবোনা।তাদের উত্সাহ ও সাহস আমাকে অন্ততো ইসলামী সংস্কৃতি আন্দোলেনর প্রথমসিড়িতে পদার্পনকরার সুযোগকরে দিয়েছে।বিশেষকরে খুলনার জনাব মুস্তফাকামাল,গাজীপুরের সালেহআকবর কুমিল্লার আবুলকাশেম ভূইয়াঁ ভাই।জেদ্দায় আসার পর যারা আমাকে এ আন্দোলনে ভুমিকা রাখায় সহযোগিতা ও পরামর্শদিয়ে ঋনী করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পঞ্চগড়ের জনাব শাহিদুল ইসলাম সাহেব যিনি অনেকদিন পূর্বে রেডিও তেহেরানের সংবাদপাঠকছিলেন এখনো তিনি জেদ্দা রেডিওতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করে থাকেন।রেডিও জেদ্দার বাংলাবিভাগের মহাপরিচালক জনাব এন এম সিরাজুল ইসলাম সাহেব তিনিও বিভিন্ন ভাবে উত্সাহ দিতেন এখনো দেন।তিনি একজন প্রসিদ্ধঅনুবাদক,তিনি আরবিভাষার অনেকগুলি বই বাংলায় অনুবাদকরে খ্যাতিকুড়িয়েছেন এবংপাঠকদের চিত্বহরনকরেছেন।তার অনুবাদিত কিতাবসুমহের মধ্যে অন্যতম হলো মক্কা-মদীনার ইতিকথা মসজিদুল আকসার ইতিকথা রাসুলুল্লাহা নামায,রমযানের তিরিশ শিক্ষা ইত্যাদী।আরও রয়েছেন মতিউর রহামান খান ভাই যিনি শব্দার্থসহ কুরানের শেষের দিকের সুরাগুলোর বঙ্গানুবাদ করেছেন।পরবর্তী সময়

আমার অতি কাছে থেকে যিনি সাংস্কৃতি অঙ্গনে চলতে বেশি সহযোগিতা করেছেন পথচলায় প্রতিপদে হাতধরে হুচটখাওয়া থেকে দাড়ানোর হিম্মত যুগিয়েছেন তিনি হলেন মরহুম মাওলানা শিফাতুল্লাহ সাহেবের জেষ্ঠপুত্র জনাব আব্দুল্লাহ আল ফারুক সাহেব।তিনি আমার লেখা অনেকগুলো গানের সূরকরেছেন যা ভবিশ্যতে সিডি এলবাম বের করার পরিকল্পণা রয়েছে।তিনি আমার কয়েকটি গল্পের এবং অনেকগুলো লেখার সম্পদনা করেছেন।আমার বানানের খেত্রে অনেক দুর্বলতা ও ত্রুটি রয়েই গেছে এজন্য জনাব শাহিদুল ইসলাম ভাইয়ের অনেক কড়া কথাও শোনেছি এখনো উ-কার ঊ-কার ও-কার ই-কার ঈ-কার এমনকি র ড় স শ নিয়েও সমস্যা হয়ে যায়।

সবচাইতে মজার বিষয় হলো মক্কায় ছোট ছোট কমেডি নাটক করেছি এবং কমেডি স্টাইলে গীতিনাট্য লেখেছিলেন সালেহ আহম্মদ ভাই-নাটকটির নামছিল চাচাভাতিজার ঢাকায় সফর।আমি চাচার অভিনয় করেছিলাম এবং দর্শকদেরএতটা প্রিয় হয়েগিয়েছিলাম যা বুঝাতে পারবোনা।তখন থেকেই উপলুব্ধিকরতাম দেশে অভিনেতা অভিনেত্রিদের এতকদর কেন?

১৯৯৪ইংএর প্রথমদিকে মক্কা থেকে জেদ্দায় আসার পর দেখি এখানেও আমার প্রতি এদের ভালবাসা এবং সহযোগিতার কমতি নেই।এরাও প্রতিবছর ঈদ পূণমির্লণীসহ বিভিন্ন ওকেশানে সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান করে থাকেন।আমার সর্ম্পকে তারা আগে থেকেই জানতেন তাই যে কোন অনুষ্ঠানের কয়েকমাস আগেই একটা থিম দিয়ে বলতেন ভাই একটি নাটক লিখে ফেলেন।আমি চরমউত্সাহ আর উদ্দিপণা নিয়ে ডিউটির ফাঁকে ফাঁকে নাটক লিখে ফেলতাম।প্রথম দিকে জনাব আলতাব হোসেন ভাই দুএকটি নাটক লিখেছিলেন আমিও তাকে সহযোগিতা করেছি এবং তারলিখা নাটকে অভিনয়ও কেরেছি।একবছর একটি ঈদপূণমির্লণী অনুষ্ঠানে দেশথেকে একজন মেহমান এসেছেন তিনি আমাদের আব্দুলকাদের মোল্লা ভাই,সে বছর যে নাটকটি লিখেছিলাম নাম ছিল সত্যসন্ধানী"আমরা সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের শেষে নাটক উপস্থাপন করতাম।তারপর প্রধান অতিথি ও সভাপতির বক্তব্য এবং নৈশভূজের পর অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটতো।মোল্লাভাই তার বক্তব্যের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করেছেন যা আমাকে যেমন উত্সাহিত করেছে তেমনি শ্রুতাদের নাটক তথা ইসলামি সাংস্কৃতির প্রতি আকৃষ্ট করেছে।তিনি বলেন সংস্কৃতি একটি জাতির চিন্তাচেতনাকে ধারনকরে তা যে কোন ধর্মীয় গুষ্টি হোকনা কেন?কোন জাতীর চিন্তাচেতনাকে পরিবর্তন করা বা সে জাতিকেস্বমূলে ধংসকরতে হলে আগে সে জাতির সংস্কৃতিকে বিলুপ্তকরা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই,ইসলামের দূষমনেরা তাই সুপরিকল্পিত ভা্বেই ইসলামী সংস্কৃতিকে ধ্বংসকরতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চলছে।সংস্কৃতি কোন ভাষা নয় কোন ধর্মও নয় তবে ধর্মীয় চিন্তাচেতনা তার মাধ্যম এবং কর্ম দারা প্রকাশ পায়।বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইসলামী সংস্কৃতিকে আমাদেরকে জীবনে ধারনকরে এর অগ্রযাত্রা অব্যাহহত রাখতে হবে নইলে অপসংস্কৃতির করালগ্রাসে ইসলামের হাজার বছরের ইতিহাস ঐতিহ্য ধ্বংস হয়ে যাবে।তবে খেয়াল রাখতে হবে অপসংস্কৃতির প্রত্যেকটি বিভাগের উপর আমাদের আঘাত হানতে হবে উত্তম ও উত্কৃষ্ট বিষয় বস্তু উপস্থাপন করে।যারা এবিষয় নিয়ে কাজ করবেন তাদের বেশি বেশি গবেষনা করতে হবে এবং নতুন সৃষ্টির উল্যাশে পাগলহতে হবে।আমাদের সমাজে অধিকাংশ আলেম সমাজইসলামী নাটকেরও বিরুধিতাকরেন।আমি তাদেরকে নতুন করে ভাবতে অনুরুধ করছি এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদীস!হাদীসে জিব্রিঈলের বিষয়টি অনুধাপন করতে বলছি।

নাটক অর্থহচ্ছে অভিনয়,অভিনয়ের মাধ্যমে কোন বিষয় স্পষ্টকরা অর্থাত কোন একটা মেসেজ মানুষের নিকট উপস্থাপন করা।হাদিসে জিব্রিইলের বিষয়টি ছিল তেমনী।রাসুল সঃ সাহাবীদের সাথে বসেছিলেন!দেখা গেল একটি লম্বা সরু এবং কালো ঘন চুল বিশিষ্ট লোক রাসুল সঃ এর কাছে এসে উরুর সাথে উরু লাগিয়ে বসলেন'তার মধ্যে সফরের কোন চিন্হ ছিলনা।লোকটি রাসুল সঃ কে প্রশ্ন করলেন'দ্বীন কি?তিনি জবাব দিলেন-দ্বীন হচ্ছে আল্লাহকে একমাত্র ইলাহ মানা রাসুলের প্রতি আখারাতের প্রতি ঈমান আনা তিনি বললেন ঠিক বলেছেন।দ্বিতীয় প্রশ্নটি করলেন ইহ্সান কি?রাসুল সঃ জবাব দিলেন'ইহ্সান হলো সকল সময় আল্লহকে হাজির নাজির জানা অর্থা্ত মনে করতে হবে তুমি আল্লাহকে না দেখলেও তিঁনি তোমাকে দেখছেন তিনি বললেন ঠিক বলেছেন!তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল কিয়ামত কখন সংঘঠিত হবে?তিনি জবাব দিলেন এ সম্পর্কে প্রশ্নকারীর চেয়ে উ্ত্তর দানকারী বেশিকিছু জানেনা।এরপর তিনি সভাথেকে প্রস্থান করলেন।নাবীজী সবাইকে প্রশ্নকরলেন তোমরা কি লোকটিকে চিনতে পেরেছো?সাহাবায়কেরাম সমস্বরে জবাব দিলেন না!রাসুল সঃ বললেন'তিনি ছিলেন জিব্রিইল আঃ তোমাদের দ্বীন শিক্ষাদিতে এসেছিলেন।হাদিসটি পূর্বেও কয়েকবার পড়েছি এমন করে চিন্তাকরিনী।মোল্লা ভাইয়ের মুখে হাদিস শোনে এবং চিন্তাকরে দেখলাম এটি তো সত্যিকারার্থে অভিনয়ই ছিল!কারন প্রশ্নকারী নিজেই উত্তর শোনে বলছেন আপনি ঠিক বলেনছেন"তারমানে হলো এর উত্তর তিনি আগেই জানেন।এবং শেষে রাসুঃ সাঃ বললেন তিনি তোমাদের ইসলাম শিখাতে এসেছিলেন।আমি যতটুকুন বুঝতে পেরেছি তা হলো আল্লাহ বিশ্বজাহানের সবকিছু মানুষের কল্যাণের জন্যই সৃষ্টিকরেছেন মানুষকে মেধা যুগ্যতা সৃজনশিলতা সবই মানুষকে দানকরেছেন তাদের উপকারের জন্য এবং বিশ্বজাহানকে সুন্দরকরে সাজানোর জন্য আর এসব করতে হবে ইসলামের সিমারেখার মধ্যে ধেকে তাহলে এসব কিছুই হবে ইবাদেতের মধ্যে সামিল।অপসংস্কৃতির মুকাবেলায় ইসলামী সংস্কৃতি চর্চাও ইবাদত।আশাকরি পাঠকেদের বিষয়টি স্পষ্টকরতে পেরেছি।ইসলামী সংস্কৃতি আন্দোলনের প্রত্যক কর্মীরই উচিত নতুনদের জন্য সুযোগ সৃষ্টিকরে দেয়া।এই জিনিষটির বড়ই অভাব লক্ষ্যকরেছি।আমাদের মত নতুনদের লেখা আমাদের পত্রপত্রিকা গুলিতেই স্থানপায়না যে পত্রপত্রিকা গুলো ইসলামের প্রতিনিধিত্ত্বকরেথাকে।আমি অনেক ইসলামী ব্যক্তিত্ত্বসম্পন্ন লোকের কাছেগিয়ে অনেক বিষয়েই সহযোগিতা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছি যা ইসলামী সংস্কৃতি আন্দোলনের জন্য কাম্য নয়।যারা প্রতিষ্ঠিত তাদেরকে কদরকরতে নিষেধকরা মূর্খতা!তবে নতুনদের জন্য একটা সুযোগ সৃষ্টিকরা অত্যাবশক।বিভিন্ন ওয়াকেশানে সাহিত্য ম্যগাজিন প্রকাশকরা এবং মাসিক ত্রৈমাসিক অথবা ষান্মাসিক হলেও এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরী।সম্ভবহলে ওয়েবসাইটে লেখালেখির সুযোগ সৃষ্টিকরে দেয়া।এ ক্ষেত্রে আমি একটি দুটি ওয়েবসাইটের প্রশংসা নাকরে পারছি না যার মধ্যে একটি হলো-সোনার বাংলাদেশ ডটকম এবং আর একটি ইসলামী বি ডি নেট।সোনার বাংলা ব্লগ নামে ওয়েবসাইটি নতুন লেখকদের জন্য একটি অভিনব প্লাটফরমই নয় সেতুবন্ধনও বটে।এমন আরও কিছূ ওয়েবসাইটের আশুপ্রয়োজন যা ইসলামপ্রিয় মানুষের সাহিত্যচর্চার পথকে সুগম করবে এবং ইসলামী সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সুদুরপ্রসারি ফল বয়ে আনবে।

একাজ অবশ্য একটু কষ্টসাধ্য!আমরা প্রবাসে এই জেদ্দা নগরীতে ২০০০ইং সনের দিকে জনাব সাহিদুল ইসলাম ভাইয়ের সম্পাদনায় একটি সাহিত্য সাময়িকী বেরকরার উদ্যোগ নিয়েছিলাম।এই প্রবাসে শত ব্যস্তততার কারনে নিয়মিত চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নী।আমাদের গাফেলতা যে নেই তা বলবো না।তবে একযোগ পরে হলেও আবার প্রয়াস চালানো হচ্ছে শোনে ভাল লাগছে।যারা সলামকে ভালবাসি,ইসলামী সংস্কুতি বিকাশে ভুমিকা রাখতে চাই এবং নিজের জীবনে ইসলামের নির্মল শান্তির প্রবাহ দেখতে চাই!আসুন তারা সবাই একই লখ্যে সমবেত আমরন প্রয়াস চালাই!পরিশেষে এই আশাবাদ ব্যক্তকরতে চাই-আল্লাম ইকবালের সেই কবিতার পংতিগুলো হোক আমাদের সকলের জন্য হোক আলোকবর্তিকা"

নহে সমাপ্ত কর্ম তোমার

অবসর কোথা বিশ্রামের?

উজ্জল হয়ে ফোটেনি আজ্ও

সুবিমল জ্যোতি ইসলামের!

বিষয়: সাহিত্য

১৬৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File