হেফাজতে ইসলাম আল্লাহর পক্ষ এবং হেফাজতে আওয়ামীলীগ তাগুতের পক্ষ!আপনি সিদ্ধান্ত নিন আপনি কোন পক্ষ নিবেন??
লিখেছেন লিখেছেন রাইস উদ্দিন ০৫ এপ্রিল, ২০১৩, ০৩:০০:৫৬ দুপুর
গুত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলোঃ- “সীমালঙ্ঘনকারী” “পথভ্রষ্টকারী” বা “বাতিল উপাস্য”।
শরী‘আতের পরিভাষায়ঃ- একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত অন্য যা কিছুর উপাসনা করা হয়, সে সবকে তাগুত বলা হয়।
তাগুতকে অস্বীকার করার অর্থ হলোঃ- ‘‘আল্লাহ ভিন্ন সকল উপাস্য বাতিল, আর ‘আল্লাহ্ই হলেন একমাত্র সত্য ও সত্যিকার উপাস্য” এই বিশ্বাস অন্তরে দৃঢ়ভাবে পোষণ করা, সাথে সাথে সকল বাতিল উপাস্যের (যেমন: মূর্তি, প্রতিমা, দেব-দেবী, জিন, মানুষ, গাছ, পাথর, আগুন, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদির) উপাসনা ও তাদের উপাসনাকারীদেরকে পুরোপুরি বর্জন করে সে সব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও নিরাপদ দূরে থাকা। কেননা ক্বোরআনে ‘আযীমে আল্লাহ ইরশাদ করেছন:-
فمن يكفر بالطاغوت ويؤمن الله فقد استمسك بالعروة الوثقي لا انفصام لها)البقرة-٢٥٦)
অর্থাৎ:- যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় রজ্জু যা ছিন্ন হওয়ার নয়। (ছূরা আল বাক্বারাহ ২৫৬)
অন্য আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছন:-
ولقد بعثنا في كل أمة رسولا أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت. ( النحل-٣٦)
অর্থাৎ:- আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাছূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহ্র ‘ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে দূরে থাকো। (ছূরা আননাহল-৩৬)
যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত যা কিছুর উপাসনা করা হয়, সে সকল উপাস্যকে বাতিল বলে অস্বীকার না করবে এবং আল্লাহ্কে একমাত্র সত্য ও সত্যিকার উপাস্য বলে বিশ্বাস ও স্বীকার না করবে, এবং বাতিল উপাস্যসমূহের উপাসনাকারীদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন না করবে, সে মুছলমান বলে গণ্য হবে না।
মুছলমান হতে হলে অবশ্যই এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, আল্লাহ্ই হলেন ‘ইবাদত বা উপাসনার একমাত্র যোগ্য ও হক্বদার। তাগুত তথা জিন, দেব-দেবী, প্রতিমা এবং
আল্লাহ ব্যতীত যে নিজেকে উপাস্য বলে দাবি করে কিংবা নিজের উপাসনা করার প্রতি মানুষকে আহবান জানায়, অথবা নিজে উপাস্য হতে পছন্দ করে বা উপাস্য হওয়াতে সন্তুষ্টিবোধ করে, সেসব কিছুই হলো তাগুত তথা বাতিল উপাস্য এবং এগুলোর উপাসনা হলো বাতিল উপাসনা।
তাই প্রত্যেক মানুষের জন্য এসব বাতিল উপাস্যকে অস্বীকার করা, তাদের উপাসনা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা এবং যারা এসব বাতিল উপাস্যের উপাসনা করে তাদের থেকেও নিরাপদ দূরে থাকা অত্যাবশ্যক।
শরী‘আতের পরিভাষা অনুযায়ী মূর্তি, দেব-দেবী, গাছ, পাথর, জিন, আগুন, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি যা কিছুর উপাসনা করা হয় এগুলো যেমন তাগুত তথা বাতিল উপাস্য, তেমনি মানুষের মধ্যে যারা নিজেকে উপাস্য বলে দাবি করে কিংবা যে ব্যক্তি লোকজনকে তার ‘ইবাদত করার বা তাকে পূজো করার জন্য আহবান জানায় অথবা নিজে উপাস্য হওয়া পছন্দ করে বা তাতে সন্তুষ্টিবোধ করে, তারাও হলো তাগুত।এই দৃষ্টকিোন থেকে বলাযায় যারা ইসলাম ছাড়া বাতিল যে কোন আর্দশের অনুসরন করার আহ্বান জানায় তারাও তাগুত। আমার দৃষ্টিতে ইসলাম বিরুধী সরকার ও তাগুত।অতএব যারা তাদের পক্ষে কাজ করবে তাদের সর্মথন করবে তারাই তাগুতের পক্ষ।যারা তাদের থেকে দুরেই থাকবেনা তাদের মূলউটপাটনে কাজ করবে তার আল্লাহর পক্ষ।আজ আমরা দেখতে পাই সমাজে দুটি দল একটি তাগুতী অপরটি ইসলামী।তথাকথিত ইসলামী দলের সবাই তাগুতীবলে গন্য হবে যদি কিনা তার শাহবাগীদের অথবা হেফাজতে আওয়ামীগের পক্ষ অবলম্বন করে
রাত পোহালেই লংমার্চ! মোকাবিলায় সরকারের হরতালসহ নানা তৎপরতা সরকারে জন্য সঙ্কা উদ্বেগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা ঢাকামুখী লংমার্চ। ১৩ দফা দাবিতে ডাকা এই লংমার্চ এখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আজ শুক্রবারে দিবাগত রাত পোহালেই ৬ এপ্রিলের লংমার্চ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় এসে মিলিত হবে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি আর দফায় দফায় বৈঠক করছেন আয়োজকরা। ইতোমধ্যে লংমার্চের প্রধান উদ্যোক্তা সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী অগ্রবর্তী দল নিয়ে ঢাকায়।
এদিকে লংমার্চ ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার তার শরীকদের নিয়ে নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। চালানো হচ্ছে অপপ্রচারও। সরকার ও তার দোসররা লংমার্চ ঠেকাতে অতি তৎপর। কতিপয় সংগঠন লংমার্চের দিন শনিবার দেশজুড়ে হরতাল ডেকেছে। এ হরতালের শুরু হবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা হতে। এই হরতাল ডাকার উদ্দেশ্য হচ্ছে, লংমার্চ নিয়ে যেন আয়োজকরা ঢাকায় আসতে না পারে। তা ছাড়া পথে পথে বাধা দেয়ারও আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আয়োজকদের পক্ষ হতে দাবি করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেন কোনো যানবাহন আসতে না পারে সে জন্য পরিবহন মালিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া লংমার্চের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গান ও ম্যাকানিজম। এসব সত্ত্বেও আয়োজকরা বলছেন, লংমার্চকে যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই অবরোধ। আর রোববার থেকে লাগাতার ঢাকা অবরোধ।
হেফাজতে ইসলামের ডাকে আগামীকাল ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যতই লংমার্চের ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে ততই এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অস্থিরতা বাড়ছে। সাধারণ মানুষসহ সব মহলে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের আলোচনায় এখন লংমার্চের কর্মসূচি। ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তিকারী ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে ঘোষিত এ লংমার্চকে উদ্যোক্তারা অরাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ১৮ দলীয় জোটসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন একে সমর্থন দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে জামায়াতে ইসলামীর মদদে হেফাজতে ইসলাম লংমার্চের নামে মাঠে নেমেছে। এ নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর চট্টগ্রামের আল্লামা আহমদ শফির সঙ্গে যোগাযোগ করে লংমার্চ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু লংমার্চ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনড় রয়েছেন উদ্যোক্তারা। তারা দফায় দফায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রস্তুতি বৈঠক, ঢাকায় মিছিল, সমাবেশ ও সিলেটে ‘শহিদী কাফেলা’ গঠন করেছে। লংমার্চ থেকে বিরত রাখতে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সরকারি দলের নেতা, মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও গত রাত পর্যন্ত লংমার্চ স্থগিতের কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাতে গণভবনে কওমী মাদরাসার শীর্ষস্থানীয় ওলামায়েকেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লংমার্চ শান্তিপূর্ণ হলে কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না। তবে সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারের এসব তৎপরতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না হেফাজতে ইসলাম। তারা লংমার্চে সারা দেশ থেকে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে। গতকাল মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
প্রস্তুতি : হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখী লংমার্চে বিপুল লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লংমার্চে চট্টগ্রাম থেকে সহস্রাধিক গাড়ির বিশাল বহর থাকবে বলে সংগঠন সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনে করেও হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা ঢাকায় পৌঁছবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করবে লংমার্চের প্রথম দলটি। হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর-দক্ষিণ জেলা ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক ওলামা-মাশায়েখসহ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ হেফাজতের কাফেলায় অংশ নেবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। এদিকে হেফাজতে ইসলামের নেতারা ঢাকা ও হাটহাজারীতে লংমার্চ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন। লংমার্চ সুষ্ঠুভাবে ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন সরকারের পক্ষ থেকে লংমার্চকে ঢাকায় পৌঁছতে দেয়া হবে না। এ জন্য তারা আগ থেকেই ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানেই বাধা সেখানেই প্রতিরোধ। লংমার্চের কাফেলা ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকায় পৌঁছানোর টার্গেট রয়েছে তাদের। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি লংমার্চ উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে থাকছে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটি, বিশাল বহরের লোকজনের খাওয়া, তাদের ঢাকায় অবস্থান এবং আবার ফিরে আসার ব্যাপারেও প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৌহিদী জনতার যে গণজাগরণ দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে তা কেউ রুখতে পারবে না।
গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)’র পক্ষ হতে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ করার অনুমতি প্রদানের পর লংমার্চের আয়োজকরা যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করছেন। সুবিশাল মঞ্চ তৈরিও শতাধিক মাইক লাগানোর কাজ শুরু হবে আজ শুক্রবার। পুলিশের পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা পুলিশের সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে এলিট ফোর্স র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। লংমার্চ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও নৌপথে ঢাকায় পৌঁছবে কাল সকালের মধ্যেইÑ জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা জানান পুলিশ তাদের কাল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মতিঝিলে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করেছে।
আয়োজকরা গতকাল রাজনীতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, কাল শনিবারের হরতাল প্রত্যাহার করা না হলে রোববার থেকে লাগাতার হরতাল-অবরোধ। এ ধরনের হুমকির মুখেই সরকারের টনক নড়ে এবং পুলিশ সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করে।
লংমার্চ ঠেকানোর তৎপরতা : লংমার্চ ঠেকাতে সরকারের ভেতর ও বাহির হতে বিভিন্নমুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। সরকার লংমার্চকে সরকারি বাধা না দিয়ে বিকল্পভাবে বাধা দিচ্ছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠন, ১৪ দলীয় মহাজোটের শরীক দল ইতোমধ্যে লংমার্চ ঠেকানের হুমকি দিয়েছে। তারা বলছে নাশকতা হলে প্রতিরোধ। তবে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির এরশাদ লংমার্চকে সমর্থন দিয়ে লংমার্চের খেদমতে তার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সরকারের শরীক বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লংমার্চ প্রত্যাহারের অহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের পক্ষ হতে অভিযোগ করা হয়েছে, লংমার্চ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা লংমার্চের কাফেলার পরিবহন না সরবরাহ করেন। এছাড়া সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিভিন্নভাবে লংমার্চ ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন লংমার্চকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। তাছাড়া রাজধানীর শাহবাগে শনিবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে কথিত গণজাগরণ মঞ্চ যার নব্য নাম হেফাজতে আওয়ামীলীগ।তাগুত শব্দের আভিধানিক অর্থ হলোঃ- “সীমালঙ্ঘনকারী” “পথভ্রষ্টকারী” বা “বাতিল উপাস্য”।
শরী‘আতের পরিভাষায়ঃ- একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত অন্য যা কিছুর উপাসনা করা হয়, সে সবকে তাগুত বলা হয়।
তাগুতকে অস্বীকার করার অর্থ হলোঃ- ‘‘আল্লাহ ভিন্ন সকল উপাস্য বাতিল, আর ‘আল্লাহ্ই হলেন একমাত্র সত্য ও সত্যিকার উপাস্য” এই বিশ্বাস অন্তরে দৃঢ়ভাবে পোষণ করা, সাথে সাথে সকল বাতিল উপাস্যের (যেমন: মূর্তি, প্রতিমা, দেব-দেবী, জিন, মানুষ, গাছ, পাথর, আগুন, চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদির) উপাসনা ও তাদের উপাসনাকারীদেরকে পুরোপুরি বর্জন করে সে সব থেকে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত ও নিরাপদ দূরে থাকা। কেননা ক্বোরআনে ‘আযীমে আল্লাহ ইরশাদ করেছন:-
فمن يكفر بالطاغوت ويؤمن الله فقد استمسك بالعروة الوثقي لا انفصام لها)البقرة-٢٥٦)
অর্থাৎ:- যে ব্যক্তি তাগুতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্তে বিশ্বাস স্থাপন করে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় রজ্জু যা ছিন্ন হওয়ার নয়। (ছূরা আল বাক্বারাহ ২৫৬)
অন্য আয়াতে আল্লাহ ইরশাদ করেছন:-
ولقد بعثنا في كل أمة رسولا أن اعبدوا الله واجتنبوا الطاغوت. ( النحل-٣٦)
অর্থাৎ:- আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাছূল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহ্র ‘ইবাদত করো এবং তাগুত থেকে দূরে থাকো। (ছূরা আননাহল-৩৬)
যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত যা কিছুর উপাসনা করা হয়, সে সকল উপাস্যকে বাতিল বলে অস্বীকার না করবে এবং আল্লাহ্কে একমাত্র সত্য ও সত্যিকার উপাস্য বলে বিশ্বাস ও স্বীকার না করবে, এবং বাতিল উপাস্যসমূহের উপাসনাকারীদের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন না করবে, সে মুছলমান বলে গণ্য হবে না।
মুছলমান হতে হলে অবশ্যই এই বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, আল্লাহ্ই হলেন ‘ইবাদত বা উপাসনার একমাত্র যোগ্য ও হক্বদার। তাগুত তথা জিন, দেব-দেবী, প্রতিমা এবং
আল্লাহ ব্যতীত যে নিজেকে উপাস্য বলে দাবি করে কিংবা নিজের উপাসনা করার প্রতি মানুষকে আহবান জানায়, অথবা নিজে উপাস্য হতে পছন্দ করে বা উপাস্য হওয়াতে সন্তুষ্টিবোধ করে, সেসব কিছুই হলো তাগুত তথা বাতিল উপাস্য এবং এগুলোর উপাসনা হলো বাতিল উপাসনা।
তাই প্রত্যেক মানুষের জন্য এসব বাতিল উপাস্যকে অস্বীকার করা, তাদের উপাসনা থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকা এবং যারা এসব বাতিল উপাস্যের উপাসনা করে তাদের থেকেও নিরাপদ দূরে থাকা অত্যাবশ্যক।
শরী‘আতের পরিভাষা অনুযায়ী মূর্তি, দেব-দেবী, গাছ, পাথর, জিন, আগুন, চন্দ্র, সূর্য ইত্যাদি যা কিছুর উপাসনা করা হয় এগুলো যেমন তাগুত তথা বাতিল উপাস্য, তেমনি মানুষের মধ্যে যারা নিজেকে উপাস্য বলে দাবি করে কিংবা যে ব্যক্তি লোকজনকে তার ‘ইবাদত করার বা তাকে পূজো করার জন্য আহবান জানায় অথবা নিজে উপাস্য হওয়া পছন্দ করে বা তাতে সন্তুষ্টিবোধ করে, তারাও হলো তাগুত।এই দৃষ্টকিোন থেকে বলাযায় যারা ইসলাম ছাড়া বাতিল যে কোন আর্দশের অনুসরন করার আহ্বান জানায় তারাও তাগুত। আমার দৃষ্টিতে ইসলাম বিরুধী সরকার ও তাগুত।অতএব যারা তাদের পক্ষে কাজ করবে তাদের সর্মথন করবে তারাই তাগুতের পক্ষ।যারা তাদের থেকে দুরেই থাকবেনা তাদের মূলউটপাটনে কাজ করবে তার আল্লাহর পক্ষ।আজ আমরা দেখতে পাই সমাজে দুটি দল একটি তাগুতী অপরটি ইসলামী।তথাকথিত ইসলামী দলের সবাই তাগুতীবলে গন্য হবে যদি কিনা তার শাহবাগীদের অথবা হেফাজতে আওয়ামীগের পক্ষ অবলম্বন করে
রাত পোহালেই লংমার্চ! মোকাবিলায় সরকারের হরতালসহ নানা তৎপরতা সরকারে জন্য সঙ্কা উদ্বেগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে।
হেফাজতে ইসলামের ডাকা ঢাকামুখী লংমার্চ। ১৩ দফা দাবিতে ডাকা এই লংমার্চ এখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। আজ শুক্রবারে দিবাগত রাত পোহালেই ৬ এপ্রিলের লংমার্চ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকায় এসে মিলিত হবে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি আর দফায় দফায় বৈঠক করছেন আয়োজকরা। ইতোমধ্যে লংমার্চের প্রধান উদ্যোক্তা সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফী অগ্রবর্তী দল নিয়ে ঢাকায়।
এদিকে লংমার্চ ঠেকাতে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার তার শরীকদের নিয়ে নানামুখী তৎপরতা চালিয়ে আসছে। চালানো হচ্ছে অপপ্রচারও। সরকার ও তার দোসররা লংমার্চ ঠেকাতে অতি তৎপর। কতিপয় সংগঠন লংমার্চের দিন শনিবার দেশজুড়ে হরতাল ডেকেছে। এ হরতালের শুরু হবে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা হতে। এই হরতাল ডাকার উদ্দেশ্য হচ্ছে, লংমার্চ নিয়ে যেন আয়োজকরা ঢাকায় আসতে না পারে। তা ছাড়া পথে পথে বাধা দেয়ারও আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আয়োজকদের পক্ষ হতে দাবি করা হয়েছে, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেন কোনো যানবাহন আসতে না পারে সে জন্য পরিবহন মালিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে। এছাড়া লংমার্চের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গান ও ম্যাকানিজম। এসব সত্ত্বেও আয়োজকরা বলছেন, লংমার্চকে যেখানে বাধা দেয়া হবে সেখানেই অবরোধ। আর রোববার থেকে লাগাতার ঢাকা অবরোধ।
হেফাজতে ইসলামের ডাকে আগামীকাল ৬ এপ্রিল ঢাকামুখী লংমার্চ এখন দেশজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। যতই লংমার্চের ক্ষণ ঘনিয়ে আসছে ততই এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে অস্থিরতা বাড়ছে। সাধারণ মানুষসহ সব মহলে বিরাজ করছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। সব শ্রেণী-পেশার মানুষের আলোচনায় এখন লংমার্চের কর্মসূচি। ইসলাম ধর্ম ও মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তিকারী ব্লগারদের শাস্তিসহ ১৩ দফা দাবিতে ঘোষিত এ লংমার্চকে উদ্যোক্তারা অরাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ১৮ দলীয় জোটসহ সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন একে সমর্থন দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে জামায়াতে ইসলামীর মদদে হেফাজতে ইসলাম লংমার্চের নামে মাঠে নেমেছে। এ নিয়ে সরকারের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরকারের একাধিক মন্ত্রী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর চট্টগ্রামের আল্লামা আহমদ শফির সঙ্গে যোগাযোগ করে লংমার্চ থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু লংমার্চ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনড় রয়েছেন উদ্যোক্তারা। তারা দফায় দফায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে প্রস্তুতি বৈঠক, ঢাকায় মিছিল, সমাবেশ ও সিলেটে ‘শহিদী কাফেলা’ গঠন করেছে। লংমার্চ থেকে বিরত রাখতে সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। সরকারি দলের নেতা, মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় হেফাজতে ইসলামের আমীর আল্লামা আহমদ শফির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেও গত রাত পর্যন্ত লংমার্চ স্থগিতের কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রাতে গণভবনে কওমী মাদরাসার শীর্ষস্থানীয় ওলামায়েকেরামদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, লংমার্চ শান্তিপূর্ণ হলে কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হবে না। তবে সহিংসতা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে সরকারের এসব তৎপরতাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না হেফাজতে ইসলাম। তারা লংমার্চে সারা দেশ থেকে ব্যাপক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছে। গতকাল মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
প্রস্তুতি : হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অভিমুখী লংমার্চে বিপুল লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। লংমার্চে চট্টগ্রাম থেকে সহস্রাধিক গাড়ির বিশাল বহর থাকবে বলে সংগঠন সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনে করেও হেফাজতের কর্মী-সমর্থকরা ঢাকায় পৌঁছবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করবে লংমার্চের প্রথম দলটি। হেফাজতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর-দক্ষিণ জেলা ছাড়াও কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি জেলা থেকেও বিপুলসংখ্যক ওলামা-মাশায়েখসহ সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ হেফাজতের কাফেলায় অংশ নেবে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। এদিকে হেফাজতে ইসলামের নেতারা ঢাকা ও হাটহাজারীতে লংমার্চ নিয়ে সার্বিক প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন। লংমার্চ সুষ্ঠুভাবে ঢাকায় পৌঁছানোর ব্যাপারে হেফাজতে ইসলামের নেতাদের মধ্যেও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন সরকারের পক্ষ থেকে লংমার্চকে ঢাকায় পৌঁছতে দেয়া হবে না। এ জন্য তারা আগ থেকেই ঘোষণা দিয়েছেন, যেখানেই বাধা সেখানেই প্রতিরোধ। লংমার্চের কাফেলা ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকায় পৌঁছানোর টার্গেট রয়েছে তাদের। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি লংমার্চ উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে থাকছে শৃঙ্খলা ও স্বেচ্ছাসেবক উপ-কমিটি, বিশাল বহরের লোকজনের খাওয়া, তাদের ঢাকায় অবস্থান এবং আবার ফিরে আসার ব্যাপারেও প্রস্তুতিমূলক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তৌহিদী জনতার যে গণজাগরণ দেশব্যাপী সৃষ্টি হয়েছে তা কেউ রুখতে পারবে না।
গতকাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি)’র পক্ষ হতে রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ করার অনুমতি প্রদানের পর লংমার্চের আয়োজকরা যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু করছেন। সুবিশাল মঞ্চ তৈরিও শতাধিক মাইক লাগানোর কাজ শুরু হবে আজ শুক্রবার। পুলিশের পক্ষ হতে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা পুলিশের সাথে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে এলিট ফোর্স র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), পুলিশের বিশেষ বাহিনী সোয়াত, ডিবি ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। লংমার্চ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও নৌপথে ঢাকায় পৌঁছবে কাল সকালের মধ্যেইÑ জানিয়েছেন আয়োজকরা। তারা জানান পুলিশ তাদের কাল সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মতিঝিলে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করেছে।
আয়োজকরা গতকাল রাজনীতিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন, কাল শনিবারের হরতাল প্রত্যাহার করা না হলে রোববার থেকে লাগাতার হরতাল-অবরোধ। এ ধরনের হুমকির মুখেই সরকারের টনক নড়ে এবং পুলিশ সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করে।
লংমার্চ ঠেকানোর তৎপরতা : লংমার্চ ঠেকাতে সরকারের ভেতর ও বাহির হতে বিভিন্নমুখী তৎপরতা অব্যাহত আছে। সরকার লংমার্চকে সরকারি বাধা না দিয়ে বিকল্পভাবে বাধা দিচ্ছে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ-সংগঠন, ১৪ দলীয় মহাজোটের শরীক দল ইতোমধ্যে লংমার্চ ঠেকানের হুমকি দিয়েছে। তারা বলছে নাশকতা হলে প্রতিরোধ। তবে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির এরশাদ লংমার্চকে সমর্থন দিয়ে লংমার্চের খেদমতে তার কর্মপরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। সরকারের শরীক বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে লংমার্চ প্রত্যাহারের অহ্বান জানিয়েছেন।
আয়োজকদের পক্ষ হতে অভিযোগ করা হয়েছে, লংমার্চ ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন জেলায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের হুমকি দেয়া হচ্ছে যাতে করে তারা লংমার্চের কাফেলার পরিবহন না সরবরাহ করেন। এছাড়া সরকারের একাধিক মন্ত্রী বিভিন্নভাবে লংমার্চ ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়েছেন।
সরকার সমর্থক বিভিন্ন সংগঠন লংমার্চকে কেন্দ্র করে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশজুড়ে ২৪ ঘণ্টার হরতাল ডেকেছে। তাছাড়া রাজধানীর শাহবাগে শনিবার সমাবেশের ডাক দিয়েছে কথিত গণজাগরণ মঞ্চ যার নব্য নাম হেফাজতে আওয়ামীলীগ।
বিষয়: বিবিধ
১৩৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন