"আন্তরিকতা এবং সরলতা যেখানে লুকিয়ে আছে সব ভালবাসা শেখানে"
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৯ মার্চ, ২০১৩, ০৩:৫২:২৫ রাত
"আন্তরিকতা এবং সরলতা যেখানে
লুকিয়ে আছে
সব ভালবাসা শেখানে"
বাংলাদেশের সময় সকাল ৭.৩০ এবং ভারতে সকাল ৭.০০ বিবিসি বাংলার সকালের আয়োজনে সবাইকে সাগ্বতম।খবর হতে হতে কন্ঠ ভেসে আসে বাড়ির দুয়ারে,
নানা আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন? ওয়ালাইকুম সালাম
আরে মিন্টু নাকি?কি খবর দুই দিন থাকি দেখা যাচ্ছে না?তোরা একদিন না আসলেই বাড়িটা মরা মরা লাগে?মানুষের মধ্যে থেকে আন্তরিকতা মরে যাচ্ছ।তোরা খালি আইসেন বূড়া বুড়িকে দেখতে।তোরাও যদি না আইসেন তে ভাল লাগে না।
প্রতিদিন সকালে এই সদা হাস্যরত মিন্টু নামের ৬০ উর্ধ্বে লোকটির আগমন ঘটে তালুকদার বাড়িতে তারা বিবিসি শুনে রাজনীতি অর্থনীতি জমি জমা কত বিষয় আলোচনা চলে
চা মুড়ি খাওয়া দাওয়া করে।
একদা বারান্দার উপর বেঞ্চে বসে আসে মিন্টু নামক ভদ্রলোক।সামনে চেয়ার দুটিতে বসে আছে বৃদ্ধা নানা নানী ।
হঠাত্ বৃদ্ধার ছয় বা সাত বছরে নাতনীর উপস্থিতি।
নাতনী আর মিন্টু ভায়ের কথপকথন
নাতনীঃ মিন্টু ভাই তোরা এত সকালে হামার বাড়িত।
মিন্টু ভাইঃ খবর শুনতে আনু তুই এলেনি ঘুম থেকে উঠল।
নাতনীঃনাহ! কত সকালে উঠছ।বিছনাত বসি বসি খবর শুনতেছিনু।
মিন্টু ভাইঃতুই একনা পুচকি ছইল খবরও শুনিস।
নাতনীঃহ ।বেঞ্চে মিন্টু সাহেব পাশে বসে এসে কথা বলতে বলতেই।
তারপর মিন্টু ভায়ের চায়ের মধ্যে বিস্কুট ভেজায় ভেজায় খাচ্ছে নাতনী।
দাদা ধমক দেয় আরে তোরা আমার চাতে ভিজে ভিজে খাও।মিন্টুক বিরক্ত করেন না।
কে শোনে কার বানী নাতনী আয়েশ করে চাতে ভিজায় খাচ্ছে।
সাথে সাথে মিন্টুভাই বলে উঠলেন।
ছোট মানুষ খায় না হয় কিছু কন না।
খাওয়া শেষ হতেই সেই চা আর বিস্কিট ভেজা ভেজা হাত দিয়ে মিন্টুভায়ের পেটে ঘুতা মারে নাতনী।
দুঃখিত বলতে ত ভুলেই গেছি ঐ মিন্টু সাহেবের ছিল বিশাল আকৃতির ভুরি।
নাতনী যখন মিন্টু ভাইয়ের পেটে ঘুতা মারে আর খিল খিল করে হাসে তখন নাতনীর দাদা ধমক দেয় পুনরায় তোরা মানুষটাকে শান্তি মত চা টাও খাবা দেন না।
নাতনী ত দাদার কথা কানেই তোলে না সে ঘুতা মারে খিল খিল করে হাসে।
দাদার ধমকের প্রতি উত্তরে মিন্টুভাই বললেন,
নানা,দেখ দেখ ফোকলা দাত দিয়ে খিল খিল করে হাসতেছে
তোরা ধমক দেন কেন?
ছোট মানুষ মজা না করলে কি বড় মানুষরা মজা করবে?
কত বিরক্তি না করেছে নাতনী মিন্টু ভাইকে হাসি মুখে কত সহজে মেনে নিয়েছে।
আর এখন ছোটরা একটু বিরক্ত করতেই ধমক আর চড় তাপ্পর দেয় বড়রা।
ছোটদের সবর্দা শাসন দিয়ে শিখানো উচিত নয়।
সহজ পদ্ধতি হচ্ছে প্রথমে ভালবেসে আদর করে শিক্ষা দেওয়া।
{রংপুরের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করলাম}
রাতঃ৩.৩৩
রংপুর
২৯/৩/১৩
বিষয়: বিবিধ
১৩০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন