ইচ্ছামত দিবাস্বপ্ন দেখছি
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৩ মার্চ, ২০১৩, ০৪:৫৭:৪১ বিকাল
বাংলাদেশেকে যতই ইসলামী রাষ্ট্র ঘোষণা দেন না কেন
কোন লাভ নেই।
যতক্ষণ না সর্বসাধারণের মাঝে ইসলামের মৌলিক ধারণা উপস্থাপন সঠিকভাবে করতে পারছেন
ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার ইসলামের প্রতি আবেদন কেউ শুনবেনা।
দুটি সেক্টরে পঁচন ধরে গেছে অনেক আগেই
১.শিক্ষা ক্ষেত্রেও
এবং
২.কালচারাল অঙ্গনেও
জাতি এখন অন্ধত্ব বরণ করছে।ভারত ২০০ সিনেমা হল তৈরি করার ঘোষণা দিয়ে।
বাংলাদেশে এমন কোন সিনেমা হল আছে যেখানে ইসলামিক মুভি,নাটক,ছোটদের শিক্ষামূলক প্রোগ্রাম স্ব পরিবার দেখার মত ব্যবস্থা আছে।এ কথায় বলায় যায় নাই।
আমরা ঘরে বসে দিবা স্বপ্ন দেখছি আর গল্পগুজব করছি।
ইসলামিক শিক্ষা কার্যক্রম কি আপনা আপনি তৈরি হবে।
হরতাল আন্দোলনের যেমন গুরুত্ব আছে তেমনি পথ নাটক,মেলা,যাত্রা,নাটক, সিনেমা,গান,গল্প,উপন্যাস সব কিছুর মধ্যে ডুকে পড়ার গুরুত্ব কিন্তু অনেক কারণ প্রতিটা মানুষ বিনোদনকে ভালবাসে।
আপনি তাদের অঙ্গনে ড্রাগের মত
ইসলামের মৌলিক ধারণা ডুকিয়ে দিতে পারলেই হল।একবার পজেটিভ নেশা ধরে গেলেই আর কেউ ছাড়তে চাইবে না।
বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা সুখ খুজে বেরায়
ইসলাম ত সুখের সন্ধান দেয়।
মানুষ নামক বোকা জাতি সঠিক পথটা চেনে বলেই ভুল পথে পা বাড়ায়।
তাই ত মস্তিষ্ককে বিক্রি করে ঞ্জানীরা নাস্তিকতা পথ বেঁচে নেয়
মনে রাখতে হবে তারা বুদ্ধিমান নয়
তারা অন্যের ক্ষতি করতে যেয়ে নিজেরাও ঐ নিকৃষ্ট ফাঁদে পা দেয়।
তবে
কথা হল নাস্তিকরা কি খুব শক্তিশালী?
কেন তাদের এত প্রভাব?
কারণটা হচ্ছে
তারা খুব পরিশ্রমী এবং নিজের চিন্তা চেতনাকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে উদার হস্তে কাজ চালিয়ে যায় বিরামহীন ভাবে।
আমরা ত অলস, ফাঁকিবাজ,হতাশাগ্রস্ত।
যতই বকবক করিনা কেন আমরা মানতেই হবে।
এমন কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নেই এমন কোন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানকার শিক্ষিকরা
কত ভয়ংকর নাস্তিকতা শিক্ষা দিচ্ছে আমাদেরকে।
ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিদিন এই মুসলমান নামধারী শিক্ষকবৃন্দ নাস্তিকতাবাদের শিক্ষা দিচ্ছে কৌশলে।
এখন
হয় আপনাকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌছে যেতে হবে
নয়ত
শিক্ষা ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করতে হবে।
একবার চারিদিকে তাকান যে হারে পর্ণ ভিডিও,মুভি,চটিবই ,নাস্তিকদের উপন্যাস,গল্প বাজারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে
তার চেয়ে দ্বিগুন হারে ইসলামিক মুল্যবোধের উপর তৈরি করা ভিডিওকে ছড়িয়ে দিতে পাড়লে মানুষ সচেতন হবেই।
প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হবে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে।
মাছের পঁচন ধরে লেজ থেকে জাতির পঁচন করে
সাংস্কৃতিক আর শিক্ষা অঙ্গন থেকে।
বিষয়: বিবিধ
১০২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন