বিয়ের প্রহর গুনি আপন মনে....
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২১ জুলাই, ২০১৪, ০২:১৬:৩৮ রাত
...স্বপ্ন স্বপ্ন
স্বপ্ন দেখে মন----
আপন মনে গুন গুন করছে আরবা ।দেখতে দেখতে প্রায় ২৮ কিংবা ২৯টি বসন্ত পেরিয়ে আজ স্বপ্ন দুয়ারে দাড়িয়েছে।আব্বু আজকে সকালে বলেছেন..'বাবা কাল মেয়ে দেখতে গিয়ে কালই আকদ হবে'
নিরবে শুনে গেছে আরবা।কি অবাক কান্ড কালও সবার সামনে গলাবাজি করেছে আমার পছন্দই শেষ কথা।তোমাদের পছন্দের কোন হুজুরী বোরকালী চলবে না।এদিকে মেয়ে দেখতে
না মা বোনরা অতিরিক্ত মাতামাতি করছে বড় ছেলের জন্য।
শুধু আব্বু বলেছেন আর সকলে খুশি মনে রাজি ।
আরবাও আব্বুর পছন্দে দ্বিমত প্রকাশ করেনি।কেন করেনিও নিজেও জানে না হয়ত।রেনুকে ফোন করেছে।ছোট তবে বিচ্ছু বললে ভুল হবে না ।সালাম পর্ব শেষ করে আরবা বলতে থাকে...
< তোর বাপ ত বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে আমার।
>আলহামদুলিল্লাহ খুব ভাল হয়েছে ।আমি ত মহাখুশি ।ভাইয়া ভাবির সাথে কি দেখা হয়েছে বা কথা।
<নাহ।আর শোন খবরদার ভাবি বলবি না।নাম ধরে ডাকবি ।
>রেনু হাসতে হাসতে বলে কেন ?
অবশ্যই ভাবি বলল।
<মেয়েটা তোর চেয়ে ছোট ইয়ারে পড়ে।ও তোকে আপু বলে ডাকবে।
>পাগল নাকি।
তাতে কি?আমি তাকে অবশ্যই সন্মান আর শ্রদ্ধা ভরে ভাবিই ডাকব।আচ্ছা ভাইয়া তুমি দেখা করলে না।আব্বুর ইচ্ছার রাজি হয়ে গিয়েছ ।আমি কিন্তু আমার পছন্দ ছাড়া বিয়ে করব না।
<আব্বুর পছন্দ হয়েছে তাই ভদ্র ছেলের মত মেনে নিলাম..আর শোন শোন তোদের পছন্দ আর আমার পছন্দ এক হবে না।>ও আচ্ছা আচ্ছা ।এ কারণে না দেখে বিনা বাক্যে রাজী হয়ে গেলা তূমিই।তাই না ভাইয়া।
<আব্বু কি বলে জানিস।একটা মেয়ে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।তার ব্যক্তিত্বের অপূর্ব চরিত্রের প্রয়োজনীতা অনেক বেশি।
পরিবার গঠন করার জন্য একজন সত্ নেককার বালিকা প্রয়োজন।ধর কোন মেয়ের জামাই যদি ভাল না হয় তাহলে পরিবারে বিরাট ক্ষতি হবে না হয়ত মেয়েটা কষ্টে থাকবে কিন্তু যদি ঘরের বউ এর সমস্যা থাকে তবে পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার।
>তার মানে তুমি কি বুঝাইতে চাইলা?ঝিকে মেরে বউকে শিখানো প্রবাদের মত মনে হল।
<কই কিছু না ত বোন।আব্বু হুজুরী মেয়ে আর তেমন পরিবার খুঁজে রেব করেছেন খুশি ত।
>আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ ।অনেক খুশি।ভালই হল।দে আম্মাকে ফোন দে।
আরবা এক এক করে সবার সাথে কথা বলল।কিছুটা আনমতে, হয়ত সিরিয়াস মুডেও কথা হল কার কার সাথে।জীবনে কিছু কিছু মুহুর্ত্ব আচমকা জীবনে চলে আসে ।এটাই নিয়ম।নিয়তির খেলা খেলতে হয় দিন রাত ।
ওর ইচ্ছে ছিল মনে প্রাণে আব্বুই পছন্দ করে দিক তার চলার সঙ্গীকে।
প্রেম ভালবাসা বড্ড সেকালের অনুভূতি তার কাছে।
একজন সত্,নেককার, আল্লাহ ভীরু রমনী একমাত্র চাওয়া যেন মনে প্রাণে।যে তার কালিমায় ঢাকা জীবনে স্বরণ করে দিবে সৃষ্টিকর্তার কথা।সঠিক পথে চলার জন্য সবসময় অনুপ্রেরণাকারী হয়ে পাশে দাড়াবে।যে নামায পড়বে শেষ রাতে তাকেও সঙ্গী করে নেবে।সদা ন্যায়ের পথে চলতে তকে উত্সাহ দেবে। বাবা,মা,ভাই-বোনের হকের ব্যাপারে যখন সে কাজের চাপে ব্যস্ত রয়ে উদাসীন হবে, তখন বার বার সচেতন করে দিবে।তা যাইহোক না কেন আমারও একটা শর্ত আছে।এটা শেষ কথা। আমি তাকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী পর্যন্ত পড়াশুনা করাব ।আমার সন্তানের মাকে বাস্তব জ্ঞান বুদ্ধি সম্পূর্ণ করে গড়ে তোলার দ্বায়িত্বটা কি আমার কাঁধে এসেই পড়ে।এতটুকু বুঝা দরকার আমার স্বার্থে।
সংসার চুলোয় যাক আমার বউকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে ।কোন রূপ বাধা সহ্য করা হবে না।দরকার হলে সংসারের কাজে দুটোর বদলে চারটি হাত ব্যবহৃত হবে।তবুও ত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছাতে প্রাণপণ চেষ্টা অব্যাহত রাখতেই হবে সুন্দর জীবনের লক্ষ্যে।
অজান্তে আরবার মুখে হাসির রেখা প্রস্ফুটিত হচ্ছে,
ভাবতে ভাবতে কোথা থেকে কোথায় চলেছে ভাবনারা।যাই হোক না কেন ভাবনা চলুক আপন গতিতে।জীবনের ত সূচনা বৈবাহিক বন্ধনের মাধ্যমেই হয়।প্রথম থেকেই না হয় সুন্দর করে সাজানোর একটা চমত্কার পরিকল্পনা থাক মনের আঙ্গিনায়।হয়ত আগামী কালের সকালটা সত্যি চমত্কার হবে।
এমনটা ত থাকা উচিত সকলের অন্তরের ভুবনে।
#নতুন_মস
।
বিষয়: বিবিধ
২০৯৯ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
০ এটা তো একজন বাবা তার মেয়ের জন্য বলতে পারে ।
কারণ বাবার সংসারে মেয়ের পড়াশুনার করা ছাড়া আর কিছু করার নেই । স্বামীর সংসারে তার দায়িত্ব ও কর্তব্য আছে ।
বাচ্চা কাচ্চা নিতে গেলে পড়াশুনায় তথা ডিগ্রী লাভে তথা জ্ঞানার্জনে হ্যাম্পার হবে । তার পড়াশুনার জন্য যদি আপনি বাচ্চা কাচ্চা নাই নেন তাহলে বিয়ে করারই বা দরকার কি ?
স্বামীদের কি কর্তব্য সংসারে তা যেমন বলা আছে তেমনি বলা আছে স্ত্রীরও । একজন বাবা যেমন পারে না ছেলে মেয়েদের মধ্যে সমান অংশ দিতে , তেমনি কোন স্বামী বা স্ত্রীরও আল্লাহর বলে দেবার বাইরে নিয়ম চালু করা উচিত নয় ।
বেশী জ্ঞান অর্জন করে ফেললে আপনাকে আর পুছবে না । সাঈদ-রুমানার কথা মনে আছে তো ?
আমাদের যারা রত্ন গর্ভা মায়েরা আছেন তাদের মধ্যে কয়জন সর্বোচ্চ ডিগ্রী বা জ্ঞানধারী ?
বেশী শিক্ষিত মায়েদের ছেলেমেয়েরা বখে যায় , কারণ ঠিক যে সময়ে তাদের মায়ের সংষ্পর্শ পাবার কথা সে সময়ে মা থাকে বড় বড় ডিগ্রী অর্জনে ব্যস্ত ।
সবাইকে অনেক অনেক লাল কৃঞ্চচূড়ার শুভেচ্ছা আর বর্ষার কদমফুল প্রত্যেকজনকে একটি করে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন