"মা" সত্যিকারের হৃদস্পন্দন।
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৮ মার্চ, ২০১৪, ০১:০২:০৪ রাত
দিনগুলো পার হচ্ছে খুবই দ্রুত গতিতে।একদম চোখের পলকে দিন হচ্ছে রাত হচ্ছে।সকালে প্রায়ই বড় ফুফু কল করেন ফজরের ওয়াক্তে।নামার পড়ে আবার ক্লান্ত।
আম্মু রোজকার মত এই ভোর বেলাতে নাস্তা তৈরি করেন।কষ্ট হয় আম্মুর অলস সন্তানদের জন্য এমন মায়েরা বড় একটা নিয়ামত।
রাস্তা ঘাটে অচেনা পথিকদের সাথে টুক করে মিশতে ভালই লাগে।
প্রীতি নামের বালিকার পিছু পিছু দুটি বাস চেঞ্জ করে ভার্সিটিতে দৌড়।
ক্লাস নামক জড় বস্তু কিছুটা গিলে অধিকাংশ হজম করলাম।
আপুর কাগজ জমা দেওয়া জন্য নিউমার্কেট পৌছালাম।অদ্ভুত আমি এত বছর ধরে আছি তবুও নিউমার্কেট ভাল ভাবে চিনি না।ভাগ্যিস
ওখানে পরিচয় হল তানি নামের চমত্কার এক আপুনির সাথে।ওনি সপ্তাহ দুয়েক আগে এসেছেন বোটানীর ছাত্রী।আমার সাইকোলজি বিষয়টি সকলেই পছন্দ করেন তবে শেষে গিয়ে পড়তে চান না।
কাজ শেষে দুপুর গড়িয়ে পড়ায় যখন বাস কচি সবুজ পাতার রং যেন অজস্র ভালবাসা ছড়াচ্ছে প্রতিটি নিঃশ্বাসে।
হুমম এতক্ষণ ত ভূমিকা লিখলাম।
এখন আসল গল্প লিখি।
দীর্ঘ দিন পর একটা মুভি দেখেছি।
সেটার বর্ণনা লিখব বলেই এ লেখার আবির্ভাব___
ছেলেটা কোটিবতির সন্তান।বাবা ছিল না মাই অভিভাবক।খুব ভালবাসেন সন্তানকে।ছেলেটি
হৃদপিন্ডে সমস্যার কারণে কোন এক দেশে চিকিত্সার জন্য যায়।
ওখানেই পরিচয় হয় কিছু ডাক্তারের সাথে।ঐ ডাক্তার একদম বন্ধুর মত ঐ ছেলের সঙ্গে মিলে মিশে তাকে সাপোর্ট দেয় দীর্ঘদিন।আর হোটেলের রিসিপশনের প্রেমে পড়ে ছেলেটি।
মা বিশাল এক বিজনেস ম্যান।
মা নির্দিষ্ট ভাল ডাক্তার ঠিক করেন এবং ছেলের বিয়েও ঠিক করেন এক প্রকার।অভিযোগ
ছেলেটি এক প্রকার ও নিশ্চিত ওর স্বাধীনতায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে মা বারংবার।
অতঃপর ছেলেটি স্থির সিদ্ধান্ত ঐ মেয়েটিকেই বিয়ে করবে এবং ঐ ডক্টরদের দিয়েই হার্ট অপারেশন করাবেই।
অতঃপর সন্তানের জেদের কারণেই মা নিরুপায় হয়ে রাজি হয় কারণ মার চোখে ঐ ডক্টর এবং মেয়ে উভয়ই কিছু নেগেটিভ রহস্যজনক তথ্য খুঁজে পায়।কিন্তু ছেলেটির ভক্তি ডক্টরের প্রতি প্রচন্ড আর প্রেমিকার প্রতি ভয়ানক আবেগপ্রবণ ভালবাসা। মুলত বাবা মার চেয়েও কিভাবে অদ্ভুত অন্ধ বিশ্বাস আর ভালবাসার প্রকাশ দেখলাম।
ছেলেটিকে কনভেন্স করে অতঃপর অপারেশন করার জন্য থিয়েটারে নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে মুলত ছেলেটির কোন হার্টের সমস্যা ছিল না।এবং মেয়েটিও ডক্টর ছিল।পুরো গাংটি পরিকল্পনা মাফিক অভিনয় করেছে টাকার লোভে।খ্যাতি আর টাকার লোভে বিয়েও করে ছেলেটিকে।
মেয়েটি মূলত অনেক টাকার লোভী তাই প্রেমের অভিনয় করেছে।ছেলেটার হার্টটি এক প্রকার ক্ষতিগ্রস্ত করে মৃত্যু কোলে টলে পড়ে ছেলেটি।তবে সত্য ঘটনা জানতে পারে।অর্ধেক অবশ করায় ছেলেটি রহস্যটি বুঝে নেয়।অতঃপর ছেলেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে শেষ মহামূল্যবান সম্পদ হৃদপিন্ড দিয়ে দেয়
মা।
মা হারিয়ে যাওয়া পর ঐ মেয়েটি কত যে ভনিতা করে।কিন্তু ছেলেটি পুরো গংটিকে পুলিশের হাতে তুলে দের।
ছেলে মনে মনে বলে আমি হয়ত ক্ষমা করতাম। কিন্তু এটা ত ওর নয় মায়ের হৃপিন্ড ।
অতঃপর ছেলেটি ভাবতে থাকে...
"একটা ছেলে একটা মেয়েকে খুব ভালবাসত।মেয়েটা বলল তোমায় মায়ের হার্ট লাগবে ।ছেলেটি মাকে বিষয়টি জানালো ।মা হার্ট দিয়ে দিল।এখন ছেলেটা মায়ের হার্ট নিয়ে মেয়েটির পিছনে ছুটছে হঠাত্ পিছলে পড়ে গেল একটা অদৃশ্য আওয়াজ বলে উঠল 'ব্যাথা পাইছিস বাবা'।মূলত হার্টটি ত মায়ের।"
('হার্টব্রেক মুভির নাম)
মা ছোট্ট একটা শব্দ এতেই লুকে আছে সত্যিকারের হৃদস্পন্দন।
#নতুন_মস
সূর্যবাড়ি
বিষয়: বিবিধ
১১২০ বার পঠিত, ৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন