আগন্তুক(২)
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০২:২০:৫৮ দুপুর
সমুদ্রের নোনা জলের দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে থাকতে থাকতে
হঠাত্ মেয়েটি আগন্তুক দিয়ে তাকালো-
'বৃদ্ধার দৃষ্টি ছিল মাটির দিকে।চোখে মূখে এক স্বাভাবিক শান্ত দীপ্ত তার মহামূল্যবান ব্যক্তিত্বের যেন আভা বিকিরণ করছিল।'
-আপনি কি অনেক দিন পর এসেছেন দাদাভাই?মনে হচ্ছে স্মৃতির সাগরে ডুব দিয়েছেন।
আগন্তুক-
বেশ বুদ্ধিদীপ্ত দর্শন ত আপনার মা।ঠিক দুবছর এই তীরে বসেনি দূর থেকে তাকিয়ে ধীরে ধীরে চলে যেতাম।
-কেন?
আগন্তুক-
মূলত এই স্থানটি ছিল আমাদের সামষ্টিক পাঠ চক্রের স্থান।
সেই নতুন জীবনের পথ চলা থেকে যাত্রা শুরু।
-আপনাদের বলতে বুঝলাম না ঠিক।
আগন্তুক-
যেদিন আমার নতুন বউ ঘরে আসলেন
তিনি সেদিনই আমাকে জানালেন...
খুব মন খারাপ করে
আমি সুন্দরভাবে কোরআন পড়তে পারি না।
হাদীসের গভীর অর্থও বুঝি না।অদ্ভুত খুব অবাকই হলাম কথা শুনে।
-অদ্ভুত ত একটা নববধু এরূপ কথা
কেন বলল
বেশ গভীরতা নিশ্চয় ছিল এ কথার মাঝে?
আগন্তুক-হুমম...
মুছকি হাসি দিয়ে বললেন-আমার কাছে অদ্ভুত লেগেছে তবে
যেদিন তাকে দেখতে যাই সেদিন বলেছিলাম..
আপনি কি জানেন সত্যিকার অর্থে একজন মানুষের সাফল্যতা ও স্বার্থকতা কি?
১.জন্মগত মাংসপিন্ডটাকে জ্ঞানের আলো দিয়ে ধীরে ধীরে মানুষ রূপে তৈরি করা
২.ইসলামকে বুঝা
৩.সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলা
৪.বিভ্রান্তি আর আমাদের জীবনের ছোট খাট কুসংস্কার সম্পূর্ণ জটিলতা ও মূর্খতাকে উচ্ছেদ করা।
-বেশ কঠিন কথা গুলো।কুসংস্কার সম্পূর্ণ জটিলতা ও মুর্খতা গুলো কি বুঝলাম না।
আগন্তুক-ধরুণ
আপনার ১৫বছর বয়সে বিয়েটা করা ফরজ মনে হচ্ছে।আপনি আপনার চরিত্রকে যিনা ব্যভিচারের মত ভয়ানক কবিরাহ গুনাহ থেকে মুক্ত রাখতে চান।কিন্তু এই সামাজিক জটিলতা রীতিনীতি এমনভাবে আকড়ে রেখেছে যে ধীরে ধীরে আপনার চরিত্র ধ্বংস হয়ে আপনি রূপান্তরিত হচ্ছেন অন্য কোন প্রাণীতে।
তখন সামাজের কোনই দোষই থাকে না।পবিত্র এ সমাজ।দোষ হয় অন্য প্রাণীটির
সে নারী হলে সবাই তাকে পণ্যের মত ব্যবহার করে।আর পুরুষকে বলা হয় ধর্ষক।সমাজ কিন্তু কচি বাঁশগুলোকে মানুষ রূপে তৈরি করার পদক্ষেপ নিতে পারত কিন্তু ওল্টো
খেয়াল করে দেখুন দেখা যাবে., এদের অন্য প্রাণীদের
তৈরি করছে এ সমাজের গুণী-জ্ঞানী, বুদ্ধিজীবি আর আমাদের চোখে দেখা নামে লেখা শিক্ষিত এই জটিল সমাজ।
তাই বলেছিলাম তাকে...
সত্যের পথ কেবল একটিই তা হচ্ছে...
এক আল্লাহ,
আল্লাহর নবী রাসূল এবং তাঁদের অনুসারীদের পথ।
তাই সে সম্ভবত ঐ অদ্ভুত কথাগুলো বলছিল।
.....বালিকা খুব অবাক হচ্ছে ক্ষণে ক্ষণে আগন্তুকের কথা বলার ভঙ্গি দেখে।খুবই সাদাসিদে এবং পরিচ্ছন্ন।কোমলতা,সততা,জ্ঞানীয় আর ঈমানী শক্তির প্রভাব প্রচন্ড সক্রীয় ছিল তাঁর স্বাভাবিক শব্দ উচ্চারণে।
(চলবে)
ইনশাআল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
৯৭৬ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন