"আজ পহেলা ফাল্গুন"
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪, ০৭:০৩:৪৭ সন্ধ্যা
সকাল সকাল উঠব কিনা.. উঠতে না চাইলেও দ্বায়িত্বের একটা ক্ষমতা আছে বিছানা থেকেই বাচ্চাটির মৃদু বাবেল আধ আধ ডাকে উঠতে বাধ্য।
বড়দের প্রতি যতটা না যত্নশীল হওয়া যায় ছোট্ট আর বয়স্কদের প্রতি একটা গভীর আন্তরিকতা সম্পূর্ণ দু একটা হাতের একান্ত প্রয়োজন।
লেখালেখির সময় হাতে খুব কম।রাস্তায় বসে উত্তম চেষ্টা। ভার্সিটিতে যেতে হবে।বোরখার সবচেয়ে সুফল হচ্ছে এক হপ্তা মাথায় চিরুণী না দিলেও সমস্যা নেই।
সাজগোজের ত প্রশ্নই আসেনা।
ইচ্ছেও মনে জাগে না।
হলুদ দিবসে কালো পড়লাম।
অতঃপর রাস্তায় নেমে পড়া।
ফাল্গুনের আমেজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে ঢাকার রাস্তায়
আনাচে কানাচে।
আমি নেতিবাচক ধারণা পোষণ করতে ইচ্ছুক নই।আমার কাছে ভিন্ন ভিন্ন বয়সের হলদে পোশাকের নারী হিমুদের রূপ সুন্দর।
আমাকেও বিমহিত করে।
তবে ফাল্গুনে রমনীদের চেয়ে
বেশি করে প্রকৃতির রূপ ভাল লাগে।
অন্য কেউ রূপকে বিক্রি করে কোন মহলকে উপভোগের বস্তু রূপ নেয়
হয়ত ভাবনাটা এমন হবে না হতেও পারে।রূপের ব্যবসা।
নিজেকে কি কেউ হেহ করে অজান্তে সেটাও বলতে পারব না।
আমার কাছে অবাক লাগে ভেবে আমরা ত ঘরে আপনজনদের জন্য সাজতে পারি।খুব সুন্দর করে।তবেই ত ভালবাসার পাল্লা ভারী হবে।
কেন বাইরে জাদুঘরের বস্তুর মত নিজেকে প্রদর্শন করি।হয়ত প্রকৃতির মাঝে ভালবাসা খোঁজ করা অদম্য চেষ্টা এটি।
খালি ভালবাসার ঠিকানাটা পিছনে ছোটাছুটি?
জানি না আমি এটা কয়জন পায়।
তবে প্রশান্তি নামক দূর্লভ বস্তুর পিছনে ঘুরতে সকল মানুষের মন চায়।
এটা ক্ষুদ্র চেষ্টা হবে হয়ত নিজেকে হলুদের গড়নে সাজান।
আমিও ত ছুটি।
আর তাই সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি এই প্রকৃতির প্রতিটি অনুভূতি আমাকে ছন্দ বলে।
প্রকৃতি এ সময় গাছদের কান্না থেমে যায়।
ঝরা পাতার কথা ভুলতে শুরু করে গাছ।কথা বলে কচি সবুজদের সাথে কোকিলের সুরে।কোকিল???
ঢাকায় নেই তাতে কি কাক আছে না।
বেশ পবিত্ররা খেলা করে প্রকৃতির মাঝে।
হাটছি মাঝে মাঝে হাটার প্রতি তীব্র আকর্ষণ বোধ করি তবে বেশিক্ষণ হাটা হয়না।জ্যাম ঠেলে যখন সামনে আসি তখন বেশ জোর করে বাসে উঠে পড়ি।বাসের প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা ঠিক হবে না আপাতত বাদ।বাসে উঠেই একটা বই নিয়ে বসি
আমার প্রিয় একটা পড়ার সময় হচ্ছে বাস জার্ণি।বাস থেকে নেমে পুনরায় আরেকটি বাস না পেয়ে হাটা শুরু করি।হুট করে একটা গলিতে ঢুকে হাটতে থাকি আমার কাছে অচেনা ছিল।হাটতে হাটতে চলে যাই যখন ভার্সিটিতে তখন শেষ ফাল্গুনের হাওয়া লাগল
কখনই উত্সবে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে কেন যেন হৃদয়ে জাগে না।
একদল হলুদ শাড়ির সাথে দেখা হল চমত্কার প্রত্যেকজন
কিছু কথা হল
সবাই ছবির ফ্রেমে নিজেকে আটকে রাখতে ব্যস্ত।
কষ্ট হল কিনা ঐ শাড়িটা দেখে যাকে আমি বোরখা পড়ে দেখতেই অভ্যস্ত।
তাহলে কেন একদিনের আমেজে নিজের মুসলমান হিসেবে পর্দার চিহ্ন টুকু কবর দিবা।
তাহলে কি অন্য পোশাকের মত পার্টটাইম সতর ঢাকা মুসলমানদের জন্য ফ্যাশন।
আমি প্রথমে বই বিলি করতাম এখন কাউকে দেয়া হয় না।কার নাকি পড়তে ভাল লাগে না।
এখন দৌড়াতে দৌড়াতে বাসে উঠে পড়ি
বাস থেকে নেমে এক ঠোঙ্গা ডিম কিনি।
নারীরা কি ডিমের মত? উপরে শক্ত আবরণ ভিতরের প্রস্ফুটিত কোমল দেহ আবরণ ঢাকা আর কুসুমটা হচ্ছে মন।
উপরের আবরণটা যত পাতলা হয় আমাদেরকে ততটা উপভোগের বস্তু মনে হয়।তারপর বাতাসের ছোঁয়ায় কুসুমটা নষ্ট হয়! তখন নারীত্বের কোমলতা মরে যায়।পৃথিবীর চায় নারী লজ্জাহীন হোক।
পোশাক খুলে ফেলুক। নারীরা নিজের ভাল নিজেই বোঝে না।ইসস এত্ত বোকা কেন আমরা?
সিড়ি বেয়ে উঠে আসি উপরে।
একটা একটা সিড়ি ভাঙ্গতে হয় এক এক পা করে এগিয়ে যেতে হয়।
কয়েক তলার পথ আমাদের এই জীবন।
কিছুটা পথ ইতিমধ্যে শেষ আল্লাহ ভাল জানেন সামনে আছে কিছু পথ হয়ত।
শেষ বিকালের ফাল্গুনী হাওয়া বইছে।
হলুদ চারপাশ নাকি লালচে আভা ছড়িয়ে পড়ছে।
চোখের কোণা থেকে গড়িয়ে পড়ে এক ফোঁটা নোনা জল।
আলহামদুলিল্লাহ
আমি নারী
মনে মনে বলি।
#নতুন_মস
সূর্যবাড়ি
বিষয়: বিবিধ
১০৯৯ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন