গ্রাম্য বধুয়া-২

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০২ ডিসেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৫:১২ রাত

সাবিক(অর্থ অগ্রগামী)একজন বিষ্ময়কর তরুণ।ঘর থেকে বের হয়েই খুলিতে পা দেওয়ার পর পর তার মধুর কন্ঠের সালামে মুখরিত হয় প্রান্তর।পুরো গ্রামেই তার নিরব উপস্থিতি।সবার হৃদয় জুড়ে তার অবস্থা যেন।একটুকর আশাবাদী আর ইতিবাচক চিন্তার ঝড় তুলেছে ছেলেটি গ্রামময়।সাবিলার ভয়ানক অভিযোগ কেন সাবিকের বোন বলে মানুষজন তাকে ডাকবে ওর কি আকিকা করা নাম নেই?

সদাহাস্য মুখ সাবিক খুব নিরহ টাইপের ছেলে কারও সাথেই দ্বন্দে লিপ্ত হতে তার ভয়ানক অলার্জি।যদিও দ্বন্দবিরোধী এই ছেলেটি তবুও অনৈতিক কর্ম আর মিথ্যাচারের বিরূদ্ধে তার কন্ঠ একটুও কাঁপে না অন্যায়ের বিরূদ্ধে অগ্নিবাণী আর সংগ্রামীচেতা ছেলেটি এগিয়ে চলছে নিশ্চুপ সরল পথে।মাঝে মাঝে ছেলেটি দারুণ লেখে।দু একজন পাঠকের আসরও বাতিয়ে ফেলে সবুজ মাঠের কোন এক কোণে।আসর মাতিয়ে ওঠে উজ্জল সব ভাবনায়।

আজ সে হন্যে হয়ে খুঁজছে দুচোখ দিয়ে কাউকে।একটু খুলে বলতে চায় মনের কাব্যটাকে।অপর প্রান্তে তাকেও গরু খোজা খুঁজছে একটা ছেলে।একটা আনন্দ বার্তা শেয়ার করবে বলে।

মাঠের সেই প্রিয় প্রান্তরে বসে পড়ল ছেলেটি যানে সে খুঁজতে খুঁজতে এখানে চলে আসবে তার প্রিয় হাসির চিরচেনা সাবিক ভাই।

ডাঃনজীব(অর্থ ভীতিপ্রদর্শক) ভাই আপনি এখানে আর আমি হন্যে হয়ে খুজছি বলে উঠল সাবিক।চিরচেনা কন্ঠ শুনে অবাক ছল ছল চোখে সাবিকের দিকে তাকিয়ে হঠাত্‍ কান্নাভেজা কন্ঠে নজীব দাড়াতে দাড়াতে বলল ভাই একটু কাজ আছে যে, যেতে হয়।সাবিক ধরে ফেলেছে নজীবের মনের কথা দ্রুত এসে জড়িয়ে ধরে বলল "বোকা ছেলে"।

নজীব নিরবে অশ্রু বিষর্জণ দিতে দিতে বলল

আমি সাবিক ভায়ের কাছে সেই 'নজীবডায়' থাকতে চায়।তুই,তুমির সঙ্গী হতে চাই তবু ডাক্তার,আপনি মত এত নিম্নমানের শব্দগুলো শুনতে চাই না।

সাবিক নজীবকে সামনে দাড় করিয়ে বলল লম্বায় আমার চেয়ে ৬ইঞ্চি বড় মাথা ভর্তি পাখির ভাসার মত চুল হুম।

তাতে কি এই ছেলে মোটেও আমার চেয়ে দেখতে বেশি সুন্দর নয়।গম্ভীর মুখ করেই নজীব বলল অবশ্যই আমি আপনার চেয়ে বেশি সুন্দর।

সাবিক এক টুকর কাগজ বের করতে করতে বললেন কখনোই না।

হাসে মুখে নজীব তাকিয়ে বলে এখন।

কন্ঠে ভেসে ওঠে সাবিকেরঃ

"হীরের টুকররা ঝিক মিক করে

ঐ দেখ তুমি

সবুজ ধানের শিশিরে

তুমি হাসছ...

তোমার অদৃশ্য উপস্থিতি আমাকে ভাবায়

তোমার অনাবিল বাক্যরা

আমার অন্তরকে

জাগায়..

আমি আছি,

তোমারি অপেক্ষায়"

নজীব জোরে জোরে হাসতে হাসতে বলে উঠল "ইন্নানিল্লাহ"

সাবিক ভ্যাবাচেকা হয়ে তাকিয়ে থাকে ফ্যাল ফ্যাল করে কিছুক্ষণ।

তারপর

খুব গম্ভীর হয়ে

জিগায়

কি রে নজীবডা হইলটা কি তোর আজকে?

এত হাসির কি হল?

আর ইন্নানিল্লাহ পড়লি ক্যান আমি কি জলজ্যান্ত মানুষটারে তুই মাইরা ফেললি।

সাবিক ভাভাই আপনি রোমান্টিক কাব্য চর্চা করছেন।আমাদের কি হপে এখন?

এটা কি হল?

তুই এখানে নারী পাইলি কই।সারাদিন খালি এই সব ঘুর ঘুর করে।ধুর তোরে ঢাকায় পাঠাইয়া মারাত্নক ভুল করছি।গায়ের ছেলে চোখের সামনে খেতো দেতো ঘুরত।তাও ত ভাল থাকত।

ধুম করে নজীবের হাসি হাওয়া।খুব মনমরা কন্ঠে বললঃএকদম ঠিক বলেছেন সাবিক ভাই।কিভাবে আপনাদের ছেড়ে থাকব।

আহারে তোরে এক বক্স বসুন্ধরার টিস্যু কিন্যা দিবনে।বোনরে বিদায় দিলে কানবে তেমনি তুই আমাগো ছাইড়া গিয়া কানবি।হঠাত্‍ হাতে তুলে দিল সাবিক

নে এটা তোর তোফা।

চমত্‍কার বাধায় করা একটা বই।নজীব খুব খুশি হল।হাসি হাসি মুখে

পকেট থেকে এক মুটো সাবিকের প্রিয় চকলেট দিয়ে হাত ভরিয়ে দিল।দুটো মুখে পুরে বাকিগুলো গায়েব করে পকেটে ঢুকিয়ে দিল সাবিক।তারপর দাড়িয়ে পড়ল ওরা।

দুর মসজিদ থেকে বিলালের সুমধুর ধ্বনি ভেসে আসে।

"বিনয়ের সাথে নামাযে দিকে আস

কল্যাণের দিকে আস"

দুই যুবক ধীরে ধীরে পা ফেলে ছুটে চলে।

কে থামায় তাদের।ওরা ত ছোটে রাসূলের দেখানো পথের দিকে।

(নতুন মস)

চলবে(গল্প ছুটছে জানা নেই কোনসে ধারায়)

ইনশাআল্লাহ

বিষয়: বিবিধ

১৩৯২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File