রাজপথ....
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৬ নভেম্বর, ২০১৩, ০৪:১৯:৪৬ বিকাল
গ্রাম একদম নিজ্বস্ব সম্পদ।চমত্কার প্রতিটি সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত।দুপুরেও বান্দরদের আটকানো কঠিন।দেখা যায় কোন গাছে ঝুলে আছে।পুকুরের উপর কামরাঙ্গার গাছ আজও সঙ্গী আপনি।যদিও সম্পর্কের টানাপোরা চলে।অভিমান করে যাওয়া হয় না গাছের নিচে কতদিন।গাছের জীবন আছে মানুষের জীবন আছে মুলত দুই জীবনের বন্ধন সম্ভবত একটা পাতার জীবন চক্রের মত।দুরে থাকার নাম নাকি আবার বাস্তবতা।যে বাস্তবতা নিষ্পাপ মুহুর্ত্বকে কেড়ে নেয়,সেই সব বাস্তবতাকে ছুড়ে ফেলা দেওয়া উচিত।গ্রামের সাইকোলজি ভয়ানক জটিল বাংলাদেশের রাজনীতি মত।শহরে যেমন একটা ফ্লাটে বন্দি জীবন অথবা খুব বেশি হলে একটা বিল্ডিং জুড়ে যে বন্ধনগুলো থাকে তাদের সাইকোলজি বর্ণনা করে ব্যস।কিন্তু গ্রামে একটা ঘর বলতে কোন ঘটনা আবদ্ধ নয়।একটা গ্রাম জুড়ে।আবার আপনি কোন মুঘলের ঘরে ভুল করে জন্মগ্রহণ করেন তাহলে ত এক্কেবারে বারটা বাজবে তখন ত একটা ইউনিয়ন ঘিরে আপনার সাইকোলজি ঘুরপাক খাবে।দুটি ছাত্র ছিল।গ্রামে গেলেই ওদের পড়াতাম।ওদের মা আমাদের বাসায় থাকতেন।ছাত্ররা দুইজনেই বেশ ভাল।এদের নিয়ে বেশ মজার একটা প্রতিযোগিতা করতাম আমরা দুই ভাই বোন।একজন ছিল ভাইয়ার পক্ষে অপর জন আমার পক্ষে।এরপর দুজনের মধ্যে মারামারি লাগিয়ে মহা উত্সাহে আমরা অনুপ্রেরণা দিতে থাকি।বসে বসে আনন্দ মেতে উঠি আমরা।আর বেচারারা মারামারি লিপ্ত থেকে একে অপরকে ব্যাথা দিচ্ছে ত দিচ্ছে।অবশেষে একজন জিতে ব্যাগ থেকে চকলেট বা কিছু টাকা দেওয়া হয় চকলেট কেনার জন্য।সামান্য কিছু উপহারের কারণে ওরা মেতে উঠে বেদনাদায়ক মারামারিতে।সেই মুহুর্ত্ব মোটেও নিজেদেরকে নিষ্ঠুর মনে হয়নি।বরং যখন তাদের কিছু একটা গিফটের লোভ দেখিয়ে আনন্দঘন খেলেটি শুরু করাতেই বেশি আকর্ষণ পেতাম মনে হয় যেমন নেতারা রাষ্ট্রের লোভে কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে কিছু টাকা আর পদের লোভে।অদ্ভুত কখন ঐ দুই দোস্তের মধ্যে বন্ধুত্বের ভাটা পড়েনি।ওরা মজা পেত মারামারি করতে।ব্যাথা বা কষ্ট পাওয়ার চেয়েও মারামারিতে ওদের উত্সাহ ছিল দিগুন।
সারাদেশ জুড়ে অবরোধ চলছে বর্তমানে।
এক দলকে দেখলাম আনন্দের মিছিল বের করেছে।
কিসের আনন্দ?
আবার আমাদের মাঝে মুর্খ বুদ্ধিজীবিদের দল টকশোর প্লাটফর্ম কাঁপাচ্ছেন তর্ক করে।
কিছু দলের নেতারা ঘরে বসে ড্রিংক করছে আত্নগোপনে
টেনশন বলে কথা।যেহেতু জীবন ত একটায়।
কিছু নেতারা টাকা ঢালছে মানুষ খুন করাতে।
কিছু নেতা রাজপথে কর্মীদের পাশে থেকে গুলিবিদ্ধ হচ্ছে রক্ত ঝরিয়ে দেশের মাটিকে উর্বর করার চেষ্টা করছে। মানুষ খুব বোকা।
রক্তখেকো বুদ্ধিজীবি আর রক্তখেকো নেতাদের দালালি করতে করতে মরছে।
আরে মানুষজাতি চোখ কান এবং অন্তঃদৃষ্টি খুলে ফেলুন।তারপর রাস্তায় নামুন।
নিজের আত্না বা রূহকে চিনুন।তারপর না হয় মাঠে নিজেকে বিলিয়ে দিন।
যদি মরে যান তা হলে যেন ইহকাল আর পরকাল উভয়েই স্থানে শুধু আপনার কল্যাণের জন্য হয়।
কোন মানুষখেকো পিশাচকে বলিতে রূপান্তরিত হয়ে লাভ কি আপনার হবে?
আবার রাষ্ট্টপ্রধান যাদের করবেন।নিজের বোকামীর জন্য সারাটা জীবন আফসোস করতে করতে কবরে যেতে হবে।কারণ তারাও অন্ধকারে আপনাকে খুন করতে পারে।লোভ বলে কথা।এগুলো হতাশা কথা ছুড়ে ফেলায় ভাল।
জীবন একটায় ত।তবুও পাখিরা দিন শেষে নিশ্চিতে গাছের দিকে ছুটে যায় ঘরে।একমুটো প্রশান্তি পাখিরাও পায় যখন নিজের ক্ষুধার্ক্ত শিশু পাখিটির মুখে খাবার তুলে দেয় ঠিক সেই মুহুর্ত্বে ।আপনারা যখন জিহাদের ডাকে ঘর থেকে বের হয়ে যাবেন।তখন ঘরে থাকা অবুঝ মা আর শিশুদের বলে একটা সালাম দিয়ে যাবেন যেন আপনারা দুরে থাকলেও আল্লাহর তরফ থেকে শান্তি সবার উপর বর্ষিত হতে থাকে।
সবাই চায় স্বৈরাচারী শাসকমুক্ত একটা স্বাধীন স্বদেশ।যে দেশে প্রতিটি মানুষের রক্তের রং লাল হবে।ভেদাভেদ রবে না।
প্রতিফোঁটা রক্তের মূল্য অনেক।একটা স্বাধীন দেশে কোন প্রসাশন গুলি করে মানুষ খুন করতে পারে না।
সালাম সব সৈনিকদের যারা নিজের রক্তকে বাজি রেখে রাস্তায় আজ।
শুধুমাত্র আল্লাহ সন্তুষ্টির লক্ষ্যে।
(নতুন মস)
বিষয়: বিবিধ
১৩৭০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন