"GRE কমপ্লিট করব। তারপর PHD কমপ্লিট করব। আমি থিউরি ডিভোলপ করব, বই লিখব, আমি"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৫ নভেম্বর, ২০১৩, ১১:৩৫:০৫ রাত

GRE কমপ্লিট করব।

তারপর PHD কমপ্লিট করব।আমি থিউরি ডিভোলপ করব,

বই লিখব,

আমার বিষয়টিকে ইসলামিক চিন্তাধারায় পরিবর্তন করব কৌশলে ইনশাআল্লাহ।

স্বপ্নবিলাসী এক বালিকা সুলতানা।হ্যা ওরি উপরে কথাগুলো।আমার চলার পথে যে কয়জন আপুর সহচর্যে সবচেয়ে অপূর্ব মুহূর্ত্ব কাটিয়েছি কাটাচ্ছি তার মধ্যে সুলতানা অন্যতম।ও আমার চেয়ে এক ব্যাচ জুনিয়ার অন্য ডিপার্টমেন্টের।মোটামুটি দু একটা বাদে সকল ডিপাটমেন্টের দু একটা মেয়ের সাথে আমার বেশ খাতিল।গল্প আর চিন্তাধারার জোয়ার বেশ জমে ওঠে।দু একজন ছাড়া অধিকাংশই বাইরের কেউ সাহিত্যিক কেউ সাংবাদিক আর কেউ পড়ুয়া দু একজন হতাশাবাদি আছে আমার মত।তবে অদ্ভুত হলেও এদের ক্ষেত্রে যে গুনটি নেই তা হচ্ছে অহংকার।যাইহোক সুলতানার সাথে

কেমন করে যেন গল্প করতে করতে মুহুর্ত্বগুলোকে উড়িয়ে দেই নিমিশেই।আমাদের গল্পেরখেলা রহস্য ঢাকা থাকে।আমাদের দেখাও হয় হঠাত্‍ হঠাত্‍ অধিকাংশ সময় ভার্সিটির বাসে অথবা হঠাত্‍ লোকাল বাসে উঠতেই দেখি তিনি বসে আছেন হাস্যমুখে যদিও হাসি দেখতে পাই না।তারপর পৃথিবীর সব বাস্তবতা ভুলে শুরু হয় কঠিন চক্রাকার জগাখিচুরী জ্ঞানহীন রসিকগল্প।সুলতানার সাথে অনেক দিন পর রাস্তায় দেখা গতকাল।

অসাধারণ যেমন ব্যবহার সুন্দর, তেমনি তুখর বুদ্ধিমতি।

একাধারে রাজনীতি,সাহিত্য, পরিবার, ইসলাম, রান্না, পৃথিবীর রহস্য ঢাকা জগত নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা করতে করতে দীর্ঘ জ্যাম নিমিশে কেটে যায়।আমরা ভুলেই যায় যে আমরা রাস্তায়।দেশ, জাতি, কাল, পড়াশুনা, চাকুরী ,জীবন কোন তথ্যই আমাদের আওতার বাইরে নয় যেন।আমরা পরস্পর কোন টপিক দিয়ে শুরু করি আর কোথায় এর শেষ গন্তব্য পৌছায় তার কোন নির্দিষ্টতা থাকে না।

ধরা যাক প্রথমে শুরু হল,

দাওয়াত দেওয়ার কৌশল নিয়ে,ও বলছিল ওর ক্লাসের প্রথম সারির যাদের রেজাল্ট এক থেকে পাচের মধ্যে তাদের নিয়ে ওর গ্রুপ কেমন করে যেন ৯জনের হয়ে গিয়েছে।সবার মধ্যে ইসলামের মুল ভিত্তিকে স্লো ভাবে ডুকাবেও কোন তাড়াহুড়া নেই।

নামাযের সময় ওরা নয় জন একত্রে ছুটে যায়।ওর চিন্তাধারা খুব স্বচ্ছ এবং সুন্দর।মুলকথা সবাইকে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে।এটায় জরুরী।

হঠাত্‍ আমাদের আলোচনায় আসল পরিবার নিয়ে।অবাক হয়ে শুনছি সেই ছয় মাস বয়সে বাবাকে হারিয়েছে মাত্র এক হাজার টাকা পেনশন হওয়া সত্ত্বেও একজন অসাধারণ মায়ের সহচর্যে থেকেই প্রচন্ড অধ্যাবসায় আর মেধাবী চরিত্রবান ওরা প্রত্যেক ভাই বোন পাবলিক ভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছে।ধাপে ধাপে জীবনবোধটা এত চমত্‍কার ছিল যে অজ্যান্তেই অবাক বিস্ময় ঘিরে ধরেছিল আমাকে।কষ্ট ছিল কিন্তু কোন দাম্ভিকতা কথা নেই।নেই অহংকার।পবিত্র আলোয় আলোকিত একটা সুন্দর মন থেকে যেন প্রজাপতি উড়ছে।

আমাদের আলোচনা ঘুরে চলে আসল বাস্তবতায়। আমরা বুঝার চেষ্টা করছিলাম বাস্তব পৃথিবীর অবস্থাকে কি ঘিরে ধরে আছে?এত অস্থির কেন?

মানুষের অন্তরে কলুষতা কোন পয়েন্টে আবদ্ধ।

কেন এত এত ইসলামিক চিন্তাধারার ব্যক্তি থাকা সত্ত্বেও খুব একটা প্রভাব পড়ছেনা সমাজ পরিবর্তনে।

আমি বললাম,

"দৃষ্টিভঙ্গী"।আমার ক্লাসে সবাইকে ঘিরে আমার স্বপ্ন।কিন্তু বাস্তবতা এটাকে সমালোচনা করছে।

উনি যোগ করল

না শুধু দৃষ্টিভঙ্গীতে আটক নয় ভয়ংকর কনজারভেটিভ।আপনারে পিটাইয়া বের করে দিবে বলে দিলাম।ও বলে

দেখুন একটা সাধারন মানুষের সাথে নিজেকে ইসলাম দিক দিয়ে বার বার তুলনা করা হচ্ছে এটা কি কনজারভেটিভ চিন্তাধারা নয়।আমিই সঠিক।কেন এত নাজেহাল চিন্তাধারা থাকবে বলুন।এর মধ্যে ভয়ানক কাহিনী আছে।আমি বললামঃওস্তাদদের চেয়ে সাধারণ কর্মীদের ঈমানের জোর অনেক বেশি মনে হয়।ওস্তাদদের সালাম,ভয় সব কিছুতেই বাড়তি সন্মানবোধ ধরে রাখতে হয়।ওনাদের সাথে রসিকতা বন্ধুর মত কথা বলা বেয়াদবি।মাঝে মাঝে প্রশ্ন জাগ্রত হয় এই সন্মানবোধতা অতিরিক্ত মাত্রাতিক হয়ে যায় কিনা আবার।যেখানে বাবার সাথে কত অনায়াশে মতামত ব্যক্ত করিঃ

হঠাত্‍ আব্বুকে বলছি, বিদেশে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে বিয়ে ভেঙ্গে দিব আমি।

আব্বু আমার দিকে তাকিয়ে হেসে দিলেন।

সুলতানা এ কথা শুনে হাসতে হাসতে লুটে পড়ে।

তোমার কি মনে হচ্ছে আমি আব্বুর সাথে বেয়াদবি করেছি মোটেও না।কেউ আপনি বলেন?কেউ তুমি বলেন?আমার জীবনের সঙ্গীরা সব গরীবঃআমি রিক্সা চালকের সাথে কথা বলব।কত সরল ওদের জীবন।রোবট পৃথিবীর বোবা দেশ মনে হয় বিদেশকে।যাইহোক ওস্তানের সাথে কর্মীর পাথক্য কি যানঃ

কর্মীরা সর্বসাধারণ আমজনতার সাথে মিশে যায়।আমজনতার মধ্যে ভুল ত্রুটি খুটতে খুটতে তাকে আবনরমাল বানায় না বরং নিজেকে তাদের দলে গেথে নিয়ে এক কাতারে আনার চেষ্টা করে।ওস্তাদরা এক কালে কর্মী ছিল তারা এখন আমজনতার কর্মীদের ভাবের বন্ধু হতে ভালবাসে না তারা অর্ডার আর পানিশমেন্টে প্রয়োগে ব্যস্ত থাকে।ও বলে কেন এমনটা মনে হল?দুর্বল উদাঃ ওস্তাদরা ত শহীদ কম হয়।শহীদ ত হয় বেশী কমীরা।কারণ একজন কর্মীদের মধ্যে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হওয়ার গুনাবলি প্রবলভাবে অর্জিত হয় বলেই ত তারা শহীদ হয়।

গভীর বিষয় খেয়াল কর।ওস্তাদরা মাঝে মাঝে মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার সিস্টেম সরাসরি প্রয়োগ করে।তারপর যে মজবুত পাথর কুচির গাছটি ছিল তা এখন পাতা দিয়ে বের হওয়া একটা দূর্বল গাছ হয়ে জন্মে।সারা জীবন সেই দুর্বলতাটি ঐ গাছকে কুড়ে কুড়ে খাবে।নেতারা ঘাড়ে চাপ্পর দিয়ে বলবে আলহামদুলিল্লাহ, তুমি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পেরেছ।কেমন মাথা ব্যাথা যে কেটেই ফেলতে বাধ্য করা হচ্ছে।নেতাদের কি দ্বায়িত্ব নয় যেঃ ধৈর্য সহকারে গভীর সহচর্যে ওষুধ ব্যবহার করা।তা না করে কোরআন হাদীসের কোটেশন দিয়ে শুধু সারাজীবন বুঝালেই হবে যে তুমিই ভুল পথে।বরং কোরআন হাদীসের কোটেশন মুখস্ত করা খুব সহজ কিন্তু চরিত্রের মধ্যে বাস্তবায়ন করা ত অত্যাধিক কঠিন।হয়ত তিনি পেরেছেন আরেকজনের দূর্বলতা আছে।ওস্তাদরা যখন নিজেদেরকে সহীহ্ বোধের কারণে অজান্তেই অহংকারী দাম্ভিকতা আর আক্রোশ সমালোচক আর ঘৃণা ও নিন্দার আশ্রয় নেয় তারা কি কখন গভীরভাবে নিজের আত্নসমালোচনা করে।

আমি ভুল করব আমি একজন সাধারণ কর্মী এটা বাস্তব সত্য।আমাকে ভালবেসে আগলে রাখার দ্বায়িত্ব একজন আদর্শ ওস্তাদের।ছুড়ে ফেলার জন্য তো নয়।

(এখানে ওস্তাদ একটি কাল্পনিক চরিত্র।কাউকে আঘাত দেয়া বা ছোট করার জন্য ব্যবহার করা হয়নি।)

বিষয়: বিবিধ

১২৬৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File