চূর্ণ বিচূর্ণ রহস্যময় ভুবন-৯
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১২ নভেম্বর, ২০১৩, ০৬:৩২:৩০ সকাল
(হঠাত্ ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।দেরি করে উঠে দেখি আবির ক্যাসপার হয়ে গিয়েছে।সেই চমত্কার আত্নাটির ক্যাসপার কার্টুনটি মত)
দীর্ঘ একটা মুহূর্ত্ব আবির প্রশান্তি নগরীর বিভিন্ন প্রান্তর একা একা ঘুরার সিদ্ধান্ত নিল।অদৃশ্য এক আত্নার ভ্রমণ নিয়ে হয়তবা একটা প্রবন্ধ লিখব এখন।বৃদ্ধা দাদুর দীর্ঘ আলোচনার পর খাবার খেয়ে ক্লান্ত হয়ে টলে পড়েছেন বিছানায় তরে। এই ত ঘুমের আগেও বলছিলেন তার রাজ্যের দর্শনীয় জায়গাগুলোর কথা।যার মধ্যে অন্যতম ছিল জাদুঘর।ছেলের বাড়িতেও আজ যাননি বৃদ্ধা।ছেলে এসে খাবার খাইয়ে দিয়েছেন আর তিনি তার খড়ের ঘরেই রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।আবিরের খাওয়া দাওয়া ঘুম সব রহস্যপুরী যন্ত্রমানব দ্বারা পরিচালিত।সুতরাং আবিরে কোন ভাবনা নেই। ক্যাসপারের মত অদৃশ্য আত্নার ভ্রমনের গল্প এখন শুরু হতে যাচ্ছে।
আবির অদৃশ্য হাসিও হাসতে পারে।
প্রথমত আবির একটা পরিকল্পনার আওতায় আনল তার ভ্রমনের চিন্তাকে।আবির প্রশান্তি নগরীর তিনটি যায়গা দর্শন করবে মুলতঃ
¡.জাদুঘর
¡¡.লাইব্রেরী
¡¡¡.শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
এখন ছুটছে জাদুঘরে দেখতে।
₹₹₹জাদুঘরের সামনে থমকে যায় আবির অন্তর কারণ জাদুঘরের নামটি ছিল
"হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা) জীবনবৃত্তান্ত"
সে ত অবাক।এই
জাদুঘরের প্রবেশের পথেই বিশাল তালিকা দেখতে পেল ও।যেখানে প্রশান্তি নগরীর সবচেয়ে বিখ্যাত যে জাদুঘরটি নাম তা হচ্ছেঃ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নামে।তারপর পূর্বের নবী রাসুল থেকে শুরু করে সকল পুরুষ মহিলা সাহাবা থেকে চার ইমামসহ অনেকের নামে আলাদা আলাদা জাদুঘর রয়েছে।
ও ত ভেবেই কুল কিনারা পাচ্ছে না।
আবির খুব অবাক হয় এগুলো ইতিহাস ত লাইব্রেরীতে থাকার কথা।
সেক্ষেত্রে জাদুঘর অদ্ভুত ত পুরো ব্যাপারটা।
অনেক কৌতুহল জমা রেখেই সে একটা জাদুঘরে প্রবেশ করল।
ঘুরে ঘুরে প্রতিটি জিনিস আবির গভীর ভাবে দেখে শুনে আর অবাক হয়ে যায় এত প্রযুক্তি আর তথ্য।সত্যি বিশাল বড় এক স্মৃতি ভান্ডার।
কোথাও সে খুজে পেল না একটা চিত্রকর্ম বা ছবি অথবা সেই ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসপত্র,চুল।
তবে যা পেয়েছে তাতেই যেন আবিরকে এক ঝাঁক প্রশান্তি আকড়ে ধরছে।
গভীর ভালবাসা শ্রদ্ধাবোধ পেয়ে বসেছে পুরো জাদুঘরের আনাচে কানাছে।
আবির জাদুঘরকে কেন্দ্র করে একটা শিক্ষনীয় তালিকা তৈরি করল মনে মনে।মুলত সে ঐ জাদুঘরে কি কি দেখতে পেল তারি তালিকাঃ
১.প্রথমত,
একটা জীবন একটা ইতিহাসকে অল্প কয়েকটা ঘন্টায় সেই ১৩০০বছর আগের জগত ভ্রমণ করল।একজন বাস্তব সত্য আলো।
২.একজন ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব।
৩.পোশাক আশাক আর আচার আচারণ ধরণ।
৪.ইবাদাত করার পদ্ধতি।
৫.যুদ্ধ করার পদ্ধতি।
৬.দেশ পরিচালনা করার পদ্ধতি।
৭.সংসার আর সুখের জীবন।
৮.পরিশ্রম আর তৃপ্তিবোধ।
৯.স্বপ্ন আর বাস্তবতা।
১০.প্রচন্ড ভালবাসা প্রভুকে,তার নবীকে আর সকল সাধারণ মানুষকে।
অবাক ব্যাপার জাদুঘরে কয়েকটি চমত্কার সিস্টেমে তথ্যগুলো উপস্থাপন করার জন্য ছিলঃসবগুলো যদি চিনতে পারিনি ও সবগুলো নব নব কৌশল তবে
অনেক হাই কোয়ালিটির ডিজিটাল পদ্ধতি।এর মধ্যে দেখতে পেলঃ
১.কিছু প্রামাণ্য চিত্র । ২.কিছু ধারাভাষ্য ।
৩.কিছু প্রাকৃতিক চিত্র ধারণ করে বর্ণনা।
৪.অজস্র ভিডিও লেকচার।
৫.ছোট নাটক,ছোট মুভিতে বাস্তব চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।চমত্কার ব্যক্তিগত চরিত্রগুলোর স্বচ্ছ ধারণ তৈরি করে দিয়েছে যেন।তা বেশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
জাদুঘরে কোন গাইড ম্যান ছিলনা।কোন একজন ব্যক্তি যদি পুরো জাদুঘরটি একবার গভীর মনোযোগ দিয়ে একবার ঘোরে সে একজন চমত্কার ব্যক্তির সঙ্গে নিজের অজান্তেই পরিচিত হতে বাধ্য হবে।
জাদুঘর মানে হচ্ছে মেধা অর্জনের খোলা মাঠ যার একটা প্রান্তে সে খুজে পেয়েছিল পড়ার চেয়েও কার্যকর একটা দর্শন। সেই ঘটনাটি তার স্মৃতিতে বেশি প্রভাব ফেলে দীর্ঘস্থায়ীভাবে।একটা জাদুঘর থেকে বের যখন হল আবির চিন্তা করতে থাকল প্রতিটি জাদুঘর কি একই রূপ হওয়ার কথা না যেহেতু সবার জীবনী ইসলামকে কেন্দ্র করে।কিন্তু আবিরের চিন্তা ভুল প্রমানিত হল।কারণ প্রতিটি জাদুঘরে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তির জীবন ইতিহাস স্পষ্টভাবে সত্য জগতটি ফুটেছে তা সম্পূর্ণ ভিন্ন রং আর রূপে সাজানো ছিল।যে যার পছন্দ অনুসারে অপূর্ব চরিত্রকে নিজের মাঝে অজান্তেই ধারণ করে নিচ্ছে।গড়ে উঠছে প্রশান্তি নগরের প্রশান্ত চিত্রের বালক বালিকার দল।
বিকশিত আলো যেন ছড়িয়ে যাচ্ছে গোটা প্রশান্ত নগর জুড়ে।আবির বের হয়ে খুব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করল এই জাদুঘরে প্রবেশ নিয়ম কি।সবার জন্য উন্মুক্ত।যেখানে লেখা ছিলঃ
"যে দশ জন দুনিয়ার বুকে জান্নাতের সুংবাদ পেয়েছে তার মধ্যে একজন হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা)।
এটা একটা বাস্তব ইতিহাস।তুমি গভীর ভাবে পযবেক্ষণ কর।সত্যি অনেক আলোয় আলোকিত হবে তুমি"
আবিরের বিষ্মিত চোখে অনেক দীপ্তি খেলা করল।সত্যি এদেশেই ত প্রশান্তিদের খেলা করার কথা আপন প্রজাপতিদের সাজানো বাগান।
তারপর
(চলবে)
ইনশাআল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১১০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন