'একজন অচেনা বালিকার সাক্ষাত্‍কার'

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:১৭:২৮ রাত

মেজর হুমায়ন আযাদের কন্যা লুনা আযাদের সাক্ষাত্‍কার।কার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নাও হতে পারে।

(লেখাটি শুরু করার আগে প্রথমেই বলে রাখা ভাল হয়ত নামগুলো কাল্পনিক ঘটনা বাস্তব।একটা ছোট্ট কথপোকথন সুতরাং ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে পড়বেন।তার কথা নাও পছন্দ হতে পারে আপনার)

নামঃলুনা আযাদ

পড়াশুনাঃ গ্রাজুয়েট কমপ্লিট অর্থনীতিতে।এখন জবের পাশাপাশি MBA করছেন।

বাবাঃঅবসর প্রাপ্ত মেজর।

মাঃগৃহিনী।

পেশাঃP @ G proctor and gamble কম্পানিতে।

কোন একটি সেম্পুর।যা নিয়ে ক্যাম্পেইন এবং বিক্রয় করে থাকেন।

বেতনঃ১৫০০০ উপরে।বাড়তি আয় করা যায়।মোটামুটি ব্লাক মেইল।যেহেতু আমি তাদের কোন পণ্য কিনিনি।কিন্তু তবুও ওখানে দেখানো হল একটা পণ্য কিনেছি।এবং আমাকে বলা হল আপনাকে ফোন দিলে বলবেন একটা কিনেছেন।যেহেতু নাম্বারের একটা ডিজিট কম দিয়েছি তাই আমার কাছে ফোন আসার সম্ভবনা নেই।একটু হয়ত ধরা খাবেন।চুরি করলে ধরা খাওয়া উচিত।

বুজলাম কিছু পণ্য আর পাশাপাশি কিছু টাকা গায়েব করা যায়।

পেশার প্রতি অনুভুতিঃচমত্‍কার লাগে তার কাছে পেশাটি।

প্রশ্ন করলাম এভাবে বাড়ি ঘুরতে কষ্ট হয় না?

নাহ,বেশ মজা লাগে নতুন পরিবেশ নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচয় ভাল লাগে।

আবার প্রশ্ন করলাম নিরাপত্তা কেমন?

আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত বিপদে পরিনি।

কতজন মাঠ পর্যায়ে কাজ করে?

প্রায় দু হাজারের উপর।

ব্যক্তিজীবনঃ

তিনি বড়।ছোট বোন প্রেম করে বিয়ে করেছেন।এক ভাইকে বাইরে পাঠানোর চেষ্টা চলছে।আরেক ভাই ক্লাস নাইনে।নিজের খরচের পাশাপাশি ভাই বোনের খরচও চালান।

প্রেমঃ

তিনি প্রেম করা শুরু করেন ফাস্ট ইয়ারে পাশের বাড়ির ব্যাচেলর ছেলের সাথে।বছর ঘুরতেই টের পেয়ে যান ছেলের লোভ তার বাবার ব্যাংক ব্যালান্সের দিকে।তার ভাষ্য ছিলঃবিয়ের আগেই যে ছেলের টাকা পয়সার প্রতি লোভ।যা দুর হ।

বিয়ে ভাবনাঃ

বর্তমানে তার একজন বয়ফেন্ড আছে ফেমিলি থেকে ঠিক করে দেওয়া।

প্রশ্ন করলাম আপু তাহলে বিয়ে করে ফেলুন?

নাহ,এত তাড়াতাড়ি করব না।আগে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা ব্যাংকে জমাই।এমনিতেই ছেলেরা পায়ের কাছে দাড়াবে।তুমি কিছু মনে করবানা সত্য কথা বলি "রূপ আর টাকা" হলে হাই ফাই সোসাইটির ছেলে পাওয়া যায়।

আমি প্রশ্ন করলাম আপনি যদি শান্তিতেই না থাকেন টাকা আর হাই ফাই সোসাইটির ছেলে দিয়ে কি হবে।তাদের চরিত্র ত খারাপ হতে পারে?

তোমাকে বলি সুখ আর শান্তি দুটি ভিন্ন ব্যাপার।টাকা সুখ এনে দিতে পারে কিন্তু শান্তি মনের ব্যাপার।যাইহোক যতটুকু বুজলাম তিনি সুখের পিছনে ছুটছেন।

ভার্চুয়াল জগতঃ

লেপটপ নোটপ্যাড সবই আছে।মাঝে মাঝে ফেসবুকে বসি।খুব ক্লান্ত থাকি বসার সময় তাই কম।

সবচেয়ে প্রিয় মানুষঃবাবা।

সবচেয়ে প্রিয় শখঃ

সাজুগুজু করা।

সবচেয়ে প্রিয় উক্তিঃ

কলেজ লাইফে উঠে বাবা বলেছেন মাথায় হাত রেখেঃ

মা আজকে তোমাকে ছেড়ে দিলাম।তুমি তোমার জীবন তোমার মত করে গড়।কিন্তু যাকে ভালবাসবা এক টাক্কর দুর থেকে ভালবাসবা।আবেগের বসে তুমি যদি আত্নহত্যা কর তাহলে আমরা আমাদের কলিজার টুকরা হারিয়ে ফেলব।

আমার ভাল লাগলঃ

উনার সাবলীল ধারা ভাষ্য খুব ভাল লাগছে।আমি উনাকে খাবার দিয়েছি।একটা অপরিচিত বাসা সত্ত্বেও খুশি মনে খেয়েছেন।অনেক সময় পরিচিতরা খুব অনীহা প্রকাশ করে।ওনার কথাগুলো ছিল পজেটিভ ধর্মী কোন হতাশা বা দুঃখ কষ্টবোধ ছিল না যদিও তিনি জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন।তবে অপরাধ করা সত্ত্বের অপরাধবোধ খুজে পাইনি।তার পানির প্রয়োজন ছিল তিনি স্বাচ্ছন্দে পানি চেয়ে নিলেন।অনেককে দেখি প্রয়োজন হলেও বলতে খুব সংকোচবোধ করে।

সর্বশেষ সালাম বিনিময়ের মাধ্যমে প্রস্থান।সত্যি কথা বলতেঃউনি বেশ ভাল ছিলেন।

(বি দ্রঃকেউ ভুল করেও অপরিচিত কাউকে হুট করে ঘরে ঢুকানোর সাহস করবেন না।এটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী পাগলের বাস্তবকাহিনী।)

(নতুন মস)

বিষয়: বিবিধ

১৪২৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File