শূন্যতা
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১০ নভেম্বর, ২০১৩, ০১:৩৯:১৩ রাত
অফুরন্ত অলস সময়।
দীর্ঘ কর্ম বিরতি।
সময় যখন অলস তখন চারপাশে শয়তান ঘুর ঘুর করে।হঠাত্ খেয়াল করলাম অনেকগুলো পিপিলিকা নির্ভয়ে আমার আশে পাশে ঘুরছে।একটু অবাক হলাম।অহেতুক পোকা মাকড় মারতে আমার ভাল লাগে না।পিপিলিকার উত্স খুজতে গিয়ে খেয়াল করলাম।কয়েকটা নয় অজস্র পিপিলিকা বিছানায় মিটিং করছে কয়েকটা মাছের কাটাকে ঘিরে।কখন যে বিছানায় পড়ে ছিল ওগুলো ঠাওরই করতে পারিনি।মাসুদ রানা বইটির একটা মাত্র পেজ পড়েছি আর চরিত্র গঠনের মৌলিক উপাদান বইটির দু পেজ পড়েই টেবিলে যত্ন করে রেখে দিয়েছে।ফাঁকা মস্তিষ্ক মানেই অলসতা আর অন্ধ দিবা স্বপ্নে ডুব দেয়া।চমত্কার অহেতুক কিছু লিখি।পড়াশুনা মানেই মূর্খতা।আর মস্তিষ্কের শূন্য শূন্য ভাব।একান্তভাবে একাকিত্ব আমি বেশ উপভোগ করি।পেন্সিলের মাথাটা ভেঙ্গে গিয়েছে তবুও তারানোর তাগিদ নেই।ভাঙ্গা পেন্সিল দিয়ে লিখতে আলাদা আনন্দ আছে।কয়েকটা ধূসল রঙ্গের শৈল্পিক শিল্পে গড়া পাখার প্রজাপতি ঘুর ঘুর করছে ঘরময় কোণায় কোণায়।ওদের আগমন যে কেমনে ঘটে?কোথা থেকে আসে বলতে পারব না।
থাক আজ,ফ্যান ছাড়া যাবে না হয়ত ফ্যানের পাখার বাড়ী খেয়ে নকশী আঁকা ডানাগুলো ছিন্ন বিছিন্ন হয়ে যাবে।খুব কাছাকাছি মৃত্যু বসে থাকে।শিরদাড়া দিয়ে শীতল স্রোত বয়ে যায় মৃত্যু এমনই।
চারদিকে আধার কালো রাতের আকাশে বাঁকা চাঁদ মুছকি হাসে।
আকাশে সূর্যের আলোয় চাঁদের উত্পত্তি হয় শুনেছিলাম।অপর দিকে পড়াশুনার অপর পিঠেই শূন্যতা বাসা বাধে।মেধাবীরা বোকা হয় পদে পদে ভুল করে,
আমি হুমায়ন আহমেদের কথা বলছি,
আলোক মশাল লিখতে গিয়ে নুহাশের অব্যক্ত অনুভূতিতে যখন কষ্ট জ্যান্ত হয়েছিল তখন নীল পদ্ম ফুটেছিল অগোছড়ে ওর অন্তরে।সেগুলোকে ও আগলে রেখেছে বেশ জটিলভাবে যত্ন করেঃ
"ভালবাসা নির্দিষ্ট,
প্রত্যেক মানুষের জন্য আলাদা।একজনের থেকে ভালবাসা কেড়ে নিয়ে অন্যজনের জন্য ভালবাসা প্রমাণ করা যায় না।চাইলেও সেটা করা সম্ভব নয়।ভালবাসা ফেরত নেওয়া যায় না,
তাই না।"
(নুহাশ হুমায়ন)
হৃদয়ের এত গভীর থেকে বাবার স্মৃতি বর্ণনা করেছে ছেলেটি।সত্যি হুমায়ন আহমেদকে আমার কাছে খুব নিষ্ঠুর একজন মানব মনে হয়েছে ঠিক এই মুহুর্ত্বে।এই উক্তিটি পড়ে।
হঠাত্ নেমে এল শূন্যতা।তখন আর লেখার কিছুই থাকে না।
(হরতাল)
বিষয়: বিবিধ
১১৬২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন