চূর্ণ বিচূর্ণ রহস্যময় ভুবন-৫
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:০০:১২ দুপুর
-আমি একটু একটু করে মানুষের দ্বারে উঁকি দিতে শুরু করলাম।
~তারা কি
খুব অদ্ভুত দেখতে ছিল ?সবসময় হেদায়াতের বাণী দিতেই ব্যস্ত থাকত।
-নাহ মোটেও তেমনটা ছিল না।তারা মুখের বাণী খুব কমই খরচ করত বরং তারা কর্মে বিশ্বাসী ছিল।
লর্ডস অব দ্যা রিংস মুভিটি দেখছ আবির।
~হুম।
-ফ্রোডোদের গ্রামে সবার সাইজ একই রকম স্যাম, অলিভার এদের গ্রুপটার কথা মনে আছে তোমার! সেখানে হঠাত্ একদিন যখন গ্যানডাফ আসল ফ্রোডের ঘরে কিন্তু বার বার মাথা আটকে যাচ্ছিল।
এই দৃশ্যটি কি তোমার মনে পড়ে?
আসলে তেমন কোন বাহ্যিক গড়নের পার্থক্যই ছিল না মানুষের সাথে আমাদের।ওদের যতটুকু পার্থক্য আমি অনুভব করেছি তা অন্তদর্শনের।তুমি কি জানতে চাও ওদের দাওয়াত দেওয়ার সিস্টেমটা কেমন ছিল।একদম স্যাম এর মত।আমার খুব পছন্দের একটা চরিত্র।ও পুরোটি পথেই ফ্রোডোর সঙ্গেই ছিল ফ্রোড ওকে ভুল বুজে বিতারিত করে দিলেও সে কিন্তু ঠিকই ফ্রোডের সাথে শেষ পর্যন্ত ছিল।হাস্যকর হলেও সত্য আমার দশা ঠিক তেমনটা ছিল ফ্রোডো রিং ফেলে দিবে আর আমি রিং হাতে পড়ব এই যা পার্থক্য।
~অসাধারণ একটা চরিত্রের উদাহরণ স্যাম।তারপর...
-হ্যা ঠিক বলেছ মুসলমান মানুষেরা ছিল অসাধারণ চরিত্রের অধিকারী।বলতে পার পরশ পাথর।
যাদের সাথে হৃদয়ের সব কথা অবলীলায় নির্ভয়ে বলা যেত।এতটুকু নিশ্চিত তারা আমার অব্যক্ত অনুভূতিগুলোক ছড়িয়ে পরিবেশ নষ্ট করবেন।অথবা আমার অযৌক্তিক আবেগকে মেনেও নিবে না এবং যতখন পর্যন্ত আমার বিবেকে এক ঝলক আলো থাকবে ততখন পর্যন্ত আমাকে ছেড়েও যাবেনা।
আমাকে মাঝ দরিয়াতে হাবুডুবু খেতে দেখে দুর থেকে আবার শোচনীয় অবস্থা দেখে তামাসা করবেনা।বরং নিজের জীবন দিয়ে হলেও আমার সন্মান বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়বে।একটা তীব্র পবিত্র ভালবাসার আকুতি আমার চরিত্রকে পরিবর্তন করতে সহযোগিতা করল।চিন্তা করে দেখছ তুমি। সত্ পথে পবিত্র জীবনের সন্ধান পেয়ে গেলাম আমি।রিং এর শক্তি কিন্তু যথার্থ ছিল।
তুমি বলছিলে উপদেশ বানী যেটাকে আমরা বলি প্রোগ্রাম সেমিনার প্রশিক্ষণ ক্লাস।কম্পিউটারের কোর্চ করেছ কখন যদি করে থাক খেয়াল রাখবা প্রতিটি সিস্টেম তুমি যত্ন সহকারে খাতায় তুলে রেখছ কিন্তু না আছে তোমার কম্পিউটার আর না করছ তুমি চর্চা।হবে কি যান ক্লাস করে ঘরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে সব গিলে খেয়ে হজম করে ফেলবে তুমি।
মুসলমানদের মধ্যে আমার অন্তরঙ্গ দোস্ত সূর্যের ভাষ্য ছিল এটায়।
~আবির একটু চমকে উঠল তবে কথা বলল না।
-আবির শোন, সূর্যের যুক্তি ছিল
"তোমাকে অবশ্যই কম্পিউটার শিখতে হবে(১)। তবে পাশাপাশি ঐ শিক্ষাকে জীবিত রাখার উদ্দেশ্যে তোমাকে টাকা উপার্জন করতে হবে(২)। তুমি কোন দামের কম্পিউটার কিনবে(৩) তা কেবল তোমার পুজির উপর নির্ভর করবে(৪)।মনে রেখ সবচেয়ে কঠিন জীবন কম্পিউটার কিনা নয় বরং ঘরে তা রেখে যত্ন করে ব্যবহার করার প্রক্রিয়াটি (৫) কারণ চারিদিকে প্রচুর ভাইরাস(৬)।তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।কাজ করার আগে কাজটা বুঝা যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি বুঝার পর তাকে বহন করা আরো গুরুত্বপূর্ণ(৭)।"
~আবিরের এত কঠিন উদাহরণ ধারণ করার মত নেট ওয়ার্ক নেই।সুতরাং পৃথিবীর সবচেয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা বোকা প্রাণী সে কিভাবে প্রশান্তি নগরীর কোন ব্যক্তির কথা বুঝবে।
~তোমাকে সাতটি পয়েন্ট বলেছি।এখন একটা একটা করে ব্যাখ্যা করলেই নিশ্চয় বুঝবে পারবে তুমি।
(১)পড়াশুনা।তুমি সত্যিই মুসলমান হতে চাও অবশ্যই পড়াশুনা করতেই হবে।প্রোগ্রাম, সেমিনার, প্রশিক্ষণ ক্লাসে যেতেই হবে।কাউকে দেখে নয় বরং নিজের দেখার একটা নগরী তৈরি করতে হবে।তাই কম্পিউটার শিখতে হবে।
(২)কি পড়ছ তার প্রভাব কি তোমার চরিত্রে পড়ছে।তুমি নারীকে সন্মান কর দেখ বার বার পড়ছ এই নগ্ন পৃথিবীতে নিজের অজান্তেই তুমি নারীদের ঘৃণা কর তাদের নীচু স্তরের কথা ভেবে তাদের ঠেলে দেও আরো অশ্লীল গহ্বরে এখানে পুজি হচ্ছে তোমার বাস্তব সমাজ ভিত্তিক চরিত্র।তুমি জান তোমার সমাজে ৮০%তোমার বয়সী ছেলে দৈহিক মানসিক অবৈধ বন্ধনে লিপ্ত তুমি এমনই শিক্ষা অর্জন করলে যে তাদের ঘৃণা করে দুরে রেখে তুমি সমাজ পরিবর্তন করার স্বপ্নে বিভর আছ।উন্নত প্রাণীদের মূল্য অনেক বেশি তোমার কাছে।
(৩)দাম বোঝাটা খুব কঠিন।কেউ সন্মানের পিছে ছুটে কেউ টাকার পিছে।যে যার পিছে ছুটে সে তাই পায়।তোমার ঘরে কি মূল্যের কম্পিউটার ডুকবে তা তোমাকে নির্ধারণ করতে হবে।নিজের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে।
(৪)আর এই বিবেক বুদ্ধি তৈরি হবে তোমার পুজি বা দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে।ধর অচেনা কোন দুর দেশ থেকে এক রমনীকে বিয়ে করেছ।ঐ রমনী এবং তোমার সন্তানদের সাথে চক্ষু শীতল বন্ধন তৈরি নির্ভর করবে তোমার পুজির উপর।
(৫)পরিবার সবচেয়ে কঠিন যায়গা।চারিদিকে সমাজ তোমাকে সহযোগিতা করতে পারে উপদেশ দিতে পারে বিপদে পাশে দাড়াতে পারে তবে তোমাকে যোদ্ধা হিসেবে যুদ্ধক্ষেত্রে নামার অনুপ্রেরণাকারী হিসেবে পাশে থাকে সবর্দা এবং একমাত্র তোমার পরিবার।সেখানে দ্বায়িত্ব পালন করা খুব কঠিন।
(৬)হ্যা চারদিকে প্রচুর ভাইরাস।সীমাহীন সুখের রাজ্যে নিজেকে জড়ানো যেমন সহজ তেমনি ছোট্ট বেলায় জন্ম হওয়া নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি প্রবল আকর্ষণ দমন করাও কঠিন।
(৭)সাবধানতা আর সত্ কাজে ব্যস্ত থাকা একমাত্র সহজ উপায় বাঁচার।
আবির আর কিছুই শুনতে পাচ্ছে না ওর প্রচুর ঘুম পাচ্ছে।তলিয়ে যাচ্ছে ও ঘুমের রাজ্যে একটু একটু করে।
(চলবে)
ইনশা আল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১৫২৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন