চূর্ণ বিচূর্ণ রহস্যময় ভুবন-৩
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১২ অক্টোবর, ২০১৩, ১০:৫১:৩৫ সকাল
রহস্যপুরীর অবস্থানরত সকলের একটাই স্বপ্ন গোপন ইচ্ছে আবির সব তথ্য দিক ঐ প্রশান্তিধারা নক্ষত্র সম্পর্কে।ঐ নক্ষত্রের দেশের গোপন মুলমন্ত্র জানার আকাঙ্খা প্রবল সবারি।আবিরও বুদ্ধিমান সে রহস্যপুরীর যন্ত্রমানবদের মেসেজ করল ওর আরও কিছু মস্তিষ্কের পাঠ দরকার যার সাহায্যে সে দ্রুত সেই নক্ষত্রের দেশের কোনা কাঞ্জি ঘুরে আসবে।এখন তার প্রচন্ড নেশা সে জানতে চায় কিসের রহস্যের জালে ঢেকে রয়েছে সেই নক্ষত্রে অন্তরাল যার ছোঁয়ায় প্রতিটি সেক্টরে সেক্টরে প্রশান্তি খেলা করছে ওদের জীবন।যাইহোক আবিরের ছিল দুটি নেটওয়ার্ক একটা চিন্তা ও পর্যবেক্ষণ এবং অপরটি ছিল স্বপ্ন ও অলীক জগত ভ্রমণের তাই ত সে নক্ষত্রের রাজ্য খুঁজে পেয়েছে।
এখন তার সাথে যুক্ত হল দুটি পার্ট একটি অন্যান্য রাজ্যের যে কোন প্রাণীর মগজে আইডিয়া জানার জন্য অদৃশ্য দুটি শূন্য মস্তিষ্কের কথপোকথনের নেটওয়ার্ক এবং ঐ সব তথ্য বহুল আইডিয়াকে অন্যের মগজে ট্রান্সফার করা।আবিরের একটু একটু আবেগ ও মনে বাসা বেঁধেছে আনন্দ অনুভূতির ছোঁয়ায় তার চোখের কোণ জলে চিক চিক করছে।ওকে এখন অনেক চিন্তা ভাবনা করে আগাতে হবে।প্রশান্তির ধারা সকল সুত্র খুব যত্নসহকারে একটা দুটি বেলী ফুলের মত কুড়িয়ে এনে সুন্দর করে মালা গাথাতে হবে অতঃপর না সে অন্যের গলায় মালা পরিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ করবে।ধীর স্থির ভাবে স্বপ্ন ছোঁয়ায় তীব্র বাসনা আবিরকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে প্রশান্তিময় নক্ষত্রের দেশে।ওর মস্তিষ্কের অদৃশ্য জিনটি ছুটে চলছে অন্য কার মস্তিষ্কের মধ্যে ডুকে পড়ার অদম্য ইচ্ছায়।কতদিন সে মন উজার করে কথা বলতে পারে না।এখন ত যাচ্ছে সে প্রশান্তির ধারা বহমান নক্ষত্রের দেশে সব পবিত্র কথাগুলোকে ওর নেটওয়ার্কে কপি করবে বলে অনেক গিগা বাইট সম্পূর্ণ তার পেনড্রাইপ।
আবিরের একটা অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে এখন ও খড়ের ছাউনি(ধানের গাছের খড়)উপর অবস্থান করছে সেই ছাউনি উপর রিমঝিম বৃষ্টি পড়ছে।চুয়ে চুয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ছে উঠানে আবির উঁকি দিল ঘরে বৃদ্ধ থুনথুনা বুড়াবুড়ি গল্প করছে তারা জান্নাতে কোন স্তরে থাকতে চায় তা নিয়েই খুনসুটি চলছে।বুড়ির পছন্দ কচি সবুজের রং অথবা খুব সাদাসিধে হালকা রং আর বুড়োর এক কথা তিনি কড়া রং ছাড়া ডুকবেন না ঘরে।যা বাবা এবার বুড়ি অভিমান করছে 'যাও তুমি রং ছটা কালার ফুল পোশাক নিয়ে হুরপরীদের নিয়েই থাক গা
আমাকে তোমার দরকার নেই'
বুড়ো ত হেসেই শেষ বুড়ির অভিমান এই বৃদ্ধ বয়সে হৃদয়কে ছুঁয়ে গিয়েছে।
তারপর গুরুগম্ভীরভাবে বুড়ো বলত দেখ আমরা ৮০টি বছর একে অপরের হাত ধরে আছি।তোমার আমার পছন্দ ভিন্নতা অবশ্যই ছিল কিন্তু দ্বন্দ হয়েছে কয়দিন বলত।কত দিন ছন্দ পতন ঘটেছে জীবনের।কদিন দ্বন্দ হয়েছে আমাদের বলত।
বুড়িও উদাস হয়ে বলল একদিনও না।বুড়ো বলল না না দু একটা ছিলই।কিছুতেই মানতে রাজি না বুড়ি সে সব কিছুর উপর ভালবাসা দিয়ে প্রশান্তিকে বিজয় করাতে চায়।কষ্টকে জয় করতে চায় পজেটিভ মনমানসিকতা দিয়ে।
আবিরের মাথায় অনেক কিছুই নেটওর্য়াকের বাহির দিয়ে যায় ধরতে পারে না সে এত ভালবাসা আর খুনসুটি তার অনুভূতিতে কাজ করে না।
তবে অনুভব করে সে এখানে লুকিয়ে আছে সেই রহস্যের জালে জড়ানো ইতিহাস।
যার রহস্যভেদ করতে পারলেই সে জানতে পারবে আসলে কি ঘটেছিল আজ থেকে ৮০বছর পূর্বে এই প্রশান্তিময় নক্ষত্রের দেশে।শত কষ্টেও ছাউনি ঢাকা ঘরেও এত খুঁশির জোয়ার কিভাবে এই বৃদ্ধ বৃদ্ধাকে স্পর্শ করে।কি এমন মনোবল তাদের তারা গল্পে লিপ্ত হয় জান্নাতকে ঘিরে।সেখানে যেতে হলে অনেক পথ ঘাট আর ঝড় পেরিয়ে যেতে হবে আবির সেটায় যানে।
টুক করে বুড়োর মস্তিষ্কে ঢুকে পড়ে।খুব ভদ্র আর মার্জিত কন্ঠে আবির একটু সময়ের প্রার্থনা করে বৃদ্ধার কাছে।বৃদ্ধা জানিয়ে দেয় সে একটু ব্যস্ত।
বুড়িকে ছেলের কাছে পৌছে দিয়েই সে কথপোকথনে বসে যাবে।আবিরও একটু সময় পেয়ে যায়।সে প্রশ্ন সাজাতে শুরু করে।
হঠাত্ আবিরে চোখে ভেসে আসে বৃদ্ধার ছেলে তার মাকে আড়কোল করে নিয়েছে আর ছেলের বউ একটা বড় ছাতা নিয়ে পাশে পাশে হাটছে।
মার এক কথা আমি হেটেই যেতে পারব বাবা।ছেলেও এক কথা এই বৃষ্টিবেলায় আপনি হাটতে গিয়ে যদি পিছলে পড়ে যান।এই বুড়ো বয়সে কোমরটি ভেঙ্গে যাবে মা।বুড়ো বাবা বলে দিল আমি আরও পরে যাব বাবা।এখানেই ভাল লাগছে।
ছেলের তার মায়ের প্রতি ভালবাসা দেখে বুড়োর চোখে জল
আবিরও অনুভব করল অজান্তেই তার চোখের কোণে জল চিক চিক করছে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন