"পারস্পারিক বন্ধন"
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০৭:১৭:৩৯ সন্ধ্যা
এখন সন্ধ্যা সন্ধ্যা রাত যেখানে জাগ্রত হচ্ছে আধারের চাঁদ তারারা।এখন প্রকৃতি দেখে বলা যায় চমত্কার কাঠগোলাপের সাদা গোলাপি ফুলের মায়ায় হারানো সন্ধ্যা বেলা।আজ অনেক দিন পর আধার কালো সন্ধ্যায় আমি সোডিয়াম বাতির ঢাকা শহরের রাস্তায় ঘরে ফিরছি।ভয়হীন পথ চলা।
কি অদ্ভুত বিশ্বাস?
বাবা মারা আমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে সহস্র বিশ্বাসকে বুকে নিয়ে হাত ছেড়ে দিয়েছে অচেনা এক শহরের অলি গলিতে।দেখে শুনে পথ চলা জন্য থমকে দাড়িয়ে তামাসা দেখার জন্য নয়।
পড়েও যেও না যাই সে জন্য তারা রোজ দোয়া করেন।হাটতে হাটতে চলতে চলতে যখন
আজ একটা গাছের চারার দোকানের সামন দিয়ে যাচ্ছিলাম নির্দিষ্ট গন্তব্যের স্থানে নীলনকশী অপরাজিতা গাছটি দেখে চোখ আটকে গেল হঠাত্
কয়েকটি নীল ফুল ফুটে আছে গাছটিতে,
রফাদফা দরদাম করে অবশেষে পয়ত্রিশটা টাকা খরচা করে অপরাজিতা গাছটিকে লুফে নিলাম।
আজ সংঘবদ্ধ হয়েছিলাম আমরা গুটি কয়েক ব্যক্তি।উজ্জল পৃথিবী গড়ার
মিলনমেলা।
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে এই মিলনমেলা গুলোকে আসা যাওয়ায় ফাঁকি দিচ্ছিলাম ইচ্ছে করে।মানসিক দুর্বলতাই বলব আমি একে অথবা মূর্খতা।
কল্পনা করা যায় মাত্র কয়েক ঘন্টা কোন দুনিয়াবী জগতের মিথ্যা চাহিদাগুলোর সাথে কোন যোগাযোগেই নেই।নেই ঈদ উত্সবের পোশাক নিয়ে কথা,
নেই বাহারী পার্লারের রূপচর্চা নিয়ে কথা,নেই ক্যারিয়ার আর লোভ লালসা হিংসা অহংকারের ছোড়াছুড়ি।গীবত নিয়ে মারামারি।
সত্যি পার্থিব জগত সম্ভবত কয়েক ঘন্টার জন্য বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল পুরোপুরিভাবে।
সারাদিনের পরিশ্রমের ক্লান্তি বা না খেয়ে থাকার কষ্টও এক মুহুর্ত্বের জন্যেও স্পর্শ করেনি।তবে চমত্কার রিযিকের ব্যবস্থা ছিল সেখানে।কত
দীর্ঘ যানজট সামনে কিন্তু কোন বিরক্তি কাজ করছে না।একটু মনে হচ্ছেনা সময় নষ্ট হল বরং
মনে হচ্ছে এক আকাশের নিচে প্রশান্তি ঘিরে ধরা
গোটা পৃথিবী চারপাশে।
বাসে পাশে বসে থাকা অপরিচিত ফুপুম্মার কাছে সুপারি চেয়ে খাওয়ার মজায় আলাদা।
আজ "ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারস্পারিক সম্পর্ক" নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
সম্পর্ক মানেই ভালবাসা।গভীর বন্ধন।একে অপরকে আরো সুন্দরভাবে গড়ে তোলার উত্সাহ পাশাপাশি ভুল ধরিয়ে দেওয়ায় মাধ্যমে মানুষকে মুসলমান হওয়ার পথ দেখানোর সবচেয়ে চমত্কার পন্থা।
জিহাদের চেয়েও বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় এই পারস্পারিক মুমিনদের বন্ধনকে ভালবাসাকে সন্মানকে।একজন মুমিন আরেকজন মুমিনের পথে কখনই কাটা হয়ে দাড়ায় না বরং পথ থেকে কাটা সরিয়ে দিয়ে সহজভাবে যেতে সহযোগিতা করে। মাজারের সামন দিয়ে যেতেই অবুঝ মানুষ মাজারকে পুজা করছে এখানে মাজারের সাথে ভালবাসার বন্ধন তৈরি হয়ে গিয়েছে ঐ মানুষদের যার ফলে বাসে বসেই মাজার দেখার সাথে সাথে পুজা করার স্টাইল করছে।
বার বার ফোন করে বাসা থেকে অবস্থার বর্ণনা জানা হচ্ছে এটাও ভালবাসার বন্ধন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতি মুহুর্ত্বে আমাদের সাহায্য করছেন ।ছোট্ট তিন চার বছরের টোকাই ছেলে মেয়েটি এত ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে ড্যামকেয়ার বা নির্ভয়ে চলাচল করছে সাহায্যের জন্য হাত পাতাচ্ছে তার সাথে সৃষ্টিকর্তার বন্ধন রয়েছে।সে এই ব্যস্ত নগরীতে ওর মত বেঁচে আছে।
সৃষ্টি জিনিসের প্রতি স্রষ্টার ভালবাসার বন্ধন ত অবশ্যই গভীর।আবার সৃষ্টিকর্তাকে ভালবেসে আমরা পারস্পারিক নিস্বার্থ বন্ধন গড়ি প্রতিনিহিত(যেখানে দুনিয়াবী ভোগ বিলাসিতার আকাঙ্খা থাকতে পারবে না)যে ভালবাসার বন্ধন হবে শুধুই আল্লাহর জন্য
তা উপলদ্ধি করতে পারার মধ্যখান সময়টি বেশ প্রশান্তি খেলা করে।
পরস্পরের প্রতি মন থেকে দোয়া আসবে তখনই যখন আমি কোন ব্যক্তিকে ভালবাসব।আর বদদোয়া আসবে তখনই যখন আমরা দুনিয়াবী স্বার্থ থেকে বঞ্চিত হব ঠিক তখন।
নতুন মস
বাকী বিষয়গুলো ভুলে গেছি।মনে পড়লে আরেকটি পোষ্ট দিব।
বিষয়: বিবিধ
১৬০৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন