আম্মু অসুস্থ হলেই আমি অসহায়
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০৫ অক্টোবর, ২০১৩, ১২:২৪:৫৭ রাত
ফজরের নামাযের পর থেকেই বৃষ্টির নিয়ামত ধারা প্রকৃতিকে ভিজিয়ে দিচ্ছে।উপর থেকে সরাসরি জমিনের গাছ মাটি ছুঁয়ে দিচ্ছে গাছ।দেখতে অসম্ভব ভাল লাগে।এভাবে আকাশ বৃষ্টি আর ঘর থেকে তারা দেখার রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদেরকে নতুন বাসায়।
বারান্দায় বসে আকাশ থেকে পানি ঝরার দৃশ্য দেখছি হঠাত্ আম্মুর করুণ কন্ঠস্বর
কাছে এসে দেখি কাঁপছেন একটা কম্বল গায়ে দিয়ে দিলাম।এ কয়দিন খুব কষ্ট গিয়েছে আম্মু আব্বুর।বাসা পাল্টানোর ঝামেলাটি খুব বেদনাদায়ক।তার উপর ভার্সিটির নিয়মিত প্র্যাটিক্যাল ক্লাস মিলেই এত জঘন্য জীবন না নিজেকে অপরাধী অপরাধী লাগছে আজ।
আম্মুর অতিরিক্ত পরিশ্রম আর ঠান্ডা লাগানোর জন্য হঠাত্ জ্বর এসেছে।
আমার বাবাকে দেখেছিলাম এরূপ পিতামাতার সন্তান আর আমরা কি অপদার্থ পার্থিব দুনিয়ার পিছে ছুটছি।দেখতাম সারারাত বাবার সেবা করতেন।মা বাবাকে বৃদ্ধ অবস্থায় প্রতিদিন দো বেলা নিজের হাত দিয়ে খাইয়ে দিতেন।সেবার দাদীকে ভাত খাওয়াব ত ভাতগুলোকে অনেকখন ধরে মাখছি হঠাত্ আব্বু থালিটি নিয়ে ভাত গুলোকে থেতলে নিয়ে বললেন এ রকম দলা দলা ভাত কি অসুস্থ মানুষ খেতে পারে।আমি সেদিন অবাক তাকিয়ে থাকি।
মাঝে মাঝে যখন ভাবি সত্যি অবাক হয়ে যাই কিসের পিছে ছুটছি।
সম্পূর্ণ জীবনেই একটা ব্যর্থতা।
রান্নাঘরে ঢুকার প্রতি চরম অনীহা সেই ছোটকাল থেকেই কিন্তু একদিন দেখা যাবে রান্না ঘরে আমার কাছে প্রিয় হয়ে যাবে।
আম্মু অসুস্থ হলে আমি বেশি অসহায় হয়ে পড়ি। ভাত রান্না করে ডিম ভেজেছি তাও লবণ হয়নি আব্বুকে বললাম লবণ হয়নি।আব্বু হাসি মুখে বললেন লবণ নিয়ে খাচ্ছি।আর ডিম এতই ভাজা হয়েছে যে অল্পের জন্য পুড়ে যায়নি।কি অসুস্থ মানুষের জন্য ভাল কিছু করে খাওয়াব উল্টো ঐ ছিজ দিয়েই আম্মুকে খাওয়াই দিলাম।আর ভাবছি আমি অসুস্থ হলে আম্মু কত না সেবা করেন। পাঠ্যপুস্তকের মেধা খুব কমই সুখ আনে সর্ব সুখের মুল ব্যবহারিক কাজ।যা আমার মত মূর্খ আজও শিখতেই পারলো না।মানুষজনের দিকে আমি কম তাকাই যখন শুনি ক্লাসমেটরা নিজেরায় রান্না করে খায় চুপ করে শুনি।শিখি না,
তবুও দুঃখ লাগেনা আমার...
বিষয়: বিবিধ
২০১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন