মেয়ে দুটির শূন্য মস্তিষ্কে কি "বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থার" ভুত চেপে ছিল??? যে নামায পড়তে গিয়েছে!!! [[নামাযী দুই ছাত্রীকে পুলিশে দিলো বদরুন্নেসা কলেজ কতৃপক্ষ]]

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:৪৯:৫৯ সকাল

গল্প বেশ জমে উঠেছে ভার্সিটির হলে মেয়েদের মাঝে।উচ্চ মাত্রার হাসির ঢেউ খেলছে বদের নেছার হলে(বদরুন্নেছা মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়)।

তাও আবার প্রকৃতির মধ্যে মায়াবী আবেগ এসেছে তাই বৃষ্টি ঝরছে অবিরাম রিম ঝিম।

হঠাত্‍ একটা

মেয়ে প্রশ্ন করল

ছেলেরা কেমন মেয়েকে জীবন সঙ্গী করতে চায় বলত আপুরা ঢং মিশ্রিত কন্ঠে?

একেক জন একেকটা উত্তর দিচ্ছে।

উত্তরগুলো কিছুটা এমন-

১০১.সুন্দরী রূপবতী

২০১.স্মার্ট

৩০১.মেধাবী

৪০১.কর্মঠ

৫০১.জোলি মাইন্ডেট

৬০১.খোলামেলা

৭০১.উগ্র

৮০১.সবসময় হাসিখুশি

৯০১.স্বল্প ব্যয়ী

১০০১.কতব্য পরায়ণ

এভাবে কত শ্লীলতা আর অশ্লীলতার মাখামাখি কথা ফোয়ারা যেন বেড়িয়ে আসছে ঐ সমুদ্র থেকে।

হঠাত্‍ এত জমজমাট গল্পের আসর থেকে দুটি মেয়ে বলে উঠল আমরা একটু নামায পড়ে আসি।

আসরের সময় ত যায় যায়।

নামায!!!!!!

যেন ফুঁসে উঠেছে হলের জলের ঢেউ।

সেই মধ্যযুগের কর্মকান্ড।কি বলে আধুনিক যুগের মেয়ে দুটো।

খুব কৌতুহলী একটা মেয়ে বলল।

আচ্ছা নামায

এটা কি???

আরেকটা মেয়ে ওর মাথায় বাড়ী মেরে বলল।

শাহবাগে রাজাকারদের নাম শুনেস নি

নাকি খালি ফুর্তি করতে গিয়েছিলি।

"নামায"

হচ্ছে রাজাকারদের রাজা হবার প্রথম চাবিকাঠি।

ও আচ্ছা।

তাহলে ঐ মেয়ে দুটি কেন নামায পড়তে যেতে চাচ্ছে।

তখন

বোন

রোকেয়া সাবিহা এবং উম্মে শাকিলা দুজনেই পরীক্ষার্থী এখন তাদেরকে হলের আধুনিক মেয়েরা রিমান্ডে নিবে।

কেন মেয়ে দুটি নামায পড়তে চায়?

মেয়ে দুটিও ভয়ানক গোড়া আর জেদি দেখুন নামাযের সময় যাচ্ছে নামায় পড়ে এসে আমি আপনাদের সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছি।

হন হন করে হল রুম থেকে বেরিয়ে নিজের ঘরে এসে দরজা লাগিয়ে দিল ওরা।

এরপর প্রভুর সামনে নামাযে দাড়ালো খুব ধীরে সুস্থে রুকু সিজদাহ করে নামাযের সালাম ফিরিয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন তারা আজ আল কোরআন আর আল হাদিসের কোটেশন সংগ্রহ করে সবার সামনে বলবে আমি কোন দলের প্রতিনিধি হিসেবে নামায আদায় করি না বরং একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা

আল্লাহ!

আল্লাহতায়ালা বরং আমাদের তার প্রতিনিধি বা খলিফা হিসেবে নিয়োগ করেছেন।তাই আমরা নামাযে দাড়ায়।

আমাকে যে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করছেন তার প্রমাণ সরূপ আল্লাহর স্বরণে নত হয়ে রুকু সিজদাহতে আল্লাহর গুনগান গাই।

কিন্তু ঘরের দরজা খুলার সাথে সাথে আল্লাহর তরফ থেকে চমত্‍কার একটা সাহসী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে ওনারা কল্পনায় করেন নি। হ্যা দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে মহিলা পুলিশরা অস্ত্র নিয়ে তাদের সামনে দাড়িয়ে আছে।

হঠাত্‍ একটা খুশির ফোয়ারা মেরুদন্ডের শিরদাড়া দিয়ে বেয়ে যায়।তাদের মুখে ছিল অমায়িক হাসি।

ওদের মনে পড়েছিল দর্জ্জালের কাহিনী যখন কেউ আল্লাহর নাম মুখে আনলেই অত্যাচারের মেনে নিতে হবে।

এখন ত সেই জালিমদের সময় নামাযের কথা মুখে আনতেই।পরস্পরের দিকে তাকিয়ে তারা বোরখা পড়ে তৈরি হয়ে নিল ধৈর্যের যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে।খুব অনুরোধ করল শুরু আল কোরআনটি নেওয়ার জন্য কিন্তু নিতে দেওয়া হল না।একটা বোনের বুদ্ধি এল মাথায় যদি নোংরা মেঝে হয় তখন ত পেজ বিছাতে হবে।

তখন পুলিশদের সামনে একটা বই আনল।এই বইটি নিয়ে যাই....

আপনার চিন্তিত বইটির নাম কি???

আমিও!!!

নামটিই আর দেখতে পারিনি।

তবে শুধু সেটায় নিতে দেওয়া হয়েছিল।

নামায পরার অপরাধে নারীদের দেওয়া হল জেল।

নতুন মস[সুত্রঃনামাযী দুই ছাত্রীকে পুলিশে দিলো বদরুন্নেসা কলেজ কতৃপক্ষ

০০০০০০০০০০

দৈনিক সংগ্রাম

প্রথম পাতা

২৬/৯/১৩]

বিষয়: বিবিধ

১৭৯৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File