প্রেম অতঃপর-১০১ (ঘুনে ধরা সমাজ)
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৯:৪৬ রাত
*হৃদপিন্ড ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে।
তবু কি তোমার অনুভূতিতে একটু সহানুভূতি জাগ্রত হয় না আমার প্রতি।
তোমার অনুভূতিকে কি গভীরভাবে সন্মানের সাথে আটকে রেখেছ নাকি?
আসলে কি যান?
এভাবে কেউ নেই পৃথিবীতে একমাত্র তুমি ছাড়া?(প্রেমের মরা জলে ডোবে না:-O
হঠাত্ একদিনঃ
*হতাশ গভীর দুঃখবোধ
"একটা ভুল করলাম জীবনে" যা আমাকে তাড়িত করে বার বার।হয়ত কাল তোমাকে করবে।
পূর্বের স্মৃতিগুলো ছড়িয়ে তীক্ততা নিয়ে বর্তমান জীবনকে ক্ষত বিক্ষত করে এটায় হচ্ছে কষ্ট বুজচ্ছ।(যদি হিমায়ল থেকে দুঃখ আসে;-()
##চমত্কার দুটি ফেসবুক স্ট্যাটাস
কিন্তু হতেই পারে।
কত মন্তব্যের ঝড় উঠবে।
আর আব্বু এই লেখা পড়েন যদি তবে হয়ত আসমান থেকে জমিনে পড়ে যাবেন।সন্তানের এখন পাংখা গজিয়েছে।
এটাও হতে পারে।
নারী পুরুষের বন্ধনটা কেমন একটা অদৃশ্য আকর্ষণ?
এটা হতে পারে মুলভাব প্রেম অতঃপরের।
কত মুভিতে ত
সবাই দেখে কত ভাবে প্রেম করে
ছ্যাকা খায়।
ঠিক তাই ।
কাব্যিকতাকে টেনে আনা যায়ঃ
সাত রং এর ঘুড়িগুলো উড়ে যায় আকাশে
মিশে যায় সাগরে
মেঘেদের দল
পাখিরা ডানা মেলে ছবি একে যায়
সোনালী রোদের ছোঁয়ায় গাছরা ঘুমায়
সুর আর ছন্দে গান
গেয়ে যাও
আমায় জুড়ে পাখনা উড়াও
দুর কোন জানালার
গ্রিল ধরে
উদাসে পাণে তুমি তাকিয়ে কেন রও
খুঁজে মরি তোমারে বারে বারে আজ
হৃদয়ের কালিমায়
জমেছে কত সাজ
তোমায় ঘিরে
স্বপ্ন আমার।
চলে গেছ দুরে তুমি হারিয়ে আজ।
কোথা থেকে একরাশ
নীল এসে যায়।
ভালবাসা বয়ে চলে
কেন অবিরাম।
[একটা ছ্যাকা খাইছি তাতে কি আরও ১০টা করব প্রেম]
###
এতক্ষণ ধরে বাংলা সিরিয়ালের একটা কন্সেপ্ট দার করালাম।
ভাবছি এটার নাম দিব "প্রেম অতঃপর"।পর্ব করে লিখব।
কোথায় যেন পড়েছিলাম
ভুমিকা যে কোন লেখার প্রধান একটা উপাদান।
###কয়েক মাস ধরে ভাবলেও কিছুতেই লেখার সাহজ পাচ্ছিলাম না কারণ আমি যা লিখব তাই আমার আমলনামায় লেখা হচ্ছে।
লেখার মাধ্যমে কঠিনভাবে মনের ভাব প্রকাশ করা যায় তাই বাধ্য হয়েই সব সংকোচকে ঝেরে ফেলে কলম তুলে নিলাম।আল্লাহ ভরসা।
###আজ শুধু আমার শক্ত দুটি যুক্তিসংঘত কারণ এই লেখার পিছনে তুলে ধরছি।
{প্রথম কারণটি}
সাইকোলজি বিষয়টিই হচ্ছে মানুষ।সামগ্রিক মানুষকে নিয়েই ১০টি সেমিস্টারে প্রায় ৫০টি উপর গবেষণা করি আমরা প্রায় ৪০জন মানুষ।আর শিক্ষকরা গবেষণা পরিচালনা করেন আমাদের উপর।
আমার খুব প্রিয় এক ম্যাম ক্লাসে
খুব ভাল বুঝাতে পারেন।
কাউন্সিলিং করেন।
ত একদিন ক্লাসে।আমাদের কাউন্সিলিং করছেন বলা যায় এক ধরনের গ্রুপ কাউন্সিলিং।
"প্রেম এবং যৌবন জীবনের উপর"
ম্যাম ই শুরু করলেন তার জীবনের উদাহরণ দিয়ে কিভাবে প্রেম করছেন সেই ক্লাস এইটে থেকে ভার্সিটি জীবন পর্যন্ত অবশেষে বিয়ে প্রেম করেই।
"যাইহোক একটু পর ধাক্কা খেলাম ভয়ংকর রূপে।"ম্যাম বলছেনঃ
কি ব্যাখ্যা করি বল আমি ওটাকে পছন্দ নয় প্রেমই বলব অর্থাত্ বিয়ের পর তিনি অনেক বার প্রেমে পড়েছেন তার বর্ণনা করলেন।
একবার ভেবে দেখুন নিসন্দেহে ভাল ক্লাস নেন শুধু আমি নই বরং পুরো ক্লাসের সকল ছাত্র ছাত্রী তাকে পছন্দ করে
সুতরাং তিনি একজন মডেল আমাদের।এখন বুঝতে হবে কি প্রভাব পড়তে পারে আমাদের।
তারপর যে পরামর্শ দিলেন তিনি তাতে তার প্রতি বিন্দু মাত্র শ্রদ্ধা রাখা খুব কঠিন।
তোমরা তোমাদের ব্যাগে কনডম আর পিল রাখবা বলা যায় না কখন যদি অঘটনা ঘটে।
জানি না কে কি শিখল এই লেকচার থেকে তবে?
আমি বলবঃ
মাছের পঁচন ধরে লেজ থেকে জাতির পচন করে শিক্ষা ব্যবস্থায়
এই দামী দামী শিক্ষকদের সহচর্য থেকে।
{দ্বিতীয় কারণ}
এটা মুলত আমার ভবিষ্যত কন্যার কথা ভাবতে যেয়েই ভয়ংকর একটা দুঃস্বপ্ন বলব আমি।
স্যার ক্লাস নিচ্ছেন।আমি তার পাশে একজন মেয়ে।পিছনে কয়েকটা ছেলে মেয়ে।
পড়াচ্ছেন Hull এর তত্ত্ব।যাইহোক একটা মুহুর্ত্বে স্যার ব্যাখ্যা করছেন খাদ্য প্রয়োজন হলে খাদ্য সরবারহ করতে হবে
শিক্ষার প্রয়োজন হলে শিক্ষা।
স্যার থামলেন।
হঠাত্ আমার পাশের মেয়েটি পিছনে ঘুরে ছেলেটিকে বলল দেখ স্যার একটা পয়েন্ট বলেননি।
..... প্রয়োজন হলে।তখন ছেলেটি প্রতি উত্তর নারী সরবারহ করবে।
কি শিক্ষা অর্জন করছে সমাজ জানি না।
ম্যামের শিক্ষণ পদ্ধতিটি যে জলে পড়ে যায়নি আমরা বোকারা ফলো করছি এটায় বাস্তব সত্য কথা।ভাবতে যেয়ে
হঠাত্ চমকে উঠলাম।আমি আমার কণ্যা সন্তানকে একটু একটু যত্ন নিয়ে বড় করব।একটা মুহুর্ত্বে ওকে সরবারহ করব।
মানে একটা মেয়ে ধীরে ধীরে একটা পণ্য হয়ে বেড়ে উঠবে।থমকে দাড়ালো ভাবনারা এটাই কি সেই পৃথিবী
যেখানে আমার জন্ম।
[হ্যা।সব ঘটনায় খুব বাস্তব তবে কাল্পনিকভাবে লেখার চেষ্টা করছি।
কেউ বিভ্রান্ত হলে ক্ষমা চাচ্ছি।]
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৬২৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন