"কেন তোমার মন খারাপ? যেখানে আমাদের মনই নেই"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৩৭:১৩ রাত

অনেকক্ষণ ধরে গান শুনছি ত শুনছি।

কিছু বদভ্যাস যখন অভ্যাসে পরিনত হয়।সেটা নেশাক্ত হয়ে রক্তের শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয়।

কখনও বাংলা কখনও বা হিন্দী মাঝে মধ্যে দুই একটা ইংলিশ।

জগত ত বিচিত্রের উপর ভয়ংকর বিচিত্র।সুতরাং এই অভ্যাসটি অবশ্যই ক্ষতিকর জঘন্যতম।কারণ দুনিয়ার প্রাকৃতিক রূপকে পরিবর্তন করে চোখের পলকে অন্যের সৃজনশীলতা মস্তিষ্ককে ফুটো করে আবেগের সাথে কিছু অনুভূতি মিশে যায়।চারপাশে

কত হরেক রকম মানুষ বাস করে।ভাবতেই অবাক নয়নে বিশাল আকাশের দিকে অজান্তে চোখ চলে যায়।কারণ

বড় উদাস আর চমক পূর্ণ এই পৃথিবী।

নতুন নতুন প্রতিদিন।

#আচ্ছা বলত এত উদাস লাগে কেন?

শরীলটিও ইদানিং খুব খারাপ যাচ্ছে|মনে হচ্ছে নিজেকে বিচ্ছিন্ন পৃথিবীর একজন।কাঁচের দামী একটা মানুষ কেন আমি হলাম বলত।যখন ইচ্ছে হচ্ছে নিজেই নিজেকে অথবা অন্যের কথা ভেঙ্গে চুড়ে গুড়া করছে আমাকে।অব্যক্ত কষ্টের অনুভূতি।

=কথা গুলো শুনে মনে হচ্ছে গভীর সমুদ্রে পড়ে এখন আমি হাবুডুবু খাচ্ছি ।কারণ

কিছু কিছু মুহুর্ত্ব ভয়ানক নিশ্চুপতা আঁকড়ে ধরে আমার ছোট্ট পৃথিবীটিকে আরো সংকীর্ণ গর্তে ঠেলে দেয়।

দেখছি ভয়াবহতা

প্রচন্ড দুঃখবোধে আক্রান্ত রমনীটি বসে আছেন সামনে আমার।চরম বোবা করে দেয় এই সমাজ আমাকে প্রায়ই।কেন যে এই বিষয়টি নিয়ে পড়ছি?কই আমার পাশে বসা মেয়েটি ডিপার্টমেন্টে ফাস্ট তবুও ত ও ভাবছে না?তবে কেন আমি ভাবি?

কি বলব ওনাকে?

চলুন না আপু

কোন সাইকোলজিস্টের কাছে।

না আমি এটা বলতে পারি না।যেহেতু তার ইতিহাস আমি কিছুটা জানি।

একজন পাগলই কেবল যাই ওদের কাছে।

এটা যে সকলের একটা চুড়ান্ত ধারণা।নয়ত একজন ধার্মিক ব্যক্তিও বলবেন নামায পড় সব ঠিক হয়ে যাবে যতই সে যদিও নেশায় আসক্ত থাক।

আমি সেদিন ভয়ানক পাগল হয়ে গেলাম যেদিন একজনকে বলছিলাম প্লিজ দ্রুত "কিউর সেন্টার" দিন ঐ ব্যক্তিকে উনি ড্রাগ এডিক্টেট।

ভয়ানক পর্যায়ে আছেন।

ভয়ানকভাবে অপমানিত হলাম।

হ্যা আপনার ধারণায় ঠিক অল্প বিদ্যা ভয়ংকর।

আমারও যে অল্প বিদ্যে কি করব বলুন?নিশ্চুপ কেমনে থাকি?

কিন্তু কখন হাত ধরবেন যখন হাত পিছলে গর্তের অতল অন্ধকারে মানুষটি পড়ে যাবে তখন।লাভ কি?

সত্য সেটায় ঐ ব্যক্তিকে কিউর সেন্টারে দেওয়া হয়েছিল।

তবে অসময়ে।যখন তাকে ভয়ংকর জীবনবোধকে মেরে ফেলল ঠিক তখন।

এক দলা ভাত আটকে আছে আমার কন্ঠ নালীতে আমি কিছু বলছি না।আরেকটি আত্নার অপমৃত্যু

কথারা যে অভিশাপ হয়।ফালাফালা করে হৃদয়কে।আমার একটা পরামর্শ হয়ত তার জন্য অপমান যখন।

ও আচ্ছা!

এতক্ষণ আমার কথা শুনে তোমার পাগল মনে হচ্ছে আমাকে?

পড়ে যতই যুক্তি দিয়ে বুঝাই না যে ব্যাথা অন্তরে বর্শির মত বিদ্ধ করল তা সম্পর্কটিকে নষ্টই করে দিয়ে দেয়।

উদার মনে অন্যের কষ্ট দেখতেও এখন আনন্দ লাগে।কি ভয়ংকর পজেটিভ ধারণা।

স্যারকে প্রশ্ন করলাম এই সেন্টার প্রসেসরটিই কি 'মন'?

স্যার বললেন কোন কোন গবেষণ বলেনও মুলত মনের কোন আবাস খুঁজে পাওয়া যায়নি

এখনও গবেষণা চলছে?

স্যার আরেকটা প্রশ্ন যতটুকু শিখলাম?

আবেগ অনুভূতিকে মুলত মস্তিষ্ক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।যেখানে একজন ব্যক্তি হার্টকে দোষারোপ করে কেন?

স্যার বললেন,

আসলে এই কথাটি ঠিক।যেখানে মস্তিষ্কের বিভিন্ন লোব কতৃক আবেগ নিয়ন্ত্রিত হয় সেখানে হৃত্‍পিন্ডের উপর চাপ প্রয়োগ করা অযৌক্তিক।

হুম

ভয়ানক অবুঝ মেধাহীন হৃদয়গুলো আমাদের যদিও মূর্খতার জন্য কেঁদে কেটে মরে মৃত্যুবরণ করে কিছুই করার নেই।

তখন মৃত আত্নার

দেহ আবেগকে প্রশয় দেওয়ার কি কোন মানে হয়। (নতুন মস)

বিষয়: বিবিধ

১৯৫৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File