"জটলা পাকা সমস্যা আর রহস্যে ঢাকা মনের জমিন"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:২৯:৪১ রাত

ইদানিং

বেশির ভাগ মুহুর্ত্ব

"ঘোরের জগতে" বাস করছি।

না যতটুকু বুঝতে পাচ্ছি হতাশা দ্বন্দ বা বিষণ্নতা নেই।

একটা বিশাল স্বপ্নের রাজ্যে মাঝে মাঝে হারিয়ে যায় বারবার।

ওখানে কার বাস নেই কিন্তু কেন ওখানে একা আমি

অনেকক্ষণ চিন্তার পর একটা উত্তর দ্বার করালাম।

হয়ত ওটা শুধুই আমার আত্নার জগত।সেখানে আমার আচরণকে সুনির্দিষ্ট কক্ষপথে ব্যাখ্যা করতে পারছে না।

কিছু দিন ধরে তোতা পাখির মত দোয়া যবছিঃ

১.গ্রহণ যোগ্য আমল জন্য

২.উপযুক্ত বা গ্রহণযোগ্য বা দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণকর মেধা,বুদ্ধি এবং শিক্ষা অর্জনের জন্য

এবং

৩.হালাল রিযিক এর জন্য

কিন্তু সমস্যা হচ্ছে

চাওয়া আর পাওয়ার

স্বপ্নটা কেমন যেন অদ্ভুত ঠেকছে?

সেই রাসুল (সাঃ)যুগে মানুষের চাল চলন কথা বার্তা বর্তমানের কত পার্সেন্ট প্রতিফলিত হচ্ছে জানি না।তবে অদ্ভুত পৃথিবীকে পরিবর্তন করার স্বপ্ন দিন দিন আমার

পুরো বাস্তব জগতকে এলোমেলো করে দিচ্ছে আর হারিয়ে যাচ্ছি স্বপ্নের গহ্বরে।

মিডটার্ম,প্রাকটিক্যাল,প্রেজেন্টেশন লেগেই আছে পড়াশুনাতেও চরম উদাসীনতা।

এক কথায় ভয়ানক পরিস্থিতি।

রাতের পর রাত একটা পর একটা লেখা , ব্লগ, আই ডি পড়ছি পড়ছি ক্লান্তিহীনভাবে।

কোথাও সমাধান খুঁজে পাচ্ছি না।

আবার নির্ঘুম অবস্থায় ক্লাস করছি।

ছুটি পেলেই ১২ বা ১৩ ঘন্টা ঘুমাচ্ছি অপ্রয়োজনীয়।

পরীক্ষা নিয়ে কোন চিন্তাই যেন নেই।

স্বপ্নের শুরু অদ্ভুত ভাবেঃ

বিশাল খোলা প্রান্তর আর সামনে একটা মিষ্টি পানির বহমান নদী।চারদিকে উর্বর মাটি আর নদীর পানি আছে। কিন্তু আবাসের মত কোন উপযুক্ত বাসস্থান নেই।

নেই গাছপালা।

যা আছে সব মরা ডাল পালায় ছড়ানো ছিটানো।

আসলে রহস্যটা কি?

এখানে আমাকে একটা বসত ভূমি তৈরি করতে হবে।

সেক্ষেত্রে ত আমাকে পরিকল্পিত আর ধৈর্য সহকারে আগাতে হবে।

হতে পারে এভাবে,

একটা চমত্‍কার উর্বর জায়গা পুরো সীমানা ঘুরে খুঁজে বের করতে হবে।

তারপর ওটাকে মৃত গাছের ডালপালা দিয়ে ঘিরে ফেলতে হবে।

নদী থেকে কোন এক পদ্ধতিতে পানি এনে পুরো অংশটিকে চাষাবাদের জন্য উপযোগী করতে হবে ।এরপর অপেক্ষা কোন পাখি ঠোটে করে বীজ আনবে,নাহ!সে আশা বসে থাকা যাবে না বরং চেষ্টা করে কোন নদীর প্রান্তরে কোন উদ্ভিদের একটু ছোট্ট বৃক্ষ আছে কিনা তা খুঁজে বের করতে হবে।তারপর দিন রাত একটু একটু পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে তোলা,নিজের ভেতরের ঘুমিয়ে যাওয়া বৃক্ষের প্রাণকে জাগাতে হবে।

কিন্তু কথা হচ্ছে

বাস্তবতা কি বলে???

এই ত সেদিন একজন

হঠাত্‍ যখন একটা স্বপ্নের বর্ণনা দিচ্ছিলেন আমি ঐ স্বপ্নে এখনো ডুব দিয়ে আছি,

একটা কি যেন যানবাহনে করে আমাদের নানা বাড়ির করিডর ধরে নানীর ঘরের সামনে এসে থামল যানবাহনটি।দেখলাম ভিতরে আব্বা বসে আছেন।

কেউ কথা বলছে না।আমি তখন আব্বাকে বললাম

"এত দিন আব্বা কোথায় ছিলেন"

আব্বা উত্তর দিল,

"কবরে কবরে মাটির নিচে"।

এটা শুনতে শুনতে চোখের কোনা ভিজে যাচ্ছিল।

"কবর"

একটা অদৃশ্য হাতছানি জগতের নাম।

যদি ভাবি আমার জীবনের সিম কার্ডের একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ আছে।

তবে ত এর মধ্যেই আমাকে মুসলমান হয়ে যেতে হবে।

কিন্তু মুসলমান শব্দটার ব্যাখ্যা কেমন যেন ঝাপসা।

Psychology র স্টুডেন্ট হয়েই ঝামেলা দেখা দিয়েছে আরও।কেন যেন শুধু ইবাদত বা শুধু আচরণ নয় ভাবতে ইচ্ছে করে সবাই মুসলমান হবে।কথা,কাজ,ইবাদত,আচরণ,চলা ফেরা,হাসি কান্না সবকিছুই।তবে হয় না।

এখন শুধু ভাবি কিভাবে আচরণকে মুসলমানে ডাইভার্ড করা যায়।

কিন্তু যখন আমার মনের অদ্ভুত অনুভূতিগুলো কারও সাথে শেয়ার করতে চাই সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়।কারই সময় বা ধৈর্য নেই।না থাকায় স্বাভাবিক পাগলের কথা শুনে সময় নষ্ট করে লাভ কি?বরং ক্ষতি।

এক প্রকার বাধ্য হয়েই ব্লগে লেখা।

যখন ভাবি,

নামাযের ভিতর একটা পৃথিবী আছে। যেখানে দুনিয়াবী পৃথিবীর চালচলন, কথাবার্তা, খাওয়া দাওয়া, ঘুম এমনি চিন্তার জগতে অন্য চিন্তা করাও হারাম।কিন্তু এই চিন্তার রাজ্যে যদি ঝড় ওঠে সেই রাজ্যের ইবাদত কখন কি যথার্থ হয়।আমার ক্ষেত্রে ত হচ্ছে না।

মানুষের সবচেয়ে জটিল একটা জগত হচ্ছে মনের জগত।

আপনার ইবাদত যদি

§ঘোর কাটছে না।

§স্বপ্নের রাজ্য থেকে বের হতে পারছেন না।

অথবা

§ সময়ও থেমে থাকছেনা।

এর মধ্য দিয়ে যায়।ইবাদাতের কতটুকু হক এবং যথার্থতা আদায় হয় তা আমি জানি না।

এতটুকু বলা যায় আল্লাহর উপর ভরসা করা ছাড়া উপায় নেই।

সমস্যা যেহেতু তৈরি হয় এর সমাধানও আছে নিশ্চয়ই।

বিষয়: বিবিধ

১০৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File