অগোছানো কথনমেলা-১৫
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৩৪:৪৭ রাত
জোনাকি পোকা ধরে ধরে হোমিও প্যাথির কাঁচের শিশিতে রেখে রাতের আধারে মিটমিট আলো দেখার কি যে আনন্দ? চমত্কার অনুভূতি গুলো এখন হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। একবার দাদা বলেছিলেন জোনাকী পোকার একটা অংশ কেটে ফেলে আলোটিকে অনেক দিন পর্যন্ত ধরে রাখা যায়।
পুকুরের এক ধরনের মাছ আছে বেশ কালার ফুল আমরা ধরে বোতলে রেখে দিয়ে খেলা করতাম।
ছোট ছোট চন্দনের একটা গাছে কিছু ঝমমকা পোকা রয়েছে
যেগুলো খুব নিরিহ হাতে নিয়ে বসে থাকা যায়।
ছোট ছোট গোলাপি ফুলে ঢাকা লজ্জাবতী গাছ গুলোও চমত্কার।আর ভুই এর(ক্ষেত বা জমি) নিচে নীল ,সাদা,হলুদ হরেক রকম রং এর জলস ঘাসফুলগুলোও অদ্ভুত সুন্দর।
পোকা মাকড় আর গাছদের সাথেই ত ছোটবেলা থেকে হাটি হাটি পা করে হাটছিলাম মাঝে একটা তালাকপ্রাপ্ত জীবন চলছে ওদের ছাড়া তবুও ছুটছি।
সাইফুরসের আনোয়ার স্যার তার ক্লাসে বলছিলেন
নারীদের পড়াশুনায় আরও এগিয়ে যাওয়া দরকার সঠিক মেধার পিছে ছুটা দরকার।
অগোছানো কথনমেলা আজকে হারিয়ে যাবে মারপিটের রাজ্যে।
পরিবারের ছোট সদস্য বলে যেমন সকলেই অভিভাবক
আবার মোটামুটি বাদর হয়ে ছোটাছুটি করারও পথ পুরো খোলা।
ছোট হওয়া সবচেয়ে ভাল দিক বড়রা ভুল বা সঠিক যে কাজটি করুক তা থেকে একটা চরম শিক্ষা অর্জন করা যায়।সাবধানতা।
যাইহোক,
যেহেতু ছোট সেহেতু প্রচুর স্বাধীন আকাশে উড়ার সুযোগ দিয়েছে পরিবার।সব ধরনের খেলায় খেলেছি দিব্যি। সেই বেলা থেকে দাদা বাবা চাচার ভাইয়াদের পিছু পিছু ছোটা।
ভাইয়ার সাথে যেতাম ছোটকাল থেকে স্কুলে প্রায় কলেজ জীবনের পূর্ব পর্যন্ত গিয়েছি ভাইয়ার পিছু পিছু।
কিছু দূর যাওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকায় আমি কি করি।
হঠাত্
কোন পুকুরে পাড়ে দাড়িয়ে সাপ দেখছি অথবা পানিকৌড়ি।সাপ হচ্ছে আমার পছন্দের প্রাণী।
আমার কাছে এসে ঠাস ঠাস করে চাপ্পড় লাগত আমিও কাঁদতে থাকি চিত্কার করে রাস্তার মাঝ খানে।কখন কখনও রাস্তার মাঝখানে বসে পড়তাম তখন কান ধরে দেখে নিয়ে যেত।
কিন্তু আমার হাতিয়ার ছিল তখন বলতাম
"বাড়িত যায়া আব্বাক কয়া দিম দেখিস আলা"
দারুণ একটা ঔষধ।কাজ হয়ে যেত,
"হাট তোক আইসক্রিম কিনি দিম এলা"
তখন উত্তর হত,
"নেওনা মুই যা ওদিক"
তবে আসার নারিকেল সম্মিলিত আইসক্রিম খেতে বাড়ি যাচ্ছি।ভাইয়া যে মেরেছে তা খেয়েই ফেললাম।
একবার হল কি বড় দুই ভাই মারামারি করছে,
গ্রাম্য একটা প্রবাদ আছে দাদা বলতেন
"দাদা কুড়াল পাড়ে মোর গাও খচমচ করে"
অর্থাত্ আমার দুইভাই মারামারি করবে আর আমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাকিয়ে থাকব।আমি সবসময় বড় ভাইয়ার পক্ষেই থাকতাম।বড় ভাইয়ার পক্ষ নিয়ে ছোট ভাইয়া মারার জন্য মারামারি অংশ গ্রহণের ফল হল কি কার একজনের পায়ের আঘাতে আমার সামনে দুটি দাতেই পড়ে গেল।তারপর শুরু হল কান্না।হি হি(ফোকলা হাসি)মারামারি তখন বন্ধ থমথমে পরিবেশ।চমত্কার ব্যাপার ছিল যে মারামারি যেমন হঠাত্ শুরু হত এর পর সঙ্গে সঙ্গে আবার স্বাভাবিক।
আমার কারণে মাঝে মাঝে আমার ভাইয়া মার খেত বেশি যেহেতু একটু চুল টানলে অভিযোগ জজের কাছে বেশ করতাম।সুতরাং মার ওরা খেলে ওদের হাতে পুরনায় চাপ্পর ত খেতে হত।
একদিন এক ফুপি গল্প করছিলেন যে,
প্রাচীরে ঘেরা বাড়ির গেটের বাইরে দাড়িয়ে কার সাথে চেচামেচি করছে।
তখন আব্বু ফুপির কাছে যেয়ে বলত চল মা তোকে ডাকে,
ফুপি যখন গেট পেরিয়ে বাড়িতে ডুকত তখন আব্বু
ফুপিকে চাপ্পর মেরে বলত আরেক বার যেন বাইরে না যাওয়া দেখি।
আসলে সেই ভাই বোনদের বন্ধনগুলো কত সুন্দর আছে।ছোট কালের প্রতিটি মারপিট গুলো ভাইটামিন।
চলবে
বিষয়: বিবিধ
১৩০৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন