"আন্তরিকতা যেখানে একটা সুখের সংসার সেখানে"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১০:৩৩:০৩ রাত

আজ যখন সূর্য ডুবি ডুবি আকাশ দেখছিলাম তখন মন জুড়ে একটা প্রফুল্লতা খেলা করল।ফুপিকে বলেই ফেললাম, এমন মুহুর্ত্বে কবিতা লিখতে বেশ হত।ফুপিও হাসতে হাসতে বললেন লেখ।আজ এক কাজিনের বাসায় আমাদের প্রায় ১৫ জনের অধিক সদস্যের আমন্ত্রণ ছিল।

সংখ্যা বলার পিছনে একটা উদ্দেশ্য আছে তা হচ্ছে আপুদের বাসাটি ছয় তলায় ছাদের সঙ্গে লাগাল একটা রুম ভাইয়াদের নিজের বাসা।আমরা উপস্থিত হওয়ার পর দুপুরের খাবার খেলাম তারপর একটা সুন্দর পারিবারিক প্রোগ্রাম হল।কেউ কোরআন তেলোয়াত করলেন, তারপর খুব স্বল্প সময়ে একটা আলোচনা এবং তারপর দোয়া পর্ব ছিল। আমার লেখার মুল আলোচ্য বিষয় হচ্ছে সুখে থাকার জন্য কি হাইফাই গাড়ি বাড়ি গয়নাগাটি খুব প্রয়োজন?

ঐ আপুর আন্তরিকতা আর মজাদার রান্নার স্বাদ আমাদের সবাইকেই খুব সহজেই প্রশান্তির দুয়ারে পৌছে দিয়েছে।আমরা খুঁজে পেয়েছিলাম একটা সুখী পরিবার।

বাচ্চারা ছাদে খেলছে।এবং বক্তব্যের এক পর্যায়ে বক্তা বলছিলেন,

চমত্‍কার একটা পরিবেশ সন্ধ্যায় হলে আমরা আলো আধারে খেলা দেখতে পেতাম।এমন সুন্দর পরিবেশে আমাদের দাওয়াত করার জন্য এই গৃহের কর্তা কর্তীর প্রতি রইল দোয়া।

আমি বলব চমত্‍কার দুপুর বিকালের আকাশের খেলা দেখার সুযোগ

পাশাপাশি সুস্বাদু খাদ্য আর এতগুলো মানুষের পাশে বসে তাদের আচরণকে আমার দর্শন দিয়ে দেখার সুযোগ করিয়ে দেওয়ার জন্য শুকরিয়া।

আমি আসলে একটু ইসলামিক পরিবেশ

আর আধুনিক পরিবেশের একটু তফাদ বর্ণনা করছি কারণ দু পরিবেশে আমি থাকার দুর্ভাগ্য অর্জন করেছি।দুভার্গ্য বলছি দুটি জগত আমার চিন্তা চেতনাকে দারুণ ভাবে প্রভাবিত করে।

ধরুন, আমাদের ক্লাসের একজন ছাত্র শিক্ষকের সামনে বর্ণনা করছে প্রতি ছুটিতে যখন বাড়ি যায় তখন ট্রেনের ছাদে কয়েকজন গল্প করতে করতে যায়।আমিও স্বপ্ন বিভর আমিও যদি যেতে পারতাম ট্রেনের ছাদে যদিও এখন ট্রেনে উঠিনি।

একবার চাচা আর ভাইয়া ঈদের আগের রাতে ট্রাকের উপরের উপরে অংশে শীতে মাঝে ঢাকা থেকে রংপুরে এসেছে।আমিও বিভর স্বপ্নে যদি ট্রাকের উপর উঠে ঘুরতে পারতাম।ভালয় হত।

যাইহোক,

পুরোপুরি ইসলামিক পরিবার বলছি না একটু ছোঁয়ায় ঢাকা পুরোপুরি বলছি না কারণ পুরোপুরি ইসলামিক পরিবেশ তৈরি করা খুব কঠিন।

আমি যখন বেলিরোড আর বারিধারার বিলাসবহুল ফ্লাটে থাকতাম তখনের ছোট্ট খাট্ট কিছু দৃশ্য সাথে বর্তমান দৃশ্য তুলনা করি।

প্রথমতঃ

ওখানেও গেটটুগেদার হত।ধরুন ওদের নিজ্বস গাড়িতে আরেক বাসায় যাচ্ছি।তো রাস্তায় নেমে কোথাও থেকে খাদ্য কিনে নেওয়া হচ্ছে,ভাব এ রকম থাকত টাকাটা জলে পড়ে যাচ্ছে।এগুলো যে নিয়ে যাচ্ছি এগুলো কি আমাদের দিবে।

আচ্ছা এই চিপসের প্যাকেটটি গাড়িতে থাক ওখানে নেওয়ার দরকার নেই পড়ে খাব।আমি হা হয়ে চেয়ে থাকি।আমার তা প্রথম অভিঞ্জতা।

মজাও পেয়েছি:-P জানি না কেন।

আজ যখন আপুর বাসায় যাব।আব্বু আমাকে ফোনে নির্দেশনা দিলেন আপুর বাসা থেকে ডবল দুরে একটা মিষ্টির দোকানের যাওয়ার নির্দেশ দিলেন বললেন ওটা ভাল একটা দোকান ওখান থেকে কিনে নিয়ে যেতে হবে।রিক্সা করে যখন আম্মুকে নিয়ে যাচ্ছি তখন আম্মুকে খেপানোর জন্য বললাম,তোমার হাবি যদি আমাকে এত দুরে না আসতে বলত তাহলে ত যে কোন একটা দোকান থেকে চম চম মিষ্টি কিনে নিলেই হত।

আম্মু খেপে গিয়ে ধমক দিলেন।ধমক খাওয়ার মধ্যে মজা আছে।আমি হেসে বললাম, সত্যি বলতে কি আম্মু?

আব্বুর এই ব্যাপারটি খুব ভাল লাগে যে,

যেখানে যাও উত্তম জিনিসটি নিয়ে যাওয়া চেষ্টা করবা তোমার সামর্থের মধ্যে।

সত্যি একটি প্রশান্তি খেলা করছিল।এখানে একটা স্থায়ী পবিত্র অনুভূতি কাজ করে।

দ্বিতীয়ত,

বরিশালীরা খুব মজাদার রাধে তবে আমার দাদীর মত নয়;-)।

উত্তরবঙ্গীদের রান্নাও বেশ মজা সেটাও আমার দাদীর মত নয়।দুটো দু ধরনের

এখানে চমত্‍কার মিল দুই পক্ষই বেশ আন্তরিক খাওয়াতে পছন্দ করে।

আমি খেতে না পারলেও বেশ উপভোগ করি।

তৃতীয়ত্ব,

ওখানে গ্রুপে ভাগ হয়ে যেতে হত। হয়ত সব কাজিনরা মিলে কার্ড খেলছি ,নয়ত কম্পিউটারে বসে নেট চালাচ্ছি, নয়ত টেলিভিশনের সামনে বসে হা করে টিভি গিলছি।বড়দের সাথে হায় হ্যালো সম্পর্ক

কেমন আছ?

পড়াশুনা কেমন চলছে?

তারপর আর কোন কথায় থাকে না।তবুও খারাপ বলব না ভালই ছিল।আমি বড়দের সাথে বসে থাকতাম মাঝে মাঝে তাদের রাজনৈতিক আর ব্যবসা নিয়ে কথাও মাঝে মাঝে শুনতাম।

এখানে একটি পারিবারিক বৈঠক হচ্ছে যেহেতু দুই একজন সাহিত্য প্রেমিক আছেন।ধরা যাক, আমি কিছু বললাম সবাই কমেন্ট করল।আরেকজন আরেকটা বলল।এখানে বড় ছোটরা সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে।

এটা বেশ ভাল দিক কারই মুহুর্ত্ব গুলো বিরক্তিকর লাগে না উপভোগ করা যায়।

যেহেতু জীবনে

অল্প স্বল্প নারীদের সাথে উঠতে বসতে আমি পাশ থেকে দেখেছি।নারীদের

কয়েকটি ভাগে আমার মত করে ভাগ করেছি।নারী চার ধরনেরঃ

১.যারা বোকার দলে তারা না বুঝেই গল্প করতেই থাকে

করতেই থাকে

এরা মোটামুটি নিরাপদ

২.খুব বুদ্ধিমান।তাদের ভুল গুলো খুবই স্পর্শকাতর।যারা ভাল তাদের সাথে মিশতেই প্রশান্তি খেলা করে।

এরা মোটামুটি ভয়ংকর

৩.আরেক দল সহানুভূতি চাওয়ার জন্য নিজের বেদনার কথা বলে বলে সহানুভূতি চায়।

এরা নিজের জন্য ভয়ংকর

অন্যের জন্য নিরাপদ

৪.চুপচাপ স্বভাবের এদের সম্পর্কে সিদ্ধান্ত পৌছানো কঠিন।আমার দৃষ্টিতে এরা ভাল।তাদের দুটি ভাগ আছেঃ

(|)খুব বুদ্ধিমান বা বোকা তবে পাশাপাশি খুব ভাল

(||)খুব চালাক ভাল বা মন্দে ফেলবনা।তবে যদি খারাপ হয় তবে বলল ভয়ানক টু ভয়ংকর।

আমি এই চার প্রকৃতির নারীকে খুব কাছ থেকে দেখেছি ত।

নতুন মস

হাস্যকর যদিও তবু লিখলাম।

টুডে ব্লগ ব্লক করে দিলে হয়ত আর লেখা হবে না।

বিষয়: বিবিধ

১৮৭১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File