"শুধু কষ্টই যেখানে সমাধান তাই কষ্ট পাচ্ছি"

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ১১:০৬:২৮ রাত

পুকুর পাড়ে বসে আছি।

হাতে একটা ছিপ বর্শিতে চ্যাড়া[কেঁচো]লাগিয়ে মাছ ধরছি।

একটা জীবন্ত প্রাণীকে ব্যবহার করে আরেকটি জীবন্ত প্রাণীর ধরার জন্য ফাঁদ তৈরি করা

কি নিসংশতা???

কত ভয়ংকর আর কষ্টের ঐ দুটি প্রাণীর জন্য

কিন্তু মানুষের জন্য কত আনন্দের মুহুর্ত্ব।

একটার পর একটা মাছ ধরছি আর ওকড়া গাছের সাথে মালা গাথছি।

টাটকা জীবন্ত মাছের ছটফট করে মরার দৃশ্য হাসতে হাসতে দেখছি।

আবার ক্ষণিকের মধ্যে ঐ মাছগুলোকে ঘিরে ধরছে মাঝারি আকৃতির কালো পিপিলিকা।এটায় নাকি আবার সিস্টেম পৃথিবীর।

বড়ই রহস্যজনক পৃথিবী।

আচ্ছা পৃথিবী কি মানুষের জন্য নাকি কিছু মস্তিষ্কহীন পশুর জন্য।

খুব কষ্ট লাগছে আজ ওর আত্নার জন্য।ও আমার কত কাজের একজন।ঠিক ঠাক পর্দাও করে মেয়েটা। যখন শুনলাম ঘটনাটি আমি একটা নারীর প্রতি পুরুষে নির্লজ্জতার কথা ভাবছি।ভার্সিটি থেকে আসার সময় ঐ মেয়েকে একজন রক্ত মাংসে তৈরি পশুর আচরণে আবদ্ধ এক ব্যক্তির অশ্লীল কমেন্ট অঝোরে কাঁদতে বাধ্য করেছে।

আমিও কষ্ট পেলাম।

অস্বাভাবিক যন্ত্রণা ।

কেন ?মুখ বন্ধ করে এই নোংরা ব্যাপারগুলো সহ্য করতে হবে নারীকে।আমি কেন ওকে সান্তনার বাণী শুনাব এক্ষেত্রে আসলেই কি বাণী যায়।

আজ ও লাঞ্ছিত হয়েছে কাল আমি লাঞ্ছিত হব না তার গ্যারান্টি কি সমাজ একটা নারীকে দেয়।

একটা মেয়ে ঘরে নিরাপদ নয়।

একটা মেয়ে বাসে নিরাপদ নয়।

একটা মেয়ে আত্নীয় স্বজনে বাড়িতে যাবে সেখানেও নিরাপদ নয়।

এমন কি রাস্তা দিয়ে হেটে যাবে শেখানেও নারী নিরাপদ নয়।

কোথায় নারী নিরাপদ???

আর আমাদের চারপাশের মেধাবীরা বড় বড় লেকচার দেয় সত্‍ ,নেককার নারীর বড় অভাব পৃথিবীতে।

যেখানে নারীদের একটা যায়গায় নিরাপদে দাড়ানোর মত পরিবেশ দিতে পারছেনা সমাজ।

সেই সমাজ চাচ্ছে নেককার নারী।এটা বাস্তব স্বপ্ন।এটাই কি সত্যের সৈনিকদের ভাষ্য।না হয় ভাবলাম ঐ মেয়েটা পর্দা করে না।উগ্র পোশাক পড়ে ঘুরে তিনি ত লাঞ্ছিত হতে পারে যদিও বিষয়টি অমানবিক।

কি হাস্যকর আমাদের সমাজের কর্তাদের ভুমিকা?

কত স্বপ্নের রাজ্য তৈরি করে মানুষ,যে নারীকে ঘিরে সেই মানুষ কি আসলেই পারে দিতে পর্যাপ্ত সন্মান আর পরিবেশ ঐ নারীকে সুস্থ মন মানসিকতা নিয়ে বেঁচে থাকার জন্য।

দেয় না।

বি বি সিতে কাল এক জরিপের ফলাফলে জানতে পারলাম প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন পুরুষ কমপক্ষে একজন নারীকে ধর্ষণ করছে।আরে ঘরে ঘরে জামাইরা তাদের বউকে জোর পূর্বক অধিকার আদায় করছে।

ওকে ত অশ্লীল কটুক্তি করেছে খুব কম সংখ্যক নারী আছে যারা এই কথা বলতে পারে তারা জীবনে ইভটিজিং স্বীকার হয়নি।

একটা নারীর অঝোরে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে দুর থেকে আমি শুনছি নিশব্দ কান্না।

শুধু ত ওকে অশ্লীল বাক্য শুনতে হয়েছে বলে।আর যে নারীরা ঘরে ঘরে অত্যাচারের স্বীকার হচ্ছে তাদের কি দশা।

ভেবেছি আরেক দিন কেউ আমাকে তার কথা শেয়ার করতে আসলে বলবঃতোমরা কাঁদতে কাঁদতে পাথর যাও।আমাদের সমাজ পতিরা যখন পাথরকে বিয়ে করবে।তখন ঐ পাথর থেকে পাথরের জন্ম হবে।

কারণ পাথর থেকে ত মানুষের জন্ম হতে পারে না।নারীদের অধিকার যতদিন না সমাজ ঠিকভাবে আদায় করবে সেই সমাজের নারীরা কখনই সমাজের অধিকার সঠিকভাবে আদায় করতে পারবে না।

মন দ্রুতই খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

আর কষ্টরা যায়গা দখল করছে।

প্রতিটি নারীর যেন বাসস্থান হয় নিরাপদ।অঢেল টাকার দরকার নেই, গয়নাগাটিরও দরকার নেই ,আর নাই বা গেল বড় বড় শপিং মলে, কিন্তু দরকার

শুধু একটা নিরাপদ পরিবেশ।যেখানে নারীরা নিরাপদে তাদের পৃথিবী সাজাতে পারবে।

নতুন মস

বিষয়: বিবিধ

১৫৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File