"সমালোচনা আর ভুলের রাজ্যে আমার বাস"
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৪০:১০ রাত
তবুও চিন্তার জগত থেমে থাকে না..
মানুষের দর্শন জগত বা কল্পনার জগত কখন থেকে তৈরি বা জন্ম হওয়া শুরু করে।
কেউ কি বলতে পারে?
আজ আমাকে অবাক করেছে নয় মাসের বাবুটি।
যিনি এখন পিপিলিকার সাথে খেলা করে।
বারান্দা গ্রিল ধরে দাড়াতে শিখেছে মাত্র।
একটা লাল পিপিলিকা ছুটে যাচ্ছে এত মনোযোগ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছিলেন তিনি যে আমি নিজেও আশ্চার্য হয়ে গিয়েছি।এরপর যখন পিপিলিকাটিকে ধরে ওনার হাতে উঠিয়ে দিচ্ছিলাম তিনি ত খুব আগ্রহ নিয়ে তা উপভোগ করছিলেন।পড়ে জানতে পারলাম মহামান্য দার্শনিক পিপিলিকার গতি বিধি পর্যবেক্ষণ করেন তারপর পিপিলিকার পিছু পিছু ছোটেন।বসে মাথাটাকে মেঝের সাথে লাগিয়ে তিনি পর্যবেক্ষণ করেন যে পিপিলিকা কি ভাবে চলাফেরা করে কিছুকক্ষণ দেখার পর তিনি ঐ পিপিলিকার পিছে পিছে ছুটে চলেন।হাত দিয়ে বারংবার ধরতে চেষ্টা করেন।
কি অদ্ভুত?
কি চমত্কার একটা দৃশ্য ভাবুন নয় মাসের একজন মহামান্য ব্যক্তির অভিব্যক্তি|
সত্যি এখানে আমার কিছু অভিমত আছে,
একটা মানুষের জন্ম আসলে হয় জন্মের অনেক পড়ে....
এখানে মানুষের নিজ্বস জগত তৈরী হয় ঐ ব্যক্তির অজান্তে বরং অন্যের জগতকে প্রত্যক্ষ দর্শনের মাধ্যমে।
একজন ব্যক্তি কিন্তু আয়না ছাড়া নিজের দর্পণ দেখতে পায় না।
কিন্তু খুব সহজে অন্যকে পযবেক্ষণ করতে পারে।
আপনারা খেয়াল করে দেখবেন ব্লগে যারা লেখালেখি নামক ভয়ংকর জগতে সাথে জড়িত তেমন কার লেখাতে আসে না যে "আমার জগত কি" অর্থাত্ মানুষ নিজের জগতকে সবসময় আয়নার পিছনেই রাখতে চায়।
হয়ত আজকে যে বাচ্চাটা পিপড়ার সাথে খেলছে ও বড় হবে হয়ত কোন দিনই জানবে না যে তার ছোট্ট কালীন খেলার সঙ্গী ছিল পিপিলিকা।হয়ত আল্লাহ যদি তাকে মেধাবীদের কাতারে রাখেন ইনশা আল্লাহ বড় হলে তিনি জানতে পারবেন।
মানুষের দর্শন বা পর্যবেক্ষণ শুধু অন্যকে কেন্দ্র করে যখন তৈরি হয় তখনই মানুষ একটা ছোট্ট গন্ডির মধ্যে পড়ে যায়।
যখন ঐ জুটিকে দেখি আমাদের ক্লাসে একটা কাপেল আছেন ওরা ক্লাসে আসে একসাথে চলে যায় একই সাথে বসে এবং একটা গ্রুপে আবদ্ধ।
নাহ আমি ওদের সমালোচনা করছি না।কারণ আমার দেখা ঐ গ্রুপটি বেশ ভদ্রই মনে হয়।
আসলে অন্যের সমালোচনাতেই এভাবেই আমরা মগ্ন থাকি অজান্তে প্রতিনিহিত।বুঝে না বুঝে|
আজকে cognitive psychology পড়াচ্ছিলেন স্যার।আজকেই জানতে পারলাম একটা ব্যক্তির কোন আচরণ পর্যবেক্ষণ করি সেই ব্যক্তির সম্পর্কে জানা তার পূর্বের যে ব্যক্তিত্ব তার সুত্র ধরে।কিন্তু প্রশ্ন হল একজন ব্যক্তি কি নিজে নিজের সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখেন যে তিনি কে?
কেন যেন আমার কাছে মনে হয় একজন ব্যক্তি খুব কমই নিজেকে চিনে তার চেয়েও অন্যকে বেশি চিনে যার ফলেই অন্যের সমালোচনা আমরা বেশি করে ফেলি।
এটা সম্পূর্ণ আমার ভ্রান্ত ধারণাও হতে পারে।তবে আমি আমাকে চিনি না।এটা কেউ বিশ্বাস না করলেও
এটায় বাস্তব সত্য।
কেন যেন মনে হয় মাঝে মাঝে পৃথিবীটি কোন এক দিকে ছুটার জন্যই আমাদের জন্ম অথবা অন্যের সমালোচনায় ডুবে থাকার জন্যেও আমাদের জন্ম হয়নি।বরং নিজ্বস দর্শন তৈরির জন্য পিপিলিকার পিছে ছুটা।তীব্র গতিতে ছোটায় আমাদের কাজ।যত দুনিয়াতে ভুল আছে তা নিজের মধ্যে ধারণ করে নেওয়া।
কেমন একটা হাস্যকর কথা তাই না?কিন্তু বাস্তব সত্য কথা আমরা আমাদের ভুল সম্পর্কে ধারণা রাখি না বলেই
ভুলের পৃথিবীতে বসবাস করি।নাই কার জীবনে ভুল।বলা কঠিন।
নতুন মস
বিষয়: বিবিধ
১৫৩৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন