মেয়েরা কি উদার হতে পারে নয়?

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০২:৪৭:০৭ দুপুর

যাত্রাপথ থেমে থাকার নেইকো অবকাশ

চলতে থাকবে।আজ যখন ছুটতে ছুটতে বাসে উঠছি তখন ছোটখাট হোছট খেলাম।এক্সিডেন্ট আর আমি মনে হয় একই সারির সঙ্গী।

ভিশনে যখন স্যারের সেমিনারে অংশ নিয়েছিলাম তখন জানতে পারলাম যে গোটা বাংলাদেশের মাত্র ১% স্টুডেন্ট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সৌভাগ্য অর্জন করে।আলহামদুলিল্লাহ আমিও আছি ঐ দলে।ভাবতে ভাল লাগলেও ভার্সিটিতে ভর্তির পর আমি প্রতিদিনই অবাক হই

কি শিখছি আমরা?

কি নৈতিকতা আছে আমাদের?

কি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছি যেখানে শেখায় সংকীর্ণতা?

আজ ছোট্ট একটা বিষয়কে হাইলাইট করার উদ্দেশ্যেই বাসে জ্যামে বসে লিখছি।এটাও ঐ সেমিনারে স্যারকে দেখে শেখা একটা কৌশল।বাংলাদেশে থাকতে হলে যানজটকে আর বিদ্যুত্‍ কেই সঙ্গী হিসেবে মেনে নিয়ে সময়টা কাজে লাগাতে চেষ্টা করতে হবে।তবেই না বাংলাদেশী হওয়া যাবে।

যাইহোক যা বলছিলামঃআমার মত ফাঁকিবাজ স্টুডেন্টের জন্য সব বিষয়ের নোট কালেক্ট করা ছাড়া উপায় নেই।কারণ বই ঘেটে ঘেটে নোট করার ধৈর্য আমাকে আল্লাহ দেন নি।

যেহেতু সামনে পরীক্ষা সুতরাং নোট প্রশ্ন লাগবেই।আবার সব বই ইংলিশে দিব আমরা ৯৭% বাংলায় পরীক্ষা।

ক্লাসে সব কিছুই গ্রুপ ভিত্তিক।

আর আমার গ্রুপে আমি একাই স্বাধীনচেতা মানুষ।

কেউ একটা গ্রুপে নোট পায় সে কখনই অন্য গ্রুপকে দিবে না।

তবুও দেখা যায় পরীক্ষার সময় সবার হাতে একই নোট।

যদিও ক্লাসে আমি একলা গ্রুপের সদস্য কিন্তু সবাই আলহামদুলিল্লাহ আমাকে নোট দিয়ে দেয় আমি নিরিহ মানুষ তাই কেউ আমাকে প্রতিপক্ষ ভাবতে চায় না।বিপদে পড়ি নোটগুলো হাতে আসার পর যেহেতু যে যার যত বড় শত্রুই হোক আমি ত কার শত্রু না সুতরাং শত্রু পক্ষের নোট চালান হয়ে যায় আমার কাজ থেকে।কি যে বিপদ মাঝে মাঝে শর্ত থাকে কাউকে দিতে পারব না।এই কথাটি মানতে আমার মোটেও ভাল লাগে না।কেন সামান্য নোট বিনিময়ে মানুষের মন মানসিকতা ক্ষুদ্র সংকীর্ণ হবে।যখন দেখি একটা মেয়ে চাইলেই একটা মেয়ের শত সমস্যা অপর পক্ষে একটা ছেলে চাইলেই ঐ মেয়েটা দিয়ে দিচ্ছে কিন্তু কেন এটায় মাথায় ডুকে না।

আমি সাধু স্টুডেন্ট নই সুতরাং তোমাদের নোট আমার লাগবে কিন্তু আমি অসাধু স্টুডেন্ট না আমি আমার নোট একটা অসহায় স্টুডেন্টকে দিতেই পারি।যেটায় বলি না কেন আমরা আমি যদি কার সাথে ভাল ব্যবহার করি তবে তার আমার সাথে ভাল আচরণ করতে মন না চাইলেও খারাপ আচরণ করবে না কখনই এটা আমি পরীক্ষীয় সত্য বলেই বলছি।আর অন্যকে সাহায্য করার মনমানসিকতা যদি ভার্সিটিতে পড়েও যদি স্টুডেন্টদের না আসে সেটা আমি অবশ্যই শিক্ষাব্যবস্থা আর শিক্ষকদের দোষ দিব।কি এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে যে আমরা সংকীর্ণ জীবনবোধ থেকে বের হতে পারি না।এখন পুরো বই এর নোট নিয়ে বাসায় যাচ্ছি আর একটা গ্রুপকে দিয়েছে এখন যিনি চাবেন তাকেই দিয়ে দিব।একটা কাগজের সার্টিফিকেটের জন্য এত সংকীর্ণ চেতা হওয়ার প্রশ্নই আসে না।যেভাবে এক্সিডেন্ট পিছু নিয়েছে কাল যদি শহীদ হয়ে যাই তখনই ত আমার দুনিয়াবী সার্টিফিকেটের সব দুয়ার বন্ধ হয়ে যাবে।এত অল্প কয়েকটা মুহুর্ত্বের জন্য কি একটু মানবিক আচরণ শেখা যায় না।জাতির বিবেকের কাছে আমার এটা প্রশ্ন???

বিষয়: বিবিধ

১৩৫৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File