সময় কেন কাটেনা...

লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:১৫:৫২ দুপুর

রমজান মাসটি কেটেছে পুরপরি প্রশান্তির মধ্য দিয়ে।[আলহামদুলিল্লাহ]আসে পাশের প্রায় প্রতিটি আত্নীয় স্বজনের বাসায় একটা করে পারিবারিক বৈঠক হয়েছে।কোন রূপ দ্বন্দ বা হতাশার স্থান ছিল না পরিবারগুলোতে।যদিও চারদিকে সমস্যা কম নয় কোন পরিবারে নেশায় আক্রান্ত ছেলে মেয়ে আছে তবুও সবকিছুই ভালয় ভালয় রোযা মাস কেটে গেল।

রোযা শেষ হওয়ার পর থেকেই একটার পর একটা রোগে আক্রান্ত হয়ে চলেছি তবে অসুস্থ অবস্থায় বিশ্রাম সবচেয়ে বেশি হয় ফলে চিন্তার জগত থেমে থাকে না।

ঠিক মনে আছে যখন পা ভেঙ্গে ছিল একমাস ধরে আমি অনেক কিছু নিয়েই চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকতাম।তবে দিন দিন চিন্তার পরিবর্তন আসছে এটা একদিক দিয়ে ভাল অন্য দিক দিয়ে খুব খারাপ।

এখন স্বাভাবিক মানুষ জনের সাথে স্বাভাবিক আচরণ করতে ভাল লাগে না।

খুব গম্ভীরভাবে বসে থাকতেই বেশি ভাল লাগে।যদিও আগেও ভার্সিটির ফেন্ডসার্কেল এর সাথে কখনই আড্ডা দেওয়া মনমানসিকতা ছিল না তবে ইদানিং সাংগঠনিক আপুদেরকেও গাঁ মেরে চলছি।এখন কর্মী বৈঠকে বা রিপোট রাখার প্রতি আগ্রহ ত প্রায় ২৪মাস থেকে পাই না।আমি সব সময় খেয়াল করেছি মেধাবী ব্যক্তিদের চিন্তাধারা আমাকে ভয়ানকভাবে প্রভাবিত করে।এই যে লিখছি আজ থেকে এক বছর আগেও ত তেমন লিখতাম না।তবে লেখার শুরুটা মেধাবীদের অনুপ্রেরণার ফল।

আমার এক কাজিন প্রোডিউসার।ঐ আপুর অনেক কথায় এক সময় আসক্ত করত।এর মধ্যে রিপোর্ট রেখে আর গদবাধা পদ্ধতি প্রোগ্রাম করে আর এখন ইসলামিক পরিবেশ তৈরি করা যাবে না কথাটি কেমন করে যেন মাথায় ডুকে গেছে।এখন চারিদিকে কৌশলগত পরিবর্তন আনতে হবে।খুব আগ্রহ নিয়েই জানতে চাইলাম নতুন পদ্ধতি বা কৌশলটি ব্যাখ্যা করুন।

নাহ,

আমাকে একটা কাল্পনিক জগতে ডুকিয়ে দিয়ে তিনি চুপ বনে গেলেন।এখন আমি সমুদ্রের মাঝখানে হাবুডুবু খাচ্ছি।

গতকালও ত ইচ্ছে ছিল চিরচরিত নিয়মে অনার্স মাস্টার্স শেষ করব দরকার হলে এম বি এ করব তারপর চাকরির পিছনে ছুটব।এখন চরম অনীহা এই চাকরি করব এটায় ভাবতে ভাল লাগে না।

সকালে ওঠেই আব্বূ অনেক রাগারাগি করলেন। পরিশ্রম কর।অন্তত দিনে একঘন্টা হাটতে থাক।রাত জাগো ভাল তবে কাজ কর।

আমার কথা হচ্ছে

কি কাজ করব?

এভাবে বসে ঘুমিয়ে সময় নষ্ট করলে কিছুই করতে পারবানা জীবনে।

ইংলিশ শেখ।

কিন্তু আসল কথা মগজে বিশাল যানজট লেগেছে প্যাচ আর প্যাচ অনেকগুলো তার একসাথে আটকে আছে।একে ত অসুস্থ।তার উপর অনেকগুলো ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব মগজে ডুকে বসে আছে।কাল একটা লেখা পড়ছিলাম।কিভাবে বই এর চরিত্রগুলো মানুষের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন জগত তৈরি করে।

একটা একটা খুলতে হবে এর জন্য কাজ নামক মহা মূল্যবান সম্পদের পিছনে ছুটতে হবে।

টাকার দরকার নেই।

দরকার একটা মনের মত কাজ যা করে আমি তৃপ্তি পাব।কিছু শিখব।আজ থেকে দশ বছর পর যা একটা ইসলামি আন্দোলনের শক্তিশালী হাতিয়ার হবে।

হঠাত্‍ বললাম,

কিছু মিডিয়া ভিত্তিক কোর্স করি আব্বু।

কর!!!ওগুলোতে যে লোকরা কাজ করে তারা বোতলের মদ গাঁজায় ডুবে থাকে।

তোমার ফুপাজি বলনা ইসলামিক পত্রিকা সেখানেও হরেক রকম বোতল পড়ে থাকে।

আমিও বললাম,

খাচ্ছে ত কি হয়েছে।আমার তাতে সমস্যা কি?

আব্বুর এখানে অমত সেটায় সরাসরি না বলে ঘুরিয়ে বললেন।

আর কি?

সব কথা মেনে নেওয়ায় মনে হয় ভাল কন্যার বৈশিষ্ট্য।

আপুকে বললাম,

আচ্ছা কম্পিউটার এর বিভিন্ন কোর্স করি।

সেখানেও তীব্র বাঁধা।

ইংলিশ শেখ।

কি বিপদে পড়লাম?

একটা ভাষা শেখা কি এত্ত সহজ।তাও আবার আমার মত মূর্খ ব্যক্তির পক্ষে যে কঠিন কাজ বুঝায় ক্যামনে।

আত্নীয় স্বজনের বাসাও যাওয়ার আগ্রহ কেমনে যেন মরে গেছে।

হয় এখন চারদেওয়ালে অথবা ভার্সিটিতে বসে থাকতে হবে।

এখন ভার্সিটিতে বসে বসে লাইব্রেরিতে ডুকার মনমানসিকতা তৈরি করতে হবে।

কথায় আছে না,

"সময়ে একফোঁড় অসময়ে দশফোঁড়।"

ঢাকায় আসার পর থেকেই আত্নীয় স্বজনের বাসায় একটা বিশাল যুদ্ধ করে টিকে থাকার পর নিজের বাসায় ঘরে বসে অফুরন্ত সময় পাওয়ার পরও অবসর।শুধু কাজ নেই।হয়ত প্রচুর কাজও আছে কিন্তু বস্তা ভর্তি অলসতা

হয়ত কাজটি করার প্রতি অনীহা

সুতরাং আর দশ জনের মত ভার্সিটি জীবন উপভোগ না করতে পারলেও

চুপচাপ দেখে যাই।

মানুষকে দেখার মধ্যে একটা আনন্দ আছে।

হয়ত একটা সময় আসবে যখন আল্লাহ আমার পছন্দের নির্ধারিত কাজটি করার একটা সুযোগ করে দিবেন।

এখন শুধু অপেক্ষা....

বিষয়: বিবিধ

১৬০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File