ভার্সিটি জীবন
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৩:১০:৫৯ দুপুর
সেই কবে ঘর থেকে বের হয়েছি ভুলেই গেছি প্রায়।
মনে হচ্ছিল কত বছর পর বাসা থেকে বের হলাম।এখন বাসাকে বন্দি কারাগার মনে হয়।
তারপর রাস্তার মাঝখান থেকেই ভার্সিটির বাসে উঠে পড়লাম।মনে হচ্ছিল বাসের মধ্যে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে যে অনেক ক্লান্তিকর যাত্রা তার অবসান ঘটবে।ঘটেনি বরং ক্লান্তি বেড়ে গেছে।অসুস্থতা ফলে মনে হয় মগজ ঠিকভাবে কাজ করছে না আজকাল। বাসের আমার ডিপার্টমেন্টের এক আপুর সাথে কথা বলছিলাম।
উনি বলেন কোন সেমিষ্টারে পর
আমি ভুল বলছিলাম।আপু হাসতেছেন।সাবজেক্টগুলো কি কি আছে একটা সাবজেক্টও পযর্ন্ত বলতে পারতেছিলাম না।
কি অদ্ভুত এই সেমিষ্টার উঠেছি তিন মাস হয়ে গেল তবুও পারলাম না।আর যদি এত দিন কি ক্লাসে পড়েছি আমাকে বলে আমি শুধু অসহায় ব্যক্তির মত ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কোন জবাব দিতে পারব না।
ম্যামের মিডটার্ম পরীক্ষা ছিল রমজান মাসে।একটা প্রশ্ন পড়েছিলাম সুন্দর করে লিখলাম বাকীটা পুরোপুরি বানায় লিখলাম।তবে মার্ক ভালই পেলুম।
ভার্সির্টিতে এমন কোন পরীক্ষা দেইনি যেখানে আমি নিজের মাধুর্য্য মেশায় না।তবে অবাক হয়ে গিয়েছিলাম ভুগোল বানায় লিখে যে রেজাল্ট আশা করেছি তার চেয়ে অনেক ভাল পেয়েছি দেখে।
স্যার ম্যামরা কি ক্লাস নেন তাও বুঝি না?
ভার্সিটিতে কি পড়ছি?
কেন পড়ছি?
কতদিন ধরে পড়ছি?
আর কত কাল পড়ব ?
জানি না।
দীর্ঘ থেকে দীর্ঘকাল পেরিয়ে যাচ্ছে।
অধিকাংশ ছাত্র ছাত্রীদের দশা কিন্তু আরো করুন দশা।এত প্রিয় একটা বিষয়ে পড়ছি কিন্তু বাস্তবিক অর্থে শুধুই নাম প্রেজেন্টের জন্য ভার্সিটিতে যাচ্ছি।এটা ত কোন পড়াশুনা নয় কেবল নিজের সাথে লুকিচুরি করছি একটি সার্টিফিকেটের পিছনে ছুটছি ত ছুটছি।
বাসায় ফিরে আসার সময় লোকাল বাসে ওঠা আর সিট পাওয়া নিয়ে কষ্টের সীমা থাকে না।
তবুও পথ চলতেই ত হয়।
এটায় হচ্ছে ভার্সিটি জীবন।
একটা অন্ধ জীবন সমাপ্তির প্রহর গুনছি আমরা।
নতুন মস
বিষয়: বিবিধ
১৭০০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন