অগোছানো কথনমেলা-১২
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৭ আগস্ট, ২০১৩, ১১:৩৯:০৫ রাত
অগোছানো কথনমেলা সমাপ্তি ঘোষণা করব করব চিন্তা করে ভাবছি চলুক না নিজ্বস ধারায়।
যেহেতু পরিবারের কোন সদস্যই জানে না ।কার মাথা ব্যাথা নেই।সুতরাং মাঝখান দিয়ে আমি আমার স্মৃতি সমুহ ধারণ করে রাখছি।
অসুস্থতা কি আসলেই একটা নিয়ামত?
যদি এমন প্রশ্ন আসে আমার কাছে
আমি বলব,
"অবশ্যই"।
মানুষকে পরীক্ষা করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি।কে কত টুকু আন্তরিক।আর কতটুকু নিষ্ঠুর বোঝা যায়।
কারণ একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ একমাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লেই অসহায় হয়ে পড়ে।
তখন আসে পাশের পৃথিবীকে আঁকড়ে ধরে।এবং বুঝতে পারে আপনজন ছাড়া সে কতটা অসহায় একদম এতিম।
যারা একাকি থাকে তারা নিরবে কেঁদে কেঁদে প্রভুকে ডাকে সেও তার সৃষ্টিকর্তার কাছে অসহায় হয়ে ভিক্ষা চায়
সুস্থতা।
মচত্কার ব্যাপার আমি আমার এই স্বল্প জীবনে সাতটি পরিবারের সাথে থাকার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।
এর মধ্যে ছয়টিই জামাতি পরিবার আর একটি বিএনপি পরিবার।জামাতি পরিবার কেন লিখলাম একটা মেয়ের জন্য চারপাশের পরিবেশটা গুরুত্বপূর্ণ।এই জামাতি পরিবারের সদস্যরা সেই সুন্দর পরিবেশটি দিয়েছে।
সেই সব পরিবারের মানুষদের সহানুমূতি আচরণ পেয়েছি অসুস্থ অবস্থায়।ঐ সব পরিবারের
সদস্যদের দর্শন দেখেছি, চাল চলন, আচার আচরণ, আর ভাষার সাথে পরিচিত হয়েছি।
এই দর্শন দেখার ফল হল দুই ধরণেরঃ
ইতিবাচকঃজগতের মানুষ সম্পর্কে সাধারণ ধারণা।সবার সাথে মিশতে না পারলেও চেষ্টা করা।
যে কোন পরিস্থিতে খাপ খাওয়ার চেষ্টা করা।আবেগকে গুরুত্ব কম দিয়ে বাস্তবতাকে গুরুত্ব দেওয়া।
নেতিবাচকঃ খুবই খারাপ হচ্ছে মানুষকে নিয়ে অতিরিক্ত গবেষণা করা।
আর কৃত্রিম আর অকৃত্রিম বন্ধনগুলো অতি সহজে বুঝতে পারা।
পৃথিবী বিচিত্র স্থান যেখানে আপনি যত কম বুঝবেন তত বেশি শান্তিতে থাকবেন।তবে যত বুঝতে পারবেন আপনার আশে পাশের মানুষদের সাথে ততই ঝামেলে এড়িয়ে শান্তিতে থাকতে পারবেন।
আমি জামাতের ঘরে জন্ম গ্রহণ করেছি ।যার ফলে আমি আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করি।
আজকে যখন সায়মা আক্তার নামক একজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী মহীশী নারীর বর্ণনা পড়তে পড়তে মনে হচ্ছিল।
আচ্ছা আবার বাবাকে আমার দাদা দাদী খুব ভালবাসতেন কেন?
আমার দাদা দাদী টানা দুই বছরের বেশি বিছানায় অসুস্থ হয়ে পড়ে ছিল তখন তিন বেলা বৃদ্ধ বাবা মাকে হাত দিয়ে তুলে খাওয়ানোর কাজ সব সার্বিক দিক দেখা শুনা কেন করতেন আমার মধ্য বয়স্ক বাবা?
আচ্ছা আমার বাবাকে তার প্রত্যেক ভাই বোন ভালবাসেন কেন?
আচ্ছা আমার আম্মুর পরিবারের সদস্যরাও ত আমার বাবাকে ভালবাসেন?
আচ্ছা আমরা কেন আমাদের বাবাকে ভালবাসি কি রাগী একজন লোক?
হে সাময়া শোন,
আমি যখন প্রাইভেট পড়াতাম তখন আমার নিজের জন্য কিছু না কিনলেও একটা অদৃশ্য বন্ধন জামায়াত শিবিরকে টাকা দিতে আমার অন্তরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলত।
বোন রে আরেকটু অপেক্ষা করুন বেশি না বছর কয়েকের মধ্যে হয় বাবা মার কাছে আশ্রয় ভিক্ষা করবেন।না হয় জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাবেন।জামাতের পরিবারে বড় হয়েছি বেঁকে যাওয়া অনেককেই দেখেছি কিন্তু বাবা মা যে শেষ আশ্রয় স্থান তাও আমি দেখেছি রে বোন।
হাড়ে হাড়ে টের পারেন ভুত কত প্রকার এবং উহা কি কি?
আর বেঁচে থাকতে হলে নৈতিক শিক্ষার কোন বিকল্প নাই।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৬৪৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন