এতিম চানবানু আর নিষ্ঠুর আমরা
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৫ আগস্ট, ২০১৩, ০৬:০১:২১ সকাল
অসুস্থতাও একটা নিয়ামত।অসুস্থ হয়ে চুপচাপ হয়ে আছি।আম্মা হয়ত তখন মমতামাখা হাত কপালে দিয়ে পাশে বসে থাকবেন।বড় বোন তখন ভাতের লোকমা উঠাই খাওবেন।আর আব্বু সার্বক্ষণিক ফোনে যোগাযোগ রাখবেন।এটায় সম্ভবত পরিবার।
কিন্তু যার পরিবার নেই এমন কি মা বাবাই বেঁচে নেই।ওদের কি অবস্থা?
যেদিন ওর মামার বাসায় গেলাম "পাপাসহ"তখনই শুনলাম ওর বাবা মা কেউ বেঁচে নেই।গরীব মানুষ ওর মামারা তবু কি আন্তরিকতা
ছোটাছোটি করে আমাদের জন্য আপ্যায়নের ব্যবস্থা করলেন।
ঐ সময় ও আমার চেয়ে বড় হবেন।
তারপর থেকেই পাপার বাসায় থাকেন।আমি মাঝে মাঝেই চিন্তা করে দেখেছি
যে আসলে কত নিষ্ঠুর আমরা
ওকে নিয়ে কি কেউ চিন্তা করে
ও ত আমাদের মত অসুস্থ হয়।
ওর ত মন চায় আবদার করতে,
ভাল কিছু খেতে অথবা কোথাও ঘুরতে।
কেউ কি ওর সাথে বসে গল্প করে
বা জানতে চায় তোমার পছন্দ অপছন্দের জিনিস কি? অথবা ওর বাকি যে বোনরা তারাও ছিন্ন ভিন্ন হয়ে আছে একেক যায়গায়।কেউ কি তাদের একসাথে করে।
না,
এত সময় আমাদের মত দু পায়া বিশিষ্ট্য সভ্য মানুষের হৃদয়ে জাগেনি এখনও।
জাগবে বা কি করে
কারও কি সমস্যা কম নাকি
সবাই ত আমরা ব্যস্ত কতটুকু দুনিয়াকে পাওয়া গেল তা নিয়েই।কম স্বপ্ন পুরণ করা বাকী আছে এখনও।
কতটা বৈচিত্রময় এই পৃথিবীতে বাস চানবানু নামক বুবুদের কেউ ভাবার সময়ই পায় না।নিজের কাজ ষোল আনা পূর্ণ হলে সবাই খুঁশি।একবার IBA কোচিং করার সময় সুমাইয়া আপুর সঙ্গে পরিচয়।ওনি বলছিলেন ওনার শশুড়বাড়ি একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা সেই ছোট কাল থেকেই থাকত ঐ মহিলাকে ইচ্ছেকৃত ভাবে বিয়ে না দিয়ে গয়না গাটি দিয়ে রেখে দিছে।পরে যদি কাজের মানুষ না পায়।আপুটা বলছিলেন তার খুব খারাপ লাগে ব্যাপারটা।মানুষের ভাবখানা এ রকম কত শান্তিতে রেখেছিঃ
তারা ত ভাল আছে আল্লাহ!
তিন বেলা খাদ্য পাচ্ছে, পোশাক পাচ্ছে,
অসুখ হলে ঔষধ পাচ্ছে
আর কি লাগে?
মানুষ নিষ্ঠুর সবচেয়ে বড় অমানবিক কাজ করে।
এত ব্যস্ত কেন মানুষ নিজেদের জীবনকে গড়া নিয়ে।
সেদিন শুনলাম ওর মামা মামী একটা বিয়ের প্রস্তাব এনেছে অভিভাবকহীন মেয়ে সবারই দায় সারা চিন্তা ভাবনা। ছেলের আগে একটা বিয়ে আছে হাজার দশেক টাকা যৌতুক দিলেই বিয়ে করবে।
আমি বললাম তাহলে বিয়েটা কেন দিচ্ছেন না।ওখানেই দিতেন।ওকি সারা জীবন এভাবেই কাজ করে যাবে।
দেওয়া ত উচিত।
বলা হল,
ছেলেটাকে সুবিধার মনে হয়নি।তাহলে ভাল ছেলে খুঁজেন।কি ভয়ংকর রহস্যে ঢাকা পৃথিবী।
আমার বাবায় হয়ত কত বায়া ডাটা ফেলে রাখছেন খুঁজে খুঁজে যোগ্য পাত্র দিয়েই আমাকে বিয়ে দিতে চাবেন।কিন্তু ওর ত বাবা নেই এমন কি মা ও নেই।
আর এই মেয়েটাকে নিয়ে সত্যি বলছি পুরো সমাজ উদাসীন।
কি আশ্চার্য?
তবুও যদি মেয়েটার বাবা মার কেউ একজন অভিভাবক বেঁচে থাকত।
বড় তিক্ততা জন্ম নেয় জীবনের প্রতি। ৩০পারা কোরআনের প্রতিটি আয়াত শিখে নিতে রাজি আছি
কিন্তু কি লাভ?
ঐ নারীর কি কোন দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেই।
ওকে
কেন কষ্ট দিচ্ছে সমাজ।
তাহলে বিদায় হজ্জের ভাষণে বলা কথাতে যে কাজের মানুষদের হকের ব্যাপারে সতর্ক হতে বলেছে তা কেন ঠিকভাবে মানা হয় না।
কিন্তু ওই মেয়েটার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই
এই অসহায় মেয়ের অভিভাবক একমাত্র আল্লাহ ত আছেন
তাই তার কাছে অভিযোগ পেশ করা ছাড়া কোন ক্ষমতা নেই আমার যে ওকে একটি স্বপ্নীল জগতে ঢুকে দিব অথবা টাকা দিয়ে ওকে সাহায্য করব।
তবুও দোয়া করি ওর জীবনটা সামনে অনেক সুন্দর যেন হয়।আল্লাহ যেন ওকে সাহায্য করে।(আমীন)
নতুন মস
বিষয়: বিবিধ
১৩৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন