অগোছানো কথনমেলা-১০
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৪ আগস্ট, ২০১৩, ০৫:২৭:৪৯ সকাল
ইদানিং আমি বেশ চিন্তায় আর ঘোরের জগতে আছি।দাদা দাদী ইন্তেকালের পর বছর পেরিয়ে গিয়েছে হয়ত খুব কাছেই কেউ লাইনে দাড়িয়ে আছে।খুব আপন কেউ রক্তের অথবা আমি।সুতরাং এই কেমন যেন বোধ থেকেই এই লেখাটি চালিয়ে যাচ্ছি।খুব ইচ্ছে ছিল দাদা আর দাদীর সেই সব বিরল ঘটনা লিপিবদ্ধ করব।করা হয়ে উঠেনি অচেতন জগতে হারিয়ে গিয়েছে অনেক তথ্য।এখন অবচেতন স্তরে যা আছে তাও অচেতন হবে কাল।অফুরন্ত সময়।টিভি দেখি না কত দিন হল মনে নেই।আর পরীক্ষার আগে ছাড়া পড়াশুনা করা বিলাসবহুলতা ছাড়া আর কিছুই না।
Psychology
তে পড়ে এমনিতেই মাথার মধ্যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এর উপর ঘাড়ের ব্যাথায় ত জ্বর এসে গেছে।
মুল কথা নেশা নেই।হয়ত কাল কোন কাজে ব্যস্ত হলে ফেসবুকের মত ব্লগে লেখা লেখিকে অবসরে পাঠাব।
হ্যা, যেটা বলতে চাচ্ছি।Psychology তে প্রথম যা নিয়ে গবেষণা করা হয় তা হচ্ছে সমস্যা।এটা একটু একটু পড়তে শুরু করার সাথে মনে হতে শুরু করে আমার এই ব্যক্তিত্বের গোলযোগ আছে,প্যারানয়েড অথবা হতাশা বা বাই পোলার ডিসঅর্ডারের বৈশিষ্ট্যগুলো আছে।সবচেয়ে ভয়ংকর ব্যাপার ঘটে যে খুব কাছের আত্নীয়দেরকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে ফেলছি আমি অজান্তে।এমন কি এমন সন্দেহ প্রবণ হচ্ছিলাম যে ফেসবুকে কেউ কেউ আমাকে উদ্দেশ্য করে স্ট্যাটাস দেয় এমন মনে হচ্ছিল।আমাকে উপদেশ দিচ্ছে।আমি রিয়া প্রদর্শন করছি,কাউ কে পটাচ্ছি,মিথ্যা প্রলোভন দেখাচ্ছি ইত্যাদি ইত্যাদি বহুত হাস্যকর।এক ধরণের ভ্রান্ত বিশ্বাস।আমি উল্টো অন্যকে মেসেজ পাঠাতাম।বিরক্ত করতাম।
অজান্তে ব্লেম দিতাম।
অবদমন প্রক্রিয়ায় খাটালাম ঠুস করে, ফেবুকে সালাম জানালাম কিছু দিনের জন্য।
আহ!কি শান্তি।
আল্লাহ কাছে দোয়া করি যতক্ষণ আছি সুস্থভাবে কয়েকটি মুহুর্ত্ব বাঁচতে চাই।
তবে এটা সত্য
বুঝতে পারছি মানসিক রোগীদের কি ভয়ানক যাতনা কষ্ট।
খুব কাছ থেকে হারিয়ে যাওয়া কয়েকজন তরুণ তরুণীর বর্ণনা দিচ্ছি।আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে গল্প করতে পারিনা ক্লাসে।
তবে কার গল্প জীবনের বললে চুপচাপ শুনতেই ভালই লাগে।
:-)
হ্যা মাঝে মাঝে ঘরে মিটিং হচ্ছে ।কাকে যেন স্কুলের স্যার খুব অপমান করেছে বাবা মাকে যেতে হবে সমস্যা সমাধান করতে।
সমস্যা হচ্ছে পিচ্ছি ফোন নিয়ে স্কুলে গিয়েছে।
একদিন রাতে পিচ্ছির খুব মন খারাপ বলি কি হয়েছে বুঝলাম ছ্যাকা খেয়েছে।এর পর পদক্ষেপ খুব খারাপ থাকত।ব্লেট দিয়ে দাগ কাটাকাটি নাম লেখা লেখি।
আর দেওয়াল জুড়ে লেখা থাকত
"তেরি মেরি রিস্তা পুরানা হে"
হু,
আসলে আব্বা আম্মা তোমাদের প্রতি সালাম।
ওদের ঐ বয়সে আমি ত খেলাধুলা করতাম।
এইসব কি?
:-)
একজনকে সাইক্রিয়াটিষ্ট এর কাছে নিয়েছে তিনি কয়েকবার সুইসাইডের ভয়ংকর পদক্ষেপ নিয়েছে একবার ছাদ থেকে লাফ দিতে গিয়ে আর একবার ঘুমের ওষধ খেয়েছেন।
ডাক্তার কিউর সেন্টারে ভর্তি করতে বললেন মান সন্মান ভয়ে বাবা করেন নি।
সুতরাং ডাক্তার দুটি কথা বলেছিলেন যদি ভাল হয় তবে এ ব্যক্তি ভাল হবে তা না হলে কঠিন নিচে নেমে যাবে।
আল্লাহ আমাকে একটা পরিবার দিয়েছেন ।এটা সত্যি বিশাল একটা নিয়ামত।
কারণ ভুল করার আগেই বড়রা সতর্ক করে দেয়।
:-)
বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে কিভাবে একটা ছেলে ড্রাগ নিচ্ছে।এখন ওর ত জীবন সম্পর্কে আগ্রহ বা স্বপ্ন জিরোর কোটায়।
:-)
এটা বেশ বেদনাদায়ক অন্তত আমার কাছে।নেশা আচ্ছন্ন এখন নারী সমাজ ও মেডিক্যালের এক ছেলের সাথে প্রেম করত যখন ছেলেটা উপভোগ করা শেষ হল তখন ছেড়ে দিল।যেহেতু ঐ ছেলে একই ক্লাসের ঐ মেয়ের সবচেয়ে বেষ্ট ফেন্ড ছিল যে মেয়ে তার ছোট ভাই ছিল তখন সবাই দোষ দিতে শুরু করল কেন সে ওর চেয়ে কম বয়সে ছেলের প্রলোপন দেখিয়ে প্রেম করল।ক্লাসের কম বেশি ওকে খুব অপছন্দ আর ঘৃণা করে।সুতরাং ঐ মেয়েটা হয়ত সুইসাইডের করতেন চেয়েছিল।তবে ওকে অপবাদ দেওয়ার আমি পক্ষপাতি নই।
যদি কেউ অন্যায় করে বা অন্যায় পথে চলে অবশ্যই সেই কর্মের ফল সে দুনিয়া ও আখিরাতে পাবেই ত আমরা দল বেধে ওর শত্রু হয়ে কেন অযৌক্তিকভাবে ওকে কষ্ট দিব।আমি একমত না।
আমার প্রশ্ন এই সব উদাহরণ কি শেষ???
আমরা যদি আজও আমাদের বাবার পাশে বসে পৃথিবীর নানার রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক এমনকি পড়াশুনা, বিয়ে নিয়ে সরাসরি কথা বলার পরিবেশ পাই ওরা ত আমাদেরই বয়সি এবং নারী স্বাধীনতা পাচ্ছে তবে তলিয়ে
কেন যাচ্ছে ?
সমাজ কেন পরিবর্তন হচ্ছে না।
বাবা মা কেন অভিভাবক হচ্ছে না।
বাবা মা যখনই সন্তানকে বুঝতে পারছেন না সন্তান কিভাবে বাবা মাকে বুঝবে।
অবশ্যই আমাকে এটা মানতেই হবে দাদাও তার কন্যা আর বউকে সন্মানের সাথে ভালবাসত।
দাদা অসুস্থ বিছানায় দাদীও।তবে এক রুমে দাদী অন্য রুমে দাদার থাকতেন |দাদার মাথা, হাত,পায়ে মালিশ করে দিচ্ছি।১৫ বা ২০ মিনিট পর পর যাও ত দেখে আস ত তোমার দাদী এখন কেমন আছে?
কয়েকবার যাওয়া পর দাদাকে প্রশ্ন করলাম আপনি অসুস্থ মানুষ এত বার দাদীর খোঁজ নেবার দরকার কি?
দাদা বলছিলেনঃ
আমি যদি দুনিয়াতে তোমার দাদীর হক সঠিকভাবে আদায় না করি তাহলে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে হিসাব দিব কিভাবে।
কত বছর পেরেয়ি গেল কিন্তু আজও ভুলতে পারি না ঐ কন্ঠ।
মা তোমার দাড়িয়ে আছে খুঁজে পাও কি তার ছায়া।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১৭৪৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন