অগোছানো কথনমেলা-৯
লিখেছেন লিখেছেন নতুন মস ২৩ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫৫:৪৭ রাত
মানুষের দেহের মধ্যে মোট ক্রোমোসোম থাকে ৪৬টি অর্ধেক পায় মার কাছ থেকে আর অর্ধেক বাবার কাছ থেকে।এই যুক্তি অনুসারে আমি রংপুরের অর্ধেক অংশ
বাকী অংশ বরিশালের।যদিও আমার আত্না সর্বদা রংপুরেই পড়ে থাকে।আমার দেখা মতে বরিশালের লোকজন বেশ চমত্কার।
কারণ আম্মু ছিলেন আমাদের শ্রেষ্ঠ ফেন্ড।
সারাদিনের কর্ম অপকর্ম সব আমরা গল্প করতাম আম্মুর সাথে।
আম্মু গল্প করতে পছন্দ করেন সুতরাং বরিশাল না দেখলেও বরিশাল সম্পর্কে একটা নীল নকশা তৈরি হয়ে আছে মনের কোটরে।
আর নানুকে খুব কম সময় পেয়েছি চমত্কার বুদ্ধিমতী ধার্মিক মানুষ ছিলেন।ধৈর্যশীল ত বটেই। আমার নানু দাদী মাদের ধৈর্য যদি মাপার জন্য কোন স্কেল তৈরি করা হত তবে তা সবোর্চ্চ রেখা অতিক্রম করবে।কারণ কতগুলো বাচ্চাকাচ্চা এর মধ্যে যদি চোখের সামনে দুই তিনটা বাচ্চা ইন্তেকাল করে তা একজন মা যে কিভাবে সহ্য করেছেন এবং স্বাভাবিকভাবে জীবন যাপন করেছেন।
তা আমার ছোট্ট মস্তিষ্কে ভাবনায় কিছুতেই ধারণ করতে পারিনা।তার উপর তিলে তিলে সন্তানদের মানুষ করা।বরিশালের যে আত্নীয়ের বাসায় থাকতাম আমি শুধু অবাক হই কি ধৈর্য্য আমার মামা মামীর। কিভাবে হাসি মুখে এত্ত এত্ত স্বজনকে বছর পর বছর নিজের মেয়েদের মতন যত্ন করে রেখেছেন এবং আমাদের ভরণপোষণ বহন করছেন।একজন দ্বায়িত্ববান অভিভাবক।
তার একটাই স্বপ্ন আমরা যেন ভাল রেজাল্ট করে পৃথিবীর বুকে সন্মান নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি।আমি আমার ফুপার ক্ষেত্রেও তাই দেখেছি।নিঃস্বার্থভাবে অন্যের পাশে দাড়ানোর ব্যাপারটা যে অনেক সন্মানের তা অনেক ক্ষেত্রে এখন কেউ করতে চায় না মানুষ চায় নিজেদের সব চাহিদা পুরণ করে আরেকটু সুখে থাকতে।
আমরা কত সহজে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা যাদের মাঠের ফসলের দিকে চেয়ে থাকতে হয় তারা কত সহজে ঢাকায় একটা পাবলিকে পরার সুযোগ পাচ্ছি।
যদিও একটা দুরত্ব থাকতই কেন যেন থাকেই মনে হয়।
আমার মা বছরের পর বছর রংপুরে থেকেও বরিশালের মেয়ে।
আর আমার রংপুর ত আমারি।
ঢাকায় আসি তখন
আমাকে বলে ছিলেন বাবাঃ
"কখনও যদি তুমি কার আচরণে খুব কষ্ট পাও।কার কাছে অভিযোগ করবা না।আর গীবত করা ত আব্বু ভয়ানক অপছন্দ করতেন।"
সত্যি বলতে কি?
এই দুটি গুন যদি কার মধ্যে পুরোপুরি থাকে তবে সত্যি সেই ব্যক্তিকে আমি ভাগ্যবানই বলব।
তবে এটা পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করা যে কতটা কঠিন হয়ত আজও পারিনি।তবে ইনশা আল্লাহ একদিন পারব।
একটা মুদ্রার এক পিঠে আলো পড়লে অন্য পিঠে ছায়া পড়তেই পারে সুতরাং একটু চেষ্টা করছি পজেটিভ দিকটা উঠাতে তবে...
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
৯৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন